শিরোনাম

খেলাধুলা

কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোপার শিরোপা জিতে নিল আর্জেন্টিনা

খেলাধুলা ডেস্ক: ২০২১ সালের আসরে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৫তম কোপা আমেরিকা শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এবার কলম্বিয়াকেও ম্যাচের একমাত্র গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখলো লিওনেল মেসিরা। এতে কোপায় সর্বকালের সবচেয়ে সফল দলের তকমা পেয়েছে আলবিসেলেস্তারা। এটি আর্জেন্টিনার ১৬তম শিরোপা। এর আগে আর্জেন্টিনার সমান ১৫টি শিরোপা জিতেছিল উরুগুয়ে।

কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। ফাইনালে খেলার মূল সময়ে অনেক চেষ্টা করেও গোল করতে পারেনি আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়া। অতিরিক্ত সময়েরও ২২ মিনিট শেষ হয়ে গেছে। ততক্ষণে সবাই টাইব্রেকারের প্রহর গুনছিল। অবশেষে ১১২ মিনিটে গোলের মুখ দেখলো চলতি কোপার ফাইনাল। আর্জেন্টিনাকে গোল উপহার দিলেন লাউতারো মার্টিনেজ। এতে ১-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার।

আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে খেলার মূল সময় শেষেও পরিসংখানে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও বর্তমান কোপা চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলতে পারেনি আর্জেন্টিনা। ম্যাচে বল দখল, আক্রমণ ও লক্ষ্যে শট নেওয়ায় এগিয়ে কলম্বিয়া।

এদিন টিকিট ছাড়াই দর্শকদের মাঠে ঢুকে পড়ার কারণে সময় মতো খেলা শুরু করতে পারেনি আয়োজকরা। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় দর্শকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তারা। অবশেষে সকাল ৬টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ম্যাচটি শুরু হয় ৭টা ২৫ মিনিটে।

শুরুতেই আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথম মিনিটে গঞ্জেলো মনটিয়েলের ক্রস থেকে হুলিয়ান আলভারেজের হেড গোলবারের বাঁপাশ মিস করে বাইরে দিয়ে চলে যায়। এরপর ৫ মিনিটে লুইস দিয়াজ ও ১৩ মিনিট কার্লোস কুয়েস্টা কলম্বিয়ার হয়ে দুটি আক্রমণ করে।

২০ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রস থেকে বাঁপায়ের শট নেন লিওনেল মেসি। তবে মেসির শট সেভ করেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক কামিলো ভারগাস।

আরও পড়ুন:

৩২ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ করে কলম্বিয়া। আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডাররা সেটি ব্লক করে দিলেও কর্নার পেয়ে যায় কলম্বিয়া। তবে কর্নার কিক থেকে বল তালুবন্দি করে নেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।

এর ৩ মিনিট পর ফের আক্রমণে আসে আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের ভেতরে কলম্বিয়ার ডিফেন্ডারদের ড্রিবলিং করে বল নিয়ে আগানোর চেষ্টা করছিলেন মেসি। শেষ পর্যন্ত আর লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। বল চলে যায় মাঠের বাইরে। চোটও পেতে হয় মেসিকে। তবে মাঠ ছেড়ে যাননি তিনি।

৪০ মিনিটে রড্রিগেজের ক্রস থেকে হেড নেন কলম্বিয়ার জন অ্যারিয়াস। তবে ডানপাশ দিয়ে বল চলে যায়। ৪২ মিনিটে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে কিক নেন মেসি। ডি-বক্সের ভেতর আর্জেন্টিনার নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকোর হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। অবশেষে গোল না করেই বিরতিতে যেতে হয় দুই দলকে।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেই আক্রমণ কলম্বিয়ার। ৪৭ মিনিটে সান্তিয়াগো অ্যারিয়াসের ডান পায়ের দ্রুতগতির শট গোলবারের ডানপাশ দিয়ে চলে যায়। এরপর কাউন্টার অ্যাটাকে যায় আর্জেন্টিনা। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের অ্যাসিস্ট থেকে ডি মারিয়ার করা বাঁপায়ের শট সেভ দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক।

৫৪ মিনিটে গোল করার আরেকটি সুযোগ তৈরি করে কলম্বিয়া। ডেভিনসন সানচেজের হেড চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে। কর্নার কিক থেকে হেড করে তাকে অ্যাসিস্ট করেছিলেন জন কর্ডোবা।

৬৪ মিনিটের ঘটনা হয়তো আর্জেন্টিনা ফুটবলের জন্য দুঃসহ স্মৃতি হয়ে থাকবে। আক্রমণভাগে যখন দলের বিশৃঙ্খল অবস্থা তখনই ইনজুরিতে পড়তে হয়েছে আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিকে। নিজেই দৌড়াতে গিয়ে ইনজুরি হয়েছেন। তারকা এই ফুটবলারের চোট এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, তার চোখ দিয়ে অশ্রু প্রায় বেরিয়ে আসছিল।

মেসিকে অবশ্য কেউ ফাউল করেনি। এরপর আর তাকে মাঠেই রাখতে পারেননি আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি। বদলি হিসেবে নিকোলাস গঞ্জালেজকে মাঠে নামান তিনি।

৭৫ মিনিটে কলম্বিয়ার জালে বল জড়িয়েই দিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। শেষমেশ খেলার মূল সময়ে কোনো গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৩ মিনিটে আরও একটি ব্যর্থ আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। থেমে থাকেনি কলম্বিয়াও। তারাও আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে।

শেষ পর্যন্ত নিজেদের অপরাজিত থাকাকে আর দীর্ঘ করতে পারেনি কলম্বিয়া। টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর আর্জেন্টিনার কাছে এসেই যাত্রা থামলো তাদের। দারুণ খেলেও ২৩ বছরের আক্ষেপ ঘুচাতে পারলো না কলম্বিয়া। ২০০১ সালে সর্বশেষ কোপা শিরোপা জিতেছিল তারা।

google-news-channel-newsasia24

উরুগুয়েকে বিদায় করে ফাইনালে আর্জেন্টিনার সঙ্গী কলম্বিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক: কানাডাকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা অপেক্ষায় ছিল, তাদের সঙ্গী কে হবে? উরুগুয়ে না কলম্বিয়া? নর্থ ক্যারোলিনার চারলটে ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে সেই প্রশ্নের নিষ্পত্তি হলো। টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলতে থাকা উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার সঙ্গী হলো কলম্বিয়া।

ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ দিকে দারুণ এক হেডে ফল নির্ধারনী গোলটি করেন জেফারসন লারমা। প্রথমার্ধের একেবারে অন্তিম মহূর্তে লাল কার্ড দেখেন কলম্বিয়ার ড্যানিয়েল মুনোজ। দ্বিতীয়ার্ধ পুরোটা ১০ জনের দল নিয়ে খেলে কলম্বিয়া। তবুও গোল বের করতে পারেনি উরুগুইয়ানরা।

এ নিয়ে কোপা আমেরিকায় তৃতীয়বার ফাইনালে উঠলো কলম্বিয়া। আগের দুই ফাইনালের মধ্যে ২০০১ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এছাড়া ১৯৭৫ সালে প্রথমবার ফাইনালে উঠেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এবার ২৩ বছর বিরতি দিয়ে আবারও তারা হামেশ রদ্রিগেজ-লুইজ দিয়াজদের হাত ধরে ফাইনালে উঠলো।

উরুগুয়েকে হারিয়ে টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ধরে রাখলো কলম্বিয়া। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা সর্বশেষ হেরেছিল আর্জেন্টিনার কাছে। এবার ফাইনালে সেই আর্জেন্টিনার মুখোমুখি।

তবে ম্যাচজুড়ে ফুটবল খেলার চেয়ে শারীরিক খেলাই বেশি হয়েছে। যে কারণে রেফারিকে সাতবার হলুদ কার্ড এবং একবার লাল কার্ড বের করতে হয়েছিল। এমনকি রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর পর কয়েকজন সামনে গিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

আরও পড়ুন>>সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

১৯৭০ সালে পেলের পর হামেশ রদ্রিগেজই প্রথম লাতিন আমেরিকান ফুটবলার, যিনি কোনো একটি বড় টুর্নামেন্টে ৬টি গোলের অ্যাসিস্ট করলেন।

কলম্বিয়া ১-০ গোলে এগিয়ে গেলেও এই লিড ধরে রাখা তাদের পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ, ৪৫তম মিনিটেই ড্যানিয়েল মুনোজ লাল কার্ড (২টি হলুদ কার্ড) দেখে মাঠ থেকে বহিষ্কার হন।

লিভারপুলের স্ট্রাইকার ডারউইন নুনেজ ১০ জনের কলম্বিয়াকে পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। এমনকি বদলি হিসেবে নেমে উরুগুয়ের সবসময়ের সর্বোচ্চ গোলদাতা (৬৮টি) লুইস সুয়ারেজও পারলেন না গোল আদায় করতে।

৭১তম মিনিটে তার একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে। ৮৮তম মিনিটে আরও একটি দারুণ গোলের সুযোগ পেয়েছিল কলম্বিয়ার ম্যাতিয়াস উরিব। কিন্তু ফাঁকা নেট পেয়েও বাইরে মেরে দেন তিনি।

google-news-channel-newsasia24

সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ যেন টাইব্রেকার কিং। প্রায় প্রতি ম্যাচেই টাইব্রেকারে সাক্ষাৎ যমদূত হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন তিনি প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের সামনে। কোপা আমেরিকার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের জন্যও সেটি হলেন তিনি। শেষ সময়ে ইকুয়েডর গোল করে সমতায় ফিরলেও টাইব্রেকারে মার্টিনেজ বীরত্বে ৪-২ ব্যবধানে জিতলো আর্জেন্টিনা।

মেসি মিস করলেও আর্জেন্টিনার হয়ে পরের শটগুলো ঠিকই ইকুয়েডরের জাল খুঁজে নেয়। হুলিয়ান আলভারেজ, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার, গঞ্জালো মন্টিয়েল ও নিকোলাস ওতামেন্দির শট ইকুয়েডরের জালে জড়ায়।

অথচ, জিততে পারতো ইকুয়েডরই। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে ৬২ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল ইকুয়েডর। এনার ভ্যালেন্সিয়া স্পট কিক নিতে গিয়ে সাইডবারে মেরে দেন। যার ফলে গোলবঞ্চিত হয় তারা এবং সমতায় ফিরতে পারেনি। ৯০+১ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে গোল করে সমতায় ফেরে ইকুয়েডর।

google-news-channel-newsasia24

এই ম্যাচের দলে জায়গা হারান ডি মারিয়া। তবে ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। বল দখলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ বেশি তৈরি করে ইকুয়েডরই।

ম্যাচের ছয় মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার ডিফেন্সের ভুলে বল পেয়ে যান কাইসেদো। ডি-বক্সের সামান্য ভেতর থেকে নেওয়া দুর্বল শট সহজেই তালুবন্দি করেন এমি মার্টিনেজ। ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় আবারও সুযোগ পায় ইকুয়েডর। এবার দারুণ আক্রমণ করে ডান দিক দিয়ে তারা।

১৭ মিনিটে এনার ভ্যালেন্সিয়ার ক্রস থেকে প্রেসিয়েদোর দুর্বল শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। মলিনার দারুণ ক্রস থেকে খালি জায়গায় হেড করার সুযোগ পেয়েও বল বাইরে মারেন এনজো ফার্নান্দেজ।

৩৩ মিনিটে মেসির দারুণ ডিফেন্স চেরা পাস থেকে এনজো ফার্নান্দেজ ডি-বক্সের ভেতর বল টেনে নিয়ে গেলেও তার শট ব্লক করে দেয় ইকুয়েডরের ডিফেন্ডাররা। কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। সেই কর্নার থেকেই অবশেষে গোল পায় আর্জেন্টিনা।

মেসির কর্নার থেকে ম্যাক অ্যালিস্টার হেড করলে বল যায় ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজের কাছে। ভেসে আসা বলে মার্টিনেজ দারুণ হেডে বল জালে জড়ালে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তারা।

আরও পড়ুন: 

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ৫৪ মিনিটে এমি মার্টিনেজের কিক থেকে বল ডি বক্সের ভেতর বল পেয়েও লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন লাওতারো।

স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকলেও স্পট কিক থেকে বল গোলবারে মারেন তিনি। সমতায় ফিরতে ব্যর্থ হলো ইকুয়েডর। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে প্রথম গোলমুখে শট নেন লিওনেল মেসি। তার ডান পায়ের শট সোজা গোলরক্ষক বরাবর গেলে সেটি তিনি ভালোভাবেই রুখে দেন।

ম্যাচে যখন আর্জেন্টিনা জয়ের সুবাস পাচ্ছিল তখনই ম্যাচের ৯২ মিনিটে ইকুয়েডরের কেভিন রদ্রিগেজ গোল করে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান। কোপায় কোনো অতিরিক্ত সময়ের নিয়ম না থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

টাইব্রেকারে আবারও সেই এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বীরত্বে ম্যাচ জিতলো আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম পেনাল্টি মিস করেন মেসি। কিন্তু এমি মার্টিনেজ টানা দুটি পেনাল্টি রুখে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে ম্যাচে ফেরান। শেষ পেনাল্টিতে নিকোলাস ওতামেন্দি আর্জেন্টিনার হয়ে গোল করে দলকে সেমিফাইনালে তোলেন।

google-news-follow-us-newsasia24

তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশন এর রাজশাহী বিভাগীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো সংগঠন “রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশন” এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার (০৩ জুলাই) ২৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন “রাজশাহী বিভাগীয় তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশন” এর সভাপতি জনাব তৌরিদ আল মাসুদ রনি (সাধারণ সম্পাদক -রাজশাহী মহানগর যুবলীগ)। ঘোষিত কমিটির সভাপতি – জনাব তৌরিদ আল মাসুদ রনি এবং সাধারণ সম্পাদক হলেন মুমিত হাসান (ব্রাইট)।

এছাড়াও সহ-সভাপতি ৭ জন – এ.কে.এম সাফফাত হোসেন রিয়াদ,মোঃ মোজাফফর হোসেন বুলু,মোঃ সেকেন্দার আলী, সৈয়দ জাকির হোসেন, এস.এম সালাহ্উদ্দিন রতন, মোঃ রাশিদুল হাসান ও সালাহ উদ্দিন গাজী।

google-news-channel-newsasia24

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২ জন -মোঃ লিয়াকত হোসেন তরফদার ও মোঃ দুরুল আলম। সাংগঠনিক সম্পাদক ৩ জন – শিরিন সুলতানা লিজা,মোসাঃ সুলতানা পারভীন ও আবতাহী ইবনুল মুকতাসিদ। কোষাধ্যক্ষ- আশরাফী আম্বিয়া, প্রচার সম্পাদক- মোহাম্মদ মোবারক হোসেন খন্দকার,

rajshahi-taikondo-comnitee-newsasia24 2
তায়কোয়ানদো এসোসিয়েশন এর রাজশাহী বিভাগীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা-newsasia24 2

আরও পড়ুন:

সহ প্রচার সম্পাদক- মোঃ আশিক মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক- মোছাঃ শ্রাবন্তী ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক- এড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক – আবিদ হাসান, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক- মোঃ ইহতেশামুল আলম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক- মোঃ মাসুদ রানা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক- মোঃ আবেদ আলী এবং তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক- আবু সাদাত মোঃ শাহরিয়ার জাহান

কার্যনির্বাহী সদস্য সংখ্যা ৪ জন- মোঃ রফিকুল ইসলাম রঞ্জন, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ শামসুজ্জামান ও মোঃ আইয়ুব নবী শান্ত।

বাংলাদেশ জিম্বাবুয়েকে ১৬৬ রানের লক্ষ্য দিল

স্পোর্টস ডেস্ক: চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। সিরিজে এই প্রথম আগে ব্যাটিং করলো বাংলাদেশ।

অপেক্ষাকৃত কম শক্তিশালী জিম্বাবুয়ের বোলিং লাইন আপ সেক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা হওয়ার কথা ছিল লিটনের। কিন্তু তার বাজে ফর্ম ও আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি এতোটাই যে আজও ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন তিনি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি।

পাওয়ারপ্লে শেষ হওয়ার আগে ফিরে গিয়েছেন অধিনায়ক শান্তও। সিকান্দার রাজার বলে বোল্ড হওয়ার আগে শান্ত করেন ৪ বলে ৬ রান। ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৪২ রান।

২২ বলে ২১ রান করে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিমও। সিরিজের প্রথম ম্যাচে অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি করার পরের দুই ম্যাচে ঠিক হাসলো না তানজিদের ব্যাট।

৬০ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিকের দৃঢ়তায় ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। ৫৮ বলে ৮৭ রানের খুব কার্যকর জুটি গড়েন দুজন।

আরও পড়ুন:

৩৪ বলে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটির দেখা পান হৃদয়। ১৯তম ওভারে মুজারাবানির বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৩ চার ও ২ ছয়ে ক্যারিয়ারসেরা ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংস।

১ বল পরেই জাকেরকেও একইভাবে ইয়র্কার লেন্থের বলে বোল্ড করেন মুজারাবানি। জাকেরের ব্যাটে আসে ৩৪ বলে ৪৪ রান। তিনিও হাঁকান ৩টি চার ও ২টি ছক্কা।

পরে চার বল করে খেলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৯ ও রিশাদ হোসেনের ৬ রানের সুবাদে দেড়শ ছাড়ায় বাংলাদেশের পুঁজি। ব্লেসিং মুজারাবানি শিকার করেন তিন উইকেট।

google-news-channel-newsasia24

সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের মতো তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতল বাংলাদেশ। ১২০ বলে ১৩৯ রান করতেও ঘাম ঝরাতে হয় টাইগারদের। ৬ উইকেটে জয় পেলেও বাংলাদেশ দলকে চাপে ফেলে দিয়েছিল জিম্বাবুয়ে।

কিন্তু অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং তরুণ ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৯ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।

রবিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে জিম্বাবুয়েকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকে সময়ের ব্যবধানে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। তাদের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেস বোলার তাসকিন আহমেদ। তিনি বোলিংয়ে এসেই ওপেনিং জুটি ভাঙেন। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার তদিওয়ানাশে মরুমণি। তিনি ৩.৬ ওভারে দলীয় ১৫ রানে আউট হন।

এরপর ৭.১ ওভারে দলীয় ৩০ রানে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার জয়লর্ড গাম্বি। এরপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে পরপর আঘাত হানেন রিশাদ হোসেন। তার শিকার হয়ে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ও ক্লাইভ মানদান্দে।

সাবেক অধিনায়ক ক্রেগ আরভিনকে আউট করেন শেখ মাহেদি হাসান। ১০.২ ওভারে মাত্র ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে।

৬২ বলে মাত্র ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যাওয়া জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন মিডলঅর্ডার দুই ব্যাটসম্যান জোনাথন ক্যাম্পবেল ও ব্রায়ান বেনেট।

তারা ষষ্ঠ উইকেটে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়েন। তাদের রান তোলার লাগাম টেনে ধরেন শরিফুল ইসলাম। তার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ক্যাচে ধরা পড়েন ক্যাম্পবেল। তিনি সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে ৪টি চার আর ৩ ছক্কার সাহায্যে ৪৫ রান করে ফেরেন।

এরপর সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে লুকি জঙ্গিকে ফেরান তাসকিন আহমমেদ।

অষ্টম উইকেট জুটিতে মাত্র ৮ বলে ১৮ রান আদায় করে নেন ব্রায়ান বেনেট ও অ্যাশলে এনডিলুভু। শেষদিকে তাদের এ ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে বলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে জিম্বাবুয়ে।

দলের হয়ে ২৯ বলে দুই চার আর তিন ছক্কায় ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ব্রায়ান বেনেট।

আরও পড়ুন: 

 

বাংলাদেশ দলের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানে ২ উইকেট শিকার করেন। ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২ উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। একটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও শেখ মাহেদি হাসান।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২০ বলে ১৩৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪১ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ২১ রানে ৩ উইকেট হারায়। দলীয় ৯৩ রানে ফেরেন জাকির আলি অনিক।

শেষদিকে জয়ের জন্য ৩৭ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৮ রান। তখন মনে হয়েছিল ম্যাচটি কঠিন হয়ে যাচ্ছে। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে সেট হতে কিছুটা সময় নেন সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

রিয়াদ উইকেটে সেট হয়ে যাওয়ার পর দলকে টেনে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তিনিই দলের জয় নিশ্চিত করেন। রিয়াদ ১৬ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।

২৫ বলে তিন চার আর দুই ছক্কায় ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তাওহিদ হৃদয়। ২৩, ১৮ ও ১৬ রানে আউট হন লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

google-news-channel-newsasia24

আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান হায়দরাবাদের

স্পোর্টস ডেস্ক: ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে  মুম্বাই ২৭৭ রানের বিশাল স্কোর গড়েছিলো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ রানের স্কোর। এরপর কয়েকদিন পর দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ২৭২ রান করেছিলো কেকেআর। হায়দরাবাদের রেকর্ড স্কোরের চেয়ে ৫ রান কম করেছিলো তারা।

কিন্তু রেকর্ড গড়ে সেটা নিজেরাই ভেঙে দিলো হায়দরাবাদ। আজ (সোমবার) বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে নিজেদের ২৭৭ রানের রেকর্ড ভেঙে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ গড়লো ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানের বিশাল স্কোর। আগের ইনিংসের চেয়েও ১০ রান বেশি করলো এবার তারা।

হায়দরাবাদের এই বিধ্বংসী স্কোরের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান দলটির অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ট্রাভিস হেডের। ৩৯ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ৪১ বলে আউট হন ১০২ রান করে। এছাড়া হেনরিক ক্লাসেন এবং শেষ দিকে এইডেন মারক্রাম ও আবদুল সামান ঝড় তুলে হায়দরাবাদের ইনিংসকে এভারেস্টের চূড়ায় তুলে দেন।

বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি। আমন্ত্রিত হয়ে ব্যাট করতে নেমে বেঙ্গালুরু বোলারদের ওপর রীতিমত টর্নেডো বইয়ে দিতে শুরু করেন দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা।

৬ ওভার ৭৬, ৭ ওভারে তারা তুলে ফেলে ৯৭ রান। ৭.১ ওভারে পার করে ফেলে ১০০ রানের মাইফলক। ১১.২ ওভারে ছুঁয়ে ফেলে ১৫০ রান। ১৫ ওভারে পূরণ করে ২০০ রান। ওভারপ্রতি রান তুলছে ১৪.৩৫ করে।

আরও পড়ুন: 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশ

২০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন ট্রাভিস হেড। এরপর ৩৯ বলে পূরণ করেন সেঞ্চুরি। মাঝে ২২ বলে ৩৪ রান করা অভিষেক শর্মা ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন রিস টপলির হাতে। ততক্ষণে ৮.১ ওভারে ১০৮ রানের জুটি গড়েছেন তারা।

ট্রাভিস হেড এবং হেনরিক ক্লাসেন মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। দলীয় ১৬৫ রানের মাথায় ৪১ বলে ১০২ রান করে আউট হন ট্রাভিস হেড। লকি ফার্গুসনের একটি বলকে ছক্কা মারতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন বল। ফ্যাফ ডু প্লেসি সেটি তালুবন্দী করেন। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৮টি ছক্কা দিয়ে নিজের ইনিংস সাজান হেড।

google-news-channel-newsasia24

হেনরিক ক্লাসেন ছিলেন আরও মারমুখি। যদিও তিনি ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন। শেষে আউট হন ৩১ বলে ৬৭ রান করে। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৭টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ১৭ বলে এইডেন মারক্রাম করেন ৩২ রান। ২টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মারেন তিনি।

আবদুল সামাদ ১০ বলে খেলেন ৩৭ রানের ইনিংস। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন ৩টি ছক্কার মার। মূলত শেষ দিকে তার ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই ২৭৭ রানের রেকর্ড পার হয়ে ২৮৭ রান করতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ফান্দাউক গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলা চলাকালীন দুই তরুণের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে, একটি পক্ষকে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়াল ও অপর পক্ষকে মো. রিপন মিয়া সমর্থন দেয়। পরে বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির আলোচনা হয়।

শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর আওয়াল মিয়ার পক্ষের লোকদের ওপর অতর্কিত হামলা করে রিপন মিয়ার লোকজন। দ্রুত বিষয়টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: 

নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা বলেন, উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

আজ থেকে শুরু আফ্রিকার ফুটবল যুদ্ধ

স্পোর্টস ডেস্ক: আজ থেকে শুরু হবে আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের ৩৪তম আসর। শিরোপা লড়াইয়ে ২৪ দল আগামী এক মাস ধরে মুখোমুখি হবে এ ফুটবল যুদ্ধে।

মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানে ও ভিক্তর ওসিমেনের মতো তারকারা প্রতিনিধিত্ব করবেন নিজ নিজ দেশের। আজ প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক আইভরিকোস্ট ও গিনি বিসাউ। আফ্রিকা কাপ অব নেশনস নিয়ে আরও জানার আছে—

২০২৩–এর আয়োজন ২০২৪ সালে,

২৪ দল নিয়ে এবারের আসরটি মাঠে গড়ানোর কথা ছিল আরও ৬ মাস আগে, ২০২৩ সালের জুন-জুলাইয়ে। তবে আইভরি কোস্টের প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেটি পিছিয়ে যায়। টুর্নামেন্টের নামে অবশ্য ‘২০২৩’–ই থাকছে।

Africa's-football-war-begins-today-newsaia24

দ্বিতীয়বারের মতো আফ্রিকান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আয়োজন করছে আইভরিকোস্ট। এর আগে ১৯৮৪ সালে প্রথমবার এই প্রতিযোগিতার আয়োজক দেশ হয়েছিল তারা। আয়োজক হিসেবে প্রথমবার ভালো করতে পারেনি আইভরিকোস্ট। টোগোর বিপক্ষে জিতলেও, মিসর ও ক্যামেরুনের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল তারা। সেবার ৮টি দেশ ১৫ দিন ধরে মেতেছিল শিরোপা লড়াইয়ে। শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতেছিল ক্যামেরুন, রানার্সআপ হয়েছিল নাইজেরিয়া। আর তৃতীয় সেরা দল ছিল আলজেরিয়া।

আরও পড়ুন>>নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ওয়ানডে জয়

আইভরিকোস্টের ৫টি শহরের ৬টি ভেন্যুতে আয়োজিত হবে এবারের প্রতিযোগিতা। বাণিজ্যিক শহর আবিদজানের দুটি ভেন্যুতে খেলা হবে ২০ ম্যাচ। বুয়াকেতে হবে ৯ ম্যাচ, সান পেদ্রো ও ইয়ামোসুকরোতে হবে ৮ ম্যাচ করে এবং কোরহোগোতে হবে ৭ ম্যাচ। আইভরিকোস্ট–গিনি বিসাউয়ের উদ্বোধনী ম্যাচ এবং ১১ ফেব্রুয়ারির ফাইনাল আবিজানের ৬০ হাজার আসনবিশিষ্ট আলহাসানে আউত্তারা স্টেডিয়ামে। সান পেদ্রো, কোরহোগো ও ইয়ামোসুকরোর ২০ হাজার আসনবিশিষ্ট মাঠগুলো অবশ্য নতুন করে বানানো হয়েছে এ প্রতিযোগিতার জন্য। আর আবিদজানের অন্য মাঠ ফেলিক্স–বোইগনি স্টেডিয়ামের দর্শক আসন সংখ্যা ৪০ হাজার। এ ছাড়া বুয়াকের অন্য স্টেডিয়ামটির আসন সংখ্যা ৪০ হাজার।

১৯৫৭ সালে প্রথমবারের মতো বসেছিল আফ্রিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। এখন পর্যন্ত ৩৩ বার মাঠে গড়িয়েছে এ আয়োজন। যেখানে সর্বোচ্চ সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মিসর। ৫ বার জিতেছে ক্যামেরুন, ৪ বার ঘানা আর ৩ বার নাইজেরিয়া। ২ বার করে জিতেছে আইভরিকোস্ট, আলজেরিয়া ও কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। একবার করে জিতেছে জাম্বিয়া, তিউনিসিয়া, সুদান, সেনেগাল, ইথিওপিয়া, মরক্কো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কঙ্গো।

আরও পড়ুন>>সৌম্যর রেকর্ড ১৬৯

গতবারের দুই ফাইনালিস্ট সাদিও মানের সেনেগাল এবং মোহাম্মদ সালাহর মিসরকেই ভাবা হচ্ছে অন্যতম ফেবারিট। এরপর আগ্রহ আছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা মরক্কোকে নিয়েও। তবে এই প্রতিযোগিতায় নাইজেরিয়া ও আলজেরিয়ার মতো দলও দারুণ কিছু করে দেখাতে পারে।

তারকা খেলোয়াড়এবারের আসরে অন্যতম দুই সেরা তারকা মোহাম্মদ সালাহ ও সাদিও মানে। আছে আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড় ভিক্তর ওসিমেনও। অন্যদের মধ্যে আলজেরিয়ার রিয়াদ মাহরেজ, মরক্কোর ইউসেফ এন নেসিরি, গিনির সেরহাউ গুইরাসি এবং সেনেগালের এদোয়ার্দো মেন্দি উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুুন>>কিয়ামত আলী বিশ্বাস -গেদিরন নেছা বালিকা এতিমখানায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল আলিউ সিসের হাত ধরেই প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিল। এবারও চোখ থাকবে তাঁর ওপর। আছেন মরক্কোকে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে নিয়ে যাওয়া ওয়ালিদ রেগেরুই। কৌশল এবং খেলোয়াড়দের সেরাটা বের করে কীভাবে দলকে সাফল্য এনে দিতে হয়, তা ভালোই জানা আছে তাঁর। এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে মিসরের রুই ভিতোরিয়া, আইভরিকোস্টের ইয়ান লুইস গ্যাসেট, নাইজেরিয়ার জোসে পেসেইরোও কৌশলে বাজিমাত করার ক্ষমতা রাখেন।

প্রাইজমানিরেকর্ড ৭০ লাখ ডলার পাবে বিজয়ী দল, যা কিনা আগের আসরের চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশি। আর রানার্সআপ দল পাবে ৪০ লাখ ডলার।

google-news-channel-newsasia24

Follow

নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ওয়ানডে জয়

স্পোর্টস ডেস্ক: তৃতীয় ওয়ানডেতে নিউ জিল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারাল নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দল। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটাই বাংলাদেশের প্রথম ঐতিহাসিক ওয়ানডে জয়।

সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে আগেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার। তবে বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি ছিল অনেকদিক দিয়ে গুরুত্ববহ। শুধু হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোই নয়, ইতিহাস গড়ার হাতছানিও যে ছিল।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতলেও এর আগে কখনই সীমিত ওভারে (ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি) জয় দেখেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই জয় ধরা দিলো ওয়ানডে ফরম্যাটে।Bangladesh's-historic-ODI-win-over-New-Zealand-newsasia24 2

অধিনায়ক শান্ত জয়সূচক রান নেওয়ার পাশাপাশি ফিফটিও পূরণ করেন। ৪২ বলে ৮ চারের সাহায্যে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন দাস।

আরও পড়ুন>> সৌম্যর রেকর্ড ১৬৯

সাফল্য পেতে বেশি সময় লাগেনি। কিউই ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে তিনি সাজঘরে ফেরান রাচিন রাবিন্দ্রকে। ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করে তানজিম সাকিব বিভ্রান্ত করেন নিউজিল্যান্ড ওপেনারকে।

সাকিবের মিডলে পিচ করা বলে ব্যাট ছুঁইয়ে রাচিন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন ১২ বলে ৮ করে। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

তৃতীয় উইকেটে বিপদ কাটানোর চেষ্টা করেন টম ল্যাথাম আর উইল ইয়ং। তবে ৫৫ বলে তাদের ৩৬ রানের জুটিটি ১৭তম ওভারে এসে ভেঙে দেন শরিফুল ইসলাম। সেট হওয়া কিউই অধিনায়ক টম লাথাম ডিফেন্ড করতে গিয়েও স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি। বোল্ড হয়ে ফেরেন ৩৪ বলে ২১ করে।

নিজের পরের দুই ওভারে আরও দুই উইকেট তুলে নেন শরিফুল। ১৯তম ওভারে আরেক সেট ব্যাটার ইয়ংকে ফেরান বাঁহাতি এই পেসার।গালিতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন ইয়ং। ৪৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান।

আরও পড়ুন>>  সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশ

২১তম ওভারে শরিফুলের শিকার মার্ক চ্যাপম্যান। ২ রান করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন কিউই ব্যাটার। ২৩তম ওভারে আবার তানজিম সাকিবকে আক্রমণে ফেরান শান্ত। এবার প্রথম বলেই উইকেট। টম ব্লান্ডেল (১৭ বলে ৪) ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজের হাতে। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।

স্বীকৃত ব্যাটারের মধ্যে ছিলেন কেবল জর্জ ক্লার্কসন। তবে উইকেট ধরে রাখতে চেয়েও পারেননি তিনি। পার্টটাইমার সৌম্য সরকারের বলে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হন এই ব্যাটার, ২৩ বলে তিনি করেন ১৬ রান।

আরও পড়ুন: 

ক্লার্কসনকে তুলে নেওয়ার পর কিউইদের লেজটা ছেঁটে দিয়েছেন সৌম্যই। শেষ উইকেটের তিনটিই নেন এই অলরাউন্ডার। মোস্তাফিজুর নেন শেষ উইকেটটি।

শরিফুল ৭ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। সমান ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট তানজিম হাসান সাকিবের। সৌম্য সরকার ৬ ওভারে ১৮ রান খরচায় নেন ৩টি।

 

google-news-channel-newsasia24