শিরোনাম

আন্তর্জাতিক

২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় আশ্রয় নিয়েছিলেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। এই শহরটিই ছিল তাদের জন্য একমাত্র নিরাপদ স্থান।

কিন্তু সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সব ধরনের চাপ উপেক্ষা করে রাফায়ও অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে সেখান থেকেও পালাতে শুরু করেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।

এরই মধ্যে রাফা থেকে অন্যত্র সরে গেছেন ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম বন্ধের কথা জানিয়েছে জতিসংঘের ফিলিস্তিনবিষয়ক শরণার্থী সংস্থা।

তাছাড়া অবরুদ্ধ গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলি হামলায় ৩৬ হাজার ৩৭৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮২ হাজার ৪০৭ জন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।

আরও পড়ুন:

এদিকে বিরাট এলাকাজুড়ে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের তাঁবু, আর সেগুলো দিয়ে লেখা একটি স্লোগান ‘অল আয়েস অন রাফা’ বা ‘সব চোখ রাফার দিকে’। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি এই ছবিটি কয়েকদিন ধরে ব্যাপকভাবে শেয়ার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ছবিটি প্রথমবার শেয়ার হয়েছিল মালয়েশিয়া থেকে। এরপর দ্রুতই প্রায় সাড়ে চার কোটি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী তা শেয়ার করেন, যাদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যের বহু তারকাও রয়েছেন।

google-news-channel-newsasia24

দিল্লিতে শিশু হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৭ নবজাতক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের দিল্লির একটি শিশু হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (২৫ মে) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে পূর্ব দিল্লির বিবেক বিহার এলাকার এক ‘বেবি কেয়ার সেন্টারে’ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

এ সময় ওই হাসপাতাল থেকে ১২ জন শিশুকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। উদ্ধার হওয়া শিশুদের চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাতেই মৃত্যু হয় ৬ জনের।

একজনকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। রবিবার সকালে তারও মৃত্যু হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও পাঁচ শিশু।

আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

রাইসির মৃত্যুর শেষ রহস্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গত রবিবার পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ানসহ তাদের সফরসঙ্গীরা।

এবার রাইসির বিমান বিধ্বস্ত নিয়ে চালঞ্চল্যকর তথ্য জানাল রাইসির সাথে সফরে থাকা একজন ইরানি কর্মকর্তা। এ বিষয়ে সোমবার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরএনএ।

আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের সাথে ইরানের সীমান্তে বাঁধ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির সফর সঙ্গী ছিলেন গোলামহোসেন ইসমাইলী নামের এক কর্মকর্তা। ফেরত আসার সময় ইসমাইলি তিনটি হেলিকপ্টারের অন্য একটিতে থাকায় বেঁচে যান তিনি।

এই কর্মকর্তা জানান, ইরানের ভারজাকান অঞ্চলের যেখানে দুর্ঘটনা ঘটে সেখানকার আবহাওয়া পরিস্থিতি শুরুতে ভালো ছিল। গত ১৯ মে স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে রাইসির হেলিকপ্টার বহর উড্ডয়ন শুরু করে।

আরও পড়ুুন>>ভোট কম পড়ার কারন জানালেন সিইসি

এর ৪৫ মিনিট পর রাইসির হেলিকপ্টারের পাইলট অন্যান্য হেলিকপ্টারকে উচ্চতা বাড়িয়ে মেঘ এড়িয়ে যেতে বলে। এর কিছুক্ষণ পরই সেটি উধাও হয়ে যায়।

তিনি বলেন, “নির্দেশমত উচ্চতা বাড়িয়ে মেঘের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার ৩০ সেকেন্ড পরই আমাদের পাইলট লক্ষ্য করলেন যে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি অদৃশ্য হয়ে গেছে।”

ইসমাইলি বলেন, এমন অবস্থায় আমাদের পাইলট প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের সন্ধানে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি জানান, এরপর কয়েকবার রেডিও ডিভাইসের মাধ্যমে রাইসির হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এদিকে, মেঘের কারণে উচ্চতা কমাতে না পারায় বাকি হেলিকপ্টারগুলো একটি কাছের তামা খনিতে অবতরণ করে।

আরও পড়ুন>>এভারেস্ট জয় করেই মারা গেলেন তারা

ইসমাইলি জানান, সে সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমিরাবদুল্লাহিয়ান এবং প্রেসিডেন্টের সুরক্ষা ইউনিটের প্রধানকে বারবার ফোন দেয়া হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

রাইসির বহরে থাকা এই কর্মকর্তা বলেন, অন্য দুটি হেলিকপ্টারের পাইলটেরা প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন মোস্তাফাভির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।

কিন্তু সে সময় ফোন ধরেন তাবরিজের জুমার নামাজের ইমাম মোহাম্মদ আলী আল-হাশেম। তিনি জানান, তাদের হেলিকপ্টারটি একটি উপত্যকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। তার অবস্থা তখন গুরুত্বর ছিল, কিন্তু দুর্ঘটনার পরও কয়েক ঘণ্টা বেঁচে ছিলেন মোহাম্মদ আলী আল-হাশেম।

ইসমাইলি নিজেই আল হাশেমের সাথে দ্বিতীয় বার যোগাযোগ করেছিলেন এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে একই উত্তর পেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন

তিনি বলেন, “যখন আমরা দুর্ঘটনার অবস্থান খুঁজে পাই, তখন মরদেহের অবস্থা দেখে বুঝি যে, প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং অন্যান্য সঙ্গীরা তাৎক্ষণিকভাবে মারা গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র আল হাশেম কয়েক ঘন্টা পরে শহীদ হয়েছেন।

গত রবিবার একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

উদ্বোধন শেষে আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফেরার পথে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে দুর্ঘটনার কবলে পরে প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তারা।

তবে অন্য দুটি হেলিকপ্টার অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে।

ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার টানা অভিযান শেষে গত সোমবার হেলিকপ্টারটির খোঁজ পায় উদ্ধারকারী দল। হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টসহ নয়জন নিহত হন।

google-news-channel-newsasia24

এভারেস্ট জয় করেই মারা গেলেন তারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এভারেস্ট জয় করে দুই পর্বতারোহীর মৃত্যু হয়েছে। ফেরার পথে তারা মারা যান। দুইজনের মঙ্গোলিয়ার নাগরিক। আট হাজার মিটারের বেশি উচ্চতায় তাদের মরদেহ পাওয়া গেছে।

এইটকে নামের একটি পর্বতারোহী সংস্থার পরিচালক পেম্বা শেরপা জানিয়েছেন, উসুখজারগেল তেসেদেনদামবা ও পুরুভসুরেন লাখাগাবাজাভ গত ১৩ মে দুপুর ১২টার দিকে এভারেস্টের চূড়ায় ছবি তোলেন। তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

গত ১৭ মে উসুখজারগেলের মরদেহটি পাওয়া যায় দক্ষিণ সামিটে। পুরুভসুরেনের মরদেহটি পাওয়া যায় ব্যালকনি এরিয়ায়।

শেরপা জানান, এভারেস্টের চূড়া থেকে নামতে তাদের অনেক কষ্ট হচ্ছিল। কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছিল না।

কোনো ধরনের ব্যক্তিগত গাইড ছাড়াই তারা দুইজনে এভারেস্টের চূড়ায় যাত্রা শুরু করেন। এরপর গত ১২ মে থেকে তার নিখোঁজ ছিলেন।

তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ পাওয়া যায় আট হাজার ৬০০ মিটার উচ্চতায় ও আরেক জনের মরদেহ পাওয়া যায় আট হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায়।

google-news-channel-newsasia24

চীন সফরে পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি।

এ সময় জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় পুতিনকে। বেইজিং বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া পুতিনের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘পুরোনো বন্ধুর’ রাষ্ট্রীয় সফর হিসাবে বর্ণনা করেছে। পুতিনের এই সফর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী দুটি ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এর আগে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে কয়েক হাজার সৈন্য পাঠানোর কয়েকদিন আগে বেইজিং সফরে গিয়েছিলেন পুতিন। এসময় চীন ও রাশিয়া ‘সীমাহীন’ অংশীদারিত্বের ঘোষণা করেছিল।

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন শি জিনপিং। এ পরিস্থিতিতে চীন-রাশিয়ার দুই নেতার নতুন বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব।

নতুন মেয়াদে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরের জন্য চীনকে বাছাই করেছেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বকে তার অগ্রাধিকার এবং শি জিনপিংয়ের সাথে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক কতটা শক্তিশালী সে বার্তাই যেন দিচ্ছে।

আরও পড়ুন:

সফরকালে পুতিন আজ শি জিনপিংয়ের সাথে সামনাসামনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপন করবেন তারা।

আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এবারের সফরে পুতিন শি জিনপিংয়ের সঙ্গে শিল্প ও প্রযুক্তি খাত নিয়ে আলোচনা করবেন।

google-news-channel-newsasia24

ব্রাজিলে বন্যায় ৭৮ জনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্রান্ডে দো সুলেতে কয়েকদিন ধরে চলা টানা বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ জনে।

আজ সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রিও গ্রান্ডে দো সুলের সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭৮ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি এখনও ১০৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনার সীমান্তবর্তী এ রাজ্যের প্রায় ৫০০টির মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি শহর বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ফলে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ।

বন্যার কারণে রাজ্যটির বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ও অসংখ্য সেতু ধসে পড়েছে। প্রবল ঝড়ের কারণে একটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বেন্টো গনকালভস শহরের একটি শহররক্ষাবাঁধের আংশিক ধসে পড়েছে। ফলে রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে রিও গ্রান্ডে দো সুলের চার লাখেরও বেশি মানুষ।

রাজ্যের গভর্নর এডুয়ার্ডো লেইট সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত কয়েক কয়েক দিনের প্রবল ঝড়, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে রিও গ্র্যান্ডে দো সুলের যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা যুদ্ধের ক্ষতির সমতুল্য। এ রাজ্যে যুদ্ধ-পরবর্তী ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।’

গত বৃহস্পতিবারের পর, গতকাল রোববারও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা তার মন্ত্রীসভার বেশিরভাগ সদস্যদের নিয়ে বন্যাকবলিত অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। তিনি রাজ্য সরকারকে সব রকমের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

হামাসের রকেট হামলার জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা, নিহত ১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলে হামাসের রকেট হামলার জবাবে রাফায় পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে।

এর আগে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজা উপত্যকার রাফা সীমান্তের কাছে হামাসের একটি সশস্ত্র শাখার রকেট হামলায় তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে, হামলাটি ক্রসিং এবং এর আশেপাশের এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফায় ১০টি প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানান, আহত ১২ জন সেনার মধ্যে তিনজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। হামাসের সশস্ত্র শাখাটি রকেট হামলার দাবি করার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। ওই ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করা হচ্ছিল।

আরও পড়ুন:

মিশর সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাফা শহরে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে হামাসের হামলার পর রাফার একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি চিকিৎকররা নিশ্চিত করেছেন।

পিটার লার্নার বলেন, দ্রুত গতিতে হামাসের হামলার জবাব দিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।

তিনি বলেন, এটি আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। এটা অগ্রহণযোগ্য এবং এই ঘটনার তদন্ত চলছে। সেখানে ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবে বিমানবাহিনী। ওই এলাকায় অবস্থানরত ভারী যন্ত্রপাতি, ট্যাঙ্ক এবং বুলডোজার পাহারা দেওয়ার সময় সৈন্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের ঠিক আগে রাফা শহরের আরেকটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক শিশুসহ নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তারা বলছেন, রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা, নিহত তিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

এ হামলায় তিন সৈন্য নিহত ও বেশ কয়েকজন সৈন্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।

হামলার দায় স্বীকার করে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে, কেরাম শালোম সীমান্ত ক্রসিং ও এর আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি দলকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছেন ।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, তারা ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে যা গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ থেকে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে ওই এলাকার দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসের অন্যান্য সামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ধেয়ে আসা রকেটগুলো ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে যে, আহত ১২ জন সেনার মধ্যে তিনজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। হামাসের সশস্ত্র শাখাটি রকেট হামলার দাবি করার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়।

এদিকে ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলার পর গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশের প্রধান ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। এই ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করা হচ্ছিল।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রবেশের সাহায্যের জন্য ক্রসিংটি ছিল অন্যতম প্রধান পথ। গাজায় ভয়াবহ মানবিক সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপে পরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ক্রসিংটি পুনরায় চালু করে।

আরও পড়ুুন:

google-news-channel-newsasia24

জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুক হামলা, নিহত ১ আহত ৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মিরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর গাড়িবহরে সন্ত্রাসী হামলায় এক জওয়ান নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৪ মে) বিকেল সোয় ৬টার দিকে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সেসময় সেনারা জরানওয়ালি থেকে বিমান বাহিনী স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শনিবার পুঞ্চের সুরনকোট শহরে জওয়ানদের বহরের দুটি গাড়ি লক্ষ্য করে ব্যাপক গুলি ছোড়েন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা। পাল্টা গুলি চালান বিমানবাহিনীর সদস্যরাও।

বিমানবাহিনীর সূত্রে বলা হয়েছে যে, দুই পক্ষের গুলিবিনিময়ে মোট পাঁচজন আহত হলেও তাদের এক সেনা একজন নিহত হয়েছেন। আর আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি তিনজনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে।

হামলার পরপরই সেখানে বাড়তি সেনা মোতায়েন ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। স্থানীয় রাইফেলস ইউনিট পুরো এলাকা ঘিরে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। তবে এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো জঙ্গি সংগঠন।

এক এক্স বার্তায় ভারতীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার শাহসিতারের কাছে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি গাড়িবহরে ‘সন্ত্রাসীরা’ হামলা চালায়।

আরও পড়ুন:

স্থানীয় সামরিক ইউনিটগুলো বর্তমানে ওই এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। আর যে গাড়িবহরে তারা আক্রমন করেছিল তা বর্তমানে সুরক্ষিত আছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ বছর ওই অঞ্চলে প্রথমবারের মতো এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটলো। গত বছর অঞ্চলটিতে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে একাধিক ভয়াবহ হামলা হয়েছিল।

এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই এই হামলার ঘটনায় আবারও জম্মু-কাশ্মিরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

google-news-channel-newsasia24

ইসরায়েলের সঙ্গে কলম্বিয়ার সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় হামলার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। স্থানীয় সময় বুধবার তিনি এ ঘোষণা দেন।

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে জড়ো হওয়া মানুষের সামনে পেত্রো বলেন, তার দেশ বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে যাচ্ছে।

পেত্রো তার বক্তব্যে ইসরায়েলের রাষ্ট্রপ্রধানকে গণহত্যাকারী আখ্যা দিয়ে বলেন, আপনাদের সামনে প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিচ্ছেন যে, বৃহস্পতিবার আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কগুলো ছিন্ন করবো।

তিনি বলেন, গাজার এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।

আরও পড়ুন:

এদিকে, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ অভিযোগ করে বলেছেন, পেত্রোর এই ঘোষণা ইহুদিবিদ্বেষী ও ঘৃণায় পরিপূর্ণ।

এর আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামলার পর ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ বলিভিয়া। সে সময় কলম্বিয়া, চিলি ও হন্ডুরাসসহ দক্ষিণ আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশ ইসরায়েল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।

google-news-channel-newsasia24