শিরোনাম

অপরাধ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করা যুবক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দু’হাতে দুই পিস্তল নিয়ে হামলা ও গুলি চালানো সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তার নাম জহিরুল ইসলাম রুবেল (২৬)।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

আরও পড়ুন:

র‍্যাব জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলি চালান জহিরুল ইসলাম রুবেল। তার দুই হাতে দুটি অস্ত্র নিয়ে গুলি চালানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

google-news-channel-newsasia24

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা সাগরকে কুপিয়েছে কালা মাসুদ বাহিনী

বরিশাল প্রতিনিধি: সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সাগর মৃধাকে (২৩) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরিশাল নগরীর কলেজ এভিনিউ পুকুর পাড়ে তার ওপর আক্রমণ করা হয়।

আহত সাগর মৃধাকে বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ হামলার জন্য হত্যা, ডাকাতিসহ বহু মামলার আসামি কালা মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা নিউজ এশিয়া২৪কে জানান, সাগর মৃধা ও তার দুই বন্ধু বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা কালা মাসুদসহ ২০-২৫ জন সাগরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেস। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে কালা মাসুদ বাহিনী পালিয়ে যায়।

থানা সূত্রে জানা যায়, কালা মাসুদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে আছে। কিন্তু পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না।

আরও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিএম কলেজের সমন্বয়ক শাহাবুদ্দিন বলেন, কী কারণে সাগরকে কোপানো হয়েছে, তা তিনি জানেন না। তবে সন্ত্রাসী কালা মাসুদের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ ২১টি মামলা রয়েছে। তারপরও এরকম সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি কালা মাসুদকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোপানোর ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

কালা মাসুদকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

google-news-channel-newsasia24

জিয়ারখীতে অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী সোহেলের ষড়যন্ত্রে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের মঠপাড়া গ্রামে প্রতারক শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী মাদক সেবনকারী মূল হতা সোহেল মন্ডলের ষড়যন্ত্রের শিকার এলাকাবাসী।

সে মঠপাড়া গ্রামের আকছেদ মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী সোহেল সিঙ্গাপুর প্রবাসী হওয়ায় মাঝেমধ্যে এলাকায় ছুটিতে আসে। এসে বিভিন্ন মানুষকে অস্ত্র দিয়ে মামলা দেয়া এবং এলাকায় তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়ে আবার সু কৌশলে সে প্রবাসে চলে যায়।

বিষয়টি নিয়ে একই গ্রামের আমিরুলের ছেলে নাসির ইকবাল পাঞ্জু জানান, কিছুদিন আগে সোহেল ছুটিতে এসে সদর উপজেলার চর কমলাপুর গ্রামের হাবিল শেখের ছেলে বিপুল কে দিয়ে অস্ত্র বেচাকেনা করতে গিয়ে কুষ্টিয়ার র‍্যাব বারো এর জালে ধরা পড়ে।

র‍্যাব গোপন সূত্রে জানতে পারে, সেনের চাতাল পাগলা পুকুর এলাকায় অস্ত্র কেনা বেচা হচ্ছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি অস্ত্র সহ বিপুল সেখ কে গ্রেপ্তার করে।

অপর ব্যক্তি মটপাড়া এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনেীর মুল হোতা সোহেল মন্ডল দৌড়ে পালিয়ে যায় ।

সোহেলের মূল আশ্রয়দাতা ৬ নং জিয়ারাখি ইউনিয়নের রকিব, জালাল মন্ডল, রাজুসহ আরো অনেকে রয়েছে বলে একটি সুত্র দাবী করে। সোহেল মন্ডল এর মূল অস্ত্র ব্যবসায়ী র্যাব হাতে ধরা পড়ে বিপুল শেখ নিজেই স্বীকার করেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মূল্য ৩০ হাজার টাকা । যা সোহেল কে বিক্রয় করতে দিয়েছিল।

আরও পড়ুন:

ওই টাকা থেকে বিপুল শেখকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।

বিপুল শেখ জানিয়েছেন, সোহেল মন্ডল ষড়যন্ত্র করে অস্ত্রসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে দিয়ে ধরিয়ে দেয়।

ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন পাঞ্জু জানান, প্রতারক সোহেল তার কাছে ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি জমি বিক্রয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। জমি দিতে অস্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেক আইডি দিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র করে লেখালেখি করছে। এ বিষয়ে মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে যার নং ৮৬১তারিখ ২১/৮/২৪।

এদিকে ষড়যন্ত্রের শিকার চর কমলাপুর গ্রামের বিপুল সেখ জানান, সোহেল তার কাছে একটা ব্যাগ দিয়ে বলে সেটা ভাদালিয়ায় পৌঁছে দিলে ত্রিশ হাজার টাকা দেবে।

৫হাজার টাকা তুমি নেবে বাকিটা সোহেলকে দিতে হবে। পরে সেখানে যাওয়ার আগেই রাস্তার মধ্যেই গোপন সূত্রে র‍্যাব ১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের চৌকোস অভিযানীর দল অস্ত্র বেচাকেনার খবর পেয়ে তাকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে সোহেলের দেয়া ব্যাগের মধ্যে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে।

এদিকে সোহেলে মন্ডল এর বিরুদ্ধে অস্ত্র দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা, স্থানীয় ডাকাত বাহিনীর সাথে সক্রিয় ভূমিকা রাখা ও নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজল হক চৌধুরী জানান, জিডি হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এলাকাবাসীর দাবি, রকিব, জালাল মন্ডল ও নাজমুল মেম্বারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সোহেলের মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

অস্ত্র ব্যবসায়ী মাদক সেবনকারী সোহেলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।

google-news-channel-newsasia24

কান্না করায় ১১ মাসের সন্তানকে হত্যা করলো পাষন্ড পিতা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সাদিয়া আক্তার নামে ১১ মাসের এক শিশু কন্যাকে হত্যা করেছে পিতা ইমরান হোসেন। ইমরান পানছ‌ড়ি উপজেলার লোগাং ইউপির শান্তিনগরের হান্নানের ছেলে।

khagrachori sadia akter murder newsasia24 imran baba
ঘাতক পাষন্ড পিতা ইমরান হোসেন

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (২৭মে ) রাত সাড়ে দশটার দিকে শিশু কন্যা সাদিয়া কান্না করলে পিতা ইমরান কোলে তোলে জোরে আছাড় মারে। এতে শিশুটি আহত হয়।

আহত শিশুটিকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে রেখে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। প‌রে শিশুটির শারিরীক অবস্থার অবনতি হ‌লে মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভ‌র্তি করা করা হয়। শে‌ষে রাত আনুমানিক নয়টার দিকে চি‌কিৎসারত অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

আরও পড়ুন:

পানছ‌ড়ি থানা অ‌ফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শফিউল আজম ঘটনার সত্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে ব‌লেন, খবর পেয়ে পানছড়ি থানা পুলিশ ইমরান হোসেনকে আটক করে‌ছে। এ ব্যাপারে পানছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দা‌য়ের করা হয়েছে বলে জানান তি‌নি।

google-news-channel-newsasia24

স্বামীর প্রেমে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী সালমা আক্তারকে (৪০) হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বামী রুপচানকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের বড় ভাই রিপন খান নিজে বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আজ শুক্রবার (২৪ মে ২০২৪ ) ভোরে সোনারগাঁ পৌরসভার ভট্টপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত সালমা পৌরসভার ভট্টপুর এলাকার মো. রুপচাঁনের স্ত্রী। সে দুই সন্তানের জননী।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের পরিবার জানায়, অভিযুক্ত স্বামী রুপচাঁন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করার সূত্রে তার সহকর্মী এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে সালমা এর প্রতিবাদ করে। এতে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভট্টপুর গ্রামের রুপচানের সঙ্গে পৌর এলাকার তাজপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের মেয়ে সালমা আক্তারের ১৯ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি আট বছর বয়সী মেয়ে ও ১৮ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে।

নিহতের ছেলে আব্দুল্লাহ আরবান জানান, আমার বাবা দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়ার করত। এই নিয়ে মায়ের সাথে বাবার প্রায়ই ঝগড়া হতো। কিছুদিন আগেও মাকে অনেক মেরেছে বাবা। পরে আমি আমার নানির বাড়ির আত্মীয়দের জানিয়েছি। উনারা বলেছিল ঈদের পর বসবে কিন্তু আজ আমার মাকে মেরেই ফেলল বাবা।

নিহত সালমার বড় ভাই রিপন জানান, দুই বছর ধরে তার বোনের স্বামী পরকীয়ায় জড়িত। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিশও হয়েছে। কিছুদিন আগেও তার বোনকে অনেক মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।

আরও পড়ুন:

এই নিয়ে তাদের সাথে তার কথাকাটাকাটিও হয়। এক পর্যায়ে তার বোনকে নিয়ে আসতে চাইলে তার বোন দুই বাচ্চার মুখের দিকে চেয়ে তার স্বামীর বাড়িতেই থেকে যায়। কিন্তু আজ ভোরে বোনের মরদেহ বাড়ি থেকে দূরে এক পুকুরে পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, তার বোন কখনো পুকুরে যায় না। সে সব সময় বাড়ির টিউবওয়েলেই গোসল করে। পুকুর তার বাসা থেকে অনেক দূরে। তার স্বামীই তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে পুকুরে ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা যাবে।

google-news-channel-newsasia24

গোয়ান্দা পরিচয়ে তরুণীকে ধর্ষণ; যুবক গ্রেপ্তার

বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালে গোয়েন্দা পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৮ এর একটি দল।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাবের এএসপি হাসান জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ধর্ষক রেফাউল ইসলাম লিটন (২৩) নগরীর পূর্ব বগুড়া রোডের বাসিন্দা আব্দুল ছাত্তার মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৪ মে ) র‌্যাবের এএসপি হাসান জানান, গত ১২ মে নগরীর আমির কুটির এলাকার বাসায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে বাসায় একা রেখে মা কাজে যান।

বেলা পৌনে একটার দিকে লিটন ওই বাসায় আসে। লিটন নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। পরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করে।

তরুণীর মা ঘরে এসে লিটনকে দেখতে পেয়ে পরিচয় জানতে চায়। তখন লিটন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তরুণীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন :

এএসপি জানান, চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত এ ঘটনায় করা মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে লিটনের অবস্থান বাকেরগঞ্জ এলাকায় শনাক্ত করে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে লিটনকে গ্রেপ্তার করে।

ধর্ষককে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে এএসপি জানান।

google-news-channel-newsasia24

খোকসাতে সয়লাব মাদক ব্যবসা; পর্ব-১

ফাহিম শাওন:  কুষ্টিয়ার খোকসা ক্রমেই ছেয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়। ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে মাদক ব্যবসা। ভালো মানুষ সেজে লোক চক্ষুর আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। হাতের নাগালে সহজে মাদক পেয়ে এলাকায় দিনদিন মাদক সেবীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, মাদক সেবীরা নেশার টাকা জোগাড় করতে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

সূত্রে জানা গেছে, খোকসার বাসষ্ট্যান্ড এলাকা, বিলজানি, শোমসপুর, একতারপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি স্পটে গড়ে উঠেছে মাদকের ব্যবসা। প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে দিদারসে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদকের ব্যবসা।

গোপন সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ীরা উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের টার্গেট করে কৌশলে চালাচ্ছেন মাদকের ব্যবসা। প্রথমাবস্থায়, এলাকার কয়েকজন যুবকদের কাছে বিনামূল্যে বা অল্পদামে বিক্রি করা হয় গাজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ দেশীবিদেশী মদ। একবার আসক্ত হয়ে গেলে তাদেরকে টাকার লোভ দেখিয়ে বিক্রি করিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক। পরবর্তীতে এই সমস্ত যুবকেরা ক্রমে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদক ব্যবসায়ী বলেন, আমি এক সময় গাজা বিক্রি করতাম। এখন বয়স হয়ে গেছে এবং মান সম্মানের ভয়ে এই অবৈধ ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু এলাকার নতুন করে অনেকেই এই ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের বেশিরভার বয়স ২০ বছর থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। অল্প সময়ে প্রচুর টাকা ইনকামের লোভে জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।

আরও পড়ুন: 

খোকসাতে গোপন অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি মাদক ব্যবসায়ীদের নাম পাওয়া গেছে। যারা প্রশাসনের চোঁখকে ফাকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। গড়ে তুলেছেন মাদকের সম্রাজ্য। ……চলবে…..

google-news-channel-newsasia24

খোকসায় ভাগ্নের ইটের আঘাতে নিহত মামা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: ভাগের পুকুরের মাছের টাকা চাওয়া কেন্দ্র করে ভাগ্নের ইটের আঘাতে আহত মামা জহুরুল হক ডাবলু (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনায় অপর আহত ভাগ্নে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের ভাই ভাবিসহ ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওপার বেতবাড়িয়া গ্রামে শুক্রবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকাল ৫টার পর আহত জহুরুল হক ডাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত ডাবলু এ গ্রামের পচু বিশ্বাসের ছেলে। এক পুত্র সন্তানের পিতা। এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানা পুলিশ নিহতের বড় ভাই ফজলুল হক টুকু, ভাবি রুকসানা ও অপর এক নারীকে হেফাজতে নিয়েছে।

শনিবার রাতে পুত্রবধূ মিতা হক তার শ্বশুর জহুরুল হকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যার পর তার শ্বশুরের সাথে চাচা শ্বশুর ফজলুল হক টুকুর বিরোধ হয়। দুই পক্ষের হামলায় তার শ্বশুর জহুরুল হক ডাবলু ও লিংকন নামে তার এক ফুপু শ্বাশুরীর ছেলে আহত হয়। ইটের আঘাতে আহত জহুরুলকে রাতেই ঢাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার সকাল ১০টার তার মাথায় অপারেশন করা হয়। বিকাল ৫টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার স্বামী নিহতের ছেলে সোহেল হক শ্বশুরের লাশের পাশেই রয়েছে।

নিহতের নিকট বড় ভাই তোফাজ্জেল হক জানান, সবার বড় ভাই ফজলুল হক কুটুর কাছে পুকুরের মাছ বিক্রি টাকা দাবি করে জহুরুল হক ডাবলু। টাকা না পেয়ে বড় ভাইয়ের উপর দুই দফা হামলা করে। সন্ধার পর দ্বিতীয় দফা হামলার সময় ভাগিনা লিংকন পিতা মুরাদ বিশ্বাস আহত হয়। এ সময় ইটের গাদার উপর পরে জহুরুল আহত হয়। রাতেই আহত জহুরুল ও ভাগ্নে লিংকনকে ঢাকায় নেওয়া হয়।

তিনি আরও দাবি করেন, নিহত ছোটভাই জহুরুলের কাছে পরিবারের সবাই প্রতিনিয়ত নিগৃহীত হয়ে আসছে। এ দিনও সেই বড় ভাইয়ের উপর দুই দফা হামলা করে। ঠেকাতে গিয়ে ভাগ্নে হামলার শিকার হয়। এক পর্যায়ে জহুরুলও আহত হয়। এ মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা। নিহত লাশ নিয়ে ছেলে ফেরার পর মামলার বিষয়ে ভাবা যাবে।

থানা পুলিশের এক এএসআই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিহতের বড়ভাই এক ভাবিসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসার জন্য থানা নেওয়া হচ্ছে।

শনিবার রাত পৌনে ১১টায় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনুনর যায়েদ বলেন, এ হ্যাকান্ডের ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। দুই একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আনা হয়েছে। তবে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

google-news-channel-newsasia24

নরসিংদীতে ইউপি সদস্যকে প্রথমে গুলি, পরে গলা কেটে হত্যা

নরসিংদী প্রতিনিধি: জজ কোর্ট থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে গুলি চালিয়ে এবং গলা কেটে নরসিংদী সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রুবেল আহমেদকে (৩৪) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়নের পাকুরিয়া এলাকার সড়কে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত রুবেল আহমেদ একই এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ইউপি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আমদিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন রুবেল। প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন করতে আজও বাড়ি থেকে বের হন তিনি। দুপুরে মোটরসাইকেলে নরসিংদী জজ কোর্ট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।

পাকুরিয়া নামক স্থানে সন্ত্রাসী শফিক (ডাকাত), আপন মিয়া, ইমরুল হক, রুহুল আমিন, রাজিব, ইয়াকুবসহ অন্য দুর্বৃত্তরা রুবেলকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। এসময় রুবেল এবং তার সহযোগী ইসমাইল মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। পরবর্তীতে দুর্বৃত্তরা রুবেলকে কুপিয়ে এবং গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: 

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ; মা মেয়ের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইউপি মেম্বার নিহতের ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগগুলো আমলে নেওয়া হচ্ছে।

google-news-channel-newsasia24

কক্সবাজারে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

কক্সবাজার প্রতিনিধি: রিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিহত রিনা আক্তারের ছেলে মো. ফয়সাল ওসমানী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদরে রিনা আক্তার (৪০) নামে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পৌরসভার দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রিনা আক্তার ওই এলাকার আবু নাছেরের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু নাছের ও দারোয়ানসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:

কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিল্টন শাহ বলেন, নিহতের বড় ছেলে ফয়সাল বাদী হয়ে আসামি অজ্ঞাত রেখে এজাহার দিলে মামলা রজু হয়। এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

google-news-channel-newsasia24