শিরোনাম

অপরাধ

খোকসাতে সয়লাব মাদক ব্যবসা; পর্ব-১

ফাহিম শাওন:  কুষ্টিয়ার খোকসা ক্রমেই ছেয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়। ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে মাদক ব্যবসা। ভালো মানুষ সেজে লোক চক্ষুর আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। হাতের নাগালে সহজে মাদক পেয়ে এলাকায় দিনদিন মাদক সেবীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, মাদক সেবীরা নেশার টাকা জোগাড় করতে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

সূত্রে জানা গেছে, খোকসার বাসষ্ট্যান্ড এলাকা, বিলজানি, শোমসপুর, একতারপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি স্পটে গড়ে উঠেছে মাদকের ব্যবসা। প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে দিদারসে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদকের ব্যবসা।

গোপন সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ীরা উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের টার্গেট করে কৌশলে চালাচ্ছেন মাদকের ব্যবসা। প্রথমাবস্থায়, এলাকার কয়েকজন যুবকদের কাছে বিনামূল্যে বা অল্পদামে বিক্রি করা হয় গাজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ দেশীবিদেশী মদ। একবার আসক্ত হয়ে গেলে তাদেরকে টাকার লোভ দেখিয়ে বিক্রি করিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক। পরবর্তীতে এই সমস্ত যুবকেরা ক্রমে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদক ব্যবসায়ী বলেন, আমি এক সময় গাজা বিক্রি করতাম। এখন বয়স হয়ে গেছে এবং মান সম্মানের ভয়ে এই অবৈধ ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু এলাকার নতুন করে অনেকেই এই ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের বেশিরভার বয়স ২০ বছর থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। অল্প সময়ে প্রচুর টাকা ইনকামের লোভে জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।

আরও পড়ুন: 

খোকসাতে গোপন অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি মাদক ব্যবসায়ীদের নাম পাওয়া গেছে। যারা প্রশাসনের চোঁখকে ফাকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। গড়ে তুলেছেন মাদকের সম্রাজ্য। ……চলবে…..

google-news-channel-newsasia24

খোকসায় ভাগ্নের ইটের আঘাতে নিহত মামা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: ভাগের পুকুরের মাছের টাকা চাওয়া কেন্দ্র করে ভাগ্নের ইটের আঘাতে আহত মামা জহুরুল হক ডাবলু (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনায় অপর আহত ভাগ্নে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের ভাই ভাবিসহ ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওপার বেতবাড়িয়া গ্রামে শুক্রবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকাল ৫টার পর আহত জহুরুল হক ডাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত ডাবলু এ গ্রামের পচু বিশ্বাসের ছেলে। এক পুত্র সন্তানের পিতা। এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানা পুলিশ নিহতের বড় ভাই ফজলুল হক টুকু, ভাবি রুকসানা ও অপর এক নারীকে হেফাজতে নিয়েছে।

শনিবার রাতে পুত্রবধূ মিতা হক তার শ্বশুর জহুরুল হকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যার পর তার শ্বশুরের সাথে চাচা শ্বশুর ফজলুল হক টুকুর বিরোধ হয়। দুই পক্ষের হামলায় তার শ্বশুর জহুরুল হক ডাবলু ও লিংকন নামে তার এক ফুপু শ্বাশুরীর ছেলে আহত হয়। ইটের আঘাতে আহত জহুরুলকে রাতেই ঢাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার সকাল ১০টার তার মাথায় অপারেশন করা হয়। বিকাল ৫টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার স্বামী নিহতের ছেলে সোহেল হক শ্বশুরের লাশের পাশেই রয়েছে।

নিহতের নিকট বড় ভাই তোফাজ্জেল হক জানান, সবার বড় ভাই ফজলুল হক কুটুর কাছে পুকুরের মাছ বিক্রি টাকা দাবি করে জহুরুল হক ডাবলু। টাকা না পেয়ে বড় ভাইয়ের উপর দুই দফা হামলা করে। সন্ধার পর দ্বিতীয় দফা হামলার সময় ভাগিনা লিংকন পিতা মুরাদ বিশ্বাস আহত হয়। এ সময় ইটের গাদার উপর পরে জহুরুল আহত হয়। রাতেই আহত জহুরুল ও ভাগ্নে লিংকনকে ঢাকায় নেওয়া হয়।

তিনি আরও দাবি করেন, নিহত ছোটভাই জহুরুলের কাছে পরিবারের সবাই প্রতিনিয়ত নিগৃহীত হয়ে আসছে। এ দিনও সেই বড় ভাইয়ের উপর দুই দফা হামলা করে। ঠেকাতে গিয়ে ভাগ্নে হামলার শিকার হয়। এক পর্যায়ে জহুরুলও আহত হয়। এ মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা। নিহত লাশ নিয়ে ছেলে ফেরার পর মামলার বিষয়ে ভাবা যাবে।

থানা পুলিশের এক এএসআই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিহতের বড়ভাই এক ভাবিসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসার জন্য থানা নেওয়া হচ্ছে।

শনিবার রাত পৌনে ১১টায় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনুনর যায়েদ বলেন, এ হ্যাকান্ডের ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। দুই একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আনা হয়েছে। তবে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

google-news-channel-newsasia24

নরসিংদীতে ইউপি সদস্যকে প্রথমে গুলি, পরে গলা কেটে হত্যা

নরসিংদী প্রতিনিধি: জজ কোর্ট থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে গুলি চালিয়ে এবং গলা কেটে নরসিংদী সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রুবেল আহমেদকে (৩৪) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়নের পাকুরিয়া এলাকার সড়কে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত রুবেল আহমেদ একই এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ইউপি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আমদিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন রুবেল। প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন করতে আজও বাড়ি থেকে বের হন তিনি। দুপুরে মোটরসাইকেলে নরসিংদী জজ কোর্ট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।

পাকুরিয়া নামক স্থানে সন্ত্রাসী শফিক (ডাকাত), আপন মিয়া, ইমরুল হক, রুহুল আমিন, রাজিব, ইয়াকুবসহ অন্য দুর্বৃত্তরা রুবেলকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। এসময় রুবেল এবং তার সহযোগী ইসমাইল মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। পরবর্তীতে দুর্বৃত্তরা রুবেলকে কুপিয়ে এবং গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: 

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ; মা মেয়ের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইউপি মেম্বার নিহতের ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগগুলো আমলে নেওয়া হচ্ছে।

google-news-channel-newsasia24

কক্সবাজারে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

কক্সবাজার প্রতিনিধি: রিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিহত রিনা আক্তারের ছেলে মো. ফয়সাল ওসমানী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদরে রিনা আক্তার (৪০) নামে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পৌরসভার দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রিনা আক্তার ওই এলাকার আবু নাছেরের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু নাছের ও দারোয়ানসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:

কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিল্টন শাহ বলেন, নিহতের বড় ছেলে ফয়সাল বাদী হয়ে আসামি অজ্ঞাত রেখে এজাহার দিলে মামলা রজু হয়। এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

google-news-channel-newsasia24

পেঁয়াজ ক্ষেতে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ

ফরিদপুর প্রতিনিধি: পেঁয়াজ ক্ষেতে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সালথার সোনাপুর ইউনিয়নে। ধর্ষণের অভিযোগে মো. আবু বক্কার (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার ময়েনদিয়া এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া আবু বক্কার ওরফে লাল মিয়া পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা সোমবার রাতে সালথা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর সঙ্গে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে আবু বক্কার ওরফে লাল মিয়া নামের ওই যুবক।

আরও পড়ুন:

পরে সোমবার রাতে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে পাশের একটি পেঁয়াজ ক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই যুবক। মেয়েটির চিৎকার শুনে উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কবিরুল হক বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা এ ঘটনায় সালথা থানায় একটি এজাহার দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে সালথার ময়েনদিয়া এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে মামলা দেন এজে আর কুরিয়ারের রিয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০৫০ সালে বাংলাদেশের সকল জেলার বেকারদের দিবেন তিনি কর্মসংস্থান,করবেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন । দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে কীভাবে এই দেশকে জাগিয়ে রাখা যায় সেই গবেষণা থেকেই একটি থিউরি আবিষ্কার করেন এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রতারক সামসু উদ্দিন আহমেদ রিয়াদ(৪৫)।

নিজ থিউরি অনুযায়ী প্রতারক রিয়াদ বিভিন্ন জেলার কমশিক্ষিত বেকাদের চাকুরী দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসেন ঢাকায় । চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে প্রতারক রিয়াদ নেন ব্ল্যাঙ্ক চেক ও ৩/৪ টা করে ফাঁকা স্ট্যাম্প। চাকুরীতে কিছুদিন যেতে না যেতে বিভিন্ন অজুহাতে রিয়াদ তাদের করেন চাকুরীচ্যুত।

পরবর্তিতে রিয়াদ ফিরেন তার পূর্ণরূপে, ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে রিয়াদ দেন চেক ডিজনার মামলা। চেক মামলায় রায় হয়ে যাবে ভয় দেখিয়ে রিয়াদ আদায় করেন টাকা। কুরিয়ার সার্ভিস নয় যেনো মামলার হাট বসিয়েছেন রিয়াদ। যে-হাটে একবার ক্রেতা হয়ে ঢুকলে আপনাকে মামলা নিয়ে বাড়ি যেতে হবে। মামলা ছাড়া আপনাকে বাড়ি ফিরতে দিবে না রিয়াদ।

সাম্প্রতিক সময়ে মাসুদ হোসাইনসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী ডিএমপির পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ করলে উঠে আসে এমনই এক চঞ্চল্যকর তথ্য।

এই বিষয়ে এজে আর কুরিয়ার সার্ভিস এর সাবেক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে একটা চুরির মামলা দিয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা চুরির মামলায় ১ মাস জেল খেটে জামিনে বের হলে পূনরায় আমায় দেয় আরেকটি চেকের মামলা উক্ত চেক মামলায় দেখানো হয় ১৩ লক্ষ টাকা, চুরির মামলা কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি বলে মামলাটি আদালত থেকে খালাস হয়ে যায় ।

Courier service is not a court of law! newsasia24

আরও পড়ুন: 

পরবর্তিতে আমাকে উক্ত চেকের মামলা রায় হয়ে যাবে বলে ভয় দেখি এক পর্যায়ে আমি ৪ লক্ষ টাকা রফাদফা করি, ৪ লক্ষ টাকা আমি গ্রামে বাড়ি থেকে দার দেনা লোন করে এনে দিলে ও এখনও আমায় দেয় নি কোনো লিখিত কাগজ,কাগজ চাইলে ও বলে পরে আসেন ।

আরেকজন ভুক্তভোগী এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের সাবেক কর্মকর্তা রুবেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিউজ এশিয়া২৪কে বলেন,আমাকে প্রথমে ৮ লক্ষ টাকার একটি চুরির মামলা দেয় রংপুরে আমি ৪৪ দিন কারাগারে ছিলাম,জামিনে বের হওয়ার পর ঐ যে আমার চাকুরী তে যোগদানের সময় একটি ব্ল্যাংঙ্ক চেক ছিলো সেই চেকে আমাকে আবার ১৬ লক্ষ টাকার আরেকটি মামলা দেয় ঢাকার আদালতে ।মামলা তুলার জন্য বারবার অফিসে গেলে আমার কাছ ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে।

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের আরেক ভুক্তভোগি সাবেক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন(২৫) সুপারভাইজ তিনি বলেন এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের মামলাবাজ এমডি আমাকে মোট ৫ টা মামলা দিয়েছে একটা চুরির মামলা,একটা হাফ মার্ডার মামলা,একটা অপহরন মামলা,২ টা চেক এর মামলা ।সুধু দর্শন মামলা দেওয়া বাদ ছিলো বলে জানান তিনি ।

আরেক ভুক্তভোগী মাসুদ হোসাইন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ২০১১ সাল থেকে এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মরত ছিলাম,চাকুরী তে নিয়োগের সময় কোম্পানিটি আমার একটি ব্লাঙ্ক চেক রাখে ফেরতযোগ্য বলে।কোম্পানীটির বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি দেখে চাকুরী থেকে অব্যহতি দেই ।

অব্যহতির ২ বছর পর কোম্পানীটি তে থাকা আমার ঐ ব্লাঙ্ক চেকে আমাকে ২৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০০ টাকার একটি মামলা দেয় ।কাগজে কলমে উল্টো কোম্পানীটির কাছে আমি ৫ মাসের বেতন পাই সেটা না দিয়ে উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে প্রতিনিয়ত।তাই আমি কোম্পানীর মামলাবাজ মালিক রিয়াদের যথাযত শাস্তি দাবী করছি।

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার(জিএম) মাহবুবুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কোম্পানীটি তে শুরু থেকে কাজ করে আসছি জিএম হিসেবে,কোম্পানীতে নিয়োগের সময় আমরা প্রতিটি স্টাফদের কাছ থেকে ২ বা ৩ টি ব্লাঙ্ক চেক ও ফাঁকা ৩/৪ করে স্ট্যাম্প নিয়ে থাকি,যারে করে ঐ স্টাফ গুলো চাকুরী ছেড়ে চলে যেতে চাইলে বা চলে গেলে আমরা ঐ চেকে তাদের নামে মোটা অংক বসিয়ে মামলা দিয়ে দেয় মালিক রিয়াদ সাহেবের পরামর্শে।স্টাফদের চেক ও স্ট্যাম্প রিয়াদ তার কাষ্টোরিতে রাখে বলে ও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: 

ভ্যাট ট্রেক্স কিভাবে দেয় সেটা জানতে চাইলে তিনি বলে কি আর বলবো ভাই মানুষের ভিতরে একটা মনুষ্যত্ববোধ থাকে না তার ভিতরে মনুষ্যত্ববোধ ও নাই ।রিয়াদ সাহেব সরকার’কে কি পরিমান ভ্যাট ফাঁকি দেয় তা আপনাদের বলে বুজাতে পারবো না।মাসে তার ইনকাম ১২ কোটি টাকা সরকার কে ভ্যাট দেয় রিয়াদ ১ লক্ষ টাকা।

স্থাপনার ভ্যাট না দেওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশে প্রতিটি অফিসের ডিড দুই নাম্বার করছে সরকার কে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া জন্য ।বরিশাল সহ বেশ কয়েক জেলায় এরই মধ্য ভ্যাটের লোক হানা দিয়ে তার আসল রহস্য উদঘাটন করে পেলেছে কুড়িগ্রামে এরই মধ্যে দুই নাম্বার ডিট দেওয়ার জন্য বড় অংকের জরিমানা ও দিয়েছে রিয়াদ সাহেব। হাজারীবাগ অফিসের ভাড়া দেখায় ৬ হাজার টাকা হাজারীবাগ অফিসের ভাড়া দেয় ৬ লক্ষ টাকা ।মালিটোলা অফিসের সেল আছে ৩০ লক্ষ টাকা ঐখানে সেল দেখায় ১৫ হাজার টাকা।

আরেকটা গুরুত্বপূন্য তথ্য হলো এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে তার ফিটনেস বিহীন কাবার ভ্যান এর সংখ্যা একশত(১০০) এর অধিক ।ফিটনেস না থাকা সত্তেও এই কাভারভ্যান গুলো সারা বাংলাদেশে তার মাসিক হারে চলে যেটাকে আমরা মান্তলী বলি।রাস্তায় সার্জেট পুলিশ ধরলে তাদের একটি মান্তলী কাগজ দেখায় যেই কাগজ প্রতিটি গাড়িতে থাকে ।মাস শেষে প্রতিটি সার্জেন্ট টিআইদের বিকাশ নাম্বার টাকা পাঠিয়ে দেন রিয়াদ সাহেব।

যে পরিমান অনিয়ম রিয়াদ সাহেব করেন তা আপনাদের বলে বুজানো যাবে না তবে এইভাবে একটা কোম্পানী চলতে পারে না।

সরজমিনে খবর নিয়ে জানা যায়, প্রতারনার মাধ্যমে রিয়াদ আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা ।আয়ের মূল উৎস হলো সারাদেশে বিভিন্ন জেলা থেকে মাদক আনা-নেওয়া ডেলিভারী করা,মেয়াদ উত্তীর্ন ওষুধ,মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার,ট্রেক্স ফাঁকি দেওয়া সিগারেটসহ সকল ধরনের অবৈধ মালামাল রিয়াদ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌছে দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে । বেশ কয়েকবার রিয়াদের বিভিন্ন শাখা অফিস থেকে বিপুল পরিমান মাদক,মেয়াদ উত্তীন ভেজাল ওসুধ মাদকসহ নানা অবৈধ মালামাল জব্দ করেছে র‍্যাব,পুলিশ,মহানগর ডিবিসহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

প্রতারনার টাকায় রিয়াদ ঢাকাসহ নিজ এলাকা নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায় ও নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড় ও ক্রয় করেছেন বিঘায় বিঘায় জমি ।আত্মসাৎ ও প্রতারনার টাকায় রিয়াদ চড়েন কালো রংয়ের ল্যান্ড ক্রুজার প্যারাডো গাড়িতে ।

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া প্রতারক রিয়াদ এর এমন উত্থান দেখে হতবাগ তার নিজ এলাকার লোকজন,অনেকে বলছেন আলাউদ্দিন এর আর্চর্য চেরাগ পেয়েছেন রিয়াদ । তা নাহলে এতো তাড়াতাড়ি রিয়াদ কিভাবে হয় এতো সম্পদ এর মালিক ? নতুন হাতিয়ার হিসেবে রিয়াদ নেমেছেন এখন রাজনীতির মাঠে দুই হাতে টাকা উড়াচ্ছেন রাজনীতির মাঠে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা ।

সেনবাগ উপজেলার বেশ কয়েকজন নবীন ও প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, রিয়াদের সাংগঠনিক কোনো পদ-পদবী নেই অবৈধ উপায়ে কিছু টাকা ইনকাম করছে তা দিয়ে নিজেকে নেতা বানানোর মিথ্যা চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।মেম্বার হওয়ার যার ক্ষমতা নেই তিনি কিভাবে হবে উপজেলার চেয়ারম্যান ?এটা তো ভাবায় যায় না।এমন লোক কে আমরা সবাই বয়কট করলাম ।

আরও পড়ুন:

প্রতারক রিয়াদের বিরুদ্ধে রয়েছে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার অভিযোগ,গত ৭/২/২০১৮ সালের কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট,ঢাকা কর ফাঁকির দায়ে রিয়াদ কে (৫,৩২,৬২,৬২৫,৬৪) পাঁচ কোটি বত্রিশ লক্ষ বাষট্টি হাজার ছয় শত পঁচিশ টাকার ভ্যাটের মামলা ।যা না দিয়ে রিয়াদ করেছে ব্যবসা।

রিয়াদের বিরুদ্ধে রয়েছে ২ অক্টোবর-২০২০ সালের ৪২০/৪৬৮/৪৭৩/৫০৬/১০৯ পেনাল কোর্ড যোগসাজসে সরকারী সিল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়,ডিএমপি কমিশনার,ঢাকা রেন্জ ডিআইজির সীল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা ।এতো অভিযোগের পর ও প্রতারক রিয়াদ আছেন বহাল তবিয়তে ?

প্রতারক রিয়াদ গড়ে তুলেছেন অপরাধ চক্র ।তার চক্রের অন্যতম মূলহোতা গিয়াস উদ্দিন শেখ,যার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলাসহ প্রতারনার মামলায় বেশ কয়েকদিন গিয়াস উদ্দিন শেখ ও আল-মামুন জেল খেটেছেন।কিন্তু জেল খাটে নি প্রতারক রিয়াদ ,হাইকোর্ট থেকে জামিন নিলে ও উক্ত মামলার সার্জসিট ভুক্ত আসামী রয়ে গেছেন প্রতারক সামসু উদ্দিন রিয়াদ ।উক্ত চক্রের সদস্য আল মামুন,শিমুল,রাকিব নুরে আলমসহ রয়েছেন বেশ কয়েকজন।

চেক মামলার রায় করতে পারলে টাকার গুলো ভাগ-ভাটোয়ারা হয় সবার মধ্য এমনই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মহানগর পুলিশ ।

আরও পড়ুন:

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতারক রিয়াদের বিষয়ে জানতে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃআশরাফ বলেন,এমই এক অভিযোগ আমরা ডিএমপি কমিশনার স্যারের অফিস থেকে পেয়ে আমরা তদন্ত করছি সত্যতা পেলে নিয়মিত মামলা নিবো।

এই বিষয়ে রিয়াদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদউত্তর দিতে পারেননি।

 

ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করলেন মেডিকেল শিক্ষক!

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

আজ সোমবার (৪ মার্চ ২০২৪) বিকেল ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমাল বর্তমানে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।

কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। তিনি কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক।

শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন জানিয়েছেন, ওই শিক্ষক মাঝে মধ্যেই অস্ত্র প্রদর্শন করে ক্যাম্পাসে আসতেন।

আরও পড়ুন>>চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

যতটুকু জেনেছি, আজ তিনি অসময়ে তার ক্লাস নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তার ক্লাস করতে অপারগতা জানায়। এই নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই শিক্ষক তার পায়ে গুলি করেন।

কলেজ শিক্ষার্থীরা জানায়, ডা. রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতো।

এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ক্লাস চলাকালে সময় ছাড়াও প্রায় সময় তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন।

আরও পড়ুন>>অগ্নিকান্ডে নিহত বৃষ্টির পরিবারের আহাজারি থামছেই না

এদিন বিকেলে ক্লাস চলাকালে দেশীয় পিস্তল ও ১০ থেকে ১৩টা দেশীয় ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ক্লাসের সময় শিক্ষক অষ্টম ব্যাচের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করে।

তার চিৎকারে সবাই এগিয়ে এসে ডা. রায়হান শরিফকে আটক করে তালাবদ্ধ করে রাখে। আহত অবস্থায় তমালকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।

সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) ওই শিক্ষকের বিচার চেয়ে মেডিকেলের ছাত্রছাত্রী আন্দোলন করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনী।

আরও পড়ুন>>নাটোরে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আজ ভাইভা চলাকালীন ৪৫ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে শিক্ষক রায়হান শরিফ তমালের ডান পেয়ে গুলি করেন। ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়। পরে তমালকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলহাজ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ওই শিক্ষক প্রতিদিন ক্লাসে পিস্তল নিয়ে আসতেন। আজ বিকেল ৫টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কথা কাটাকাটি হয়।

আরও পড়ুন>>দক্ষিণ আফ্রিকায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ বাংলাদেশি যুবককে হত্যা

এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিতে আহত হন শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাবালিকা কে একযুগ ধরে ধর্ষণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ভারতীয় অভিনেতা-নির্মাতা-প্রযোজক মনোজ রাজপুতকে। শুক্রবার দেশটির ছত্রিশগড়ের ভিলাই থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২৯ বছর বয়সী ভুক্তভোগী নারী মনোজ রাজপুতের আত্মীয়। গত ১৩ বছর ধরে ভুক্তভোগী নারী যৌন নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ করেছেন।

দেশটির রেলওয়ে থানার এসএইচও (স্টেশন হাউজ অফিসার) রাজকুমার বোর্ঝ বলেন, ‘গত ২২ ফেব্রুয়ারি পুরোনো ভিলাই রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১১ সাল থেকে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছেন রাজপুত। কিন্তু সে তার প্রতিশ্রুতি না রাখায় পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই নারী।’

আরও পড়ুন:

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৩৭৭ এবং পকসো ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। প্রথমবার যখন শারীরিক সম্পর্ক করেন তখন ভুক্তভোগী নারী নাবালিকা ছিলেন। এজন্য পকসো ধারা মামলায় যুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ অফিসার রাজকুমার বোর্ঝ।

‘গাঁও কে জিরো, শহর মে হিরো’সহ একাধিক সিনেমার মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মনোজ। তার রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা রয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা ও পরিচালনা সঙ্গেও যুক্ত তিনি।

google-news-channel-newsasia24

Follow

নীলফামারীতে দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা

নিজস্ব প্রতিনিধি: নীলফামারীতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন আশিকুল মোল্লা বাবু নামের এক ব্যবসায়ী।

আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নীলফামারীর সদর উপজেলার দাড়োয়ানী বন্দরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, আশিকুল মোল্লা বাবুর স্ত্রী তহুরা বেগম (৩০),মেয়ে তানিয়া আক্তার (১১) ও মেয়ে জারিন আক্তার (৬)।

আশিকুল মোল্লা বাবুর ছোট ভাই জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, সকালে গলাকাটা অবস্থায় হাঁটতে দেখে সবাই তাকে (আশিকুল মোল্লা বাবু) নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে যায়।

সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তিনি ব্যবসায় আর্থিকভাবে ক্ষতির শিকার হয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।

পুলিশ জানায়, আশিকুল মোল্লা ব্যবসায় আর্থিকভাবে লোকসানে পড়েছিলেন। যার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এ কারণে তিনি এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে কাজ করছি। ওই ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

তবে কি কারণে এমন হত্যাকাণ্ড তা এখনও অজানা। আমাদের ক্রাইম সিন ইউনিট কাজ করছে। কাজ শেষ হলে লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন জন্য মর্গে পাঠানো হবে।’

google-news-channel-newsasia24

FOLLOW

রাজধানীতে এক শিক্ষার্থীকে মা’ ডেকে অটোরিকশায় তুলে যৌন হয়রানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে (২৭) মা ডেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে আমীর হোসেন (৭০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) তেজগাঁও থানার বিজয় সরণি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন । ওই তরুণী বেসরকারি একটি ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী।

তিনি বলেন, ঘটনার শিকার ওই শিক্ষার্থী এ বিষয়ে অভিযোগ করলে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, গতকাল (সোমবার) বিকেলে ওই শিক্ষার্থী বাসায় ফেরার জন্য ফার্মগেটে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় আমির হোসেনও ওই স্থানে ছিলেন। তখন আমির হোসেন তাকে প্রস্তাব দেন ভাড়া শেয়ার করে যৌথভাবে অটোরিকশায় যাওয়ার জন্য।

যৌথভাবে গেলে ভাড়া কম লাগবে তাই রাজি হন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। এছাড়া ৭০ বছর বয়সী আমির হোসেন তাকে ‘মা’ ডাকায় তিনিও আশ্বস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু গাড়িতে উঠেই আমির শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করেন। যৌথভাবে ভাড়া দেওয়ার কথা থাকলেও আমির নিজেই পুরো ভাড়া দিয়ে দেন এবং তার নাম্বার দিয়ে দেন। ভুক্তভোগী লোকলজ্জায় কাউকেই কিছু বলেননি।

আরও পড়ুন: 

আজ বিকেলে আমির হোসেন আবারও তাকে ফোন দেন এবং একসঙ্গে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। এই সুযোগে ওই শিক্ষার্থী পুলিশে অভিযোগ করলে তেজগাঁও থানার ফার্মগেট মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে থেকে আমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

google-news-channel-newsasia24ফলো করুন