শিরোনাম

অপরাধ

মোবাইল ফোন চোরচক্রের সদস্যদের ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: কক্সবাজারে মোবাইল ফোন চোরচক্রের সদস্যদের ছুরিকাঘাতে আসহাবুল করিম জিহাদ (২১) নামে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছেন।

ঘটনাটি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালীতে ঘটে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে মো. সোহান নামের একজনকে আটক করেছে এলাকাবাসী। তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

coxsbazar-mobile-crime-murder-newsasia24

শুক্রবার( ১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে কোনাখালী ইউনিয়নের মরংঘোনা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আসহাবুল পার্শ্ববর্তী পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার মকসুদুল করিমের ছেলে ও কক্সবাজার সিটি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে আটক সোহান কোনাখালীর কুতুবদিয়া পাড়া এলাকার দলিলুর রহমানের ছেলে।

আরও পড়ুন>> স্বামীকে স্ত্রীর নগ্ন ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, কোনাখালীর একটি মোবাইল চোরচক্রের ৪-৫ জন সদস্য শুক্রবার সন্ধ্যার পর মরংঘোনা স্টেশনে জিহাদের সঙ্গে দেখা করে। এসময় তাদের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে তারা জিহাদকে ছুরিকাঘাত করে পালাতে গেলে তাদের একজনকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

আরও পড়ুন>>খোকসায় পল্লী চিকিৎসককে মারধর

খবর পেয়ে চকরিয়া ও পেকুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং গুরুতর আহত জিহাদকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পেকুয়া উপজেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মোজাম্মেল হোসেন জানিয়েছে, নিহত জিহাদকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন>> ডিএমপির শ্রেষ্ঠ ওসি মাহফুজুল হক ভুঞা

পেকুয়া থানা পুলিশ প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

ওসি মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, কলেজছাত্রকে ছুরিকাঘাতের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটক করতে কাজ করছে পুলিশ।

google news newsasia24

স্বামীকে স্ত্রীর নগ্ন ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: স্বামীকে স্ত্রীর নগ্ন ছবি পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা করল অভিজিৎ।

নারীর ভুয়া ফেসবুক প্রোফাইল তৈরি করে তরুণীর নগ্ন ছবি আদায়। পরে সেই সব ছবি হাতিয়ার করে ব্ল্যাকমেলের চেষ্টা। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পরলো না। টাকা নেওয়ার সময় পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন অভিযুক্ত।

husbend-wife-picture-bluckmail-newsasia24জানা গেছে, ওই তরুণী ভারতের সিউড়ির এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর স্ত্রী। কয়েক বছর আগে অভিজিৎ দাসের (২৩) সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় আলাপ হয় তার।

পুলিশের দাবি, অভিজিৎ তিনটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতেন। তার একটির নাম অর্পিতা সরকার।

অর্পিতার সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর তিন বছরের আলাপ। এ সময় দুজনের মধ্যে নগ্ন ছবি আদানপ্রদান হয়। সেগুলো রেকর্ড করে রাখে অভিজিৎ।

আরও পড়ুন>>পাকিস্তানে ৫১ নারী সন্ত্রাসীর তালিকা প্রকাশ: সিটিডি

পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ অভিজিৎ দুই দিন আগে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর কাছে পাঁচ লাখ রুপি দাবি করেন। টাকা না দিলে নগ্ন ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেন।

নমুনা হিসাবে অর্পিতার মেসেঞ্জার থেকে কিছু নগ্ন ছবি ওই ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন অভিজিৎ। জানাজানি যাতে না হয় তাই দুই লাখ রুপি দিতে রাজি হন ব্যবসায়ী।

এরপর থানায় অভিযোগ জানান ব্যবসায়ী। পুলিশ অভিযুক্তের বাড়িতে তদন্তে যায়। এর জের ধরে আবারও টাকা চেয়ে বসেন অভিজিৎ।

আরও পড়ুন:

দুপুরে একটি ঠিকানায় টাকা নিয়ে হাজির হতে বলেন। পরে ঠিকানা পাল্টে সিউড়ির বাইরে তসরকাটার জঙ্গলে টাকা নিয়ে হাজির হতে বলেন।

পুলিশ তাকে ধরতে ফাঁদ পাতে। সাদা পোশাকে জঙ্গলের চারিদিকে আত্মগোপন করে ছিল তারা। ব্যবসায়ী ওই জঙ্গলে পৌঁছালে যুবক মোটরসাইকেলে করে টাকা নিতে আসে। পুলিশ তখনই তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। সাইবার অপরাধের ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

google news newsasia24

বিষাক্ত সাপ দিয়ে স্ত্রী-কন্যাকে হত্যা করলো স্বামী!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  বেশ কিছুদিন ধরে স্ত্রীর সাথে স্বামীর বনিবনা না হওয়ায় রাতে ঘুমন্ত স্ত্রী-কন্যার ইপর বিষাক্ত সাপ ছেড়ে দেয় স্বামী। আর এই সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় স্ত্রী ও কন্যার।

আজ শুক্রবার(২৪ নভেম্বর) স্বামী গণেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্ত্রী বাসন্তী ও কন্যা দেবাস্মিতাতে হত্যার দায়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, ২০২০ সালে অর্থাৎ ৩ বছর আগে ভারতের ওড়িশার গঞ্জাম জেলার কবিসূর্যনগরের আধেগাঁও গ্রামের গণেশের সাথে বিয়ে হয় বাসন্তীর। তাদের সংসারে একটি কন্যা রয়েছে। কিন্তু স্ত্রী বাসন্তীর সাথে গণেশের তেমন কোন মিল ছিল না। বেশীরভাগ সময় ঝরগা বিবাধ লেগেই থাকতো।

প্রায় দেড় মাস আগে গণেশ তার স্ত্রী এবং কন্যাকে বিষাক্ত সাপের কামড়ে হত্যা করে।

wife-daughter-dead-by-sanke-by husband-india-news-newsasia24

google news newsasia24

পুলিশ জানিয়েছে, গণেশ ধর্মীয় উদ্দেশে ব্যবহার করার কথা বলে ওই সাপটি কিনেছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর (ইউডি) মামলা করেছে।

তাছাড়া বাসন্তীর বাবা গণেশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছেন।

আরও পড়ুন: 

ডিএনসিসিতে ঘুষ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স হয় না; দুদকের অভিযান

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ডিএনসিসিতে (ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন) ঘুষ ছাড়া হয় না ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু, নবায়ন কিংবা বাতিল। দুদকের অভিযানে এসব ঘুষ লেনদেনের প্রমান পাওয় গেছে।

দুদকের অভিযানে অফিস সহকারী জসিম উদ্দিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে ট্রেড লাইসেন্স করতে ঘুষ দাবির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এছাড়াও জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঢাকার মিরপুরে দুটি ফ্ল্যাটসহ অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে।

গতকাল দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে ঔই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

অভিযানে লাইসেন্স করতে আসা গ্রাহকদের হয়রানি এবং লাইসেন্স দেওয়ার নামে ঘুষ গ্রহণের সত্যতা পাওয়া যায়।

dncc-newsasia24

আরও পড়ুন: 

এছাড়াও ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে লাইসেন্স করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ হিসাবে ৩ হাজার টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন জসিম। সূত্র: ঢাকা পোস্ট

google news newsasia24

বাসার সামনে জুতা রাখাকে কেন্দ্র করে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন!

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাসার সামনে জুতা রাখাকে কেন্দ্র করে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে। এঘটনায় বড় ভাই দিলীপ ঘোষ ও তার স্ত্রী রিনা ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত ছোট ভাইয়ের নাম মিঠুন কুমার ঘোষ। ঘটানাটি ঘটেছে ১৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায়।

রবিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন গেন্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু সাঈদ আল মামুন।

ওসি জানান, ১৫ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে বাসার রুমের সামনে জুতা রাখাকে কেন্দ্র করে দিলীপ ঘোষ ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রেখা রানী দাসকে গালিগালাজ করেন। এসময় এর প্রতিবাদ করেন রেখার স্বামী মিঠুন কুমার। ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠুনকে কিল–ঘুষি ও বুকে লাথি মেরে রুমের সামনে ফেলে দেন দিলীপ ও তার স্ত্রী রিনা।

একপর্যায়ে দিলীপ তার ভাই মিঠুনকে খাটের পায়া দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে অজ্ঞান হয়ে যান মিঠুন।

তাৎক্ষণিকভাবে অন্যদের সহায়তায় মিঠুনকে ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্ত্রী রেখা রানী। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মিঠুনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে গেন্ডারিয়া থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন: small-brother-murder-by-big-brother-genderia-newsasia24small-brother-murder-by-big-brother-genderia-newsasia24

ওসি বলেন, ঘটনার দিন গেন্ডারিয়া থেকে দিলীপের স্ত্রী রিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর ১৮ নভেম্বর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় দিলীপ ঘোষকে।

google-news-follow-us-newsasia24
গুগোল নিউজ ফলো করতে ক্লিক করুন

খোকসায় দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ১

নাজমুল হাসান: কুষ্টিয়ার খোকসায় দেশীয় অস্ত্র ও গুলিসহ একজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ । শনিবার রাত ১০ টার দিকে ওসমানপুর পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আজ রবিবার (১২ নভেম্বর) আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তি ওসমানপুর ইউনিয়ন এর দেবিনগর গ্রামের হায়দার মেম্বারের ছেলে মো. ইদ্রিস (৩০)।

জানা যায়, আগ্নেয় অস্ত্র সহ মারামারির উদ্দেশ্যে কিছু লোক সংঘবদ্ধ হবার সংবাদ পেয়ে খোকসা থানার ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ, এএসআই সোহেল রানা, এএসআই মো. মুশফিকুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এসময় সবাই পালিয়ে গেলেও পুলিশ একজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে একটি দেশীয় তৈরি রিভলবার ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

khoksa-arrest-newsasia24 2

আরও পড়ুন: 

ওসি মোস্তফা হাবিবুল্লাহ নিউজ এশিয়া২৪ কে জানান, শনিবার রাতে ওসমানপুর থেকে অস্ত্রসহ একাধিক মামলার আসামি ইদ্রিসকে আটক করা হয়েছে। রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে সোপর্দ করা হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন:>>

অবরোধের শুরুতেই কাভার্ডভ্যানে আগুন!

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবরোধের শুরুতেই কাভার্ডভ্যানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বিএনপি জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘন্টা অবরোধের আজ প্রধম দিন।

আগন লাগার ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৮ নভেম্বর) গাজিপুরের ঢাকা বাইপাস সড়কে নাগরীর গলান এলাকায়।

জানা গেছে, ফ্রেশ কোম্পানির একটি পণ্য পরিবহন করে ঢাকা বাইপাস সড়ক হয়ে গাজীপুরের দিকে যাচ্ছিল। ভোর ৫টার দিকে গলান এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা  গাড়িটিতে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়।

gazipur-cavard-van-fire-newsasia24

আরও পড়ুন: 

পরে, খবর পেয়ে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে । এ ঘটনায় কাভার্ডভ্যানে থাকা মিস্ত্রী এবং চালকের সহকারী গুরুতর আহত হয়েছেন।

রাজধানীতে চলন্ত বাসে আগুন!

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: রাজধানীতে চলন্ত বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রাজধানী গুলিস্তানের ষ্টেডিয়াম পাতাল মার্কেটের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।

পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের চেষ্টার আগুন নিয়ন্ত্রণে আাসে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার তালহা বিন জসিম জানন, শনিবার রাত ১০ টার দিকে আগুল লাগার খবর আমারা জানতে পারি। পরিবহনটির নাম মঞ্জিল পরিবহন।

gulistan-bus-fire-newsasia24

আরও পড়ুন: 

এছাড়াও জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় তিনটি বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে উপরোক্ত কোন ঘটনায়ই হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি।

বোনের বাড়িতে ভাইয়ের মৃত্যু

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: চাচাতো বোনের শ্বশুরবাড়িতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

আজ ( ১৮ অক্টোবর) সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চাচাতো বোনের শ্বশুরবাড়ির উঠান থেকে স্বপন আলী (২৭) নামে এক যুবকের হাত-পা ভাঙা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কুমারখালীর জালাল মোড় এলাকার আসাদের বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

kumarkhali-thana-newsasia24

নিহত স্বপন আলী চুয়াডাঙ্গার দর্শনা উপজেলার আব্দুর রশিদের ছেলে।

তিনি একজন গাড়িচালক ছিলেন।

নিহত স্বজনদের অভিযোগ, স্বপনকে তার চাচাতো বোনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করে উঠানে মরদেহ ফেলে পালিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:

হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে চাচাতো বোনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

আসাদের বাড়ির উঠান থেকে স্মবপনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত স্বপনের মাথার চুলকাটা ও শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও রক্ত রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে হত্যা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: কোন কারন ছাড়াই প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে হত্যা করেন ভাগনি জামাই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ঘরে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে গলা কেটে হত্যা করেন ভাগনি জামাই ।

নিহত জেকি আক্তারের ভাগনি জামাই জহিরুল ইসলাম পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যা করেন।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) জহিরুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বাঞ্ছারামপুর) আদালতের বিচারক সাগত সৌম্যের কাছে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আজ বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সোনাহর আলী শরিফ।

jeki-murder.jpg October 18, 2023 41 KB 800 by 400 pixels

পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম জানান, নিহত জেকি আক্তারের বড় বোন শিল্পী বেগমের মেয়ে আনিকার সঙ্গে বিয়ে হয় আসামি জহিরুলের।

তবে বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক ঝামেলা চলছিল।

এতে অনামিকাবার বার তার বাবার বাড়িতে চলে যেতেন।

কিছু দিন আগেও শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসেন অনামিকা।

অনামিকাকে ফিরিয়ে নিতে ও কলহ মীমাংসার জন্য গত মঙ্গলবার সকালে জহিরুল তার খালা শাশুড়ি জেকি আক্তারের বাড়িতে যান।

কারণ জেকি আক্তারের কথা জহিরুলের শাশুড়ি ও স্ত্রী গুরুত্ব দেয়।

ওইদিন প্রথমে সকালে গিয়ে জেকির সঙ্গে কথা বলে নাস্তা করে চলে যান জহিরুল। পরে আবার রাত ৮টার দিকে জেকির বাড়িতে যান।

তখন পারিবারিক কলহের বিষয়টি নিয়ে কথা বললে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝামেলার সৃস্টি হয়।

সেসময় জহিরুলের রাগ মাথায় উঠে যায়, তখন সে ঘরে থাকা দা দিয়ে জেকি আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেন ।

এ সময় মায়ের চিৎকার শুনে বড় ছেলে মাহিন ছুটে আসলে তাকেও একটি কোপ দেয়।

তখন সে প্রাণে বাঁচার জন্য দৌড়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করেন।

অন্য ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল ৬ বছর বয়সী মহিন ও ৭ মাসের ওজিহা।

তখন ঘুম থেকে উঠে পড়ে মহিন। দেখে ফেলে হত্যার ঘটনা। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে ভয়ে পায়চারি করে মহিন।

সে সময় দরজা খুলতে দেখে ভয়ে বাথরুমে গিয়ে লোকায় মহিন। সেখানে গিয়ে তাকেও কুপিয়ে হত্যা করেন জহিরুল।

তারপর আধাঘণ্টার মত সেই ঘরে পায়চারি করেন। পরে রাত ১টার দিকে পালিয়ে যান জহিরুল।

আরও পড়ুন:

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর সকাল থেকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের বিশেষ শাখা কাজ করেছে।

এর আগে প্রাথমিক অবস্থায় তিনজনকে জবাবদিহিতার জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

পরে আলামত, সুনির্দিষ্ট সোর্স ও তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে জানতে পারি জহিরুলের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি।

পরে রাতেই নরসিংদীর মধাবদী থেকে তাকে আটক করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হয়।

তখন পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন জহিরুল।

তবে এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয় নিয়ে আরও তদন্ত করা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে প্রবাসী শাহ আলমের বসতঘর থেকে তার স্ত্রী জেকি আক্তার ও দুই ছেলে মাহিন  এবং মহিনের  মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।