শিরোনাম

অপরাধ

স্কুল ছাত্রী স্ত্রীকে খুন করে পালালো স্বামী

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ময়মনসিংহে স্কুল ছাত্রী স্ত্রী রাখিয়া সুলতানাকে(১৭) খুন করে পালালো স্বামী। রাখিয়ার স্বামীর নাম রিপন মিয়া। ।

গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ময়মনসিংহ থানা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থেকে রিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে রিপন মিয়া তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

নিহত রিয়া ভালুকার বাটাজোর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।

ঘাতক স্বামী রিপন টাঙ্গাইল সখিপুরে ছিলিমপুর গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।

গত ৯ অক্টোবর স্কুল থেকে ফেরার পথে রিয়াকে কুপিয়ে খুন করা পালিয়ে যায় তার স্বামী।

এসপি মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, গত বছর ৮ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়।

moymonsingh-murder-newsasia24

বিয়ের ১৫ দিন পর সৌদি আরব চলে যান রিপন। সেই থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এক পর্যায় রিয়া আর রিপনের সংসার করবে না বলে জানায়।

এই অবস্থায় রিয়ার পরিবার দেনমোহরের ৮ লাখ টাকা দাবি করে। ফলে রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রিপন।

অন্যদিকে রিয়ার স্কুলের বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার স্ত্রী রিয়া অন্য ছেলের সাথে পরকিয়ার সম্পর্কে জরিয়ে পরেছে।

আরও পড়ুন:

এতে রিপন ক্ষুব্ধ হয়। কাউকে না জানিয়ে গত ২ অক্টোবর দেশে চলে আসেন। ৮ তারিখে ভালুকা এসে রিয়াকে তার স্কুলের সামনে এক ছেলের সঙ্গে কথা বলতে দেখে। এতে রিয়াকে খুন করার পরিকল্পনা করেন।

খুনের পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৯ অক্টোবর রিপন সখিপুর বাজার থেকে দা কিনে নিয়ে আসে। ঠিক ওইদিন দুপুরেই ভালুকা এসে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রিয়াকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায় রিপন।

এ সময় স্থানীয়রা রিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসাপাতালে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছ‌ড়িতে চোলাইমদসহ চার মাদক ব্যবসায়ী আটক

মো: এনামুল হক, খাগড়াছ‌ড়ি: খাগড়াছ‌ড়ির গুইমারা ও মা‌নিকছ‌ড়ি‌তে চোলাইমদসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (১৩ অ‌ক্টোবর) সন্ধায় যোগ্যাছোলা এবং গুইমারা বাজার হ‌তে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হ‌লেন, গুইমারা হাজাপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছে‌লে মিজানুর রহমান, মো: জমচু মিয়ার ছে‌লে মো: আরিফ হোসেন, রাঙ্গামাটির কাউখালীর সুইচাপ্রু মারমার মে‌য়ে ক্রইসাচিং মারমা (৩৪) এবং কাপ্তাই রাইখালীর ক্যোয়াইসুই অং মারমার মে‌য়ে থুইয়ইনু মারমা (৩৩)।

1khagrachori-drug-arest-newsasia24

পু‌লিশ সূ‌ত্রে জানা গেছে, চোলাইমদের গোপন সংবা‌দ পেয়ে গুইমারা বাজারে অভিযান চালায় পুলিশ। এ অভিযানে ৫২ লিটার দেশীয় চোলাইমদসহ মিজানুর রহমান ও আ‌রিফ হোসেনকে আটক করে পুলিশ। এবং তাদের মোটর সাইকেলটি জব্দ করা হয়।

অপর দি‌কে মা‌নিকছ‌ড়ি যোগ্যাছোলা এলাকায় অ‌ভিযান প‌রিচালনা ক‌রে ৫১ লিটারমদ সহ ক্রইসাচিং মারমা ও থুইয়ইনু মারমাকে গ্রেফতার করা হ‌য়ে‌ছে।

আরও পড়ুন: 

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতদের আই‌নি কার্যক্রম চলছে।

তি‌নি আরও বলেন, শারদীয় দুর্গা পূজা উৎসব উপলক্ষে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী ও বিভিন্ন অপরাধী চক্র সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ খাগড়াছড়ি জেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং এই সকল অপরাধীদের অপতৎপরাতা রোধের লক্ষ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হ‌য়ে‌ছে।

এছাড়াও, যেকোন ধরনের অসংগতি বা অপরাধমূলক কার্যক্রম ঘটলে দ্রুত পলিশকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।

সম্পর্ক গভীর করে বাসায় ডেকে টাকা আদায়, আটক ৪

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওয়াসফিয়া। তৈরি করতেন সম্পর্ক। তারপর ফাদে ফেলে সবকিছু হাতিয়ে নিতেন তিনি। বাসায় ডেকে আপত্তিকর ছবিতুলে ব্ল্যাকমেইল করায় পারদর্শী।

তার আছে একটি চক্র। তাদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ১ জন পুরুষ। অবশেষে পুলিশের কাছে আটক হোন তারা।

নারীদের মধ্যে ছিলেন, খাদিজা (২৭), মুনমুন (৩০) ও ওয়াসফিয়া খানম (২৬) এবং পুরুষ ব্যাক্তিটি হলেন হাদিউল ইসলাম বাবু (৩৪),

বুধবার (১১ অক্টোবর) মিরপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।

তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে বাবু ব্যবসায়ী, খাদিজা ও মুনমুন গৃহিণী এবং ওয়াসফিয়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শিক্ষার্থী।

এ চক্রের মাস্টারমাইন্ড ওয়াসফিয়া । তিনিই মূলত পরিকল্পনা সাজান। প্রথমে একজনকে টার্গেট করা হয়। টার্গেট করে তার সাথে তৈরি হয় বন্ধুত্ব।

আরও পড়ুন:

অফলাইনে তাদের যেকোনো একজন মেয়ে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

এরপর সেই নম্বরে নিয়মিত যোগাযোগ করে তৈরি করা হয়।প্রেমের সম্পর্ক। সম্পর্ক গভীর হলে টার্গেটকে বাসায় ডাকা হয়। বাসায় আসলেই চক্রের বাকি সদস্যরা মারধর করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে ফেলে।

এ সময় মেয়ে সদস্যরা প্রথমেই ওই ছেলের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে। তারপর শুরু হয় ব্লাকমেইল। সেই ছবি স্ত্রী কিংবা পরিবারের কাছে পাঠিয়ে বড় অংকের টাকা দাবি করত তারা।

টাকা না দিলে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না দেখে এবং সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে তারাও টাকা দিত তারা।

এইভাবে এক এনজিও কর্মকর্তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন খাদিজা। বাবার অসুস্থতার কথা বলে খাদিজা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে নেন ২০০ টাকা।

এ টাকা নেওয়ার মাধ্যমেই পরিচিত হন তিনি। এরপর বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে সম্পর্ক আরও গভীর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার তাকে বাসায় ডাকেন খাদিজা। বাসায় আগে থেকেই ছিলেন বাবু, মুনমুন ও ওয়াসফিয়া।

তিনি বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বেঁধে মারধর করে মোবাইল ও ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় তারা। এরপর তার স্ত্রীকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ঐ চক্র।

শেষে ১০ হাজার ২০০ টাকায় রফা করেন। টাকা নিয়ে রাতে তাকে ছেড়ে দিতে আসলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোক এসে তাদের আটক করেন।

পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে এবং মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করে।

ধর্ষক পীর কারাগারে

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: হবিগঞ্জে এক কথিত পীরকে করাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি ধোকা দিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং ৭০ লাখ টাকা আত্নসাৎ করেন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কথিত পীরের নামআব্দুল কাইয়ুম (৪৫)। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে তিনি।

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর (৪০) মামলায় কাইয়ুমকে কারাগারে পাঠানো হয় ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান সজল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ওই নারীর সঙ্গে কাইয়ুমের পরিচিত হয় ফটিক ছড়ির একটি মাজারে । পরে ওই নারীর সাথে পীর- ভাই সম্পর্ক করে কাইয়ুম। পরে ভাই সেজে তিন তলা বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকেন।

এরপর ২০২১ সালে কাইয়ুম ভুক্তভোগী ওই নারীকে জানান, ওই বাড়িটিতে থাকলে তাদের বড় বিপদ হবে ফলে দ্রুত বাড়িটি বিক্রি করা প্রয়োজন।
পরে বাড়ি আরও জায়গা বিক্রি করে বিক্রির ৭০ লাখ টাকা নিয়ে হবিগঞ্জে চলে যান ভন্ড পীর কাইয়ুম।

এর কয়েকদিন পর হবিগঞ্জের ভাদৈ এলাকায় ৮ শতক জায়গা ক্রয় করে সন্তানদের দিয়ে তিনি বাস করতে থাকেন কাইয়ুম। সেই সুযোগে কাইয়ুম ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

শুরুতে নির্যাতন সহ্য করলেও একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ৫ জুন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারী।

আরও পড়ুন: বিমানে যৌনকর্ম করায় গ্রেফতার নারী-পুরুষ

এ মামলায় কাইয়ুম গত ৮ আগস্ট উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ তা না-মঞ্জুর করে কাইয়ুমকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪

আগামী বছর বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের

আগামী বছর বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আরও একটি নতুনজঙ্গি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল-জিহাদী) নামে। গত কয়েক মাস যাবৎ তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আগামী বছর বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনাও করেছিল।

এ সব তথ্য জানা গেছে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট হেড কোয়ার্টার থেকে। অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) সংগঠনটির শীর্ষ নেতা মো.জুয়েল মোল্লাসহ (২৯) তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

বাকি দু’জন হলেন— মো.রাহুল হোসেন (২১) ও মো. গাজিউল ইসলাম (৪০)।

আজ (শনিবার) দুপুর ১২টায় এসব তথ্য জানান এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন্স) মোহা. আলীম মাহমুদ।

রাজধানীর বারিধারায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট হেড কোয়ার্টারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন্স) মোহা. আলীম মাহমুদ।

তিনি বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযান পরিচালনা করে জুয়েলকে বাগেরহাট থেকে, জয়পুরহাট থেকে রাহুলকে ও রাজধানীর ভাসানটেক এলাকা থেকে গাজীউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে জুয়েল এই সংগঠনের প্রধান। বাকি দুই জন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। সংগঠনটি ২-৩ মাস তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল ২০২৪ সালে দেশে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা করা।

তিনি আরও বলেন, আমরা গত কয়েক মাস ধরে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে খবর পাচ্ছিলাম কিছু উগ্রবাদী মানুষ একত্রিত হচ্ছে। যারা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিশ্বাস করে না।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বানচাল করে উগ্রবাদী ব্যবস্থা কায়েমের জন্য তারা একত্রিত হচ্ছিল।

গ্রেপ্তাররা সবাই আগে কোনো না কোনো জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল। কিন্তু তারা নতুন লক্ষ্য নিয়ে এক ব্যানারে সবাই নতুন করে একত্রিত হচ্ছিল।

তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও ও পোস্টের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিল।

এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নেতা হলেন জুয়েল। আমরা প্রথমে জুয়েলকে বাগেরহাটের রামপাল থেকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাকি দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের গ্রেপ্তারের সময় নতুন সংগঠনের ৮টি ব্যানার জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, তারা প্রাথমিকভাবে সদস্য সংগ্রহের পাশাপাশি অর্থও সংগ্রহ করছিল। এই অর্থ দিয়ে অস্ত্র কেনা ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এই অস্ত্র ও বোমা দিয়ে তাদের বড় ধরনের জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল।

তিনি আরও বলেন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য জসীম উদ্দিন রহমানি, যিনি বর্তমানে কারাগারে সাজা ভোগ করছেন, তারা বক্তব্যে মূলত উদ্বুদ্ধ হন জুয়েল। এর ফলে তিনি নতুন এ জঙ্গি সংগঠনটি সৃষ্টি করে।

জুয়েল নিজেও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য ছিলেন। জসীম উদ্দিন রহমানিকেও কারাগার থেকে মুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল জুয়েলের।

তিনি বলেন, সংগঠনটিতে এখন পর্যন্ত ৮০-৯০ জন সদস্য আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের অর্থদাতা কে তা এখনো জানা যায়নি। তবে সংগঠনটির অর্থ সংগ্রহের কাজ করছিলেন রাহুল। এ ছাড়া রাহুল বোমা তৈরির দায়িত্বেও ছিল।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার পরিকল্পনা ছিল কি না সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

তবে ২০২৪ সালে বড় একটি জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা ছিল।

সেই জন্য তারা অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহসহ বোমা বানানোর চেষ্টা করছিল। তবে তাদের হামলার টার্গেট কি তা এখনও জানা যায়নি, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা জানার চেষ্টা করব।

আরও পড়ুন: দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

তিনি আরও বলেনম, রাহুল হোসেন পেশায় একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ছিলেন। প্রযুক্তির বিষয়ে জ্ঞান থাকায় রাহুল বোমা তৈরির বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছিলেন।

এ ছাড়া বোমা হামলার অর্থ জোগাতে নিজের জমি বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেলন রাহুল। রাহুল অনলাইনে সদস্য সংগ্রহের কাজও করছিলেন।

নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশি ধরনের উপস্থিতি দাবি ভারতের

সাংবাদিককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মিয়ানমার

বিমানে যৌনকর্ম করায় গ্রেফতার নারী-পুরুষ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আপত্তিকর কাজ তাও আবার কড়া পাহারার আন্তর্জাতিক বিমানে! এমনই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্য থেকে স্পেনগামী একটি বিমানে। বিমানের টয়লেটে আপত্তিকর কাজ করার সময় অনান্য যাত্রীদের কাছে ধরা পড়েন এক নারী-পুরুষ। বিমানটি যুক্তরাজ্য থেকে স্পেন যাচ্ছিল।

বিমানের টয়লেটের ভেতর ওই নারী-পুলিশের আপত্তিকর কাজ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, প্লেনের এক কর্মী টয়লেটের দরজা খুলছেন। আর তখনই ওই নারী-পুরুষকে বিবস্ত্র অবস্থায় যৌনকর্ম করতে দেখা যাচ্ছিল।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, দরজাটি খোলার পরপরই ভেতরে থাকা ওই ব্যক্তি সজোরে সেটি আবার লাগিয়ে দিচ্ছেন। এমন ঘটনা দেখে প্লেনের ভেতর থাকা বাকি যাত্রীরা অবাক হয়ে যান। এছাড়া অপর যাত্রীদের অবাক হয়ে চোখে-মুখে হাত দিতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশি ধরনের উপস্থিতি দাবি ভারতের

প্লেনটি স্পেনের ইবিজায় অবতরণ করার পর তাদেরকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।

তবে ওই নারী-পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না বা তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে কোনো তদন্ত করা হয়েছে কি না এ ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

 

মোহাম্মদ বিন সালমানকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ

আফ্রিকার মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৬৩২ নিহত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে অপহরণ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। ছাত্রীর নাম দিপীতা চাকমা । রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে সাজেকের রুইলুইপাড়া পর্যটনকেন্দ্রের অদূরে জিরো মাইল নামক স্থান থেকে দুর্বৃত্তরা ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দিপীতা চাকমা খাগড়াছড়ি সদরের বাসিন্দা। তিনি ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী।

জানা গেছে, দিপীতা চাকমা তার বন্ধুদের নিয়ে সাজেকে বেড়াতে যায়। এ সময় জিরো মাইল এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে। পরে তার বন্ধুরা সাজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করলে তাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেন সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, এক পর্যটক অপহরণ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানিয়েছেন, দুপুর ১টার কিছু আগে ওই ছাত্রীকে শিজকছড়া এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী গাড়ির গতিরোধ করে অপহরণ করে। আমাদের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। আমরা আশা করছি ওই ছাত্রীকে শিগগিরই উদ্ধার করতে পারব।

আরও পড়ুন:  চাঁদকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণার দাবি

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, ছাত্রী অপহরণের বিষয়টি আমরা সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আমরা বাঘাইহাট জোনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। ইতোমধ্যে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হবে।