শিরোনাম

ধর্ম

মসজিদের ইমাম-খতিবদের সম্মানী তিনগুন বাড়ানোর আশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২৬০০ মসজিদের ইমাম-খতিবদের সম্মানী তিনগুন বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ।

মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আমি মেয়র থাকাকালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৬০০ মসজিদের ইমাম ও খতিবকে মাসিক সম্মানী ভাতার ব্যবস্থা করেছিলাম।

আমাকে মেয়রের পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে প্রথমই সকল ইমাম-খতিবদের সম্মানী বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি এসব ইমাম ও খতিবদের সম্মানী ভাতা তিনগুন বৃদ্ধি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

imam-muajjin-salary-double-newsasia24

আরও পড়ুন: 

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে গাজীপুর মহানগরীর ২১নং ওয়ার্ডের নান্দুয়াইন মাস্টারবাড়ি এলাকায় জামিয়া আতুল উলুমিল ইসলামিয়া গাজীপুরের বার্ষিক বড় সভায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আমাকে না জানিয়ে কমিটি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এমনকি কমিটির একজন সদস্য পর্যন্ত রাখা হয়নি। সবাই কে বাদ দেওয়া হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সৌদি আরবের মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শায়েখ ড. আদনান আল খাতিরী।

google news newsasia24

ইসলামের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর… ( পর্ব-৩ )

ইসলামের অনেক খুটিনাটি সাধারন বিষয় আছে যেগুলো আমরা অবগত নই। তাই  ইসলামের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর আকারে “নিউজ এশিয়া২৪” এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলোঃ 

প্রশ্ন: নবী করিম সা. কে দুধ প্রদানকারী উঠনি কতগুলো ছিল?

উত্তর: নবী করিম সা. কে দুধ প্রদানকারী ৪৫ টি উঠনি ছিল।

প্রশ্ন: রাসুল সা. এর কতগুলো বকরি ছিল?

উত্তর: রাসুল সা. এর নিকট একশত বকরি ছিল। এর চেয়ে পরিমানে বেশী বৃদ্ধি হতে তিনি দিতেন না।

প্রশ্ন: কে হুজ্জাতুল বিদা বা বিদায়ী হজ্ব এবং উমরাতুল ক্বাজার মধ্যে হুজুর সা. এর চুল মোবারক কেটে দেওয়ার সোভাগ্য অর্জন করেছিলেন?

উত্তর: এই সোভাগ্য অর্জন করেছিলেন- হযরত মু’মার ইবনে আব্দুল্লাহ এবং উমরাতুল কাজার মধ্যে খিরাস ইবনে উম্মাইয়ারার হয়েছিল।

প্রশ্ন: রাসুল সা. এর কোলের মধ্যে পাঁচজন বাচ্চা প্রস্রাব করেছে। যথক্রমে- ১. সুলাইমান ইবনে হিশাম ২. হযরত হাসান রাদ্বি, ৩. হযরত হুসাইন রাদ্বি. ৪. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের, ৫. ইবনে উম্মে কায়েস।

প্রশ্ন: রাসুল সা. এর কবর মোবারক কে খনন করেছেন এবং কিভাবে খনন করা হয়েছে?

উত্তর: হযরত আবু তালহা রাসুল সা. এর বগলী কবর খনন করেছেন। প্রশ্ন: রাসুল সা. এর কবরে কোন কোন ব্যক্তি অবতরণ করেছিলেন?

উত্তর: রাসুল সা. এর কবরের মধ্যে চারজন সাহাবী অবতরণ করেছিলেন। যথা-

১.হযরত আলী রাদ্বি. ২. হযরত আব্বাস রাদ্বি, এবং দু’ পুত্র ৩. হযরত কসম রাদ্বি, ৪. হযরত ফযল রাদ্বি.

প্রশ্ন: রাসুল সা. এর কবরের উপর কত গুলো ইট রাখা হয়েছিল এবং সেগুলো কিভাবে রাখা হয়েছিল। সেগুলো কি কাঁচা ছিল নাকি পোড়ানো ছিল?

উত্তর: নবীজি সা. এর কবরের উপর নয়টি ইট রাখা হয়েছিল। যেগুলো রাখা ছিল খাড়াভাবে এবং ইটগুলো ছিল কাঁচা

প্রশ্ন: রাসূল সা. এর কবর মোবারকের উপর কে পানি ছিটিয়েছিল এবং তার পরিমাণ কতটুকু ছিল? কোন দিক থেকে আরম্ভ করেছিল।

উত্তর: হযরত বিলাল রাদ্বি, এক মশক পানি মাথার দিক থেকে ছিটিয়ে দিয়েছিলেন।

প্রশ্ন: কোন সাহাবী যার জানাযার নামায স্বয়ং রাসুল সা. মসজিদে নববীর মধ্যে পড়িয়েছিলেন?

উত্তর: সে সৌভাগ্যবান সাহাবী হযরত সাহল ইবনে বায়জা মসলিমি।

প্রশ্ন: রাসুল সা. এর হাত মোবারকে সমাহিত হওয়ার সৌভাগ্য অর্জনকারী সাহাবী কে?

উত্তর: হযরত আব্দুল্লাহ জুলবাজাদাতাইন।

প্রশ্ন: কোন ব্যক্তি যাজে নবীজি সা. স্বয়ং হাত মোবারক দ্বারা প্রহার করেছেন, এবং সেই প্রহারেই তার মৃত্যু হয়েছে?

উত্তর: সে একজন কাফের, তার নাম উবাই ইবনে খলফ, উহুদের যুদ্ধে নবীজির হাতে তার মৃত্যু হয়েছিল।

প্রশ্ন: রাসুল সা. সর্বপ্রথম কোন যুদ্ধ করেছেন?

উত্তর: সর্ব প্রথম গাযওয়ায়ে আবওয়া, তারপরে বাওয়াত তারপরে উশায়রা।

প্রশ্ন: রাসুল সা. বায়তুল মুকাদ্দাস এর দিকে মুখ করে কতদিন নামায আদায় করেছিলেন?

উত্তর: ষোল অথবা সতের মাস নামায আদায় করেছিলেন। তারপরে বায়তুল্লাহ তথা কাবা শরীফের দিকে মুখ করে নামায পড়তে আদেশ করা হয়।

আরও পড়ুন: 

google news newsasia24

ফলো করতে ক্লিক করুন

ইসলামের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর… ( পর্ব-২ )

ইসলামের অনেক খুটিনাটি সাধারন বিষয় আছে যেগুলো আমরা অবগত নই। তাই  ইসলামের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর আকারে “নিউজ এশিয়া২৪” এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলোঃ 

প্রশ্ন : মেরাজের নামাযে রাসুল ও আমিয়াদের কত কাতার হয়েছিল?

উত্তর: মোট সাত কাতারে সারিবদ্ধ হয়েছিল। যার মধ্যে ৩ কাতার রাসুলগণ ও ৪ আম্বিয়াগণ ছিলেন।

প্রশ্ন : হেরা গুহার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ কতটুকু ছিল?

উত্তর : দৈর্ঘ্য চারগঞ্জ এবং প্রস্থ দু’গজ ছিল।

প্রশ: রাসুলুল্লাহ সা. হযরত জিবরাইল আ. কে তার আসল আকৃতিতে কতবার দেখেছিলেন?

উত্তর : পুরো জিন্দেগীতে চারবার দেখেছিলেন।

প্রশ্ন : রাসুলুল্লাহ সা. এর বক্ষ বিদারণ কতবার হয়েছে?

উত্তর : মোট চারবার হয়েছে।

প্রশ্ন : নবী করিম সা. এর তলোয়ারের নাম কি ছিল?

উত্তর : তলোয়ারের নাম ছিল জুলফিকার ।

প্রশ্ন : নবী কারীম সা. তলোয়ার কাকে উপহার দিয়েছিলেন?

উত্তর : হযরত আলী রাখি, কে দিয়েছিলেন।

প্রশ্ন : হুজুর সা. কতটুকু পানি দ্বারা ওযু এবং গোসল করতেন?

উত্তর : তিনি ৭৯৫ গ্রাম পানি দ্বারা ওযু করতেন। এবং ৩ কিলো ১৫০ গ্রাম পানি দ্বারা গোসল করতেন ।

প্রশ্ন : হুজুর সা. হযরত আদম আ. এর কত বছর পরে জন্মগ্রহণ করেছেন ?

উত্তর: হুজুর সা. ছয় হাজার একশত পঞ্চাশ বছর পর জন্মগ্রহণ করেছেন।

প্রশ্ন : রাসুল সা. এর খাবার গ্রহণের পদ্ধতি কি ছিল এবং কিভাবে বসে তিনি আহার করতেন?

উত্তর : হযরত মুহাম্মদ সা. দুই তরিকায় উপবিষ্ট হয়ে আহার করতেন ।

১. এক হাটু উঠিয়ে এবং এক হাটু বিছিয়ে। ২. উভয় হাটু বিছিয়ে এবং পদ্ধতি ছিল এরূপ যে, বাম পায়ের তালু ডান পায়ের পৃষ্ঠে লাগিয়ে নিতেন এবং মধ্যমা, শাহাদাত, বৃদ্ধা, এ তিন আঙ্গুলি দ্বারা আহার করতেন ।

প্রশ্নঃ খাবারের শুরুতে এবং শেষে কোন জিনিস খাওয়া সুন্নাত । মিষ্টিদ্রব্য নাকি লবনাক্ত?

উত্তর : আহারের শুরুতে লবণাক্ত জিনিস দ্বারা আরম্ভ করা এবং লবাণাক্ত জিনিস দ্বারা শেষ করা সুন্নাত। এর মধ্যে ৭০ প্রকারের রোগের এরোগ্য রয়েছে।

প্রশ্নঃ কোন সবজি আহারের সময় হুজুর সা. তরকারী ঝোলের মধ্যে তালাশ করতেন?

উত্তর : সে সবজি হল লাউ তথা কদু ।

প্রশ্ন হুজুর সা. এর পায়জামা কতটুকু লম্বা এবং কতটুকু চওড়া ছিল?

উত্তর: রাসুল সা. পায়জামা লম্বা ছিল চারহাত ও চওড়া ছিল বার আঙ্গুল পরিমাণ ।

প্রশ্ন: নবী করিম সা. এর নিকট কতগুলি ঘোড়া ছিল এবং সেগুলোর নাম কি?

উত্তর : রাসুল সা. এর নিকট সাতটি ঘোড়া ছিল। নাম হলো- ১. সাকব, ২. মরতাজ, ৩.তীফ, ৪. লেজার, ৫. জরব, ৬. সবহা, ৭. দার ।

আরও পড়ুন:

প্রশ্ন : রাসুল সা. এর নিকট কতগুলো খচ্চর ছিল?

উত্তর : পাঁচটি খচ্চর ছিল। এগুলো হলো- ১. দুলদুল, ২. ফিজজা, ৩. সাদা খচ্চর, ৪. হাকাম, ৫, আসহামা ।

প্রশ্ন : রাসুল সা. এর নিকট কতটি গাধা ছিল?

উত্তর : তিনটি গাধা ছিল। যথা- ১. আফির, ২. ফারুয়া, ৩. গাধা। প্রশ্ন : রাসুল সা. এর নিকট কতগুলো উঠনি ছিল এবং তাদের নাম কি?

>ইসলামের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর… ( পর্ব-৩) দেখতে চোঁখ রাখুন “নিউজ এশিয়া২৪” এ

 

google news newsasia24

জোড় ইজতেমা শুরু ১ ডিসেম্বর

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা উত্তরার দিয়াবাড়িতে ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা।

৫৭তম বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জোড় ইজতেমা।

jor-ijtema-newsasia24

তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি শাহরিয়ার মাহমুদ জানিয়েছেন, ১ ডিসেম্বর থেকে তাবলিগ জামাতের পুরনো সাথিদের নিয়ে শুরু হবে জোড় ইজতেমা, চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

৫ ডিসেম্বর মোনাজাতের মাধ্যমে জোড় শেষ হওয়ার পর আসন্ন ইজতেমাকে সফল করতে দ্বীনের মেহনতকে আরও ব্যাপক করতে সাথিরা জামাত নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাবেন, সেই সঙ্গে শুরু হবে ইজতেমার ময়দান প্রস্তুতির কাজ।

এবারের জোড় ইজতেমা উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টরের উত্তরা সেন্টার মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন খালি ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন:

এ জন্য মাঠ প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষের দিকে। দেশের বিভিন্ন এলাকার স্কুল, কলেজ-ইউনিভার্সিটি, মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন-খতিব ও তাবলিগের সাথিরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ময়দান প্রস্তুত করছেন। মাঠের প্রস্তুতি প্রায় শেষ।

google-news-follow-us-newsasia24
গুগোল নিউজ ফলো করতে ক্লিক করুন

ইসলামের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর… ( পর্ব-১ )

ইসলামের অনেক খুটিনাটি সাধারন বিষয় আছে যেগুলো আমরা অবগত নই। তাই  ইসলামের কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর আকারে “নিউজ এশিয়া২৪” এর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলোঃ 

islamic-question-answer-newsasia24-1

প্রশ্ন: নবী করিম সা. এর নাম কি?

উত্তর : মুহাম্মদ ।

প্রশ্ন: নবী করিম সা. এর পিতার নাম কি?

উত্তর : আব্দুল্লাহ ।

প্রশ্ন : নবী করিম সা. এর মাতার নাম কি?

উত্তর : আমেনা।

প্রশ্ন : নবী করিম সা. এর দাদার নাম কি?

উত্তর : আবদুল মুত্তালিব ।

প্রশ্ন : নবী করিম সা. এর দাদীর নাম কি?

উত্তর : ফাতেমা বিনতে আমর ইবনে আয়েদ।

প্রশ্ন : নবী করিম সা. এর নানার নাম কি?

উত্তর : ওয়াহহাব

প্রশ্ন : নবী করিম সা. এর নানীর নাম কি?

উত্তর : বাররা বিনতে আব্দুল উজ্জাছিল ।

প্রশ্ন : নবী করিম সা. এর জন্ম কত সালে জন্ম গ্রহণ করেন?

উত্তর : নবী করিম সা. এর ৫৭০ খ্রি: ১২ই রবিউল আওয়াল সোমবার দিনে জন্ম গ্রহণ করেন ।

প্রশ্ন : রাসুল সা. কোন ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন?

উত্তর : রাসুল সা. ইবনে ইউসুফের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেন। এ ঘরটি ইবনে ইউসুফের নামে প্রসিদ্ধ ।

প্রশ্ন : কোন বংশে জন্ম গ্রহণ করেন ?

উত্তর : কুরাইশ বংশে

প্রশ্ন : তার দুধ মাতার নাম কি?

উত্তর : হালিমা ।

প্রশ্নঃ রাসুল সা. কোন সাওয়ারীর উপর সোওয়ার হয়ে মিরাজে তাশরিফ নিয়ে ছিলেন?

উত্তর : নবী করিম সা. সাদা রং এর বোরাক নামক সোয়ারীর উপর সোওয়ার হয়ে মিরাজে তাশরিফ নিয়েছিলেন।

প্রশ্ন : নবী করিম সা. এর সোওয়ারীর উচ্চতা কতটুকু ছিল?

উত্তর : নবী করিম সা. এর সোওয়ারীর উচ্চতা ছিল গাধা থেকে একটু উঁচু এবং খচ্চরের থেকে একটু নিচু ।

প্রশ্ন : রাসুল সা. বোরাক এর উপর যখন সোওয়ার হয়েছিলেন। তখন রেকাব এবং লাগাম কে ধরেছিলেন ?

উত্তর : হযরত জিবরাইল আ. ধরেছিলেন রেকাব এবং হযরত মিকাঈল আ. ধরেছিলেন লাগাম।

প্রশ্ন : রাসুল সা. মেরাজের রাত্রে আম্বিয়াদের ইমামতি কোন স্থানে এবং কত রাকাত নামাযের ইমামতি করেছিলেন?

উত্তর : নবী করিম সা. বায়তুল মুকাদ্দাসে সমস্ত আম্বিয়াদের নিয়ে দুইরাকাত নামায় আদায় করেছিলেন।

>> ইসলামের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর-২য় পর্ব দেখতে চোঁখ রাখুন নিউজ এশিয়া২৪” এ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পবিত্র ওমরাহ পালন

জাহিদুল ইসলাম, সৌদি থেকে: মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৬ নভেম্বর) ভোরে তিনি পবিত্র মক্কায় কাবাঘর তাওয়াফ করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা এবং অন্যান্য সফরসঙ্গীরা।

এরপর তিনি মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করেন।

seikh-hasina-ummrah-newsasia24 2

এসময় বিশেষ মোনাজাতে বাংলাদেশের জনগণ এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করেন। এরসাথে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওমরাহ পালন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ।

আরও পড়ুন: 

পরে প্রধানমন্ত্রী ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করেন মসজিদুল হারামে।

এর আগে শেখ হাসিনা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত করেন ।

পরে মসজিদে নববিতে আসর ও মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।

আরও পড়তে পারেন:

নামাজ বেহেশতের চাবিকাঠি

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক:  মুসলমানদের নামাজ হলো নামাজ বেহেশতের চাবিকাঠি।

দুনিয়ার ভালো-মন্দ কর্ম আখিরাতে পরিমাপ করা হবে। যারা দুনিয়ায় বেশি নেক আমল করবে, তারা কিয়ামতের কঠিন সময়ে সফল হবে।

কিয়ামত দিবসে পরিবার-পরিজন কেউ কারো কোনো উপকারে আসবে না।

প্রত্যেকে নিজের হিসাব নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সে দিন শুধু দুনিয়ার নেক আমলের ওপর ভরসা করতে হবে।

কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা যারা ঈমান এনেছ, আল্লাহ পাককে ভয় করো।

প্রত্যেকের উচিত লক্ষ করা যে, আগামীকালের জন্য সে কি পেশ করতে যাচ্ছে, তোমরা আল্লাহকে ভয় করতে থাকো; অবশ্যই তোমরা যা কিছু করছ, আল্লাহ পাক তার পূর্ণাঙ্গ খবর রাখেন।’ (সূরা হাশর:১৮)।

namaj.jpg October 16, 2023 15 KB 360 by 240 pixels

পরকালে সাফল্যে লাভের চাবিকাঠি হলো নামাজ আদায় করা। পরকালে নাজাত পেতে হলে, দুনিয়ার জিন্দেগিতে নামাজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। নামাজি ব্যক্তিরাই জান্নাতের স্থায়ী বাসিন্দা হবেন।

কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই ওই সব ঈমানদার সফল হয়েছে, যারা তাদের নামাজে খুশু-খুজুর সাথে আদায় করে।’ (সূরা মুমিনুন:১-২)।

‘যারা নিজেদের সালাতের হেফাজত করে, এরাই আল্লাহর জান্নাতে মর্যাদার সাথে প্রবেশ করবে।’ (সূরা মা’আরিজ :৩৪-৩৫)।

‘যারা তাদের সালাতসমূহের হিফাজতকারী, মূলত এরাই হবে জান্নাতুল ফেরদাউসের উত্তরাধিকারী এবং সেখানে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে।’ (সূরা মুমিনুন: ৯-১১)।

আরও পড়ুন:

নিম্নে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আলোচনা করা হল:

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। ফরজের পাশাপাশি প্রত্যেক ওয়াক্তেই ওয়াজিব, সুন্নাত এবং নফল নামাজ রয়েছে। নামাজের রাকাআত নিয়ে রয়েছে মতপার্থক্য। ন্যূনতম যা পড়া দরকার তার বিবরণ তুলে ধরা হলো-

সালাতুল ফজর
ফজরে প্রথমে দুই রাকাআত সুন্নাত এবং পরে দুই রাকাআত ফরজ।

সালাতুল জোহর
যুহরের নামাজ প্রথমে চার রাকাআত সুন্নাত। তারপর চার রাকাআত ফরজ এবং তারপর দুই রাকাআত সুন্নাত। এ দশ রাকাআত পড়া উত্তম। কেউ কেউ সর্বশেষ দুই রাকআত নফল নামাজও পড়ে।

এ হিসেবে জোহরের নামাজ ১২ রাকাআত আদায় করা হয়।

সালাতুল আসর
আসরের নামাজ চার রাকাআত পড়া ফরজ। কেউ কেউ ফরজের পূর্বে চার রাকাআত সুন্নাত নামাজ পড়ে থাকে।

সালাতুল মাগরিব
মাগরিবে প্রথম তিন রাকাআত ফরজ। তারপর দুই রাকাআত সুন্নাত। কেউ কেউ সুন্নাতের পর দুই রাকাআত নফল পড়ে থাকে।

সালাতুল ইশা
ইশার নামাজে চার রাকাআত ফরজ। তারপর দুই রাকাআত সুন্নাত। অতপর তিন রাকাআত বিতর। বিতর পড়া ওয়াজিব। অনেকে ফরজের পূর্বে চার রাকাআত সুন্নাত এবং বিতরের পর দুই রাকাআত নফলও নামাজ পড়ে থাকে।

পরিশেষে
সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ফজর ৪ রাকাআত; জোহর ১০ রাকাআত; আসর ৪ রাকাআত, মাগরিব ৫ রাকাআত এবং ইশার ৯ রাকাআত নামাজ যথাযথ আদায়ে যত্নবান হওয়া আবশ্যক।

পাশাপাশি প্রত্যেক ওয়াক্তের আগে পরের সুন্নাত ও নফল আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশের ৮ টি পরামর্শ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ৮ টি পরামর্শ দিয়েছে।

আগামী ২০ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর দিন থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মের বড় উৎসব দুর্গাপূজা।বাংলাদেশ পুলিশ দুর্গাপূজায় উৎসবমুখর পরিবেশ নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে ৮টি পরামর্শ দিয়েছে ।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো পুলিশ সদরদপ্তরের পরামর্শগুলো হলো-

১। পূজামণ্ডপে আগত নারী ও পুরুষ দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক প্রবেশপথ ও প্রস্থান পথের ব্যবস্থা রাখা। পূজামণ্ডপে কোনো ব্যাগ, থলে বা পোটলা নিয়ে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকা।

২। পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র স্থাপন করা। গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপে আর্চওয়ে গেট স্থাপন করা।

৩। পূজামণ্ডপে ও প্রতিমা বিসর্জনস্থলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা। সম্ভব হলে স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর, চার্জার লাইট, হ্যাজাক লাইটের ব্যবস্থা রাখা।

durga-puja.jpg October 16, 2023 39 KB 600 by 300 pixels

 

৪। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা। স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও স্বেচ্ছাসেবক লেখা আর্মড ব্যান্ড থাকা। রাতে পূজামণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।

৫। পূজা চলাকালে আতশবাজি ও পটকা ফুটানো থেকে বিরত থাকা।

আরও পড়ুন:

 

৬। দুর্গাপূজা উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেমন-ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার অথবা ব্লগে এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কেউ যেন অমূলক ঘটনা বা গুজব সৃষ্টি করে কিংবা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। এ ধরনের পরিস্থিতি হলে পুলিশকে জানানো।

৭। পূজা উদযাপনকালে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা। আজান ও নামাজের সময় মাইক ও বাদ্য বাজানো বন্ধ রাখা।

৮। প্রতিমা বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রার নির্ধারিত রুট ব্যবহার করা। পূজামণ্ডপে শোভাযাত্রা এবং প্রতিমা বিসর্জনের সময় পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করা।

প্রয়োজনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুম ০১৩২০০০১২৯৯, ০১৩২০০০১৩০০, ডিএমপি কন্ট্রোল রুম ০২-৫৫১০২৬৬৬, ০২-২২৩৩৮১১৮৮, ০২-৪৭১১৯৯৮৮, ০১৩২০০৩৭৮৪৫-৪৬, র‍্যাবের কন্ট্রোল রুম ০২-৪৮৯৬৩১১৭, ০১৭৭৭৭২০০২৯ এবং ফায়ার সার্ভিস সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম ০২-২২৩৩৫৫৫৫৫, ০১৭১৩০৩১৮১-৮২ নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

এছাড়া, যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সেবা পেতে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ নম্বরে কল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পর্দার বিধানে কি? আমরা কি করছি?

১) হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, তোমরা এমন সব কাজ কর যা তোমাদের দৃষ্টিতে চুলের চেয়েও সূক্ষ। কিন্তু আমরা রাসুলুল্লাহর যুগে এগুলো মনে করতাম ধ্বংশকারী

২) হযরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, একজন মুমিন গুনাহকে এভাবে মনে করে যে, সে যেন এক পাহাড়ের নিচে বসে আছে আর এটি তার মাথার উপরে ভেঙে পড়বে। অন্যদিকে পাপী তার গুনাহকে মনে করে যেন একটা মাছি তার নাকের ডগায় বসে আছে, আর এভাবে তাকে তাড়িয়ে দেয়।

উপরের কথাগুলো পর্যালোচনা করলে বোঝা যায়, ছোট ছোট গুনাহগুলো যে গুলো অমাদের গুনাহ বলে মনে হয় না, সে গুলো আমাদের জন্য কতটা ভয়ংকরী।

এটা উদাহরন দিলে বুঝবেন, বর্তমানে হরহামেশায় মেয়েরা সোস্যাল মিডিয়াতে ইচ্ছেমত ছবি পোস্ট করছে। এটা সধারন ভাবে ঐ মেয়েটি কোন গুনাহ বলে মনে করছেন না। অন্যদিকে সে যে একটা পাপে লিপ্ত হচ্ছে, এই চিন্তাটুকা তার মাথায় আসে না। কিন্তু হাদিসে কি আছে আমরা একটু দেখে নিই,

মহানবী সা: নারীজাতির শাস্তির বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ১. আমি জাহান্নামে একজন মহিলাকে তার মাথার চুল দ্বারা ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেলাম ওই সময় তার মাথার মগজ ফুটন্ত পানির ন্যায় টগবগ করে ফুটছিল।

২. একজন মহিলাকে স্বীয় স্তনে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেলাম অর্থাৎ সমস্ত শরীরের ওজন স্তনের উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

নবী কন্যা ফাতিমা (রা) এ শাস্তির কারণ জানতে চেয়ে আরজ করলেন আব্বাজান! মহিলাদের এই ভয়াবহ শাস্তি ভোগের কারণ কি?
উত্তরে মহানবী সা: এরশাদ করলেন : ‘নারীর শাস্তির প্রথম কারণ : যে মহিলা স্বীয় মাথার চুল দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় সাজা ভোগ করতে দেখেছিলাম তার এই শাস্তির কারণ হলো, সে চলার পথে পরপুরষ থেকে নিজের চুলকে ঢেকে রাখত না। নগ্ন মাথায় পর পুরষকে দেখানোর জন্য চুল ঝুলিয়ে ঘুরে বেড়াত। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে মহিলাদেরকে মাথা ঘাড় ও বুক মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।

অবৈধ সম্পর্ক হচ্ছে নারী শাস্তির তৃতীয় কারণ। মহানবী সা: যে মহিলাকে স্তনে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন তার কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন : ওই নারী ছিল বিবাহিতা, সে বিবাহিতা হওয়া সত্বেও তার সম্পর্ক ছিল পরপুরষের সাথে। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে লজ্জাস্থান হেফাজতকারী মহিলাকে জান্নাতি বলে ঘোষণা করেছেন। (সূরা মু’মিনূন : ৫)।

উপরের দুটি হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, মেয়েদের চুল যদি পরপুরুষে দেখে তাহলে তার জন্য কি ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, চুল লম্বা হওয়ার করনে অনেকই বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানিয়ে তা বিভিন্ন স্যোসাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

শুধু একবার ভাবুন, আপনার জন্য কি অপেক্ষা করছে? শুধু এই নয়, অনেক মেয়েরা রয়েছে, বিশেষ করে শহর অঞ্চলের মেয়েরা ওড়না ব্যবহার না করে, চুল দিয়ে তাদের বক্ষ ঢেকে রাখেন।

এগুলো তারা কোন গুনাহ বলে মনে করেন না। কিন্তু তারা আসলে জানতেও চান না যে পর্দা সম্বন্ধে হাদিসে কি রয়েছে।

আবার অন্য দিকে, বর্তমানে মেয়েরা ঠিক মত ওড়নাটাও পরিধান করে না। এতে তাদের বক্ষদেশ উন্মুক্ত থাকে। এতে তারা নিজেকে স্মার্ট এবং ফ্যাশন মনে করেন। কিন্তু এটা মারাত্বক গুনাহের পাশাপাশি অপরাধও বটে।

একটু ভাবুনতো, কোন নারীর উশৃঙ্খল ভাবে চলাফেরার জন্য, কোন পুরুষ যদি সেই নারীর দিকে কুনজর দেয় তাহলে দোষটা কার হবে? সেই পুরুষের পাপের ভাগিদার হবে সেই নারী। এবার সেই নারী যদি পর্দার সহিত চলাফেরা করেন তাহলে অন্তত কোন পুরুষ সেই নারীর দিকে কুনজরেও তাকাবে না।

সুতরাং, এই এই সমাজ থেকে ধর্ষণ ও ইফটিজিং এর মত রোগগুলো অনেকাংশে পর্দাহীনতায় দায়ি। আমি জানি, কোন নারী একা সমাজকে সংশোধন করতে পারবেন না।

কিন্তু একজন নারীর দেখাদেখি অন্যজন যখন পর্দা করা শুরু করবে তখন ইসলামের আদর্শও হবে অন্যদিকে সমাজকে সুন্দর একটি মাণষিকতা উপহার দেয়া যাবে।

তাই আমাদের সকলের(নারী এবং পুরুষ) উচিৎ ইসলাম ধর্মের আইন অনুযায়ী পর্দার সহিত চলাফেরা করা। তাতে ইহকালে এবং পরকালে উভয়ের জন্যই মঙ্গল।

জান্নাত সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনা

কুরআন-হাদিসে জান্নাত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ও বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। নিউজ-এশিয়া২৪ পাঠকদের জন্য জান্নাত সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হল।

১) জান্নাতের পরিধি আকাশ-যমিনের সমান। {সূরা আল-ইমরান-১৩৩}

২) জান্নাতের ফলসূমহ চিরস্থায়ী। {সূরা র্আ-রা’দ-৩৫}

৩) জান্নাতে ক্ষুধা ও পিপাস অনুভূত হবে না। {সূরা আত-ত্ব-হা-১১৮}

৪) জান্নাতীদের জান্নাতে স্বর্ণালংকারে অলংকৃত করা হবে, তারা পারিধান করবে সূক্ষ ও স্থল রেশমের সবুজ পোষাকে সমাহীন হবে সুসজ্জিত আসনে। {সূরা কাহ্ফ-৩১}

৫) জান্নাতীদের প্রদক্ষিণ করে পরিবেশন করা হবে বিশুদ্ধ সূরা পূর্ণ পাত্র। যা শুভ্য, উজ্জ্বল সুধা হবে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। {সূরা আস-সাফপাত-৪৫-৪৬}

৬) জানানাতে থাকবে আয়তনয়না মহিলাগণ, কোন জি¦ন ও মানব ইতোপূর্বে যাদেরকে স্পর্শ করেনি। {সূরা আর রহমান-৫৬}

এবার চলুন জেনে নেয়া যাক, জান্নাত সম্পর্কে হাদীসের বর্ণনা:

১) জান্নাতে রোগ, বার্ধক্য ও মৃত্যু হবে না। {মুসলিম}

২) কোন জান্নাতী যদি তার অলংকারসূমহ একবার পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয় তাহলে সূর্যের আলো এমনভাবে ¤øান করে দেবে, যেরুপ সূর্যের আলো তারকার আলোকে ¤øান করে দেয়। {তিরমিযী}

৩) যদি জান্নাতী হুরেরা পৃথিবীর দিকে একবার উঁকি দেয় তাহলে পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যে যা কিছু রয়েছে সবকিছু আলোকিত হয়ে যাবে। আর সম্পূর্ন পৃথিবীকে সুগন্ধিময় করে দেবে। {বুখারী}

৪) জানাতের বালাখানা সূমহ সোনা-রুপার ইট দিয়ে বানানো। সিমেন্ট, বালি, মেশক আম্বরের সুগন্ধিযুক্ত। জান্নাদের পাথরসূমহ হবে মতি ও ইয়াকুতের, আর মাটি হবে যাফরানের। {তিরমিযী}

৫) আসমান ও যমিনের সকল সৃষ্টজীব জান্নাতের একটি গুচ্ছের ফল খেলেও এর পরিসমাপ্তি হবে না। {আহমদ}

৬) শত স্তর রয়েছে জান্নাতে আর প্রত্যেক স্তরের মাঝে আসমান ও যমিন সমপরিমান দূরত্ব। {তিরমিযী}

৭) জান্নাতের একটি ছায়া এতই লম্বা হবে যে এর ছায়ায় এক অশ^রোহী শত বছর পর্যন্ত চললেও এর শেষ পর্যন্ত পৌছাতে পাবে না। {বুখারী}

৮) জান্নাতে ধনুক পরিমান স্থানও সম্পূর্ণ পৃথিবীর সমস্ত নিয়ামত থেকে মূল্যবান। {বুখারী}

৯) হাউজে কাওসারে সোন-রুপার পেয়ালা থাকবে, সেগুলোর সংখ্যা হবে আকাশে তারকার ন্যায় অসংখ্য। {বুখারী}

নিউজএশিয়া ২৪ এর সম্মানীত পাঠকগন, জান্নাত একটি একটি আবাসস্থল যা যে কোন মানুষের কল্পনাতীত। তাই আমাদের সবার জীবন এমনভাবে গঠন করা উচিত যাতে জান্নাতের সেই আছ্বাদন নিতে পারি।

আল্লাহ মানুষ এবং জ¦ীন সৃষ্টি করেছেন, শুধুমাত্র তারই ইবাদত করার জন্য। কিন্তু আমরা দুনিয়ার মোহতে সব ভুলে গেছি। এমনকি তার ইবাদতের সামান্য অংশটুকুও করতে পারছি না। দুনিয়ার বিভিন্ন পাপকার্যে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছি। ক্রমেই সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে যাচ্ছি।

তাই ইসলামিক শিক্ষা গ্রহন করে ইসলামের পথে ফিরে আসা উচিত। যাতে দুনিয়ার সাতে সাথে পরকালেও আমরা সুখে শান্তিতে থাকতে পারি এবং লাভ করতে পারি সেই সুখময় জান্নাত।