শিরোনাম

জাতীয়

উপাচার্য ভবনে ঢুকে শিক্ষার্থীদের পেটাল জাবি ছাত্রলীগ

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার ভয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শতাধিক শিক্ষার্থী। সেখানে ঢুকে তাদের মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিভিন্ন হল থেকে কয়েকশ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা পালিয়ে যান। সোমবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

এর আগে রাত ১২টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নেওয়ার ১০ মিনিট পর তাদের ওপর হামলা করে বহিরাগতসহ শাখা ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী। হামলাকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রাচীরের মূল ফটকের বাইরে থেকে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে কাঁচের বোতল ও ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় হামলাকারীদের অধিকাংশের মাথায় হেলমেট ও হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। এ সময় তাদেরকে পেট্রোলবোমাও ছুঁড়তে দেখা যায়।

রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটক ছেড়ে রাস্তায় চলে যান। পরে রাত পৌনে একটার দিকে পুলিশের সামনে ফটক ভেঙে বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন হামলাকারীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি পেট্রলবোমা ছুড়ে বাসভবনের প্রধান ফটকের লাইটসহ বিভিন্ন লাইট ভাঙচুর করেন তারা। এরপর আন্দোলনকারীদের ব্যাপক মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপাচার্য বাসভবনেই ছিলেন। হামলাকারীরা পুলিশের উপস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালালেও পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রাত সোয়া একটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নেওয়া একজন শিক্ষার্থী ফেসবুক লাইভে গিয়ে ঘটনার বিবরণ দিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত বাকী শিক্ষার্থী ও আশেপাশের মানুষের সহযোগিতা চান। মুহূর্তের মধ্যে ওই ভিডিওটি ফেসবুকে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে ওই শিক্ষার্থীর আশেপাশে আহত শিক্ষার্থীদের চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়।

পরে রাত সোয়া দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্য বাসভবনের সামনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী বহিরাগতসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ সময় হামলাকারীদের ছন্নছাড়া হয়ে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। পরে সেখানে অবস্থানরত পুলিশের ওপর চড়াও হন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে আহত হন কয়েকজন পুলিশ সদস্য।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও অন্তত ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে পুলিশ। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে সেখান থেকে চলে গিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত কর্তব্যরত সাংবাদিকদেরও লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ছোড়ে পুলিশ। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত অন্তত তিনজন সাংবাদিক আহত হন।

এদিন আন্দোলনকারীদের উপর হামলার শুরু থেকেই সাংবাদিকদের ওপর আগ্রাসী আচরণ করতে থাকে হামলাকারীরা। কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, অস্ত্র নিয়ে চড়াও হওয়াসহ ইটপাটকেল নিয়ে সাংবাদিকদের আক্রমণ করে তারা। হামলাকারীরা উপাচার্যের বাসভবনে ভেতরে ঢোকার আগে ইটপাটকেল ও কাঁচের বোতল ছুঁড়ে ধাওয়া করে উপাচার্যের বাসভবন সংলগ্ন উপ-উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থানরত সাংবাদিকদের উপর। পরে সাংবাদিকরা সেখান থেকে সরে যান। এছাড়া হামলা চলাকালে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে একাধিকবার সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে যান এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে হামলায় আহত হন সেখানে উপস্থিত একাধিক সাংবাদিক।

রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ একটি জলকামান নিয়ে আসে। রাত চারটার দিকে পুলিশ জলকামানসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে ধাওয়া করতে শুরু করে। এরপর তারা বহর নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও ছররা গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় চিকিৎসাকেন্দ্রের সামনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে লক্ষ্য করে একাধিক টিয়ারশেল ছোঁড়ে বলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন।

আরও পড়ুন>>নবজাতককে ঝোপে ফেলে গেলেন নারী

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলা ও পুলিশের গুলিতে আহত সাংবাদিকরা হলেন, ‘বণিক বার্তায় কর্মরত মেহদি মামুন, দৈনিক বাংলায় কর্মরত আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ টুডেতে কর্মরত জেবায়ের আহমেদ, সময়ের আলোয় কর্মরত মুশফিকুর রিজওয়ান, অনলাইন পোর্টালে কর্মরত সাকিব আহমেদ।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহীসহ প্রায় দেড়শ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শী। এদের মধ্যে কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হওয়ার ফলে সাভারের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

রাত চারটার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঢাকা জেলার পুলিস সুপার মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে কল পেয়েই এখানে উপস্থিত হয়েছি। আমার অনেক আগেই পুলিশ ফোর্স এসেছিল। এটা যেহেতু শিক্ষার্থীদের ঝামেলা সেহেতু পুলিশ ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছিল। কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই আমরা।’

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে আসলে অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগ। হামলার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

google-news-channel-newsasia24

পিএসসির প্রশ্নফাঁস: উপপরিচালকসহ গ্রেফতার ১৭

নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে বিসিএস পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আলোচনায় আসা সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন— সরকারি কর্ম কমিশনের উপপরিচালক মো. আবু জাফর, মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়াও সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, নোমান সিদ্দিকী, সৈয়দ আবেদ আলী, খলিলুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম, আবু সোলায়মান মো. সোহেল, মো. জাহিদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, মো. মামুনুর রশীদ, মো. নিয়ামুন হাসান, সাখাওয়াত হোসেন, সায়েম হোসেন, লিটন সরকার ও সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।

সোমবার (৮ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিআইডির একজন কর্মকর্তা। সিআইডি সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারদের মধ্য পিএসসির দুই উপপরিচালক, এক সহকারী পরিচালক, একজন অফিস সহকারী রয়েছেন। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামও রয়েছেন।

আরও পড়ুন:

একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্ত পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন- উপপরিচালক মো. আবু জাফর, উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির, সহকারী পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন ও অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান।

google-news-channel-newsasia24

কুয়াকাটা রেলপথ-মেট্রোরেলে বিশাল অঙ্কের চীনা বিনিয়োগের সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত রেলপথ এবং ঢাকার গাবতলী থেকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রো রেল চলাচলে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-২ নির্মাণ করতে চায় বাংলাদেশ। এর জন্য প্রয়োজন প্রায় এক লাখ দুই হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ৭৭ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা বৈদেশিক ঋণ হিসেবে পেতে চায় সরকার।

দুটি প্রকল্পে চীনের কাছ থেকে বিনিয়োগের প্রত্যাশা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে চীন সফরে যেতে পারেন। ওই সফরে বেশ কিছু যুগান্তকারী বাণিজ্যিক চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে এমআরটি লাইন-২ ছাড়াও ফরিদপুর-বরিশাল এবং বরিশাল-কুয়াকাটা চারলেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য চীনা অর্থায়ন চাওয়া হতে পারে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বৈদেশিক ঋণ থেকে প্রায় ৩০ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা বা ২.৫৭৯ বিলিয়ন ডলার (প্রতি ডলার ১১৭ টাকা হিসাবে) জোগানের প্রস্তাব রয়েছে।

‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করছি, যা দুই দেশের সম্পর্কের মাইলফলক হতে পারে।’- ড. হাছান মাহমুদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রীর সফরে ৩০-৩৫টি ছোট আকারের সেতু এবং দুর্যোগকালীন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য অর্থায়নের ঘোষণা দিতে পারে চীন। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়েও একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সঙ্গে একটি সমঝোতাও সই হওয়ার কথা রয়েছে।

গত সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানশাও। সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আশা করছি, যা দুই দেশের সম্পর্কের মাইলফলক হতে পারে। আর প্রধানমন্ত্রী ৮ থেকে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে চীন সফর করবেন বলে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এই সফরের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সমন্বয় সভা হবে। এই সভায় ঠিক করা হবে কোন কোন এজেন্ডা নিয়ে চীন সফরে আলোচনা ও ঋণচুক্তি হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, চীনের বিনিয়োগ যেন আরও আসে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। চীনা মন্ত্রী এ দেশে আরও বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে জংশন থেকে বরিশাল হয়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পর্যন্ত ৩৬৯ দশমিক ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সিঙ্গেল লাইন রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এ রেলপথ নির্মাণে প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৪১ হাজার ৭৯৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে বৈদেশিক ঋণ প্রায় ৩২ হাজার ১৯৯ কোটি ৯৪ লাখ, বাকি টাকা দেশীয় অর্থায়নে প্রভিশন রাখা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে সরকারি অর্থ ব্যয় করা হবে।

‘ভাঙ্গা জংশন (ফরিদপুর) থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যন্ত ব্রডগেজ (বিজি) রেললাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রেলপথ নির্মাণের জন্য সমীক্ষা খাতে ৪৯ কোটি টাকা সরকারি অর্থ ব্যয় হয়েছে।

রেলপথ নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়েছে ২০২২ সালের জুনে। এরপর থেকেই বৈদেশিক ঋণের সন্ধান করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু বৈদেশিক ঋণের উৎস এখনো খুঁজে পায়নি ইআরডি। ফলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। চীনা অর্থায়ন পাওয়ার জন্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলমান। চীনা ঋণ পেতে রেলপথ মন্ত্রণালয় ইআরডিকে আবারও অনুরোধ করবে বলে জানা গেছে।

রেললাইনের মোট দৈর্ঘ্য বা রুট লাইন হবে ২১৪ দশমিক ৯১ কিলোমিটার, এর মধ্যে মেইন লাইন ১৯০ দশমিক ১১ কিলোমিটার ও ব্র্যাঞ্চ লাইন ২৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার। তবে ট্র্যাকের মোট দৈর্ঘ্য হবে ৩৬৯ দশমিক ৪০ কিলোমিটার। এর মধ্যে মেইন লাইন ২১৪ দশমিক ৯১ কিলোমিটার ও লুপ লাইন ১৫৪ দশমিক ৪৯ কিলোমিটার। রেলপথে এমব্যাংকমেন্টের দৈর্ঘ্য হবে ১৬৮ দশমিক ৮৮ কিলোমিটার। ৪৪০টি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে, এর মোট দৈর্ঘ্য হবে ৪ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার।

১০টি মেজর ব্রিজ নির্মাণ করা হবে, এর মোট দৈর্ঘ্য হবে ৪ দশমিক ৮৬ কিলোমিটার। মেজর সেতুগুলোর উভয় প্রান্তে ৩৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার উড়াল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। কুমার, কালিগঙ্গা, শিকারপুর, আমতলী, কীর্তনখোলা, পায়রা, পটুয়াখালী, আন্ধারমানিক, টিয়াখালী, খাপরা ভাঙা নদীর ওপর দিয়ে উড়াল রেলপথ নির্মিত হবে।

পুরো রেললাইনে ১৯টি নান্দনিক স্টেশন ভবন নির্মাণ করা হবে। স্থানগুলো হলো- ভাঙ্গা জংশন, বরইতলা, টেকেরহাট, মাদারীপুর, কালকিনি, গৌরনদী, উজিরপুর, বরিশাল এয়ারপোর্ট, বরিশাল, দপদপিয়া, বাকেরগঞ্জ, বদরপুর, পটুয়াখালী, কাকুয়া, আমতলী, পায়রা পোর্ট, পায়রা পোর্ট ইয়ার্ড, লেমুপাড়া ও কুয়াকাটা।

‘ভাঙ্গা থেকে বরিশাল ও কুয়াকাটা পর্যন্ত দীর্ঘ একটি রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বিশাল রেলপথটি নির্মাণের জন্য এখনো কোনো উন্নয়ন সহযোগী খুঁজে পাইনি। এই প্রকল্পে যাতে চীনের বিনিয়োগ পেতে পারি সেই জন্য ইআরডিকে অনুরোধ জানাবো।’ শেখ সাকিল উদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা), রেলপথ মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয়েছে সাত বছর। এর মধ্যে দেড় বছর ধরে টেন্ডারিং, ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন কাজ করা হবে। সাড়ে চার বছর ধরে প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, এমআরটি লাইন-২ ছাড়া সব রুটে উন্নয়ন সহযোগী মিলেছে। বর্তমানে ইআরডির মাধ্যমে এমআরটি লাইন-২ প্রকল্পে উন্নয়ন সহযোগী খুঁজছে ডিএমটিসিএল। চীন সফরে বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডিপিপি অনুসারে, প্রস্তাবিত ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক ও বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক জাতীয় মহাসড়ক নেটওয়ার্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লিংক এবং সাসেক রোড করিডোর (এসআরসি-৪)-এর একটি অংশ। বর্তমানে এটি সীমিত সক্ষমতার একটি দুইলেন বিশিষ্ট মহাসড়ক এবং এতে কোনো সার্ভিস লেন নেই। এর ফলে ঘন ঘন যানজট তৈরি হয় মহাসড়কে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর পায়রা সমুদ্র বন্দর ও কুয়াকাটা পর্যটন অঞ্চলের সুবাদে এ মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ভাঙ্গা-কুয়াকাটা রেলপথ ও এমআরটি লাইন-২ নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়টি এজেন্ডায় আছে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বলেন, ‘ঘটনা সবই সত্য। এগুলো এজেন্ডায় আছে। এছাড়া আরও অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আমরা চূড়ান্ত করারও কেউ না। চূড়ান্ত হবে তখনই যখন চীনে চুক্তিসই হবে। তার আগে আসলে কিছু বলাটা সমীচীন হবে না।’

 

প্রত্যয়ে ১৫ বছরে পাবে দুই কোটি ২৪ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতির কারণে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা চলছে। গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া কর্মবিরতির কারণে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস, পরীক্ষা এবং দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তির কারণে শিক্ষকরা যেমন ক্ষতির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন, তেমনি পেনশন কর্তৃপক্ষও এ ব্যবস্থায় বহু গুণ লাভের হিসাব তুলে ধরছেন। এ বিভেদমূলক অবস্থানের কারণে উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে অনিশ্চিত অবস্থা তৈরি হয়েছে।

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষকরা যেসব বিষয়ে আন্দোলন করছেন, তা অনেকটাই ভুল বোঝাবুঝি কিংবা সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম পুরোপুরি না বোঝার কারণে। বিদ্যমান সুবিধার চেয়েও প্রত্যয় স্কিমে অন্তত ১২ গুণ বেশি অবসরভাতা পাবেন শিক্ষকরা।

পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরই লাভ বেশি। আর শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ বছর থাকার বিষয়টি প্রত্যয় স্কিমে যুক্ত করে শিগগিরই সংশোধনী দেওয়া হবে। তবে শিক্ষক নেতারা এ সুবিধাকে শুভংকরের ফাঁকি হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করার জন্য।

google-news-channel-newsasia24

সরকারের সিদ্ধান্ত, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাইয় থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি প্রত্যয় স্কিমের অধীনে আসবেন। অর্থাৎ বর্তমানে যারা চাকরিতে আছেন তারা আগের পেনশনের অধীনেই থাকবেন। তবে সব ধরনের স্বশাসিত কিংবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা বিষয়টি মেনে নিলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বাদ সেধেছেন। প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন।

শিক্ষকদের এমন আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতাই নেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। গতকাল অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী শিক্ষকদের এ আন্দোলন অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছেন। পরিকল্পনা কমিশনে একনেক বৈঠক শেষে তিনি বলেন, প্রত্যয় স্কিম নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:

দ্বিতীয় দফায় বাড়ছে তিস্তার পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারতের উত্তর সিকিমে ভারী বর্ষণসহ উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের তিস্তা নদীতে ফের দ্বিতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার (০১ জুলাই) সকাল ৯টায় পাওয়া তথ্যমতে, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্য নদ-নদীর পানিও বেড়েই চলেছে। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও ভাঙন শঙ্কায় রয়েছে।

তিস্তা ছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলের ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এ সময় পাউবোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, রংপুর জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর ৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার কাউনিয়া, পীরগাছা ও গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

তিস্তা নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। বেশ কিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। তিস্তার তীরবর্তী কিছু এলাকার সবজিক্ষেত ডুবে গেছে।

পাউবো কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে নিরুপায় হয়ে বসতি সরিয়ে নিচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

google-news-channel-newsasia24

কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া গদাই এলাকার শাহ জামাল, শমসেল, ইলিমাসহ বেশ কয়েকজন জানায়, গত প্রায় মাস খানেক ধরে কাউনিয়া রেল গেটে এই এলাকা থেকে যাওয়া রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন প্রতিরোধে আমরা নিজেরাই বস্তায় বালু ভরাট করে চেষ্টা করছি। তারপরেও আমাদের এলাকায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বারবার জিও ব্যাগ চেয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।

গঙ্গাচড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না জানান, তিস্তা নদী এলাকায় বন্যা ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, অসময়ের বন্যা ও ভাঙনে প্রতি বছর এক লাখ কোটি টাকার সম্পদ তিস্তার গর্ভে চলে যায়।

আরও পড়ুুন>>আসছে চোরাই পথে অ্যান্ড্রয়েড ও ফিচার ফোন, গ্রেপ্তার ৪

তিস্তা নদী তীরবর্তী কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে দুর্ভোগের আতঙ্ক রয়েছে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ সোমবার ডালিয়া ও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। প

রিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গতকাল ডালিয়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ কিছুটা বাড়ছে। এছাড়া ভাটি অঞ্চলে সার্বক্ষণিক নদীপাড়ের পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

আজ ব্যাংক হলিডে , লেনদেন বন্ধ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ অর্থবছরের শুরুর দিন ১ জুলাই (সোমবার) ব্যাংক হলিডে। এ উপলক্ষে ব্যাংকের সব ধরনের লেনদেন বন্ধ থাকবে। তবে গ্রাহকের সঙ্গে কোনো লেনদেন না করলেও নিজস্ব হিসাব মেলাতে খোলা থাকবে ব্যাংক।

ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ থাকায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) লেনদেনও বন্ধ থাকবে।

বছরে দুইদিন ব্যাংক হলিডে, একদিন ১ জুলাই এবং অন্যদিন ৩১ ডিসেম্বর। এ দুই দিনে ব্যাংকগুলো তাদের লাভ-ক্ষতির হিসাব করে নতুন দিন শুরু করে। ব্যাংকগুলো ১ জুলাই অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৩১ ডিসেম্বর বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে।

ব্যাংকাররা জানান, ব্যাংকগুলো ৩০ জুন ভিত্তিক অর্ধবার্ষিক আর্থিক হিসাব বিবরণী এবং ৩১ ডিসেম্বর ভিত্তিক বার্ষিক আর্থিক হিসাব বিবরণী প্রস্তুত করে। বিভিন্ন শাখা থেকে পাঠানো হিসাব একত্র করে বিবরণী তৈরি করা হয়।

যেহেতু সারা বছরের হিসাব বিবরণী চূড়ান্ত করার বিষয় থাকে, যে কারণে বছরের এ দু’দিন ব্যাংক হলিডে পালিত হয়। এর মাধ্যমে বছরের হিসাব ক্লোজ করা হয়। যদিও নিরীক্ষিত বার্ষিক বিবরণী চূড়ান্ত করতে অনেক সময় লাগে।

google-news-channel-newsasia24

 

মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ।

২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের এ লভ্যাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ১.৫০ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা।

রবিবার (৩০ জুন) ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই-সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তথ্য মতে, ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ আগস্ট। এ জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ জুলাই।

এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনের কোনো মূল্যসীমা থাকবে না।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

পরিবারের সদস্যদের তুলনায় গরিব মতিউর!

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচনায় আসার পর বেরিয়ে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মো. মতিউর রহমানের দুর্নীতির তথ্য। অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছেন হাজার কোটির সম্পদ। তবে এসব অর্থ তিনি নিজের নামে রাখেননি। নিজের অবৈধ আয় আড়াল করতে এসব সম্পদ করেছেন স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে।

মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী ছিলেন কলেজ শিক্ষক। বর্তমানে তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এই পক্ষে দুই সন্তান রয়েছে মতিউরের। এদের মধ্যে মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা কানাডা প্রবাসী। ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্নব যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করেছেন। দেশে ফিরে বিয়ে করেছেন চট্টগ্রামের এক ঋণখেলাপি শিল্পপতির মেয়ে।

দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলী গৃহিণী। তাঁর মেয়ে ইফতিমা রহমান মাধবী বারডেম মেডিকেল কলেজে পড়ছেন। আর ছাগলকাণ্ডের জন্ম দেওয়া ছেলে মুশফিকুর রহমান নটর ডেম কলেজের ছাত্র। ছোট ছেলে ইরফানের বয়স সাত বছর। এছাড়া মতিউরের এক ভাই নূরুল হুদা ছিলেন বেকার, বখাটে। আরেক ভাই কাইয়ুম হাওলাদার গার্মেন্টে চাকরি করতেন। বাবা আব্দুল হাকিম ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

অত্যন্ত সাধারণ পারিবারিক পরিচয়ের এ ব্যক্তিরাই এখন শত শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক। তাদের নামে বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি, ফ্ল্যাট, পার্ক, রিসোর্ট, শিল্পকারখানা-কী নেই। কারও নামে পুঁজিবাজারে আছে বিপুল বিনিয়োগ। অভিযোগ আছে, অতি ধূর্ত মতিউর নিজের অবৈধ আয় আড়াল করতে কাগজে-কলমে পরিবারের সবাইকে সম্পদশালী করে দিয়েছেন। নিজের নামে রেখেছেন সামান্য কিছু। যাতে আইনের ফাঁকফোকরে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে পারেন।

আয়কর ফাইলের তথ্য বলছে, মাত্র ২০ কোটি টাকার মালিক মতিউর। এর মধ্যে ১৩ কোটি টাকা আছে নগদ। পুঁজিবাজারে মাত্র ৮২ লাখ টাকা বিনিয়োগের তথ্য উল্লেখ করেছেন সবশেষ আয়কর নথিতে। হাতে নগদ আছে ১২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এছাড়া ৫০ লাখ টাকার এফডিআর, ৩ কোটি টাকার অকৃষি সম্পত্তি এবং একটি মৎস্য খামারকে ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া আছে তার। আয়কর ফাইলের তথ্য নেওয়ার সময় এক কর্মকর্তা হাসির ছলে বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের তুলনায় স্যার অত্যন্ত গরিব।’

মতিউরের গাড়ি-বাড়ি সবই তার স্ত্রী-সন্তান এবং আত্মীয় এবং তাদের নামে থাকা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে। তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, মতিউর, দুই স্ত্রী ও দুই পক্ষের দুই সন্তান মিলে অন্তত এক ডজন বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন। এর মধ্যে ৩/৪ কোটি টাকা দামের গাড়িও আছে। তবে একটি গাড়িও তাদের নামে নেই। এমনকি রিফাতের ব্যবহার করা প্রাডো ও প্রিমিও মডেলের যে ৪টি গাড়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেগুলো তাদের নামে নেই।

আরও পড়ুন:

মতিউর যে বাড়িতে বসবাস করেন সেই বাড়িও কাগজে কলমে তাঁর মেয়ে ইপ্সিতার নামে রয়েছে। ছোট স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে একটি, লালমাটিয়ায় একটি, কাকরাইলে দুটিসহ আরও বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট কিনেছেন মতিউর। তার নামে পুঁজিবাজারে প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। অথচ গৃহিণী স্ত্রী শাম্মী আখতারের আয়ের কোনো উৎস নেই।

পুরান ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে এসকে থ্রেড নামে সুতা তৈরির কারখানা আর টঙ্গীতে এসকে ট্রিম ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড নামের গার্মেন্ট সরঞ্জাম তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছেন মতিউর। এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার ছোট ভাই কাইয়ুম হাওলাদার। অথচ একসময় তিনি নিজেই গার্মেন্টে চাকরি করতেন। এছাড়াও প্রথম পক্ষের স্ত্রী, কন্যা ও ছেলের নামে ওয়ান্ডার পার্ক, পূবাইল শুটিং স্পট ও রিসোর্ট, খামারসহ বিপুল সম্পদ করেছেন।

google-news-channel-newsasia24

বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ; ট্রাকে ফিরছে ঘরমুখো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সুযোগ বুঝে পরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এছাড়া টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক মহাসড়কেও সিএনজি ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে।

আজ শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে মহাসড়কের রাবনা বাইপাস এলেঙ্গা বাস স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এদিকে, বাড়তি ভাড়ার চাপ এবং যানবাহন স্বল্পতার কারণে অনেক যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ভ্যান, খোলা ছাদের ট্রাক ও বাসের ছাদে করে বাড়ি যাচ্ছেন। মহাসড়কের নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।

আশেকপুর বাইপাস এলাকায় বাসের অপেক্ষায় ছিলেন সিরাজগঞ্জের ইমরুল হাসান মিয়া। তিনি বলেন, ১০০ টাকার ভাড়া ১৮০-২০০ নিচ্ছে। দেখার কেউ নেই। যাত্রীর চাপ থাকায় পরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। পরিবারের সাথে ঈদ করতে বাড়ি ফেরা, তাই নিরুপায় হয়ে সবার বেশি ভাড়া দিয়েই যাচ্ছে।’

পাবনাগামী শুভ আহমেদ বলেন, ‘অফিস ছুটি হয়েছে। ১০দিনের ছুটি পেয়েছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। যাত্রীর অনেক চাপ, অনেকেই ট্রাকে যাচ্ছেন। বাসের চেয়ে ট্রাকের ভাড়া একটু কম। আগের থেকে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে।’

উত্তরবঙ্গগামী পিক-আপ চালক কাদের মোল্লা বলেন, ‘চন্দ্রা থেকে যাত্রী নিয়ে বগুড়া পর্যন্ত যাব। বাস ভাড়া দ্বিগুণ নিচ্ছে। সেজন্য ঘরমুখো মানুষের কথা চিন্তা করে কম টাকায় তাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি।’

 

google-news-channel-newsasia24

গ্যাস বাবুর ভাষ্যে ফাঁসছেন অনেকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আটক জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর দেওয়া তথ্যে অনেকে ফেঁসে যাচ্ছেন।

পুলিশের একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছে। ঘটনার অন্যতম নায়ক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার আত্মীয় গ্যাস বাবু। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকায় কামরুজ্জামানের গুলশানের বাসায় কয়েক দফা বৈঠক হয়েছিল।

যতই দিন যাচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয়েছে, চোরাচালান এবং রাজনৈতিক কারণে আনারকে হত্যা করা হয়েছে।

কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সে ব্যাপারেও অনেকটা নিশ্চিত পুলিশ। ঝিনাইদহ ও যশোরের ছয়জন ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তি গোয়েন্দাদের নজরে আছেন। তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

আনারকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বিস্তৃত বিবরণ দিয়েছে কসাই সিয়াম। তার ভাষ্য শুনে কলকাতা পুলিশ হতবাক। কলকাতা পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে, স্যুয়ারেজ লাইন থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসখন্ড মানুষেরই। দুয়েক দিনের মধ্যে আনারের মেয়ে ডরিনের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

আরও পড়ুন>>ঠিকানাবিহীন ১৮ হাজারের বেশি পরিবারের আজ ঈদের দিন

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ১২ মে আনার কলকাতায় যাওয়ার পরের দিনই তাকে ব্যবসার কথা বলে নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় হত্যা-পরিকল্পনাকারীরা।

তিনি কলকাতায় যাওয়ার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আনারের বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহীন কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। চিহ্নিত ফ্ল্যাটে প্রবেশের ৩০ মিনিটের মাথায় তাকে হত্যা করা হয়।

এর আগে মিনিট দশেক চোরাচালানসহ নানা বিষয়ে হত্যাকারীদের সঙ্গে আনারের তর্কাতর্কি হয়, অশালীন বাক্য বিনিময়ও হয়।

নাম প্রকাশ না করে ঢাকা মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “চোরাচালান ও স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে আনারকে হত্যা করা হয়েছে। এক বছর ধরে আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা, ঝিনাইদহ ও যশোরে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কারা হত্যা করবে তার তালিকাও তৈরি করে পরিকল্পনাকারীরা। ওইসব বৈঠকে আখতারুজ্জামানসহ ছয়জন ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন>>নেত্রকোণায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযান, প্রশিক্ষণের আলামত

তাদের নাম জানা গেছে। আওয়ামী লীগ নেতা বাবুর মোবাইলে ফোনে সব তথ্য পাওয়া গেছে। বাবু জিজ্ঞাসাবাদেও তথ্য দিয়ে চলেছেন। তারা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেছেন। ‘রাজনৈতিক কাঁটা’ দূর হবে এ আশায় এমপিকে হত্যা করা হয়।”

ওই কর্মকর্তা জানান, ওইসব প্রভাবশালীকে আমাদের জালে আনা হয়েছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটে আনারকে হত্যা এবং লাশ গুমের পর ১৫ মে বাংলাদেশে ফেরেন শিমুল ভূঁইয়া।

আখতারুজ্জামান শাহীন শিমুলকে জানান, বাবুর কাছ থেকে টাকা নাও। ১৬ মে বাবুর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন শিমুল। ১৭ মে তারা ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে গাড়ির ভেতরে সাক্ষাৎ করেন।

বাবু বলেন, ২৩ মে টাকা দেবেন। কিন্তু তার আগেই হত্যার কথা চাউর হয়ে গেলে তারা আত্মগোপনে চলে যান।

পুলিশ সূত্র জানায়, যশোরের শার্শা, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, কালীগঞ্জ, শৈলকুপার সীমান্ত এলাকার চোরাচালানসহ সব কারবারের একক নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিলেন যশোরের আলোচিত এক প্রভাবশালী ব্যক্তি।

google-news-channel-newsasia24

তার আধিপত্য বিস্তারে বাধা হয়ে দাঁড়ান এমপি আনার। ফলে তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকার একজন হীরা ব্যবসায়ী ও একজন ডেভেলপারও হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নামও জানা গেছে। গ্যাস বাবু বেশ কয়েকজনের নাম বলেছেন। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে তিনি তার দুটি আইফোন ভেঙে ফেলেন।

পরে মোবাইলগুলো হারিয়ে গেছে বলে ঝিনাইদহ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সন্দেহ দেখা দিলে সদর থানা-পুলিশ ঢাকার ডিবি পুলিশকে জানায়।

আনার হত্যার ঘটনার তদন্ত শেষে অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যের কাছাকাছি এসে গেছি।

মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই আমরা আপনাদের কাছে অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারব। যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের জবানবন্দি শুনেছি। মাংসখন্ডগুলো কোথায় তারা রেখেছে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

আমাদের গোয়েন্দারা ভারতে গিয়েছিল। তারা যে খন্ড গুলো পেয়েছেন, সেগুলো উদ্ধার করেছেন। ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাবে না এগুলো আনারের মরদেহের অংশ কি না।’