শিরোনাম

জাতীয়

ভারতে আর থাকবেন না শেখ হাসিনা

নিউজএশিয়া২৪ ডেস্ক:

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। সেইদিনেই সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারত পালাতে বাধ্য হন তিনি। এরপর থেকে ভারতেই অবস্থান করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

সর্বশেষ খবরে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন?

জবাবে ভারত নাকি বলেছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন। এই খবর ঢাকার সরকারি মহলকেও জানানো হয়েছে বলে মানবজমিনের প্রতিবেদনে জানা গেছে।

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে তিনি দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এরপর থেকে তিনি কোথায় আছেন তা আর প্রকাশ পায়নি।

আরও পড়ুন:

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্টও (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভারতে ৪৫ দিন বৈধভাবে থাকতে পারেন।

ইতোমধ্যে ভারতে শেখ হাসিনা প্রায় ২ মাস ধরে অবস্থান করছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তার বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন তিনি কোন স্ট্যাটাসে দেশটিতে অবস্থান করছেন তা পরিষ্কার নয়। ভারতের পক্ষ থেকেও বিষয়টি খোলাসা করা হয়নি।

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক‌‌: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমাদের অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা উচিত। সেদিকেই আমরা যাব।

তবে, এই মুহূর্তে পুরো আইন বাতিল করা হবে, নাকি কেবল স্পিচ অফেন্স বাতিল করা হবে, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। কিন্তু, আলটিমেটলি এটা বাতিল হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ সংশোধন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগের বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, পরবর্তীকালে যখন নতুন আইন করা হবে, তখন তার মৌলিক একটি অনুচ্ছেদে নাগরিকদের সাইবার সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।

সেখানে অবশ্যই নারী ও শিশুদের স্পর্শকাতরতা বিবেচনা করে তাদের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। সেজন্য এরকম সেমিনার অব্যাহত রাখা হবে।

সভার শুরুতে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়। এর পর এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় অনেকেই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন আইন করার পরামর্শ দেন।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ইতোমধ্যেই সাইবার নিরাপত্তা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নাগরিক পরিসরে একটি ধারণা আছে, আইন মন্ত্রণালয় বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলেই সব মামলা প্রত্যাহার করে দিতে পারে। এটা সত্যি না। একটি মামলা বিভিন্ন পর্যায় বা স্তরে থাকে। সব মামলা ইচ্ছে করলেই প্রত্যাহার করা যায় না। মামলা প্রত্যাহার করার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যে মামলার কনভিকশন হয়ে যায়, সেখানে যিনি কনভিকটেড (দোষী সাব্যস্ত) হয়েছেন, ওনার আবেদন ছাড়া মামলা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই।

‘অনেকেই বলে থাকেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের মামলাগুলো কেন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না? মূলত, মামলায় যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়ে যায়, যত ভুয়া মামলাই হোক, চাইলেই তা প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়। এজন্য একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়,’ যোগ ক‌রেন উপ‌দেষ্টা।

তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল ধরনের কালাকানুন থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা হবে। বৈষম্যহীন, শোষণহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আজকে যে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে, আমাদের আইন সংস্কারের মধ্যে দিয়ে তার প্রতিফলন জনগণ দেখতে পাবেন, ইনশাল্লাহ।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি (যা পরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে পরিণত করা হয়েছে) মূলত অপপ্রয়োগের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এটি একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে, এর প্রতি মানুষের একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। তাই, এই আইনকে আমরা যতভাবেই সংশোধন করি না কেন, এর প্রতি মানুষের অনাস্থা থেকে যাবে। তাই, আলোচনা সভার যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাবনাগুলোকে আমলে নিয়ে এবং আরও যেসব বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা প্রয়োজন, তা বিচেনায় নিয়ে নতুনভাবেই আইনটি করা উচিত।

সভায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী, বিশিষ্ট আলোকচিত্রশিল্পী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির, ইংরেজি দৈনিক দ্য ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্যতম ভিকটিম খাদিজাতুল কোবরা প্রমুখ অংশ নেন।

সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটি আগামী দুই মাসের জন্য

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় এ দায়িত্ব প্রযোজ্য নয় বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী এই ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

proggapon army newsasia24

নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৭ (১) ধারা মোতাবেক ক্ষমতাপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করবেন।

জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

১ অক্টোবর থেকে বন্ধ হচ্ছে পলিব্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো পলিথিন শপিং ব্যাগ ও পলিপ্রোপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না এবং ক্রেতাদের দেওয়া যাবে না।

বিকল্প হিসেবে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ক্রেতাদের কেনার জন্য রাখা হবে।

আজ সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এক সপ্তাহের মধ্যে সব সুপারশপের সঙ্গে সভা করে পাটের শপিং ব্যাগ সরবরাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ১ অক্টোবরে শপিং ব্যাগে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার হবে। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ইএসডিওর সঙ্গে মিলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিকল্প পরিবেশবান্ধব উপাদানে তৈরি/পাট/বস্ত্রের ব্যাগের উৎপাদনকারীদের নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করবে। মেলায় সুপার শপের কর্তৃপক্ষ এবং উৎপাদনকারীরা নিজেদের চাহিদা এবং সরবরাহার বিষয়ে আলোচনা করতে পারবেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সুপার শপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

পিলখানার হত্যাকান্ডের আসল ঘটনা বললেন মঈন ইউ আহমেদ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বিডিআরের বিদ্রোহে ওই সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অনেক সাবেক সেনা কর্মকর্তা পিলখানার বিদ্রোহ নিয়ে কথা বলেছেন।

অনেকে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের নাম বলেছেন। এবার এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন সেসময়কার সেনাবাহিনী প্রধান মইন ইউ আহমেদ।

আলোচিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’র প্রধানতম চরিত্র মঈন ইউ আহমেদ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে নিজের ভাষ্য তুলে ধরেন। ওই ঘটনায় এবারই প্রথম কথা বললেন বিদেশে অবস্থানরত মঈন।

তিনি বলেন, সেদিন (২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাড়ে ৭টায় সেনাসদরের প্রতিদিনের মত কাজ শুরু হয়। সকালে আমি সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।

আরও পড়ুন:

এমন সময় সিজিএস লেফটন্যান্ট জেনারেল সিনহা আমার কাছে এসে বলেন, আমাদের কাছে কিছু মর্টার আছে, যা সেনাবাহিনী ব্যবহার করে না। এর গুদামজাত এবং রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের জন্য কঠিন। বিডিআর এগুলো ব্যবহার করে। এগুলো তারা নিয়ে গেলে আমাদের উপকার হবে।

‘এরপর আমি বিডিআরের ডিজির জেনারেল শাকিলের সঙ্গে কথা বললে তিনি এগুলো নিতে রাজি হন। আমার বিশ্বাস তিনি তখন পর্যন্ত এই বিদ্রোহ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। এরপর আমি আর সিজিএস মিটিংয়ের জন্য যাই। ৯টায় সেই মিটিং শুরু হয়। আমরা সবাই তখন ব্যস্ত হয়ে পড়ি সেখানে।

সাড়ে ৯টায় তার দিকে আমার প্রিন্সিপল সেক্রেটারি কর্নেল ফিরোজ রুমে প্রবেশ করেন এবং আমাকে বলেন, পিলখানায় গণ্ডগোল হচ্ছে। আপনার দিক-নির্দেশনা প্রয়োজন। কিছুক্ষণ পর আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। কিন্তু তাদের ফোন ব্যস্ত পাই। ’

মইন ইউ আহমেদ বলেন, সামরিক গোয়েন্দারা তখন আমাকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানায়। পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে আমি তখন সময় বাঁচাতে কারও নির্দেশ ছাড়া সেনাবাহিনীর আরেকটি ব্রিগেডকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেই। তারা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে যার নামকরণ করা হয় ‘অপারেশন রেস্টোর অর্ডার’।

তিনি বলেন, ৯টা ৪৭ মিনিটে ডিজি বিডিআরকে (শাকিল) ফোনে পাওয়া যায়। তিনি আমাকে বলেন, ‘দরবার চলাকালীন দুইজন সশস্ত্র সৈনিক প্রবেশ করে একজন আমার পেছনে দাঁড়ায়। এরপরই বাইরে থেকে গুলির শব্দ আসে। সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে থাকা সৈনিকরা দরবার হল থেকে বের হয়ে যায়।

এগুলো সবই মনে হয় প্ল্যান করা এবং প্ল্যান অনুযায়ী সব চলছে। আমি সেক্টর কমান্ডার এবং ব্যাটালিয়ান কমান্ডারদের পাঠিয়েছি তাদের ফেরত আনার জন্য। ’ তখন আমি তাকে অপারেশনের কথা জানাই।

মইন ইউ আহমেদ আরও বলেন, ৯টা ৫৪ মিনিটে আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হই। এর মধ্যেই তিনি বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে গেছিলেন।

এ সময় আমি তাকে অপারেশনের কথা জানালে তিনি জানতে চান, কতক্ষণ সময় লাগবে এই ব্রিগেডকে তৈরি করতে? আমি সময় জানিয়ে ব্রিগেডকে পিলখানায় যাওয়ার জন্য তার অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দেন। এক্ষেত্রে অনেক সময় লাগলেও ৪৬ ব্রিগেড এক ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা শুরু করে।

‘এদিকে বিদ্রোহীরা বিডিআর গেটগুলোর সামনে আক্রমণ প্রতিহত করতে রকেট লাঞ্চার, মর্টারসহ অন্যান্য অস্ত্র মোতায়েন করে। বেলা ১১টায় ৪৬ ব্রিগেডের প্রথম গাড়িটি মেইন গেটের কাছাকাছি পৌঁছালে বিদ্রোহীরা একটি পিকআপ লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায়। এতে চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসের ধারণা অনুযায়ী, সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই ডিজি, ডিডিজি, কর্নেল আনিস, কর্নেল কায়সারসহ অনেক অফিসারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আমাদের টিম পৌঁছায় ১১টার পরে। ’

বিদ্রোহের সময় টিভি চ্যানেলে লাইভ কাভারেজের সমালোচনা করে তৎকালীন সেনাপ্রধান বলেন, ঘটনার সময়ে গণমাধ্যমে চলা লাইভ কাভারেজ বিডিআর বিদ্রোহ ছড়িয়ে দিতে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।

সাবেক সেনাপ্রধান জানান, ক্যাপ্টেন শফিক তার নেতৃত্বে ৩৫৫ জন র‍্যাব সদস্য নিয়ে পিলখানায় পৌঁছান ১০টার আগেই। এ সময় তিনি তার ঊর্ধতন কর্মকর্তার কাছে পিলখানায় প্রবেশের অনুমতি চাইলেও তিনি তা পাননি। তিনি অনুমতি পেলে হয়তো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সুবিধা হতো এবং এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।

মঈন বলেন, ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে পিএসও এএফডি জানায়, সরকার রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, কোনো আলোচনার আগে সেনাবাহিনীকে এই এলাকা থেকে চলে যেতে হবে। তাদের সঙ্গে সমঝোতা না হলে তখন সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বেলা ১২টায় তিনি আমাকে ফোন করে জরুরিভিত্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যমুনায় দেখা করতে বলেন। বেলা ১টার দিকে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং হুইপ মির্জা আজম আলোচনার জন্য পিলখানায় যান।

তিনি আরও বলেন, আমি যমুনায় যাবারও ঘণ্টাখানেক পর বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধান সেখানে আসেন। অর্থাৎ তাদের আমার পরে ফোন করে আসতে বলা হয়েছে। অনেকক্ষণ পর তারা সেখানে এলে আমাদের জানানো হয়, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং হুইপ মির্জা আজম বিদ্রোহীদের একটি দল নিয়ে যমুনাতে আসছেন এবং তারা (বিদ্রোহীরা) সাধারণ ক্ষমা চায়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) বলেন, বিদ্রোহীদের কিছু বলার থাকলে আমরা যেন তাদের বলি। তখন আমি তাকে বলি, ‘অনেকে নিহত হয়েছেন। তাদের কোনো দাবি মানা যাবে না। আপনি তাদের বলবেন প্রথমত, অফিসার হত্যা এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের সবাইকে এখনই মুক্তি দিতে হবে। তৃতীয়ত, অস্ত্রসহ বিদ্রোহীদের আত্মসমপর্ণ করতে হবে এবং চতুর্থত, সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার প্রশ্নই নেই। ’

plkhana bdr murder newsasia24

আরও পড়ুন:

ঘটনার তদন্তে সরকারের সাহায্য পায়নি সেনাবাহিনী

মঈন ইউ আহমেদ বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনায় আমি যখন তদন্তের আদেশ দেই, তখন আমাকে বলা হয়; যখন সরকার এই বিষয়ে তদন্ত করছে, তখন আমাদের এর প্রয়োজনটা কী? এই তদন্ত করতে সরকারের কাছ থেকে যে সাহায্য প্রয়োজন তা আমরা পাইনি।

সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লেফটন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা)। তিনি তার কাজ সঠিভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি, কারণ অনেকে জেলে ছিল, অনেককে প্রশ্ন করা সম্ভব হয়নি। আমার কাছে এসে (জাহাঙ্গীর আলম) বেশ কয়েকবার তার সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

মঈন ইউ আহমেদ বলেন, আমি আশা করি, তিনি এখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হয়েছেন। তিনি এই তদন্ত কমিটি পুনর্গঠিত করে জড়িতদের বের করতে সক্ষম হবেন। আমি সরকার গঠনের পর তাকে এই বিষয়ে অনুরোধ করেছি।

নিজের ভিডিওতে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন মইন ইউ আহমেদ। এসময় বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে তার লেখা বই খুব শিগগির প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

google-news-channel-newsasia24

ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে যেতে পারবেন বাংলাদেশীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কিছুদিন আগে পাকিস্তান ভিসায় নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছেন। এতে ১২৬টি দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে যেতে পারবেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমদ মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তান হাইকমিশনার।

এতে দুুই দেশের মধ্যে বন্যা পুনর্বাসন, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, ভিসা প্রাপ্তি সহজীকরণ, সরাসরি প্লেনের ফ্লাইট চালু, কৃষি গবেষণায় সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

তিনি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্যার বিষয়ে তাকে অবহিত করেন। হাইকমিশনার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বন্যা দুর্গতদের জন্য উপকরণ দিয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন:

হাইকমিশনার বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব পাকিস্তানে পড়েছে উল্লেখ করে বলেন, তখন অনেক পাকিস্তানি নাগরিক বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ-উৎসব করেছেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পাক হাইকমিশনারকে জানান, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে রাখা এই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

পাকিস্তানও একই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে মর্মে দুইজনই ঐকমত্য প্রকাশ করেন।

বিগত ১৫ বছরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে শুষ্কতা পরিলক্ষিত হয়েছে, তার উত্তরণ ঘটিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানান পাক হাইকমিশনার। তাছাড়া, দুই পক্ষ পারস্পরিক ভিসা সহজিকরণের বিষয়ে সম্মত হন।

এ সময় হাইকমিশনার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তান নতুন ভিসা নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশসহ ১২৬টি দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে যাতায়াত করতে পারবে।

google-news-channel-newsasia24

বদলে যাচ্ছে পুলিশের পোশাক ও লোগো

নিজস্ব প্রতিনিধি: অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের বৈঠকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগোয় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়।

বৈঠকে পুলিশের ১১ দফা দাবির কয়েকটি অল্প সময়ের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো পূরণ করা হবে দীর্ঘ মেয়াদে।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুলিশের ওপর কোনো ধরনের হামলা চালানো যাবে না। পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।

এর আগে দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের পরিদর্শনকালে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশের পোশাক-লোগো পরিবর্তন করা হবে।

কারণ হচ্ছে, কর্মবিরতিতে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা আর এ পোশাকে ফিরতে চান না। অর্থাৎ নতুন পোশাক ও লোগো নিয়ে কর্মে ফিরতে চান। আশা করছি, খুব শিগগিরই এ বাহিনীর পোশাক ও লোগোর পরিবর্তন করা হবে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

‌‌‌‌‌‌‍দেশ ও দল বাঁচাতে, ময়দানে নামছেন হাসিনাপুত্র জয়!

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: এবার দেশ ও দল বাঁচাতে রাজনীতির ময়দানে নামবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়! সক্রিয় রাজনীতিতে নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত তিনি। নিজেই জানিয়েছেন হাসিনাপুত্র। দল আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

এই মুহূর্তে আমেরিকার ওয়াশিংটনে রয়েছেন জয়। হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। একের পর এক ভিডিও বার্তাও দিচ্ছেন।

বাংলাদেশে হামলার শিকার হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। যা নিয়ে সরব হয়েছেন হাসিনাপুত্র। রাজনীতিতে নাম লেখানোর তেমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কি সিদ্ধান্ত বদল করলেন তিনি?

এনিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে জয় জানান, “এই মুহূর্তে আমাদের দল এবং কর্মীরা সংকটে রয়েছেন। তাঁদের হিংসার হাত থেকে বাঁচাতে যা যা করার দরকার, তা আমি করব।

যদি রাজনীতিতে নামা প্রয়োজন পড়ে আমি পিছিয়ে আসব না। আমার রাজনীতিতে আসার তেমন কোনও ইচ্ছে ছিল না। আমেরিকাতেই পাকাপাকিভাবে থাকতে চেয়েছিলাম।

কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি আমাকে ভাবাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে, দেশের নেতৃত্বে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। দলের স্বার্থে আমি সক্রিয় রাজনীতির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

আরও পড়ুন:

দল ও বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচাতেই হবে। আমি সামনে এগিয়ে যাব।”

দিন দুয়েক আগেই ভিডিও বার্তায় জয় জানিয়েছিলেন, “আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা বাদ দিয়ে কোন দল যদি আলোচনার জন্য এগিয়ে আসে তা হলে আমরা সকলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশে এখন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে। সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো গণতান্ত্রিক বড় দল। আওয়ামী লীগ মরে যায়নি।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই এই দলকে কোনওদিন শেষ করা সম্ভব নয়।” ফলে এই বক্তব্য থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল যে মায়ের উত্তরসূরি হিসাবে রাজনীতিতে নামতে আগ্রহী জয়।

google-news-channel-newsasia24

প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নিলেন ড. ইউনূস

ঢাকা প্রতিবেদক: শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নিয়েছেন । অন্তর্বর্তী এই সরকারে রয়েছেন আরও ১৬ উপদেষ্টা।

আজ বৃহস্পতিবার (আগস্ট ০৮) রাত ৯টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামরিক–বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ১৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন—
১. অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল
৪. মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান
৫. সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ
৬. সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন
৭. পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আরও পড়ুন :

৮. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম
৯. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
১০. সাবেক রাষ্ট্রদূত ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা
১১. উন্নয়নকর্মী (উবিনীগ) ফরিদা আখতার
১২. জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বিধান রঞ্জন রায়
১৩. চিন্তাবিদ, লেখক ও গবেষক আ ফ ম খালিদ হোসেন
১৪. গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম
১৫. ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ
১৬. ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।

এর আগে আজ বেলা ২টার পর দেশে পৌঁছান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশের নবনিযুক্ত আইজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

google-news-channel-newsasia24

বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক:  সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিতে পারে।

আজ বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কথা জানান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আগামীকাল (অন্তবর্তীকালীন সরকার) শপথের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। একটা প্রস্তাব ছিল বিকেলে করার। বিকেলে খুব টাইট হয়ে যেতে পারে।

উনি (অন্তবর্তী সরকারের প্রস্তাবিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস) ২টা ১০ এর দিকে এখানে (ঢাকায়) আসবেন। আমরা হয়তো তাহলে রাতের বেলা, রাত ৮টার দিকে করতে পারি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কতজন উপদেষ্টা থাকবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, তার ধারণা আপাতত ১৫ জন হতে পারে।

আরও পড়ুন ;

তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনী অন্য বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে । যারা এই সমস্ত (লুটপাট, ধ্বংসাত্মক) কাজে জড়িয়েছে তাদের আমরা আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে, এটা ঘটার পেছনে কিছু কারণও আছে। পরিস্থিতি এখন অনেক শান্ত হয়ে আসছে।

খুব শিগগিরই পুলিশ তাদের দায়িত্বপালন শুরু করবে আশা প্রকাশ করে সেনাপ্রধান বলেন, পুলিশ পুনর্গঠনের কাজ চলছে। একজন পুলিশপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আমি নিশ্চিত যে পুলিশের মনোবল আবার ফেরত আসবে, পেশাদার বাহিনী হিসেবে পুলিশ ভালোভাবে আবার তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে।

পুলিশের শূন্যতা প্রসঙ্গে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, পুলিশ কিন্তু ডিউটিতে নেই। পুলিশের মতো একটা ফোর্সের অনুপস্থিতিতে যে শূন্যতা (ভয়েড) সৃষ্টি হয়েছে এই শূন্যতা সেনাবাহিনীর সক্ষমতা দিয়ে পূরণ করা সম্ভব না। তারপরও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

google-news-channel-newsasia24