শিরোনাম

জাতীয়

এ সরকারে ১৫ জন সদস্য হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, এ সরকারে ১৫ জন সদস্য হতে পারে। তবে এ সংখ্যা বেশি বা কমও হতে পারে।

আজ বুধবার (৭আগস্ট) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে সেনাসদরে বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান সেনাপ্রধান।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ড. ইউনূস আগামীকাল দেশে আসবেন। আমি তাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করবো। আশা করি আগামীকাল (৮ আগস্ট) রাত ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।

এসময় সেনাবাহিনী নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে দাবি করে গুজবে কান না দিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের সঙ্গে আছে এবং থাকবে।

এছাড়াও তিনি জানান, পুলিশ সক্রিয় হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

আরও পড়ুন ;

রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানের ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার এবং রাস্তাঘাটে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ছাত্ররা যে ভূমিকা রাখছে তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান তিনি। সেনাপ্রধান বলেন, ছাত্ররা আমাদের সাহায্য করছে। গ্রামগঞ্জে ছাত্ররা কাজ করছে। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।

তিনি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ছাত্রদের কাজের প্রশংসা করেন। ছাত্রদের তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব ইতিবাচক কাজ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

google-news-channel-newsasia24

পুলিশেও সংস্কার দাবি; ছাত্রদের সঙ্গে অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চেয়েছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়নের দাবি, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালাতে বাধ্য করা হয়েছে। দেশবাসীর কাছে ভিলেন হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া ছাত্রদের সঙ্গে অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চেয়েছে তারা।

বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ পুলিশের কর্মরত ইন্সপেক্টর থেকে অধস্তন কর্মকর্তাদের সংগঠন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এসব কথা বলেছে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরাও চাকরিজীবনে বৈষম্যের শিকার। দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হয়েছে।

আজ কথা বলার সুযোগ পেয়েছি তাই বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে সব ছাত্র জনতাকে রক্তিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

তারা বলেন, আপনারা জানেন সারাদেশে শত শত পুলিশ এরই মধ্যে শাহাদাতবরণ করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি এগুলো কোনো ছাত্রদের কাজ নয়।

নিঃসন্দেহে কোনো দুষ্কৃতকারীদের কাজ। দেশবাসী আমাদের অর্থাৎ পেশাগত বাহিনী পুলিশকে তাদের শত্রু মনে করে।

আমরা পুলিশ জনগণের সেবক। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ এ পুলিশ বাহিনীই করেছিল। যে কোনো সংকটে সংগ্রামে আমরা সবসময়ই দেশবাসীর পাশে আছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্র যে আইন তৈরি করে তা বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যমে রাষ্ট্র প্রয়োগ করে থাকে। আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে জনসাধারণের সঙ্গে রোষের সৃষ্টি হয়।

আমরা প্রকৃতপক্ষে নিয়োগের শুরু থেকেই সার্জেন্ট/সাব-ইন্সপেক্টরসহ নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীরা সিনিয়র অফিসারদের অথবা রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থ হাসিলের বাহক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হই, সেটা বৈধ হোক আর অবৈধ হোক যে কোনো আদেশই পালন করতে হয়।

‘আমাদের অফিসাররা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দলীয় পরিচয়ে দুষ্ট। আমরা বর্তমান কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ যে কোনো আন্দোলনে কোনো সাধারণ মানুষকে সরাসরি গুলি করতে না চাইলেও সেটা বাধ্য হয়ে করতে হয় দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা আপনাদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চাই, কোনোভাবেই বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্কে জড়াতে চাই না। পুলিশ বাহিনী হিসেবে নিরীহ ছাত্রদের সঙ্গে যে অন্যায় করেছে তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।

আরও পড়ুন ;

আমরা প্রতিটি পুলিশ সদস্য আপনাদেরই কারও না কারও ভাই-বোন-বন্ধু-বাবা-মা বা আত্মীয় স্বজন। আমরাও আপনাদের সমাজেরই অংশ। দেশের যে কোনো বিপদে অতীতের মতোই আপনাদের পাশে পাবেন।

হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশ। আমাদের কোনো সদস্য কোনো অন্যায় কাজ করে থাকলে তার অবশ্যই বিচার হবে।’

বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশের এ সুসময়ে আমরা থানা-ফাঁড়ি ও পুলিশি স্থাপনার নিরাপত্তা চাই। পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা চাই। গতকাল (৫ আগস্ট) ৪৫০টির বেশি থানা আক্রান্ত হয়েছে। এগুলো আপনাদেরই সম্পদ, দেশের সম্পদ।

প্রতিটি পুলিশ সদস্যের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি ঘোষণা করছি। আমরা বৈষম্যহীন পুলিশ বাহিনী চাই। পুলিশ বাহিনীর সংস্কার চাই। দেশের সবাই এ সুসময়ে একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন। বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।

google-news-channel-newsasia24

আর রাজনীতিতে ফিরবেন না শেখ হাসিনা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে গেছেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে তার লন্ডন যাওয়ার কথা রয়েছে।

এমন পরিস্থিতির মধ্যে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, তার মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে জয় বলেছেন, শেখ হাসিনা এতটাই হতাশ যে তার কঠোর পরিশ্রম করার পরও কিছু লোক তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছেন।

আরও পড়ুন:

বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসকে জয় বলেন, গতকাল থেকেই তার মা পদত্যাগের কথা চিন্তা করছিলেন। তিনি দেশ ছেড়েছেন তার নিরাপত্তার জন্য।

বিস্তারিত আসছে….

google-news-channel-newsasia24

সরকারের পদত্যাগ চেয়ে এক দফা দাবি আন্দোলনকারীদের

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারের পদত্যাগ চেয়ে এক দফা দাবির ঘোষণা দিয়েছে ।

আজ শনিবার (৩র আগস্ট) ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘোষণা করেন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

বর্তমান সরকার পদত্যাগের পর একটি জাতীয় সরকার গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ঘোষণাপত্রে তারা বলেন-

‘যেহেতু, বর্তমান সরকারের নির্দেশে নির্বিচারে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, নারী-শিশু-ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক কেউ এ গণহত্যা থেকে রেহাই পাননি;

যেহেতু, সরকার এ হত্যাযজ্ঞের বিচার করার পরিবর্তে নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে;

যেহেতু, সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হত্যাযজ্ঞ সংঘটন করেছে;

যেহেতু, ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক-মজুরসহ আপামর জনগণ মনে করছে এ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ বিচার এবং তদন্ত সম্ভব নয়;

সেহেতু, আমরা বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করছি।

একইসাথে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় সরকার গঠনের দাবী জানাচ্ছি।’

আরও পড়তে পারেন:

এসময় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা জনগণকে মুক্ত করতে আবার রাস্তায় নেমে এসেছি। আমরা আজকে এক দফা দাবিতে এখানে হাজির হয়েছি। আমরা বাংলাদেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা, সমাজের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি”।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার কোনোভাবেই আর এক মিনিটও ক্ষমতায় থাকার অধিকার রাখে না। “শেখ হাসিনা বলেছে, গণভবনের দরজা খোলা আছে। আমরা সাধুবাদ জানাই যে তিনি বুঝতে পেরেছেন গণভবনের দরজা খোলা রাখতে হবে। কারণ তার যাবার সময় হয়েছে”।

তিনি আরও বলেন, “আপনি দরজা খুলে অপেক্ষা করুন। আমরা সংলাপ না, আপনাকে উৎখাত করার জন্য আসবো। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করলেই হবে না। এই যে খুন-লুটপাট, দুর্নীতি এই দেশে হয়েছে, তার বিচার হতে হবে”।

“আমরা পদত্যাগ দিয়ে তাকে কোনো এক্সিট রুট দিতে চাই না। তাকে পদত্যাগও করতে হবে, বিচারের আওতায়ও আনতে হবে। শুধু শেখ হাসিনা না, মন্ত্রীপরিষদ, সরকার সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে। এবং এই যে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা এটাকে বিলোপ করতে হবে”।

এদিকে, আজ শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এক কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

রোববার রাজধানী ঢাকার সব ওয়ার্ডে এবং দেশের সব জেলা ও মহানগরীতে জমায়েত কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ।

পরদিন সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোকমিছিল করার কথা জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী পাঁচ আগস্ট ঢাকা সিটির সব ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জমায়েত এবং বাংলাদেশের সব জেলা ও মহানগরীতে জমায়েত। আর ৫ তারিখে আমরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে বঙ্গবন্ধু ভবন পর্যন্ত শোকমিছিল করবো।’

এছাড়াও চলমান আন্দোলনকে ঘিরে কোনো সংঘাতে জড়াতে চান না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “একদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অন্যদিকে আমরা কোনো প্রকার কনফ্রনটেশনে জড়াতে চাই না, সে কারণে আমরা সংঘাত এড়াতে আমরা কনফ্রনটেশনাল (মুখোমুখি) প্রোগ্রাম এড়িয়ে চলেছি”। (সূত্র: বিবিসি)

google-news-channel-newsasia24

ডিবি হারুনকে বদলি

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি-ডিবি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছর পর হারুন-অর-রশিদকে বদলি করা হয়েছে। তাকে ডিএমপি‘র অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন)-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

‘ডিবি হারুন’ হিসেবে বহুল পরিচিতি পাওয়া হারুন-অর-রশিদের স্থলে নতুন ডিবি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টক্স, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ম. হা. আশরাফুজ্জামান।

অন্যদিকে, আশরাফুজ্জামানের স্থলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হারুন এখন মহিদ উদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

আজ বুধবার (৩১ জুলাই) রাতে এক আদেশে এ বদলির তথ্য জানানো হয়েছে। এতে সাক্ষর করেন ডিএমপি’র কমিশনার হাবিবুর রহমান।

আরও পড়তে পারেন:

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য আলোচনা-সমালোচনায় ছিলেন হারুন-অর-রশিদ। সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’ নেওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশের দপ্তরে তাদের সঙ্গে খাওয়ার ছবি প্রকাশ করে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি।

এর পর ১৪ দলের শেষ বৈঠকে হারুনের সমালোচনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সেই সভায় খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারুনের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং তাকে সরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন।

google-news-channel-newsasia24

চট্টগ্রামে আন্দোলনে সাউন্ড টিয়ারশেল-গ্রেনেড নিক্ষেপ; আটক ১৬

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: সারাদেশে কোটা আন্দোলনকারীদের ‘গুম, খুন ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হয়েছে দাবি করে নগরের চেরাগী মোড় এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এসময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ার শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আজ সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৩টায় নগরের জামালখান এলাকার প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় তা ভেস্তে যায়। পরে তারা নগরের চেরাগি মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

সমাবেশের আগে-পরে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। তবে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চেরাগী পাহাড় মোড়ে অবস্থান নেন ২৫-৩০ জন বিক্ষোভকারী। সেখানে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আওয়ামী লীগের সমর্থনে নগরের চেরাগী পাহাড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরের জামালখান ঘুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে কয়েক মিনিট অবস্থান করে পুনরায় চেরাগী পাহাড়ের দিকে চলে যায়। সেখানে রাস্তার পাশে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান করে।

এ সময় পুলিশ দুজনকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা বাধা দেন। তাঁরা প্রিজন ভ্যানের সামনে সড়কের ওপর বসে পড়েন। তবে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের নিয়ে যায়। এরপর বিক্ষোভকারীরা মোড়ের এক পাশে সড়কে বসে স্লোগান দিতে থাকেন। এভাবে ১৫ মিনিট বসে থাকার পর পুলিশ দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিক্ষোভকারীরা জানান, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এরপর পুলিশ লাঠিপেটা করে সবাইকে সরিয়ে দেয়। এ সময় সাউন্ড গ্রেনেডে মাথায় কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ চোখে আঘাত পান। এছাড়াও একই সময় পুলিশের চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার অতনু চক্রবর্তীসহ একাধিক সদস্য আহত হয়েছে।

আরও পড়ুন ;

পরে ধাওয়া দিলে তারা বিক্ষোভকারীরা জেএমসেন হলের সামনের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যায়। বিকেল পাচঁটার দিকে নগরের আন্দরকিল্লায় একদল বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই সাংবাদিক আহত হন। তারা হলেন, দৈনিক দেশ রুপান্তরের ফটো সাংবাদিক আকমল হোসেন ও নিউজ ২৪’র ক্যামেরা পারসন মো.আবু জাবেদ।

এদিকে বিকেল তিনটার দিকে নগরের জামালখান থেকে মোবাইল চেক করে দুইজন আন্দোলনকারীসহ আটজন সদস্যকে আটক করা হয়। আটকৃতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইমন, বাকলিয়া সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির আজমাঈন করিম নিহাল ও গাছবাড়িয়া ডিগ্রি কলেঝের জুলহাজ হোসেন। তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন ;

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এ.ডি.সি কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, নগরের জামালখান ও চেরাগী মোড় থেকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ১৬ জনকে আটক করেছে। আমাদের এসি কোতোয়ালীসহ ৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

মেট্রোরেল এক বছরেও চালু করা সম্ভব হবে না: সেতুমন্ত্রী

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি আগামী এক বছরেও চালু করা সম্ভব হবে না ।

আজ শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এটা এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না বলে এক্সপার্টরা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন:

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, ওই সিদ্ধান্তের ওপর আমরা পর্যায়ক্রমে যেখানে যা করার সেটা করবো। তার সিদ্ধান্তের আগে আমরা কোনো কিছু করতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, তিনি সবকিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সশরীরে বিটিভিসহ বিভিন্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনায় গেছেন, সেগুলো প্রত্যক্ষভাবে দেখেছেন। সবকিছুর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব তার কাছে আছে। কী অবস্থায়, কখন, কোনটা চালু করা যাবে আমি এ মুহূর্তে বলতে পারছি না।

google-news-channel-newsasia24

রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অফিসের সময় ৯টা থেকে ৩ টা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আগামীকাল রবিবার থে‌কে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিন (২৮ থেকে ৩০ জুলাই) সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় নির্ধারন করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত।

আজ শনিবার (২৭ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অফিসের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করে‌ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

ছুটির অন্যান্য শর্ত আগের মতোই থাকছে। অর্থাৎ জরুরি পরিষেবা, যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস ও বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ-সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এ সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন।

আরও পড়ুন:

হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন। জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে ব‌লে জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

google-news-channel-newsasia24

আইনি প্রক্রিয়ায় সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে চলা সংকট আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালে ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার কোটা বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে। সম্প্রতি আদালত এটি বাতিল করে। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশ সহযোগিতা করে। রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে সুযোগ দেওয়া হয়। নিরাপত্তারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাস চরিতার্থ করতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেলো। আপনজন হারানোর বেদনা কত কষ্টের, আমার থেকে আর কে বেশি জানে। যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমি সব হত্যার নিন্দা জানাই।’

‘যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসব অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। কাদের উসকানিতে এই অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হলো, তা তদন্ত করে বের করা হবে’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ, ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সারাদেশে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন, ঢাকায় দুজন ও রংপুরে একজন নিহত হন। এছাড়া আহত হন আরও অনেকে।

এ অবস্থায় দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত ১১টার দিকে সরকারের এ সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এতে সই করেছেন ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান।

এরও আগে গতকাল কোটা সংস্কার আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করে সরকার।

পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দেশের সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়া চলমান এইচএসসি ও সমমানের বৃহস্পতিবারের (১৮ জুলাই) সব পরীক্ষা স্থগিত করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

ছাত্রসমাজ আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবে, বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: কোটা সংস্কারে দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ আদালতের রায় পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য আমি সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। ’

উচ্চ আদালতের রায়ে শিক্ষার্থীরা হতাশ হবে না, আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে, তাদের হতাশ হতে হবে না। ’

বিস্তারিত আসছে…