[t4b-ticker]
শিরোনাম

জাতীয়

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এই দিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিনগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এ অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করেন পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়।

অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ‘এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি’ নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুন:

এর আগে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইটের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সব পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা কে তার বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের আগে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রাতে ১ মিনিট সারাদেশে প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ঈদে বেতন-বোনাস-বকেয়া দিতে গার্মেন্টস মালিকদের ধার-দেনা

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বলা যায় এ খাতের হাত ধরেই ঘুরছে দেশের অর্থনীতির চাকা। সম্প্রতি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে খাতটি।

বিশেষ করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও অর্ডার কমে যাওয়া বাড়তি চাপে ফেলেছে মালিকদের। এছাড়া চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি- এ আট মাসে তৈরি পোশাক খাতের বড় রপ্তানির দেশগুলো থেকে কমেছে আয়। সব মিলিয়ে সংকটে রয়েছেন বলে দাবি মালিকদের।

এরই মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। সাধারণত ঈদের সময় আগের বকেয়া, বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে হয় মালিকদের। তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে মালিকদের জন্য বেতন-বোনাস পরিশোধ করা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করছেন শিল্প উদ্যোক্তারা।

আরও পড়ুন>>গাউছিয়া কাঁচাবাজারে আগুন

তারা বলছেন, ব্যাংক লোন না পাওয়ায় অনেক কারখানা মালিক ধার-দেনা করছেন বেতন পরিশোধের জন্য। এমন অবস্থায় যেভাবেই হোক ঈদের আগে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন তারা।

অন্যদিকে শ্রমিক নেতারা বলছেন, ২০ রোজার মধ্যেই শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধ করতে হবে। ঈদের আগ মুহূর্তে বেতন-বোনাস পরিশোধের আশ্বাস দিলেও অনেক কারখানাই শতভাগ পরিশোধ করে না।

ছুটি হয়ে যাওয়ায় শ্রমিদের দাবি-দাওয়া নিয়েও কোনো সুরাহা করা যায় না। তাই ঈদের আগ মুহূর্তে নয়, অন্তত ১০ দিন আগে দিলে তারা কাজের ফাঁকে সুবিধা মতো কেনাকাটা করতে পারবেন।

আরও পড়ুন>>হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে : নজরুল ইসলাম খান

এ বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ২০ রোজার মধ্যে পোশাক কারখানায় পূর্ণাঙ্গ বোনাস দিতে হবে। একই সঙ্গে এপ্রিল মাসের অর্ধেক বেতনসহ সব বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।

এর মাধ্যমে শ্রমিক ভাই-বোনেরা নিজ পরিবারের সঙ্গে ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে। আর কোনো সমস্যা যদি থেকেই যায়, তাহলে তার সমাধানও আগে থেকেই করতে হবে। কোনো শ্রমিক যেন হয়রানির শিকার না হয়।

কথা হয় মমসন সার্ভিসেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুশরাত বারী আশার সঙ্গে। বিজিএমইএ’র এ পরিচালক বলেন, বর্তমানে পোশাক খাত কঠিন চ্যালেঞ্জে রয়েছে।

আরও পড়ুুন>>সেহরিতে কী খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা?

কারখানায় ইউটিলিট খরচ বেড়েছে, বেতন বেড়েছে। ব্যাংক লোনের সুদহারও বেড়েছে। এরপরও মালিক চায় তার শ্রমিক সুখে থাক। কারণ শ্রমিককে নিয়েই কারখানা।

তিনি বলেন, কোনো কারখানা ধ্বংস হোক এটা মালিক চায় না। এখন আমাদের সমস্যা হলো চতুর্মুখী। জাতীয় নির্বাচনের পর এখন অর্ডার মাত্র আসা শুরু হয়েছে।

কারখানা মালিকরা জানুয়ারির অর্ডার নিতে পারেননি। এখনকার অর্ডারের অর্থ আসবে জুনে। কিন্তু সুদহার ও ইউটিলিটি খরচ বৃদ্ধি পরিস্থিতি কঠিন করে দিয়েছে উদ্যোক্তাদের।

আরও পড়ুন>>সেহেরি এবং ইফতারের সময় সূচি-২০২৪

শ্রমিকের কারখানার প্রতি মায়া থাকতে হবে। তবে পরিস্থিতি আরও কঠিন সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করা ব্যবসায়ীদের। তারা তৃতীয় পক্ষের কাজ করেন, অর্থ আনেন তারপর শ্রমিক পান। অনেক সময় পেমেন্ট পেতেও দেরি হয়ে যায় তাদের।

তবে এসব সমীকরণ বাদ দিয়ে ঈদের আগে ছোট-বড় বা সাব-কন্ট্রাকট, সব কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি করেছেন শ্রমিক নেতারা।

শ্রমিক নেতা মঞ্জুর মঈন বলেন, সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে যে কাজ করেন তিনি তো কোনো না কোনো বড় কারখানার কাজই করেন। তাদের রপ্তানিতে সারা বছর সাপোর্ট করে থাকেন। তাহলে সেই কারখানা বা তাদের সংগঠন কেন ঈদের বোনাস-বেতনের দায়ভার নেবে না্

এ নিয়ে আলফি ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল, যিনি সাব-কনট্রাক্টে কাজ করেন, তিনি বলেন, আমরা বড় বড় কারখানার কাজ নিয়ে সেগুলো উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।

আরও পড়ুুুন>>গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ

এক্ষেত্রে ছুটির দিনে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয় বা বেতন আগে, বোনাস পরে দেওয়া হয়। কারণ অনেক সময় পেমেন্ট পেতে হলে সেটাতো কিছুটা দেরি হয়ই। আমরা শ্রমিকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই এটার সমাধান করে থাকি। এবার সমস্যা হবে না আশা করছি।

পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, শ্রম মন্ত্রণালয় পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় যা গত ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। কিন্তু ক্রেতারা এ নিয়ে সেভাবে এগিয়ে আসেনি, পোশাকের দাম বাড়ায়নি।

পণ্যের দাম বাড়েনি, উল্টো উৎপাদন খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক লোনের জটিলতাও রয়েছে। আবার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এ খাতের বড় গন্তব্যের দেশগুলোতে আয় কমেছে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি, বিজিএমইএ’র সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, এখন খুবই খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ব্যাংক লোনের সুবিধা নেই, সুদহার বেড়েছে, পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়েছে।

এখন কারখানা মালিকরা ধার-দেনা করছেন ঈদ বোনাস-বেতন-বকেয়া পরিশোধ করার জন্য। ব্যাংক সুবিধা না থাকায় যে যার মতো করে ধার করছেন শ্রমিকদের ভালো রাখতে। আমরাও মনিটর করছি সদস্য কারখানাগুলোকে। আশা করছি শতভাগ কারখানায় সময় মতো বেতন-বোনাস হবে।

google-news-channel-newsasia24

আজ ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ দেশের আটটি বিভাগেরই কোথাও কোথাও দমক অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটি বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ৬ মিলিমিটার। এ ছাড়া ঈশ্বরদীতে ১ ও যশোর ও তাড়াশে সামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুই এক জায়গায় আজ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন>>গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, রাঙ্গামাটি ও নীলফামারী জেলাসহ সীতাকুণ্ড অঞ্চলের ওপর দিয়ে আজ মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুর, সীতাকুণ্ড ও রাঙ্গামাটিতে ৩৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন>>ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করলেন মেডিকেল শিক্ষক!

আগামীকাল বুধবার রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

google-news-channel-newsasia24

গুলির ভয় দেখিয়ে আমাদের সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে, আর হয়তো কথা হবে না: এমভি আব্দুল্লাহর চিফ অফিসার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: “ওরা বন্দুক নিয়ে আমাদের ঘেরাও করে ফেলেছে। আমরা সবাই জিম্মি। আমাদের সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর হয়তো তোমাদের সাথে কথা হবে না।”

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা দখলে নেয়ার সময় বাংলাদেশি কোম্পানির মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান কথাগুলো বলছিলেন তার মা শাহানুর বেগমের কাছে।

বুধবার সকালে বিবিসি বাংলার কাছে এসব কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। এসময় তিনি বলেন, “তার সাথে যখন কথা বলি তখনও তার ফোন খোলা ছিল। আমরা তখন ইফতার করছিলাম।”

ইফতারের পাঁচ মিনিট পরে আতিকুল্লাহ খান একটি ভয়েজ এসএমএস পাঠান তার স্ত্রীর কাছে। যেখানে তিনি বলেন, “আমাদের ফোন নিয়ে ফেলতেছে মনে হয়। দোয়া কইরো। ফোন নিয়ে যাচ্ছে।”

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর সন্ধ্যা পর্যন্ত অনেকেই তাদের পরিবার কিংবা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সাথে হোয়াটসঅ্যাপের ফোন কিংবা ভয়েজ এসএমএস’র মাধ্যমে যোগাযোগ করেন।

কিন্তু সন্ধ্যার পর আর যোগাযোগ করতে পারেনি তারা। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ওই জলদস্যুরা সবার ফোন কেড়ে নেয়।

জাহাজটি এখন কোথায় আছে আর কেমন আছে জিম্মি ২৩ নাবিক? এ বিষয়ে মালিকানা প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম’র মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “একটি গোপন ডিভাইসের মাধ্যমে আমরা গভীর রাতে একজন জিম্মি নাবিকের সাথে কথা বলেছি। তারা সবাই সুস্থ আছে। এখনো কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবি করেনি।”

google-news-channel-newsasia24

নাবিকরা জিম্মি হওয়ার পর থেকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে পরিবারে। এই অবস্থা থেকে তারা কবে মুক্তি পাবে জানতে পরিবার ভিড় করছে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে কেএসআরএম’র অফিসের সামনে।

এমন পরিস্থিতিতে বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “জাহাজটি এখনো জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণেই আছে। ২৩ জন জিম্মি নাবিকের জীবন রক্ষা করে নিরাপদে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।”

দখলে নেয়ার পর গতকাল সন্ধ্যা থেকে জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো জলদস্যুরা।

বাংলাদেশ নৌপরিবহন অধিদপ্তরে মহাপরিচালক কমোডোর এম মাকসুদ আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে বতর্মানে ৪৮০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে অবস্থান করছে জাহাজটি। গতিপথ দেখে মনে হচ্ছে জলদস্যুরা এটিকে সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।”

আরও পড়ুন:
পরের খবর আগে

  |

রমজানে খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  |

তিন দিনেও নেভেনি আগুন, বর্জ্যে মরছে কর্ণফুলীর মাছ

  |

চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে মামলা দেন এজে আর কুরিয়ারের রিয়াদ

পরের খবর আগে

Guns are driving us towards Somalia, no more talk MV Abdullah's chief officer newsasia24 2

ফাঁকা গুলি ও ভয় দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় দস্যুরা

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে ওঠে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে ৫৫ হাজার টন কয়লা ছিল। এই জাহাজে থাকা ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।

জলদস্যুরা জাহাজটি দখলে নেয়ার পর জাহাজের চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের চেষ্টা করেন। পুরো পরিস্থিতি বর্ণনা করে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠানকে গোপনে একটি অডিও বার্তাও পাঠান।

অডিও বার্তায় খান বলছিলেন, “সকালে জাহাজের সময় আনুমানিক সাড়ে দশটায়, জিএমটি ৭.৩০মিনিটের সময় একটি হাইস্পিড স্পিডবোট আমাদের দিকে আসছিলো। তখন সাথে সাথে অ্যালার্ম দিলাম। আমরা সবাই ব্রিজের দিকে গেলাম।”

“তখন ক্যাপ্টেন আর সেকেন্ড অফিসার ব্রিজে ছিল। আমরা ঝিকঝাক কোর্স করলাম। তারপর এএমএস-এ করলাম। ইউকে এমটিকেও ট্রাই করলাম। কিন্তু তারা ফোন রিসিভ করেনি। এর মধ্যে জলদস্যুরা চলে আসলো।”

অডিও বার্তায় মি. খান জানান, “চলে আসার পর ওরা ক্যাপ্টেন স্যার ও সেকেন্ড অফিসারকে জিম্মি করে। আমাদের ডাকলো। আমরা সবাই আসলাম। আমাদের ডেকে কিছু ফাঁকা গুলি করলো। আমরা একটু ভয় পেয়েছি। সবাই ব্রিজে বসে ছিলাম। কারো গায়ে হাত তোলেনি। শুধু সেকেন্ড অফিসারকে একটু মারধর করেছে। তারপর আরেকটি স্পিডবোটে করে আরও কয়েকজন চলে আসলো। এভাবে একটু সময়ের মধ্যেই প্রায় ১৫-২০ জন চলে আসে।”

“এর কিছুক্ষণ পরে একটি বড় ফিশিং বোট আসলো। এটা ছিল একটা ইরানিয়ান ফিশিং বোট। এই বোটটি নাকি তারা আরও একমাস আগে ক্যাপচার করেছিলো। তারা এটাতেই ছিল। এটি দিয়ে তারা এক মাস ধরে নতুন কোনো জাহাজ খুঁজতেছিলো। আনফরচুনেটলি ওরা আমাদের জাহাজে আসলো।”

চিফ অফিসার মোহাম্মদ আতিকুল্লাহ খান অডিও বার্তায় আরও বলেন, “এই ফিশিং বোটের তেল শেষ হয়ে গিয়েছিল। এখন আমাদের জাহাজ থেকে ওরা ডিজেল নিচ্ছে। আমরা আমাদের পাম্প থেকে ওদের ডিজেল দিচ্ছি। এছাড়া ওদের কোনো নেয়ার সিস্টেম নাই। তারপর ওরা জাহাজ স্টপ করালো। এরপর সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার, থার্ড ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে ইঞ্জিন রুমে গেলো।

তারপর জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়। এখন পর্যন্ত জাহাজের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এবং আল্লাহর রহমতে আমাদেরও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে সবাই একটু ভয় পাচ্ছে। ওরা ভয় দেখাচ্ছে।”

google-news-channel-newsasia24

মি. খান তার অডিও বার্তায় জানান, জাহাজে ২০-২৫ দিনের খাবার দাবার মজুদ আছে। ২০০ মেট্রিক টন খাবার পানি আছে। আমরা সবাইকে বলছি ফ্রেশ ওয়াটার সেফলি সবাইকে ইউজ করতে। আমরা এগুলো ওভাবেই হ্যান্ডেল করবো। তবে, একটা সমস্যা হচ্ছে জাহাজে কোল্ড কার্গো আছে প্রায় ৫৫ হাজার টন। এটা ডেঞ্জারাস কার্গো। এতে ফায়ারেরও ঝুঁকি আছে। এতে মিথেন কনসেনট্রেশনও বেড়ে যায়। লাস্ট যখন অক্সিজেন মাপা হয় তখন ৯-১০ শতাংশ লেভেল ছিল।

মালিকপক্ষের কাছে পাঠানো অডিওর শেষ দিকে তিনি বলেন, “আমাদের জন্য দোয়া করবেন, স্যার। আমাদের পরিবারকে একটু দেখবেন, স্যার। সান্ত্বনা জানাবেন, স্যার। আসসালামু আলাইকুম।” সূত্র: বিবিসি

ইফতার পার্টির টাকা দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ইফতার পার্টি না করে সেই টাকা দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ান।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আজকে একটা আবেদন জানিয়েছেন যে, বিশেষ করে তিনি ইতোমধ্যে ইফতার পার্টি না করার জন্য একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:

পরের খবর আগে
  |

রমজানে খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  |

তিন দিনেও নেভেনি আগুন, বর্জ্যে মরছে কর্ণফুলীর মাছ

  |

চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে মামলা দেন এজে আর কুরিয়ারের রিয়াদ

পরের খবর আগে

তিনি বলেছেন যে, যারা আগ্রহী বা যাদের সাধ্য আছে, তারা যেন সাধ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। ইফতার পার্টির যে টাকা, সেটি নিয়ে যেন মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

google-news-channel-newsasia24

মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটি হচ্ছে— জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমবায় নিয়ে একটি স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্নের আলোকে যাতে করে কৃষি ভিত্তিক সমবায় গড়ে তোলা যায়, সেই জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং পল্লী উন্নয়ন বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

রমজানে খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আজ মঙ্গলবার (১২ মার্চ ২০২৪ ) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে এ আদেশ দেন।

এর আগে, গত ১০ মার্চ রমজান মাসজুড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখা সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

এক অভিভাবকের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১০ মার্চ বিচারপতি হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আরও পড়ুন:

প্রসঙ্গত, ০৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। তাদের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।

এ দিন লাখ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে এই মহান নেতা বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ মার্চ দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ পরবর্তীতে স্বাধীনতার সংগ্রামের বীজমন্ত্রে রূপ নেয়। এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের একটি সম্ভাবনাও তৈরি করে।

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এ ছাড়াও এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

আরও পড়ুন>>তিন দিনেও নেভেনি আগুন, বর্জ্যে মরছে কর্ণফুলীর মাছ

একাত্তরের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর এই উদ্দীপ্ত ঘোষণায় বাঙালি জাতি পেয়ে যায় স্বাধীনতার দিক-নির্দেশনা। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ ঘরে ঘরে চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর এই বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে বাঙালি জাতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। যুগ যুগ ধরে শোষিত-বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত মুক্তির লক্ষ্যে।

১৯৪৭ সালে ধর্মীয় চিন্তা, সাম্প্রদায়িকতার মানসিকতা ও দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে গঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিসত্ত্বা, জাতীয়তাবোধ ও জাতিরাষ্ট্র গঠনের যে ভিত রচিত হয় তারই চূড়ান্ত পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর সর্বস্তরের বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

আরও পড়ুন>>চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে মামলা দেন এজে আর কুরিয়ারের রিয়াদ

বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে বাঙালি জাতি। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গর্জে ওঠে উত্তাল জনসমুদ্র। লাখ লাখ মানুষের গগনবিদারী শ্লোগানের উদ্দামতায় বসন্তের মাতাল হাওয়ায় সেদিন পত্ পত্ করে ওড়ে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত লাল-সবুজের পতাকা।

লক্ষ শপথের বজ্রমুষ্ঠি উত্থিত হয় আকাশে। সেদিন বঙ্গবন্ধু মঞ্চে আরোহণ করেন বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে। ফাগুনের সূর্য তখনো মাথার ওপর। মঞ্চে আসার পর তিনি জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন।

আরও পড়ুন>>ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করলেন মেডিকেল শিক্ষক!

তখন পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লাখ লাখ বাঙালির ‘তোমার দেশ আমার দেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ, তোমার নেতা আমার নেতা শেখ মুজিব, শেখ মুজিব’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।

তিনি দরাজ গলায় তার ভাষণ শুরু করেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি’ এরপর জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার মহাকাব্যের কবি ঘোষণা করেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম…, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তার ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

আরও পড়ুন>>চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘ভাইয়েরা আমার, আমি প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না, মানুষের অধিকার চাই। প্রধানমন্ত্রিত্বের লোভ দেখিয়ে আমাকে নিতে পারেনি। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে দিতে পারেনি। আপনারা রক্ত দিয়ে আমাকে ষড়যন্ত্র-মামলা থেকে মুক্ত করে এনেছিলেন। সেদিন এই রেসকোর্সে আমি বলেছিলাম, রক্তের ঋণ আমি রক্ত দিয়ে শোধ করবো। আজো আমি রক্ত দিয়েই রক্তের ঋণ শোধ করতে প্রস্তুত।’

তিনি বলেন, ‘আমি বলে দিতে চাই আজ থেকে কোর্ট-কাচারি, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সব অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। কোনো কর্মচারী অফিসে যাবেন না। এ আমার নির্দেশ।’

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সর্বশেষ দু’টি বাক্য, যা পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিক-নির্দেশনা ও প্রেরণার হাতিয়ারে পরিণত হয়। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয়বাংলা’।

google-news-channel-newsasia24

Follow

চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে মামলা দেন এজে আর কুরিয়ারের রিয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০৫০ সালে বাংলাদেশের সকল জেলার বেকারদের দিবেন তিনি কর্মসংস্থান,করবেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন । দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে কীভাবে এই দেশকে জাগিয়ে রাখা যায় সেই গবেষণা থেকেই একটি থিউরি আবিষ্কার করেন এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রতারক সামসু উদ্দিন আহমেদ রিয়াদ(৪৫)।

নিজ থিউরি অনুযায়ী প্রতারক রিয়াদ বিভিন্ন জেলার কমশিক্ষিত বেকাদের চাকুরী দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসেন ঢাকায় । চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে প্রতারক রিয়াদ নেন ব্ল্যাঙ্ক চেক ও ৩/৪ টা করে ফাঁকা স্ট্যাম্প। চাকুরীতে কিছুদিন যেতে না যেতে বিভিন্ন অজুহাতে রিয়াদ তাদের করেন চাকুরীচ্যুত।

পরবর্তিতে রিয়াদ ফিরেন তার পূর্ণরূপে, ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে রিয়াদ দেন চেক ডিজনার মামলা। চেক মামলায় রায় হয়ে যাবে ভয় দেখিয়ে রিয়াদ আদায় করেন টাকা। কুরিয়ার সার্ভিস নয় যেনো মামলার হাট বসিয়েছেন রিয়াদ। যে-হাটে একবার ক্রেতা হয়ে ঢুকলে আপনাকে মামলা নিয়ে বাড়ি যেতে হবে। মামলা ছাড়া আপনাকে বাড়ি ফিরতে দিবে না রিয়াদ।

সাম্প্রতিক সময়ে মাসুদ হোসাইনসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী ডিএমপির পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ করলে উঠে আসে এমনই এক চঞ্চল্যকর তথ্য।

এই বিষয়ে এজে আর কুরিয়ার সার্ভিস এর সাবেক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে একটা চুরির মামলা দিয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা চুরির মামলায় ১ মাস জেল খেটে জামিনে বের হলে পূনরায় আমায় দেয় আরেকটি চেকের মামলা উক্ত চেক মামলায় দেখানো হয় ১৩ লক্ষ টাকা, চুরির মামলা কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি বলে মামলাটি আদালত থেকে খালাস হয়ে যায় ।

Courier service is not a court of law! newsasia24

আরও পড়ুন: 

পরবর্তিতে আমাকে উক্ত চেকের মামলা রায় হয়ে যাবে বলে ভয় দেখি এক পর্যায়ে আমি ৪ লক্ষ টাকা রফাদফা করি, ৪ লক্ষ টাকা আমি গ্রামে বাড়ি থেকে দার দেনা লোন করে এনে দিলে ও এখনও আমায় দেয় নি কোনো লিখিত কাগজ,কাগজ চাইলে ও বলে পরে আসেন ।

আরেকজন ভুক্তভোগী এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের সাবেক কর্মকর্তা রুবেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিউজ এশিয়া২৪কে বলেন,আমাকে প্রথমে ৮ লক্ষ টাকার একটি চুরির মামলা দেয় রংপুরে আমি ৪৪ দিন কারাগারে ছিলাম,জামিনে বের হওয়ার পর ঐ যে আমার চাকুরী তে যোগদানের সময় একটি ব্ল্যাংঙ্ক চেক ছিলো সেই চেকে আমাকে আবার ১৬ লক্ষ টাকার আরেকটি মামলা দেয় ঢাকার আদালতে ।মামলা তুলার জন্য বারবার অফিসে গেলে আমার কাছ ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে।

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের আরেক ভুক্তভোগি সাবেক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন(২৫) সুপারভাইজ তিনি বলেন এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের মামলাবাজ এমডি আমাকে মোট ৫ টা মামলা দিয়েছে একটা চুরির মামলা,একটা হাফ মার্ডার মামলা,একটা অপহরন মামলা,২ টা চেক এর মামলা ।সুধু দর্শন মামলা দেওয়া বাদ ছিলো বলে জানান তিনি ।

আরেক ভুক্তভোগী মাসুদ হোসাইন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ২০১১ সাল থেকে এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মরত ছিলাম,চাকুরী তে নিয়োগের সময় কোম্পানিটি আমার একটি ব্লাঙ্ক চেক রাখে ফেরতযোগ্য বলে।কোম্পানীটির বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি দেখে চাকুরী থেকে অব্যহতি দেই ।

অব্যহতির ২ বছর পর কোম্পানীটি তে থাকা আমার ঐ ব্লাঙ্ক চেকে আমাকে ২৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০০ টাকার একটি মামলা দেয় ।কাগজে কলমে উল্টো কোম্পানীটির কাছে আমি ৫ মাসের বেতন পাই সেটা না দিয়ে উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে প্রতিনিয়ত।তাই আমি কোম্পানীর মামলাবাজ মালিক রিয়াদের যথাযত শাস্তি দাবী করছি।

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার(জিএম) মাহবুবুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কোম্পানীটি তে শুরু থেকে কাজ করে আসছি জিএম হিসেবে,কোম্পানীতে নিয়োগের সময় আমরা প্রতিটি স্টাফদের কাছ থেকে ২ বা ৩ টি ব্লাঙ্ক চেক ও ফাঁকা ৩/৪ করে স্ট্যাম্প নিয়ে থাকি,যারে করে ঐ স্টাফ গুলো চাকুরী ছেড়ে চলে যেতে চাইলে বা চলে গেলে আমরা ঐ চেকে তাদের নামে মোটা অংক বসিয়ে মামলা দিয়ে দেয় মালিক রিয়াদ সাহেবের পরামর্শে।স্টাফদের চেক ও স্ট্যাম্প রিয়াদ তার কাষ্টোরিতে রাখে বলে ও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: 

ভ্যাট ট্রেক্স কিভাবে দেয় সেটা জানতে চাইলে তিনি বলে কি আর বলবো ভাই মানুষের ভিতরে একটা মনুষ্যত্ববোধ থাকে না তার ভিতরে মনুষ্যত্ববোধ ও নাই ।রিয়াদ সাহেব সরকার’কে কি পরিমান ভ্যাট ফাঁকি দেয় তা আপনাদের বলে বুজাতে পারবো না।মাসে তার ইনকাম ১২ কোটি টাকা সরকার কে ভ্যাট দেয় রিয়াদ ১ লক্ষ টাকা।

স্থাপনার ভ্যাট না দেওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশে প্রতিটি অফিসের ডিড দুই নাম্বার করছে সরকার কে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া জন্য ।বরিশাল সহ বেশ কয়েক জেলায় এরই মধ্য ভ্যাটের লোক হানা দিয়ে তার আসল রহস্য উদঘাটন করে পেলেছে কুড়িগ্রামে এরই মধ্যে দুই নাম্বার ডিট দেওয়ার জন্য বড় অংকের জরিমানা ও দিয়েছে রিয়াদ সাহেব। হাজারীবাগ অফিসের ভাড়া দেখায় ৬ হাজার টাকা হাজারীবাগ অফিসের ভাড়া দেয় ৬ লক্ষ টাকা ।মালিটোলা অফিসের সেল আছে ৩০ লক্ষ টাকা ঐখানে সেল দেখায় ১৫ হাজার টাকা।

আরেকটা গুরুত্বপূন্য তথ্য হলো এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে তার ফিটনেস বিহীন কাবার ভ্যান এর সংখ্যা একশত(১০০) এর অধিক ।ফিটনেস না থাকা সত্তেও এই কাভারভ্যান গুলো সারা বাংলাদেশে তার মাসিক হারে চলে যেটাকে আমরা মান্তলী বলি।রাস্তায় সার্জেট পুলিশ ধরলে তাদের একটি মান্তলী কাগজ দেখায় যেই কাগজ প্রতিটি গাড়িতে থাকে ।মাস শেষে প্রতিটি সার্জেন্ট টিআইদের বিকাশ নাম্বার টাকা পাঠিয়ে দেন রিয়াদ সাহেব।

যে পরিমান অনিয়ম রিয়াদ সাহেব করেন তা আপনাদের বলে বুজানো যাবে না তবে এইভাবে একটা কোম্পানী চলতে পারে না।

সরজমিনে খবর নিয়ে জানা যায়, প্রতারনার মাধ্যমে রিয়াদ আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা ।আয়ের মূল উৎস হলো সারাদেশে বিভিন্ন জেলা থেকে মাদক আনা-নেওয়া ডেলিভারী করা,মেয়াদ উত্তীর্ন ওষুধ,মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার,ট্রেক্স ফাঁকি দেওয়া সিগারেটসহ সকল ধরনের অবৈধ মালামাল রিয়াদ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌছে দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে । বেশ কয়েকবার রিয়াদের বিভিন্ন শাখা অফিস থেকে বিপুল পরিমান মাদক,মেয়াদ উত্তীন ভেজাল ওসুধ মাদকসহ নানা অবৈধ মালামাল জব্দ করেছে র‍্যাব,পুলিশ,মহানগর ডিবিসহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

প্রতারনার টাকায় রিয়াদ ঢাকাসহ নিজ এলাকা নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায় ও নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড় ও ক্রয় করেছেন বিঘায় বিঘায় জমি ।আত্মসাৎ ও প্রতারনার টাকায় রিয়াদ চড়েন কালো রংয়ের ল্যান্ড ক্রুজার প্যারাডো গাড়িতে ।

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া প্রতারক রিয়াদ এর এমন উত্থান দেখে হতবাগ তার নিজ এলাকার লোকজন,অনেকে বলছেন আলাউদ্দিন এর আর্চর্য চেরাগ পেয়েছেন রিয়াদ । তা নাহলে এতো তাড়াতাড়ি রিয়াদ কিভাবে হয় এতো সম্পদ এর মালিক ? নতুন হাতিয়ার হিসেবে রিয়াদ নেমেছেন এখন রাজনীতির মাঠে দুই হাতে টাকা উড়াচ্ছেন রাজনীতির মাঠে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা ।

সেনবাগ উপজেলার বেশ কয়েকজন নবীন ও প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, রিয়াদের সাংগঠনিক কোনো পদ-পদবী নেই অবৈধ উপায়ে কিছু টাকা ইনকাম করছে তা দিয়ে নিজেকে নেতা বানানোর মিথ্যা চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।মেম্বার হওয়ার যার ক্ষমতা নেই তিনি কিভাবে হবে উপজেলার চেয়ারম্যান ?এটা তো ভাবায় যায় না।এমন লোক কে আমরা সবাই বয়কট করলাম ।

আরও পড়ুন:

প্রতারক রিয়াদের বিরুদ্ধে রয়েছে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার অভিযোগ,গত ৭/২/২০১৮ সালের কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট,ঢাকা কর ফাঁকির দায়ে রিয়াদ কে (৫,৩২,৬২,৬২৫,৬৪) পাঁচ কোটি বত্রিশ লক্ষ বাষট্টি হাজার ছয় শত পঁচিশ টাকার ভ্যাটের মামলা ।যা না দিয়ে রিয়াদ করেছে ব্যবসা।

রিয়াদের বিরুদ্ধে রয়েছে ২ অক্টোবর-২০২০ সালের ৪২০/৪৬৮/৪৭৩/৫০৬/১০৯ পেনাল কোর্ড যোগসাজসে সরকারী সিল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়,ডিএমপি কমিশনার,ঢাকা রেন্জ ডিআইজির সীল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা ।এতো অভিযোগের পর ও প্রতারক রিয়াদ আছেন বহাল তবিয়তে ?

প্রতারক রিয়াদ গড়ে তুলেছেন অপরাধ চক্র ।তার চক্রের অন্যতম মূলহোতা গিয়াস উদ্দিন শেখ,যার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলাসহ প্রতারনার মামলায় বেশ কয়েকদিন গিয়াস উদ্দিন শেখ ও আল-মামুন জেল খেটেছেন।কিন্তু জেল খাটে নি প্রতারক রিয়াদ ,হাইকোর্ট থেকে জামিন নিলে ও উক্ত মামলার সার্জসিট ভুক্ত আসামী রয়ে গেছেন প্রতারক সামসু উদ্দিন রিয়াদ ।উক্ত চক্রের সদস্য আল মামুন,শিমুল,রাকিব নুরে আলমসহ রয়েছেন বেশ কয়েকজন।

চেক মামলার রায় করতে পারলে টাকার গুলো ভাগ-ভাটোয়ারা হয় সবার মধ্য এমনই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মহানগর পুলিশ ।

আরও পড়ুন:

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতারক রিয়াদের বিষয়ে জানতে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃআশরাফ বলেন,এমই এক অভিযোগ আমরা ডিএমপি কমিশনার স্যারের অফিস থেকে পেয়ে আমরা তদন্ত করছি সত্যতা পেলে নিয়মিত মামলা নিবো।

এই বিষয়ে রিয়াদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদউত্তর দিতে পারেননি।

 

প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ রবিবার (৩ মার্চ) থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। তিনি বলেছেন, রমজান মাসের বাইরেও নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

শনিবার (২ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব গ্রাসরুট উইমেন এন্টারপ্রেনার্স বাংলাদেশ’ আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার থেকে ভোজ্যতেলের বিষয়ে মনিটরিং শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকেও সব মিলগেটে টিমগুলো মনিটরিং করছে। ট্যারিফ কমানোর পরে কত মাল তারা আমদানি করেছে ,তা কতটা কাজে লাগিয়েছে, সে বিষয়ে এরইমধ্যে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।

আমি মনে করি, আগামীকাল থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৩ টাকায় বিক্রি হবে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৪৯ টাকায়।

আরও পড়ুুুুুন>>মুসলিম নাকি হিন্দু? খোকসার বৃষ্টি খাতুন

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী আমাদের জন্য পেঁয়াজ ছাড় করার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি সেখানে বসেই পেঁয়াজ ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা গতকাল সে চিঠি পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট—রমজানে যেন ভোক্তাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে না হয়। তেলে ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর চিঠি দিয়েছি, যার প্রভাব রমজানে পড়বে। খেজুর প্রায় ১০ প্রকার আছে।

ব্যবসায়ীদের এক মাস সময় দিয়েছি দাম কমানোর। বস্তায় আসা জায়েদি খেজুরের দাম আগামীকাল নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। আশা করছি, এর পর দাম কমে আসবে। অর্থাৎ এ সপ্তাহ থেকে সর্বোচ্চ খুচরা ও পাইকারি মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এতে দাম কমবে।

আরও পড়ুন>>কনসার্টে নিয়ে তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের সমস্যা নিরসন করে দেবো । যৌক্তিক কারণ ছাড়া রমজানে কোনো নিত্যপণ্য দেরিতে ছাড়ের সুযোগ নেই।

আমাদের টার্গেট শুধু রমজান নয়, রমজান মাসের পরও নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ—কোনো ব্যবসায়ী বা গোষ্ঠীর হাতে সাধারণ মানুষ জিম্মি থাকবে না। ১ কোটি মানুষ ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি থেকৈ তেল-চিনিসহ কয়েকটি নিত্যপণ্য পাবেন।

google-news-channel-newsasia24

Follow

আজ রবিবার (০৩ মার্চ ) নামাজের সময়সূচি

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আজ রবিবার (০৩ মার্চ ) ২০২৪, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩০ , ২১ শাবান ১৪৪৫। ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ-

আজকের নামাজের সময়সূচি-

আজ সূর্যোদয়- ৬:১৮ মিনিট

আজ সূর্যাস্ত- ৬:০৫ মিনিট

ফজর- ৫:০৪ মিনিট

জোহর- ১২:১৩ মিনিট

আসর- ৪:২৪ মিনিট

মাগরিব- ৬:০৫ মিনিট

এশা- ৭:১৮ মিনিট

সকল বিভাগীয় শহরের জন্য উপরের সময়ের সঙ্গে যে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা নিম্নরূপ:

যোগ করতে হবে যেসব বিভাগের জন্য-

খুলনা: +০৪ মিনিট

রাজশাহী: +০৮ মিনিট

রংপুর: +০৫ মিনিট

বরিশাল: +০১ মিনিট

বিয়োগ করতে হবে যেসব বিভাগের জন্য-

চট্টগ্রাম: -০৬ মিনিট

সিলেট: -০৫ মিনিট

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

Follow