শিরোনাম

আমদানি-রপ্তানি

আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি বন্ধ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে সস্তায় পোশাক পায় বলে কেনে আমেরিকা। সুতরাং সে দেশের সরকার বললেই পোশাক রপ্তানি বন্ধ হবে না বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।america-poshak-roptani-bpndo-hobe-na-pororashtro-montri-newsasia24বাংলাদেশের পোশাকশিল্প মালিকদের ডায়নামিক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একসময় আমাদের ভয় ছিল যে আমেরিকা কোটা সিস্টেম উঠিয়ে দিলে না জানি কী ভরাডুবি হবে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে শোরগোল উঠেছিল।

পরে দেখা যায়, আমাদের ব্যবসায়ীরা এত স্মার্ট যে কোটা সিস্টেম উঠিয়ে দেওয়ার পরে তারা রপ্তানি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিলো।

আরও পড়ুন>>২০৮ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার টাকার সয়াবিন কিনবে সরকার

আমাদের গতিশীল প্রাইভেট সেক্টরের ওপর আমার আস্থা আছে। আমি বিশ্বাস করি, আমেরিকার সরকার বললেই এটা বন্ধ হবে না। কারণ ওখানের প্রাইভেট খাতগুলো তাদের সরকারকে অনেকসময় পাত্তাই দেয় না। আর তারা কেনে, কারণ তারা সস্তায় পায়।’

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শ্রমনীতি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এক চিঠিতে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস। এটা কী কারণে জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘দুনিয়ার মজদুরদের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র একটি ভালো কাজ করছে বলে আমি শুনেছি। আপনাদের মনে হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট লিডন বি. জনসন যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি দুনিয়া থেকে দারিদ্র্য দূর করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। এটা বড় কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচির কারণে আমরাও উপকৃত হয়েছি।’

আরও পড়ুন>>ভারতের চাল রপ্তানি নিষিদ্ধকরণ ও শুল্ক আরোপ: চাল রপ্তানি কমবে ১৯ লাখ টন

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো সবচেয়ে ধনী দেশ, যেখানে তাদের মাথাপিছু আয় ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার, সেই দেশও যদি দুনিয়ার মজদুরদের জন্য, তাদের জীবনমানের উন্নয়নের জন্য একটি ভালো কর্মসূচি নিয়ে আসে, সেটা অনেক বড় উদ্যোগ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর সবার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক আমেরিকা। তারাই শেষ আশ্রয়, জীবনের শান্তির জন্য। তারা যদি এমন সুন্দর সুন্দর কর্মসূচি নিয়ে আসে, আমরা অবশ্যই স্বাগত জানাবো। আমরা চাই, দুনিয়ার সব শ্রমিকরা ভালো থাকুক।’

তবে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে যে চিঠি দিয়েছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেন ।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা চাই না আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হোক। তৈরি পোশাকখাতের বড় বড় ক্রেতারা ইউরোপীয় ও আমেরিকার। এটা আমাদের বড় রপ্তানি।

আরও পড়ুন:

এক্ষেত্রে ব্যাঘাত হলে অসুবিধা হবে। তবে এতটুকু বলে রাখতে চাই, এগুলো সব প্রাইভেট সেক্টরের, আর যারা ক্রেতা, তারাও প্রাইভেট সেক্টরের।

সুতরাং, তারা সরকারের কারণে কেনে না, তারা কেনে সস্তা ও ভালো মানের পণ্যের কারণে ।

google news newsasia24

 

২০৮ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার টাকার সয়াবিন কিনবে সরকার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ২০৮ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার টাকার সয়াবিন কিনবে সরকার। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে এই তেল কেনা হবে।

এতে ১ কোটি ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন পাওয়া যাবে।

আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ৩৩তম বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ মাহবুব খান জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন টিসিবির জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তেল কেনা হবে সুপার ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে । এতে খরচ হবে ৭৯ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এ ছাড়াও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে টিসিবির জন্য ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হবে মেঘনা এডিবল ওয়েল রিফাইনারি লিমিটেডের কাছ থেকে। যার ক্রয় মূল্য ১২৯ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার টাকা।

এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির এ বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে টিসিবির জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৮০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড কেনার অনুমোদন দেয়া হয়। যার ক্রয় মূল্য ১২৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা । এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৬০ টাকা ৩০ পয়সা।

ওইদিন আরেক প্রস্তাবে টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ৬৫ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল ১০৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৫৯ টাকা।

মজুমদার প্রোডাক্টস লিমিটেড এবং এমআরটি অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেড থেকে এই তেল কেনার অনুমতি দেওয়া হয়।

ভারতের চাল রপ্তানি নিষিদ্ধকরণ ও শুল্ক আরোপ: চাল রপ্তানি কমবে ১৯ লাখ টন

নিউজ এশিয়া ডেস্ক: ভারতের চাল রপ্তানি নিষিদ্ধকরণ ও শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ববাজারে চাল রপ্তানি কমবে ১৯ লাখ টন। এটি থাকবে টানা দুই বছর। এর ফলে কিছু দেশ থেকে রপ্তানি বাড়লেও ঘাটতি পূরণ হবে না ভারতের।

সংস্থা জানায়, গত ২০ জুলাই ভারত সাদা চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। পরবর্তী সময়ে সিদ্ধ চালেও শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বিশ্বে চালের বাণিজ্য কমবে। অনেক আমদানিকারক দেশ জরুরি ভিত্তিতে চাল কেনে।

২০২৩ সালে বিশ্বে চাল রপ্তানি ১৯ লাখ টন কমে হবে পাঁচ কোটি ৩৮ লাখ টন। এর মধ্যে ভারতের সরবরাহ ২০ লাখ টন কমে হবে দুই কোটি ৫০ লাখ টন। যদিও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এশিয়া ও সাব-সাহারা আফ্রিকার অনেক বড় দেশেরও আমদানি কমবে।

একইভাবে ২০২৪ সালে বিশ্বে চালের রপ্তানি ৩৪ লাখ টন কমে হবে পাঁচ কোটি ২৯ লাখ টন। এর মধ্যে ভারতের রপ্তানি ৪০ লাখ টন কমে হবে এক কোটি ৯০ লাখ টন। ২০২৪ সালে ভারতের রপ্তানি কমলেও সরবরাহ বাড়বে ব্রাজিল, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ভিয়েতনামের।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বাসমতী ছাড়া অন্যান্য সাদা চালের রপ্তানি আগেই নিষিদ্ধ করেছিল। এরপর গত শুক্রবার সিদ্ধ চাল রপ্তানিতেও ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, এবার বাসমতী চালের রপ্তানি মূল্য বেঁধে দেওয়ার কারণে সেই প্রবণতা কমবে। বৈশ্বিক বাজারে যে পরিমাণ চাল বেচাকেনা হয়, তার ৪০ শতাংশ সরবরাহ আসে ভারত থেকে।

আরও পড়ুন: দেশের ৮৫৬ টি পোশাক কারখানা ঝুঁকিপূর্ণ: সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ

মূলত সামনে ভারতের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে নির্বাচন, তার আগে স্থানীয় বাজারে চালের দাম যেন না বাড়ে, তা নিশ্চিত করতেই বিজেপি সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে।

সূত্র : রয়টার্স, ট্রেডিং ইকোনমিকস, ইউএসডিএ