নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিএনপি নেতাদের ‘কাপুরুষ’ আখ্যা দিলেন ওবায়দুল কাদের।
৭ নভেম্বরকে বিএনপির ‘উত্থান দিবস’ দাবি করে নিজেদের এই জাতীয় দিবসে কর্মসূচি স্থগিত করায় বিএনপি নেতাদের ‘কাপুরুষ’ আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পবিরহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই কর্মসূচি স্থগিতের মধ্য দিয়ে বিএনপির আন্দোলনের সাহস দেখা হয়ে গেল।
আজ ৭ নভেম্বর আওয়ামী লীগ ঘোষিত ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’র আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজ ৭ নভেম্বর বিএনপির জাতীয় দিবস। এদিন তাদের উত্থানের দিন।
বিএনপির জাতীয় দিবসে কর্মসূচি স্থগিত করায়ওবায়দুল কাদের বলেন , তাদের মত ভীতু কাপুরুষ হয়? এই কাপুরুষদের রাজনীতি করা মানায়?
বিএনপির আন্দোলনের সাহস এখানেই তো দেখা গেল। তাদের দল কেন করবে মানুষ?
আজ ৭ নভেম্বর দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে বিএনপি।
তবে সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদে এ বছর দিবসটি ঘিরে দলীয় সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি।
আজ ৭ নভেম্বরের আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, এদিন আমরা মুক্তিযোদ্ধা হত্যার দিন পালন করি, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ রক্তাক্ত কলঙ্কজনক দিনগুলোর একটি ৭ নভেম্বর।
এদিন সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের নামে কর্নেল তাহের ক্যান্টনমেন্টে বন্দি জিয়াউর রহমানকে উদ্ধার করে। ফলাফলে জিয়া কর্নেল তাহেরকে হত্যা করে।
তিনি বলেন, জিয়ার উত্তরসূরিরা আজও বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বহন করে চলেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিকে তারা কলুষিত করেছে।
খালেদা-তারেক আগুন সন্ত্রাসের সূচনা করেছে। তারা সারাদেশে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল। এখন কোথায় তারা? তাদের বাড়াবাড়ি কই গেল?
২৮ অক্টোবরের ঘটনার ব্যঙ্গ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবর যখন দেখলো ঘটনা খারাপ, মির্জা ফখরুল লাফ দিয়ে নিচে নেমে গেল।
এদিক-ওদিক তাকায়, কাউকে পায় না। বেচারা দিশেহারা হয়ে দৌড় দিয়েছে।
এ দৌড় ডেমরার সালাহ উদ্দিনকে (২০০৬ সালের ৫ মে বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের দৌড়কাণ্ড) হার মানিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
পরে কয়েকজন মির্জা ফখরুলকে ধরে এনেছে। মাইক বন্ধ, হ্যান্ড মাইকে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
বিএনপি বলেছিল, শেখ হাসিনা পালাচ্ছেন।
অথচ, আপনারা কে কোথায় এখন? কেউ কারাগারে। কেউ পালিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে হটাবেন? শেখ হাসিনাকে হটাতে গেলে আপনারাই হটে যাবেন।