শিরোনাম

শীর্ষ সংবাদ

তারেক রহমানের ফেসবুক স্ট্যাটাস

নিজস্ব প্রতিনিধি: কার্টুনিস্ট মেহেদি ফারুক গত ৭ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি কার্টুন শেয়ার করেন। এতে তারেক রহমানকে নেতিবাচক চরিত্র হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

সেই কার্টুন রবিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে শেয়ার করেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তাকে নিয়ে নেতিবাচক কার্টুন বানানো হলেও তিনি এর প্রশংসা করেছেন। নেটিজেনরা তার প্রশংসা করে মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, সমালোচনার প্রশংসা করে গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

পোস্টে তারেক রহমান লেখেন, ‘আমি গভীরভাবে আনন্দিত যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক কার্টুন আঁকার স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার হয়েছে। ২০০৬ সালের আগে বাংলাদেশি কার্টুনিস্ট বিশেষ করে শিশির ভট্টাচার্য প্রায়ই আমার মা (খালেদা জিয়া) ও আমাকে নিয়ে কার্টুন তৈরি করতেন।’

তিনি লেখেন, ‘গত ১৫ বছরে আমরা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে জোরপূর্বক গুমের শিকার হতে দেখেছি। তার কাজের জন্য তাকে অকল্পনীয় নির্যাতন এবং কারাবরণ করতে হয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেকে একই ধরনের নিপীড়নের মুখোমুখি হয়েছেন।’

পোস্টে তিনি আরও বলা হয়, ‘শিশির ভট্টাচার্য অবশেষে কার্টুন তৈরি করা বন্ধ করে দেন। আমি কার্টুনিস্ট মেহেদির ভক্ত, শিশির ভট্টাচার্যের কাজও উপভোগ করতাম। আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, তিনি শিগগিরই আবারো নিয়মিত রাজনৈতিক কার্টুন তৈরি শুরু করবেন।’

গত ১৬ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে থাকা তারেক রহমান দেশে যোগাযোগ করছেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। গত বৃহস্পতিবার তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতা করেছেন বিএনপির মহাসমাবেশে। মেহেদি ফারুকের আঁকা কার্টুনে বোঝানো হয়েছিল, ক্ষমতা লিপ্সায় তারেক রহমান ভার্চুয়াল দুনিয়া ছেড়ে বাংলাদেশের দিকে আসছেন।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

মন্দিরে পদপিষ্টে ৭ পুণ্যার্থীর মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিহারের বাবা সিদ্ধনাথ মন্দিরে শিবের মাথায় পানি ঢালাকে কেন্দ্র করে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিনজন নারীও রয়েছেন।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকেই। যাদের একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সোমবার সকালে জেলাশাসক অলংকৃতা পাণ্ডে জানিয়েছেন, আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

বিহারের জেহনাবাদ জেলার বাবা সিদ্ধনাথ মন্দির রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় শিবমন্দির। শ্রাবণ মাসে সেখানে বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভিড় বেশি থাকে। রবিবার রাতে শিবপূজা উপলক্ষেই অনেক ভক্তের সমাগম হয়েছিল মন্দিরটিতে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মন্দিরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভালো ছিল না। অনেকে ভলান্টিয়ার হিসেবে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। একসময় ভিড় বেড়ে যাওয়ায় তারা পুণ্যার্থীদের তাড়া দেন।

এমনকি অভিযোগ, লাঠিও চালানো হয় ভিড়ের ওপর। তার পরেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় মন্দির থেকে বেরোনোর জন্য। এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। আহতের সংখ্যা ৩০-এর বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।

সোমবার সকালে মৃত এবং আহতদের স্বজনরা মন্দির চত্বরে জড়ো হন। কিন্তু দেহগুলি শনাক্ত করা যায়নি এখনো। সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তার পরে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

কিছু দিন আগে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে একটি ধর্মীয় জমায়েতে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিক ভক্তের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে বিহারে আবার ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জমায়েতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

আরও পড়ুন

google-news-channel-newsasia24

বদলে যাচ্ছে পুলিশের পোশাক ও লোগো

নিজস্ব প্রতিনিধি: অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের বৈঠকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগোয় পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়।

বৈঠকে পুলিশের ১১ দফা দাবির কয়েকটি অল্প সময়ের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অন্য দাবিগুলো পূরণ করা হবে দীর্ঘ মেয়াদে।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুলিশের ওপর কোনো ধরনের হামলা চালানো যাবে না। পুলিশের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।

এর আগে দুপুরে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের পরিদর্শনকালে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশের পোশাক-লোগো পরিবর্তন করা হবে।

কারণ হচ্ছে, কর্মবিরতিতে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা আর এ পোশাকে ফিরতে চান না। অর্থাৎ নতুন পোশাক ও লোগো নিয়ে কর্মে ফিরতে চান। আশা করছি, খুব শিগগিরই এ বাহিনীর পোশাক ও লোগোর পরিবর্তন করা হবে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

খোদার কসম এটা মুক্তি পাওয়ার পরে তোমরা ভাইবো না আমি আগেই জানতাম

বিনোদন ডেস্ক: নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে ফারুকী নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্ট দিয়ে নিজের নতুন সিনেমার খবর জানিয়েছেন।

এ ফারুকী পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আজকে নতুন সরকার দায়িত্ব নিবে। এক সময় ভাবছিলাম এই ফ্যাসিজমের থেকে বোধ হয় আমাদের জীবদ্দশায় আর মুক্তি নাই।

বাংলার সর্বস্তরের তরুণেরা আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত মুক্তির খোঁজ দিয়েছে। এদের সবাইকে স্যালুট এবং প্রফেসর ইউনুসকে অভিনন্দন জানানোর মধ্য দিয়ে আমার অনলাইন অ্যাকটিভিজমের আপাতত বিরতি। এখন সময় আমার নিজের কাজে ফিরে যাওয়ার।’

এ নির্মাতা লেখেন, ‘এর আগের অন্তর্বর্তী সরকারের সময় আমি বানাই ৪২০। প্রকৃতির কি বিচিত্র খেয়াল আবার আসছে সেরকম একটা দুষ্ট কিছু, তাও আরেক অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে,যেটার শ্যুট করছি ফ্যাসিবাদের কালে। খোদার কসম এটা মুক্তি পাওয়ার পরে তোমরা ভাইবো না আমি আগেই জানতাম এই সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার আসবে। নাইলে এইটা কোন সাহসে বানাইলাম?’

আরও পড়ুন :

সবশেষ ফারুকী লেখেন, ‘সো, গাইজ গেট রেডি ফর আ ওয়াইল্ড রাইড সুন। ডিটেলস কামিং শর্টলি। আপাতত এইটুকু বলা যাক, এটা আমার প্রিয় জরা – পলিটিক্যাল স্যাটায়ার। আর কে না জানে, স্যাটায়ার হচ্ছে সেই চাবুক যেটা ক্ষমতাবানদের আতঙ্কিত করে। সবাই ভালো থাকবেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

google-news-channel-newsasia24

‌‌‌‌‌‌‍দেশ ও দল বাঁচাতে, ময়দানে নামছেন হাসিনাপুত্র জয়!

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: এবার দেশ ও দল বাঁচাতে রাজনীতির ময়দানে নামবেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়! সক্রিয় রাজনীতিতে নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত তিনি। নিজেই জানিয়েছেন হাসিনাপুত্র। দল আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

এই মুহূর্তে আমেরিকার ওয়াশিংটনে রয়েছেন জয়। হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। একের পর এক ভিডিও বার্তাও দিচ্ছেন।

বাংলাদেশে হামলার শিকার হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। যা নিয়ে সরব হয়েছেন হাসিনাপুত্র। রাজনীতিতে নাম লেখানোর তেমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না তাঁর। কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই কি সিদ্ধান্ত বদল করলেন তিনি?

এনিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে জয় জানান, “এই মুহূর্তে আমাদের দল এবং কর্মীরা সংকটে রয়েছেন। তাঁদের হিংসার হাত থেকে বাঁচাতে যা যা করার দরকার, তা আমি করব।

যদি রাজনীতিতে নামা প্রয়োজন পড়ে আমি পিছিয়ে আসব না। আমার রাজনীতিতে আসার তেমন কোনও ইচ্ছে ছিল না। আমেরিকাতেই পাকাপাকিভাবে থাকতে চেয়েছিলাম।

কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি আমাকে ভাবাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে, দেশের নেতৃত্বে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। দলের স্বার্থে আমি সক্রিয় রাজনীতির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

আরও পড়ুন:

দল ও বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচাতেই হবে। আমি সামনে এগিয়ে যাব।”

দিন দুয়েক আগেই ভিডিও বার্তায় জয় জানিয়েছিলেন, “আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়। জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা বাদ দিয়ে কোন দল যদি আলোচনার জন্য এগিয়ে আসে তা হলে আমরা সকলের সঙ্গে বৈঠকে বসতে প্রস্তুত।

বাংলাদেশে এখন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলছে। সারা দেশে ভাঙচুর হচ্ছে, লুটপাট হচ্ছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। অনেককে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো গণতান্ত্রিক বড় দল। আওয়ামী লীগ মরে যায়নি।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই এই দলকে কোনওদিন শেষ করা সম্ভব নয়।” ফলে এই বক্তব্য থেকেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল যে মায়ের উত্তরসূরি হিসাবে রাজনীতিতে নামতে আগ্রহী জয়।

google-news-channel-newsasia24

খোকসায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা

খোকসা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও শহরের ময়লা পরিস্কারের কাজ করতে দেখে খুশি খোকসার মানুষ। এদেরকেও সহযোগিতা করছে এলাকার মানুষ।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১২ টা থেকে তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে কাজ শুরু করেন।

Khoksa student newsasia24 2
কুষ্টিয়ার খোকসার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, ছবি: নিউজ এশিয়া ২৪

এসময় শিক্ষার্থীরা সবার উদ্যেশে বলেন, আপনারা যেখানে শেখানে ময়লা আর্বজনা ফেলবেন না। ময়লাগুলো একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলবেন।

আরও পড়ুন :

এছাড়াও সড়কের কোথাও কোন প্রকার চাঁদা দিতে নিষেধ করেন শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ খোকসা থানা শাখার পক্ষ থেকে এলাকার পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার মানুষের শান্তি ফেরাতে, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, মারামারির হাত থেকে রক্ষা করতে রাতে পাহারার দিচ্ছেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ খোকসা থানা শাখার স্বেচ্ছা সেবক কর্মীরা।

google-news-channel-newsasia24

প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নিলেন ড. ইউনূস

ঢাকা প্রতিবেদক: শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা পদে শপথ নিয়েছেন । অন্তর্বর্তী এই সরকারে রয়েছেন আরও ১৬ উপদেষ্টা।

আজ বৃহস্পতিবার (আগস্ট ০৮) রাত ৯টা ২০ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।

এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সামরিক–বেসামরিক কর্মকর্তা ও কূটনীতিকেরা দরবার হলে উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে ১৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন—
১. অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ
২. সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন
৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল
৪. মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান
৫. সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাসান আরিফ
৬. সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন
৭. পরিবেশ আইনবিদ সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আরও পড়ুন :

৮. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম
৯. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
১০. সাবেক রাষ্ট্রদূত ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা
১১. উন্নয়নকর্মী (উবিনীগ) ফরিদা আখতার
১২. জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক বিধান রঞ্জন রায়
১৩. চিন্তাবিদ, লেখক ও গবেষক আ ফ ম খালিদ হোসেন
১৪. গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরজাহান বেগম
১৫. ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ
১৬. ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক।

এর আগে আজ বেলা ২টার পর দেশে পৌঁছান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশের নবনিযুক্ত আইজিপিসহ বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

google-news-channel-newsasia24

বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক:  সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নিতে পারে।

আজ বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কথা জানান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আগামীকাল (অন্তবর্তীকালীন সরকার) শপথের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। একটা প্রস্তাব ছিল বিকেলে করার। বিকেলে খুব টাইট হয়ে যেতে পারে।

উনি (অন্তবর্তী সরকারের প্রস্তাবিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস) ২টা ১০ এর দিকে এখানে (ঢাকায়) আসবেন। আমরা হয়তো তাহলে রাতের বেলা, রাত ৮টার দিকে করতে পারি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কতজন উপদেষ্টা থাকবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানান, তার ধারণা আপাতত ১৫ জন হতে পারে।

আরও পড়ুন ;

তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনাবাহিনী অন্য বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে । যারা এই সমস্ত (লুটপাট, ধ্বংসাত্মক) কাজে জড়িয়েছে তাদের আমরা আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, কিছু কিছু ঘটনা ঘটেছে, এটা ঘটার পেছনে কিছু কারণও আছে। পরিস্থিতি এখন অনেক শান্ত হয়ে আসছে।

খুব শিগগিরই পুলিশ তাদের দায়িত্বপালন শুরু করবে আশা প্রকাশ করে সেনাপ্রধান বলেন, পুলিশ পুনর্গঠনের কাজ চলছে। একজন পুলিশপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আমি নিশ্চিত যে পুলিশের মনোবল আবার ফেরত আসবে, পেশাদার বাহিনী হিসেবে পুলিশ ভালোভাবে আবার তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে।

পুলিশের শূন্যতা প্রসঙ্গে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, পুলিশ কিন্তু ডিউটিতে নেই। পুলিশের মতো একটা ফোর্সের অনুপস্থিতিতে যে শূন্যতা (ভয়েড) সৃষ্টি হয়েছে এই শূন্যতা সেনাবাহিনীর সক্ষমতা দিয়ে পূরণ করা সম্ভব না। তারপরও আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

google-news-channel-newsasia24

এ সরকারে ১৫ জন সদস্য হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, এ সরকারে ১৫ জন সদস্য হতে পারে। তবে এ সংখ্যা বেশি বা কমও হতে পারে।

আজ বুধবার (৭আগস্ট) বিকেল পৌনে ৬টার দিকে সেনাসদরে বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান সেনাপ্রধান।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ড. ইউনূস আগামীকাল দেশে আসবেন। আমি তাকে বিমানবন্দরে রিসিভ করবো। আশা করি আগামীকাল (৮ আগস্ট) রাত ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।

এসময় সেনাবাহিনী নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে দাবি করে গুজবে কান না দিতে সবার প্রতি অনুরোধ জানান সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের সঙ্গে আছে এবং থাকবে।

এছাড়াও তিনি জানান, পুলিশ সক্রিয় হলে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

আরও পড়ুন ;

রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানের ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার এবং রাস্তাঘাটে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ছাত্ররা যে ভূমিকা রাখছে তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান তিনি। সেনাপ্রধান বলেন, ছাত্ররা আমাদের সাহায্য করছে। গ্রামগঞ্জে ছাত্ররা কাজ করছে। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।

তিনি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ছাত্রদের কাজের প্রশংসা করেন। ছাত্রদের তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সব ইতিবাচক কাজ অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

google-news-channel-newsasia24

পুলিশেও সংস্কার দাবি; ছাত্রদের সঙ্গে অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চেয়েছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়নের দাবি, বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালাতে বাধ্য করা হয়েছে। দেশবাসীর কাছে ভিলেন হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া ছাত্রদের সঙ্গে অন্যায়ের জন্য ক্ষমা চেয়েছে তারা।

বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ পুলিশের কর্মরত ইন্সপেক্টর থেকে অধস্তন কর্মকর্তাদের সংগঠন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এসব কথা বলেছে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরাও চাকরিজীবনে বৈষম্যের শিকার। দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হয়েছে।

আজ কথা বলার সুযোগ পেয়েছি তাই বাংলাদেশ পুলিশের অধস্তন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে সব ছাত্র জনতাকে রক্তিম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

তারা বলেন, আপনারা জানেন সারাদেশে শত শত পুলিশ এরই মধ্যে শাহাদাতবরণ করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি এগুলো কোনো ছাত্রদের কাজ নয়।

নিঃসন্দেহে কোনো দুষ্কৃতকারীদের কাজ। দেশবাসী আমাদের অর্থাৎ পেশাগত বাহিনী পুলিশকে তাদের শত্রু মনে করে।

আমরা পুলিশ জনগণের সেবক। পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ এ পুলিশ বাহিনীই করেছিল। যে কোনো সংকটে সংগ্রামে আমরা সবসময়ই দেশবাসীর পাশে আছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্র যে আইন তৈরি করে তা বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যমে রাষ্ট্র প্রয়োগ করে থাকে। আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে জনসাধারণের সঙ্গে রোষের সৃষ্টি হয়।

আমরা প্রকৃতপক্ষে নিয়োগের শুরু থেকেই সার্জেন্ট/সাব-ইন্সপেক্টরসহ নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা কর্মচারীরা সিনিয়র অফিসারদের অথবা রাজনৈতিক নেতাদের স্বার্থ হাসিলের বাহক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য হই, সেটা বৈধ হোক আর অবৈধ হোক যে কোনো আদেশই পালন করতে হয়।

‘আমাদের অফিসাররা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দলীয় পরিচয়ে দুষ্ট। আমরা বর্তমান কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ যে কোনো আন্দোলনে কোনো সাধারণ মানুষকে সরাসরি গুলি করতে না চাইলেও সেটা বাধ্য হয়ে করতে হয় দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা আপনাদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে চাই, কোনোভাবেই বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্কে জড়াতে চাই না। পুলিশ বাহিনী হিসেবে নিরীহ ছাত্রদের সঙ্গে যে অন্যায় করেছে তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।

আরও পড়ুন ;

আমরা প্রতিটি পুলিশ সদস্য আপনাদেরই কারও না কারও ভাই-বোন-বন্ধু-বাবা-মা বা আত্মীয় স্বজন। আমরাও আপনাদের সমাজেরই অংশ। দেশের যে কোনো বিপদে অতীতের মতোই আপনাদের পাশে পাবেন।

হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশ। আমাদের কোনো সদস্য কোনো অন্যায় কাজ করে থাকলে তার অবশ্যই বিচার হবে।’

বিবৃতিতে তারা বলেন, দেশের এ সুসময়ে আমরা থানা-ফাঁড়ি ও পুলিশি স্থাপনার নিরাপত্তা চাই। পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তা চাই। গতকাল (৫ আগস্ট) ৪৫০টির বেশি থানা আক্রান্ত হয়েছে। এগুলো আপনাদেরই সম্পদ, দেশের সম্পদ।

প্রতিটি পুলিশ সদস্যের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি ঘোষণা করছি। আমরা বৈষম্যহীন পুলিশ বাহিনী চাই। পুলিশ বাহিনীর সংস্কার চাই। দেশের সবাই এ সুসময়ে একে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হবেন। বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক।

google-news-channel-newsasia24