শিরোনাম

লাইফ স্টাইল

মাইগ্রেন নারীদের বেশি হয়

লিমা পারভীন: মাথার ভেতরের রক্ত চলাচলের তারতম্যের কারণে মাইগ্রেন হয়। রক্ত চলাচল কমে গেলে হঠাৎ করে চোখে সব অন্ধকার দেখা যায় এবং পরে রক্ত চলাচল হঠাৎ বেড়ে গিয়ে প্রচ- মাথাব্যথার অনুভূতি তৈরি হয়।

চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি খাওয়া, জন্মবিরতিকরণ ওষুধ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, ব্যায়াম ইত্যাদির কারণে এ রোগ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি পাঁচজন মহিলার একজন এবং প্রতি পনেরোজনে একজন পুরুষের মাইগ্রেন হয়ে থাকে।

কারণ মহিলাদের হরমোনাল চেঞ্জ বেশি হয়। মাসিক, প্রেগনেন্সি ও মেনোপজÑ এগুলো মাইগ্রেন পেইনের সঙ্গে রিলেটেড। অনেক সময়ে মেনোপজের পর মাইগ্রেনের সমস্যা কমতে থাকে, আবার পিরিয়ডের আগে এটি বেশি হয়ে থাকে।

সাধারণ লক্ষণ : মাথাব্যথা, বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা, কোনো কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বিরক্তি বোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ মাথাব্যথা শুরুর আগেও হতে পারে। মাথার যেকোনো অংশ থেকে এ ব্যথা শুরু হয়। পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পেছনে ব্যথার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। চোখের ওপর হালকা চাপ দিলে আরাম লাগে। মাথার দুই পাশে কানের ওপর চাপ দিলে এবং মাথার চুল টানলেও ভালো লাগে। তখন শব্দ ও আলো ভালো লাগে না। কখনো কখনো অতিরিক্ত শব্দ ও আলোয় মাথাব্যথা বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন>>দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারে কী কী ক্ষতি হতে পারে, জানেন কী?

করণীয় : মাইগ্রেন থাকলে প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। যেসব খাবার খেলে ব্যথা শুরু হতে পারে, যেমন কফি, চকলেট, পনির, আইসক্রিম, মদ ইত্যাদি একদম বাদ দিতে হবে। বেশি সময় না খেয়ে থাকা যাবে না। জন্মবিরতিকরণ ওষুধ যারা খায়, তাদের সেটা সেবন না করাই শ্রেয়। প্রয়োজনে অন্য পদ্ধতি বেছে নেওয়া যেতে পারে। পরিশ্রম, মানসিক চাপ ও দীর্ঘ ভ্রমণ বর্জনের মাধ্যমে মাইগ্রেন অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়।

আরও পড়ুন>>বিয়ের পর স্ত্রীকে একঘেয়ে লাগলে কী করবেন?

চিকিৎসা : নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে পারেন মাইগ্রেন সমস্যা নিয়ে। বারবার মাইগ্রেনের আক্রমণ কমানোর জন্য ডাক্তার সাধারণত পিজোটিফেন, অ্যামিট্রিপটাইলিন, বিটাব্লকার-জাতীয় ওষুধ কার্যকর। মাথাব্যথা শুরু হলে প্যারাসিটামল, এসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ওষুধ ভালো। বমির ভাব কমানোর জন্য মেটোক্লোর প্রোমাইড, ডমপেরিডন-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব ওষুধে মাথাব্যথা না কমলে সুমাট্রিপটান, আরগোটামাইন-জাতীয় ওষুধে অনেক সময় যথেষ্ট স্বস্তি পাওয়া যায়।

google-news-channel-newsasia24

দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারে কী কী ক্ষতি হতে পারে, জানেন কী?

লিমা পারভীন: বর্তমান বিশ্ব প্রতিনিয়তই আধুনিক থেকে অতিআধুনিকতার দিকে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রযুক্তির উদ্ভাবন হচ্ছে এ যুগের বিস্ময়কর দিক। আমাদের জীবনকে সহজ থেকে সহজতর করতে এসব প্রযুক্তির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তবে প্রযুক্তি ব্যবহারের যেমন কল্যাণকর দিক রয়েছে, তেমনই রয়েছে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও।

বর্তমান সময়ে হেডফোন এবং ইয়ারফোন এমন এক প্রযুক্তি যা ছোট-বড়, যুবক-যুবতী প্রায় সবাই ব্যবহার করে; কিন্তু অনেকেই এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর দিকগুলো জানেন না। আবার অনেকে জেনেও অবাধে সেটি ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, ছোট্ট এই গ্যাজেটটি আপনার স্বাস্থ্যের ওপর কি কি প্রভাব ফেলে?

জেনে নিন,

শ্রুতিপথে বাতাসের বাধা: আজকাল প্রযুক্তির বাজারে কিছু হেডফোনের সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো পাওয়া গেলেও তার রয়েছে ব্যাপক স্বাস্থ্যঝুঁকি। এসব হেডফোন এয়ারক্যানেল পর্যন্ত প্রবেশ করানো হয়। এতে কানের ভিতর বায়ু প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে। যার ফলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা আরও বেশি হয়।

শ্রবণশক্তি হ্রাস: ইয়ারফোনে ৯০ ডেসিবলের ওপর শব্দ শুনলে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ শ্রবণশক্তি চিরতরের মতো হারিয়েও যেতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করেন। ১০০ ডেসিবলের ওপর মাত্র ১৫ মিনিট ইয়ারফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে।

শ্রবণশক্তির জড়তা: যারা ইয়ারফোনে উচ্চ শব্দে মিউজিক শোনেন তাদের কানে জড়তা চলে আসে।

মস্তিষ্কে সমস্যা: ইয়ারফোন কিছু তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ তৈরি করে, যা থেকে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়৷

আরও পড়ুন>>সাইক্লিংয়ের এই উপকারিতাগুলো জানেন কী?

ইনফেকশন: হেডফোন ব্যক্তিগত থাকাই উচিত৷ কিন্তু অনেকেই তা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকে। এতে কানে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে।

কানে ব্যথা: যারা দিনের বেশিরভাগ সময় হেডফোন ব্যবহার করেন তারা সাধারণত এই সমস্যায় ভোগেন। মাঝে মাঝে কানের ভেতরে ঝিম ধরা আওয়াজ হয়ে থাকে। এটিও কিন্তু কানের মারাত্মক ক্ষতির উপসর্গ।

মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব: হেডফোনের দ্বারা সৃষ্ট ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ আপনার মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর জারা ব্লুটুথ হেডফোন ব্যবহার করেন তারা আরও অত্যধিক ঝুঁকিতে ভোগেন। কান সরাসরি মস্তিষ্কের সাথে যুক্ত। তাই হেডফোন খুব বাজেভাবে আপনার মস্তিষ্কে আঘাত হানে।

google-news-channel-newsasia24

সাইক্লিংয়ের এই উপকারিতাগুলো জানেন কী?

লিমা পারভীন: যারা নিয়মিত সাইক্লিং করেন তারা অন্যান্যদের থেকে বেশি হাসিখুশি থাকেন। বিশেষ করে যারা সাইক্লিং করে কাজে যান তাদের উৎফুল্ল থাকার প্রবণতা বেশি। চিকিৎসকেরা বলছেন, সাইক্লিং যদি ওষুধ হতো তাহলে প্রায় প্রত্যেক রোগীর প্রেসক্রিপশনে সাইক্লিং লিখে দেওয়া হতো।

সাইক্লিংয়ের উপকারিতা:
স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কয়েক ধরনের ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, স্থুলতা এবং আর্থাইটিস রোগ প্রতিরোধ হয়। এ ছাড়া ফুসফুসকে শক্তিশালী করে, পেশী শক্তিশালী করে, হাড় শক্তিশালী করে, শরীরের চর্বি ও ব্যথা কমায়।

শারিরীক ব্যায়ামগুলোর মধ্যে এটি মজার এবং সস্তা। যে কেউ সহজেই সাইক্লিং শিখতে পারেন। সাইক্লিং শিখলে জীবনে ভুলবেন না।

আরও পড়ুন:

যারা ওজন কমানোর উপায় খুঁজছেন তারা সাইক্লিং করবেন। গবেষণার তথ্য, সাইক্লিং করলে প্রতি ঘণ্টায় ৪৯৮ থেকে ৭৩৮ ক্যালোরি খরচ হয়।

উল্লেখ্য, শুধু সাইক্লিং করলেই শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকা যাবে না। প্রতিদিন কী খাচ্ছেন, সারাদিনে কতটুকু কায়িক পরিশ্রম করছেন; সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে এগুলোও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

google-news-channel-newsasia24

রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যায় কেন, এক্ষেত্রে কী করবেন?

লিমা পারভীন: রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ক্রমশ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে হিমোগ্লোবিন আসলে কী?

রক্তের মাধ্যমে পুরো দেহে অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পরিবাহিত হয়। রক্তের তিনটি কণিকার মধ্যে লোহিত কণিকায় থাকে বিশেষ ধরনের আয়রন, যাকে বলা হয় হিমোগ্লোবিন। এর প্রধান কাজ হলো ধমনী থেকে দেহের সব স্থানে অক্সিজেন সরবরাহ করা।

হিমোগ্লোবিনের অভাব শরীরের একটি সাধারণ সমস্যা। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ক্রমশ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।

হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কেন হয়?
শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন ও খনিজের অভাব হলেই দেখা দেয় হিমোগ্লোবিন স্বল্পতা। ছোট-বড় সবার শরীরেই হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

এর লক্ষণ কী কী?
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। মূলত আয়রনের অভাবে এমনটি ঘটে। রক্তস্বল্পতার কারণে অনেক সময় অবসাদ গ্রাস করে। অনেকের আবার হৃদস্পন্দনের গতিও বেড়ে যায়।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক নারীই রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভোগেন। তবে পুষ্টির অভাবে যে কারও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্যাভ্যাসে সামান্য বদল করলে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কী খেতে হবে?

শাক-সবজি: রক্তে আয়রনের ঘাটতি পূরণে রোজের খাদ্যতালিকায় পালং শাক, ব্রোকলি, বিটরুট, পনির, ডিম, আপেল, তরমুজ, বেদানা, কুমড়ার বীজ, কাঠবাদাম, অ্যাপ্রিকট ও কিশমিশ রাখতে পারেন।

ভিটামিন সি: ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শুষে নিতে সাহায্য করে। এজন্য ভিটামিন সি আছে এমন খাবার ডায়েটে বেশি করে রাখতে হবে। কমলালেবু, স্ট্রবেরি, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, আঙুর ও টমেটোতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।

ফলিক অ্যাসিড: ফলিক অ্যাসিড এক ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, যা রক্তে লোহিত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর মাত্রায় ফলিক অ্যাসিড থাকে। তাই বেশি শাক-সবজি ডায়েটে রাখুন।

বিয়ের পর স্ত্রীকে একঘেয়ে লাগলে কী করবেন?

লিমা পারভীন: সবাই ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে জীবন কাটাতে চায়। থাকতে চান এক ছাদের নিচে। সংসার করতে চান। একে অপরকে ভালোবাসায় আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখতে চান। কিন্তু সবার ইচ্ছা পূরণ হয় কি?

২৫ বছরের সংসার

ভদ্রলোকের নাম ইমদাদুল হক মিলন। বয়স ৫৫ বছর। ২৫ বছর ধরে এক নারীর সঙ্গে সংসার করছেন। প্রথম প্রথম তাদের মধ্য়ে সব ঠিক ছিল। একে অপরের প্রতি আগ্রহ ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার পরেই পরিস্থিতি বদলে যায়। ধীরে ধীরে একে অপরের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে। এরপর থেকেই দমবন্ধ পরিস্থিতিতে রয়েছেন তিনি।

স্ত্রীকে ভালো লাগছে না

মিলন ও তার স্ত্রীর মধ্যে একে অপরের প্রতি শারীরিক আগ্রহ হারিয়ে গেছে অনেক দিন আগেই। এখন স্ত্রীর সঙ্গে তার কোনো কথাও হয় না। যেন এক ছাদের নিচে দুই অপরিচিত মানুষ একসঙ্গে থাকেন। কিন্তু এভাবে আর কত দিন?

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

এমন পরিস্থিতিতে দুজনকেই মনে জোর রাখতে হবে। কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুজনকেই মুখোমুখি বসে কথা বলতে হবে। আপনার মনে কী চলছে , তার মনে কী চলছে এবং সম্পর্ক নিয়ে কী ভাবছেন দুজনেই আলোচনা করুন।

আলোচনা করতে ভুলবেন না

সম্পর্কে কোনো বড় সিদ্ধান্ত একা নেওয়া যায় না। তাই দুজন মিলেই টিমের মতো কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনাদের সন্তান রয়েছেন। তারা বড় হয়েছে। আপনাদের যে কোনো সিদ্ধান্ত তাদের মনে প্রভাব ফেলবে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। তাদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন। আশা করি এতে পরিস্থিতি সহজ হবে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

মজাদার কাঁচা আমের পাপড়

লিমা পারভীন: দুইটি কাঁচা আম আর এক কাপ সাবু দিয়ে মজাদার পাপড় বানিয়ে নিতে পারেন। টক টক, ঝাল ঝাল পাপড় বাড়ির ছোট-বড় সবাই পছন্দ করবে।

কাঁচা আমের পাপড়ের রেসিপি:

১. প্রথমে দুইটি কাঁচা আম নিয়ে নিন। এবার আমগুলো কেটে টুকরো টুকরো করে নিতে হবে। তারপর ভালো করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপর একটি ছাঁকনিতে সিদ্ধ আমগুলো ঢেলে দিতে হবে। তারপর একটা চামচ দিয়ে চেপে চেপে ছেঁকে নিন। যাতে ছোকলা না থাকে। যদি ছোকলা থাকে তাহলে পাপড় ভালো হবে না।

২. মিক্সারের বাটিতে এক কাপ পরিমাণ সাবু দানা ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। এরপর মিক্সারে পেস্ট করে নিন।

৩. এবার চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিন। ফ্রাইপ্যানে সাদা তেল দিয়ে দিন এবং এতে আমের মিশ্রণ দিয়ে কিছু সময় নাড়তে হবে। চুলার আঁচ কমিয়ে রাখতে হবে এবং মিশ্রণটা আঠালো হওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে। এরপর এতে সাবু দানার মিশ্রণ মিশিয়ে দিতে হবে। মিশ্রণটা বার বার নাড়তে হবে। এতে ভাজা জিরা, চিলি ফ্লেক্স, পরিমাণ মতো লবণ এবং সামান্য পানি মিশিয়ে দিতে হবে। সঙ্গে দিতে পারেন সামান্য একটু ফুড কালার। পুরো মিশ্রণটি আরও কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। খেয়াল রাখতে হবে মিশ্রণটি যেন খুব পাতলা হয়। তাহলে শুকাতে অনেক সময় লেগে যাবে।

আরও পড়ুন:

৪. এবার একটি পলিথিনে সয়াবিন তেল মেখে নিতে হবে। এর ওপর অল্প অল্প পরিমাণে আম-সাবুর মিশ্রণটি ঢেলে দিয়ে পাপড়ের আকার তৈরি করে নিতে হবে। তারপর এগুলো কড়া রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। যখন দেখবেন যে হাতে নিয়ে চাপ দিলে কুড়মুড় শব্দে ভেঙে পড়ছে তখন বুঝবেন এগুলো ভাজার উপযুক্ত হয়ে গেছে।

৫. সয়াবিন তেলে শুকনো পাপড়গুলো ভেজে নিতে হবে।

google-news-channel-newsasia24

অতিরিক্ত ঘামের কারন যে খাবারগুলো, জেনে নিন!

লিমা পারভীন: কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অতিরিক্ত ঘামে, একদম ভিজে যায়, তারা ভুলেও খাবেন না এই খাবারগুলো ।

জেনে নেই কি সেই খাবারগুলো,

১. কফি: অনেকেরই দিন শুরু হয় কফি দিয়ে, নয়ত দিন চাঙ্গা কাটে না। কিন্তু পুষ্টিবিদের মতে, এই গরমে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়তে রাশ টানা জরুরি। ক্যাফেইন শরীরের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। এটি হাতের তালু, পা এবং আন্ডারআর্মের ঘাম বাড়িয়ে দেয়। আর তাই অতিরিক্ত ঘাম এড়াতে কফির কাপে পরিমিতভাবে চুমুক দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

২. তেলে ভাঁজা খাবার: গরমের ক্লান্তি কাটাতে মাঝেমাঝে একটু মুখরোচক ভাজাভুজি খেলে ভালো লাগে সবারই। তবে ডুবো তেলে ভাজা খাবার বেশি খেলে ঘাম হতে থাকে অনবরত। তবে ঝাল, মসলাদার খাবার আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

৩. চিনিযুক্ত খাবার: বেশি চিনি যুক্ত খাবার খাওয়া, স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি ঘামের কারণ হতে পারে। ওয়েবএমডির মতে, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করে। ইনসুলিনের এই আকস্মিক বৃদ্ধির ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে, এটি হাইপোগ্লাইসেমিয়া নামে পরিচিত। তাই গরমে বেশি চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

আরও পড়ুন:

৪. অ্যালকোহল: অ্যালকোহলও কিন্তু ঘামের উৎপাদন বাড়াতে ভূমিকা রাখে। হেলথলাইনে উল্লিখিত, অত্যাধিক অ্যালকোহল গ্রহণ পেরিফেরাল রক্তনালীগুলোকে প্রশস্ত করে, যা আপনার শরীরে ঘামের সৃষ্টি করে। তাই অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে।

৫. কোমল পানীয়: এই গরমে অনেকেই ঠান্ডা কোমল পানীয়তে চুমুক দিয়ে প্রশান্তি অনুভব করেন। বিশেষ করে রাস্তায় বের হলেও কোমল পানীয় ছাড়া চলে না। কোমল পানীয় কখনোই শরীরের জন্য ভালোা নয়। অতিরিক্ত চিনি থাকার কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রার ওঠানামার কারণ হতে পারে, সেখান থেকে দেখা দেয় ঘাম।

google-news-channel-newsasia24

মোবাইল ধরা দেখেই বুুঝতে পারবেন লোকটি কেমন স্বভাবের

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: প্রিয় স্মার্টফোন প্রায় সব সময়ই আমাদের হাতেই থাকে। জানেন কি, এই ফোন কীভাবে ধরছেন, কোন আঙুলে লিখছেন তা দেখেই বোঝা যায় কে কেমন ব্যক্তিত্বের লোক জেনে নিন:

যারা বুড়ো আঙুলে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তারা সাধারণত আত্মবিশ্বাসী হন।

কিছুটা বেপরোয়া স্বভাবের জন্য খুব সহজে সম্পর্কে জড়াতে চান না এরা।

অনেকে আবার দুই হাতের দুটি বুড়ো আঙুল ব্যবহার করে টাইপিং করেন। এই ধরনের মানুষ খুব দ্রুত কাজ শেষ করতে পারেন। তারা কাজ এবং সম্পর্কের প্রতি সৎ থাকেন।

তর্জনীর ব্যবহার করে যারা টাইপ করেন তারা কিন্তু খুব সৃজনশীল হন।

google-news-channel-newsasia24

সেহরিতে কী খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা?

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আমরা সাধারনত সেহরিতে তেল জাতীয় খাবার খেয়ে থাকি। যেটা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। পুষ্টিবিদরা বলেন, সেহরিতে এমন খবার খেতে হবে যেটা সহজেই হজম হয় এবং স্বাস্থ্যকর। অর্থাৎ যে খাবারগুলোতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম ও আশঁযুক্ত।

চলুন, জেনে নেয়া যাক সেই খাবারগুলোর তালিকা।

★ লাল চালের ভাত খেতে পারেন ঘন ডাল দিয়ে, কারণ সাদা চাল তাড়াতাড়ি হজম হয় ও ক্ষুধা লেগে যায়। তাছাড়া হোলগ্রেইন জাতীয় খাবার খেতে পারেন। যেমন- ওটস বা চিড়া।

★ ভালো মানের প্রোটিন এর জন্য সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন ।

★ বাদাম খেতে পারেন, কারণ বাদামে থাকে ভালো মানের চর্বি। ডিম উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত। এই খাবার হজমে সময় নেয়।

★ খেজুর খেতে পারেন, যাতে আছে ফাইবার ও ভিটামিন-বি। এগুলো শক্তির ভালো উৎস।

★ সেহরিতে ফল জাতীয় খাবারের মধ্যে কলা,আপেল,কমলা, তরমুজ ইত্যাদি মৌসুমী ফল খেতে পারেন।

★ শরবত হিসেবে চিয়া সিডের শরবত খেতে পারেন। কারন, এটি যা ফাইবার রিচ, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল সমৃদ্ধ। এটি হজমে সাহায্য করে।

★ ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। যেন শরীরে সারাদিনে পানিশূন্যতা তৈরি না হয়।

সুস্থ থাকতে হলে সেহরিতে অতিরিক্ত খাবেন না।

আরও পড়ুন: 

পেঁয়াজের খোসার জাদুকারি ৬ গুণ

গাড়িতে উঠলেই বমি পায়? জেনে নিন সমাধান

প্রেমে এই ৫টি লক্ষণ থাকলে বিয়ে নিশ্চিত

ব্রকলির এই উপকারিতা জানলে চমকে উঠবেন!

google-news-channel-newsasia24

ত্বকের যত্নে ঘিয়ের যাদু

লিমা পারভীন: খাঁটি ঘিয়ের স্বাদ ও ঘ্রাণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। সাধারণত ঘি খাওয়ার জন্যই আমরা ব্যবহার করে থাকি ৷ যে কোন খাবারকে অসাধারণ স্বাদের করে তুলতে ঘিয়ের তুলনা নেই। এ ছাড়া ঘিয়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক।

তবে রান্নার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও ঘি অতুলনীয়। শোনা যায়, প্রাচীন কালে বিয়ের আগে হবু কনেরা তাদের রূপচর্চায় ঘি ব্যবহার করতেন।

ঘিয়ের মধ্যে থাকে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এসব ভিটামিন ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার পাশাপাশি ত্বকের বয়স ধরে রাখার (অ্যান্টি-এজিং প্রপার্টি) গুণ রয়েছে।

আরও পড়ুুন>>পেঁয়াজের খোসার জাদুকারি ৬ গুণ

এ ছাড়া বয়সজনিত কারণে ত্বকে যে সমস্যাগুলো হয়, নিয়মিত ঘি ব্যবহারে সেগুলি কমে যায়। তবে ত্বকে ব্রণর সমস্যা থাকলে বা ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে ঘি ব্যবহার না করাই ভাল।

ত্বকে নিয়মিত ঘি মাখার উপকার:

১. শুকনো ত্বকের সমাধান: হাতে কয়েক ফোঁটা ঘি নিন। শুকনো ত্বকে লাগিয়ে দিন। যতক্ষণ সম্ভব রাখার পরে ধুয়ে ফেলুন। শুকনো ত্বকের পাকাপাকি সমাধান হয়ে গেল। ঘি শুকনো ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।

The-magic-of-ghee-in-skin-care2-newsasia24

২. বলিরেখা: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বলিরেখা পড়তে শুরু করে। কিন্তু তার গতি কমিয়ে দিতে পারে ঘি। ঘিয়ে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। রোজ ঘি লাগালে বলিরেখা দেরিতে পড়ে।

আরও পড়ুন>>গাড়িতে উঠলেই বমি পায়? জেনে নিন সমাধান

৩. বাথ অয়েল: ঘি দিয়ে বাথ অয়েল বানানো যায়। পাঁচ ফোঁটা ঘি আর ১০ ফোঁটা এসেনশিয়াল তেল মিশিয়ে নিন। গোসলের পর এই মিশ্রণ হাতে-পায়ে লাগিয়ে নিন। প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজারের কাজ হয়ে যাবে।

৪. ডার্ক সার্কেল: ঘুমের অভাবে চোখের নীচে কালচে দাগ পরে। আর দেখতে অনেক বাজে লাগে। নিয়মিত কয়েক ফোঁটা ঘি ডার্ক সার্কেলের জায়গায় লাগান। চোখের নীচের কালচে দাগ কমে যাবে।

আরও পড়ুন>>প্রেমে এই ৫টি লক্ষণ থাকলে বিয়ে নিশ্চিত

৫. ঠোঁটের যত্ন: ঠোঁট ফাটা থেকে কালচে ঠোঁট—েইত্যাদি সমস্যার একটাই সমাধান ঘি। নিয়মিত ঘি দিয়ে ঠোঁট মালিশ করলে এসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

google-news-channel-newsasia24

Follow