শিরোনাম

লাইফ স্টাইল

রাতে জ্বর আসার কারন কী ?

লিমা পারভীন: রাতে জ্বর হওয়া সাধারণ কোনও বিষয় নয়। জ্বরের কারণে কেবল রাতে আপনার অস্বস্তি হয় না, সকালেও মধ্যে ক্লান্তি অনুভব করেন। জ্বরের কারণ হতে পারে অনেক কিছু। তাই জ্বর আলাদা কোনও রোগ নয়, বরং একে লক্ষণ বলাই শ্রেয়।

অনেক সময় আমাদের হঠাৎ করে শুধু রাতে জ্বর আসে। দিনের বেলা আপনি দিব্যি সুস্থ্য। অথচ, রাত হলে জ্বর চলে আসে।সারা রাত ছটফট করেন, ঘুম হয়না ও সকালে ক্লান্ত বোধ করেন।

আসুন জেনে নেই রাতে জ্বরের কারণগুলো,

বাহ্যিক পাইরোগেনস: পাইরোগেনগুলি জ্বরজনিত উপাদান, সাধারণত এন্ডোটক্সিনের মতো জীবাণু থেকে প্রাপ্ত। এই পাইরোগেনগুলি বাইরে থেকে আপনার শরীরে প্রবেশ করে এবং রাতে জ্বরে আক্রান্ত হয়।

What-is-the-cause-of-fever-at-night2-newsasia24

ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ: ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণও রাতের জ্বরের জন্য দায়ী। ব্যাকটিরিয়া বা ছত্রাকের কারণে এন্ডোকার্ডাইটিস, যক্ষা হতে পারে। যার কারণে রাতে আপনার জ্বর হতে পারে।

আরও পড়ুন>>শিশুদের দেরীতে কথা বলার কারন কী ?

স্ট্রেস: কখনও কখনও স্ট্রেস এবং ক্লান্তি থেকেও রাতে হঠাৎ জ্বরও সৃষ্টি করে। তাই নিজেকে চাপ থেকে দূরে রাখুন এবং কেবল নিজের শারীরিক সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করুন। যাতে রাতে জ্বরের কোনও অবস্থা না হয়।

মূত্রনালীর সংক্রমণ: আপনার যদি মূত্রনালীর সংক্রমণ হয় তবে আপনি কেবল রাতে জ্বর আসতে পারে। আপনার যদি মূত্রনালীর সংক্রমণ সমস্যা হয় তবে এই বিষয়ে যত্ন নিন।

অ্যালার্জি: অ্যালার্জি হলেও রাতে জ্বর হতে পারে। কিছু ওষুধ থেকেও এই এলার্জি থাকতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরও পড়ুুুুুুুুুুন>>কিশমিশের ৭ টি উপকারিতা

ত্বকের সংক্রমণ:  আপনি হয়ত বিশ্বাস করবেন না, তবে ত্বকের সংক্রমণও রাতে জ্বর হতে পারে। যখন কোনও ব্যক্তির দীর্ঘ সময় ধরে ত্বকে সংক্রমণের সমস্যা থাকে, তখন রাতে জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ: গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি থেকেও রাতে জ্বর হতে পারে। কখনও কখনও এটি কয়েক দিনের মধ্যে নিরাময় হয়, তবে হালকাভাবে নেওয়া গেলে এই সংক্রমণ সহজে যায় না এবং পরে চিকিত্সকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হয়।

রাতে জ্বর আসলে সকালে কেন জ্বর নেমে যাওয়ার কারন,

যদি রাতে উচ্চ জ্বর হয়, তবে এটি প্রায় সকালে চলে যায় এবং আপনি সারা দিন ধরে ভালো অনুভব করেন। তবে ভোরে এই জ্বর কীভাবে নিরাময় হয় তা ভাবার বিষয়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে দিনের বেলাতে আপনার প্রতিরোধক কোষগুলি কাজ করতে সক্ষম।

আরও পড়ুন>>ভিটামিন ই ক্যাপসুলের পরিবর্তে খান এই ৫ খাবার

যার ফলে এটি দিনে জ্বর বা সর্দি হওয়ার সম্ভাবনা কম করে। তবে রাতের বেলা, রোগ প্রতিরোধক কোষগুলি অনেক কম সক্রিয় থাকে যা শরীরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়াগুলি ধ্বংস করার আশায় আপনার দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। যার ফলে জ্বর হয়।

google-news-channel-newsasia24

Follow

শিশুদের দেরীতে কথা বলার কারন কী ?

লিমা পারভীন: শিশুর মুখে আধো আধো বুলি শুনতে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু শিশুটি যদি স্বাভাবিক সময় কথা না বলে, তা এক বিরাট দুশ্চিন্তার বিষয়। শিশুদের দেরীতে কথা বলার বিভিন্ন কারন রয়েছে ।

বর্তমানে শিশুদের দেরিতে কথা বলা বাবা-মায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাকি সবকিছুই হয়ত ঠিকঠাক, কিন্তু একদমই কথা বলতে অনাগ্রহী ছোট্ট সন্তান।

শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ:

১. শহরের একক পরিবার: গ্রামের তুলনায় শহরের শিশুরা দেরিতে কথা বলে। গ্রামের শিশুরা মানুষের সাথে, অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে মেশে, মোবাইল ফোন বেশি হাতে পায় না। কিন্তু শহরে বেশিরভাগই ছোট পরিবার, অন্যদের সাথে মেশার সুযোগ কম তাই শিশু কথা বলে দেরীতে। এছাড়া বাবা-মা চাকরিজীবী হলে শিশুর সঙ্গে বাবা-মায়ের কম কথা বলাও শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ।

What-are-the-reasons-for-children-to-speak-late2-newsasia24

২. মোবাইল ফোন: বর্তমান সময়ে বেশীরভাগ শিশুর দেরিতে কথা বলা বা কথা কম বলার পেছনে দায়ী মোবাইল ফোন। এক বছর বয়সে অনেক শিশু কথা বলা শিখতে শুরু করার পর দেখা গেছে দুই বছর বয়সে এসে তা কমে যাচ্ছে। এর কারণ শিশুর ওপর মোবাইল ফোনের প্রভাব।

৩. ডাউন সিনড্রোম: ডাউন সিনড্রোমে শিশুর শরীর তুলতুলে নরম ও মুখমণ্ডলের ধরন আলাদা থাকে। এই শিশুদের বুদ্ধি হয় না, হাঁটা, বসা, চলাফেরা করতে পারে না এবং তারা কথাও দেরিতে বলে।

৪. সেরিব্রাল পালসি: জন্মের সময় কান্না করতে দেরি হওয়ার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন কমে যায়, মস্তিষ্ক কাজ করে না। যার ফলে হাঁটা ও বসার মতো কথা বলাও দেরিতে হয়, এ ধরনের শিশুর বুদ্ধি কমে যায়।

আরও পড়ুন:

৫. অটিজম: অটিজম শিশুদের আচরণগত অসুবিধা দেখা যায়। শিশু এক জায়গায় বসে থাকে না, নিজের মতো চলে। অন্য শিশুদের সঙ্গে মেশে না, কথা বলে না, কিছু আচরণ করে যা অন্য বাচ্চারা করে না। এক্ষেত্রে এ ধরনের শিশুদের কথা বলতেও দেরি হয়।

৬. জন্মগত সমস্যা: এছাড়া শিশুর জন্মগতভাবে ঠোঁট কাটা, তালু কাটা থাকলে কিংবা শিশু কানে কম শুনে, এমন শিশুদের কথা বলতে দেরি হয়।

google-news-channel-newsasia24

Follow

কিশমিশের ৭ টি উপকারিতা

লিমা পারভীন: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে অন্যতম উপকারী খাবার হচ্ছে কিশমিশ। কিশমিশ খালি মুখে বা পানি দিয়ে ভিজিয়ে খেলে স্বাস্থ্য এর জন্য অনেক উপকার ।

বিভিন্ন খাবারে কিশমিশ যোগ করলে যেন খাবারের স্বাদও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এছাড়া চীনাবাদাম, আলমন্ড বা কাজুবাদামের মতো অন্য ড্রাই ফ্রুটসের স্বাদ ভালো না লাগলে সেগুলোর সঙ্গে কিশমিশ চিবিয়ে খেতে পারেন। তাতে মিলবে বাড়তি স্বাদ।

আমাদের মধ্যে কিশমিশ অনেক পরিচিত হলেও এটির গুণাবলি অনেকেরই অজানা। জেনে নিন কিশমিশের উপকারিতা-

১. গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় উপকারী: কিশমিশে ভালো মাত্রায় পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। আর এ উপাদানগুলো অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।

২. রক্তস্বল্পতায় উপকারী: কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে। এ কারণে এটি শরীরে রক্ত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে, কিশমিশে থাকা তামা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

7-benefits-of-raisins-newsasia24

৩. হজমে উপকারী: নিয়মিত কিছু পরিমাণে কিশমিশ খেলে তা পেট ভালো রাখদতে সহায়তা করতে পারে। এতে ভালো পরিমানে ফাইবার থাকার কারণে তা পানির উপস্থিতিতে ফুলে উঠতে শুরু করে আর পেটে রেচক প্রভাব দেয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

৪. ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী: কিশমিশে ক্যাটেচিং নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এটি শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল কার্যকলাপ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। আর অনেক সময় এ কার্যকলাপটি টিউমার এবং কোলন ক্যান্সারের কারণও হতে পারে।

৫. সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে: কিশমিশে পলিফেনলিক ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট নামের একটি উপাদান থাকে। এটি মূলত একটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেই সঙ্গে এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করায় তা জ্বরের ঝুঁকি কমাতে এবং ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কিশমিশ খেলে তা ঠাণ্ডা এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।

আরও পড়ুুন:

৬. ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: ত্বকের কোষকে যে কোনো ক্ষতি থেকে রক্ষা করেতে অনেক উপকারী বূমিকা পালন করে কিশমিশ। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষ, কোলাজেন এবং ইলাস্টিনের ক্ষতি থেকে ফ্রি র‌্যাডিকেলগুলোকে বাধা দেয়। এর ফলে এটি বলি, সূক্ষ্ম রেখা ও ত্বকে দাগ দেখা দেওয়ার সমস্যাসহ বার্ধক্যের লক্ষণ অনেকটা বিলম্ব করতে সহায়তা করে।

৭. ওজন বৃদ্ধিতে উপকারী: ওজন বাড়াতে চাইলে সেরা একটি উপায় হতে পারে কিশমিশ খাওয়া। এই ড্রাই ফ্রুটে ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ থাকার কারণে এটি শরীরে প্রচুর শক্তি দিতে পারে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ভিটামিন ই ক্যাপসুলের পরিবর্তে খান এই ৫ খাবার

লিমা পারভীন: চুল ও ত্বকের যত্নে আমরা ভরসা করি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের উপর। তবে কৃত্রিম উৎসের ভিটামিন ই-তে সম্পূর্ণ নির্ভর না করলেও হবে। দীর্ঘদিন ক্যাপসুল ব্যবহার না করাই ভাল। প্রাকৃতিক উৎস থেকেই পেতে পারেন ভিটামিন ই।

এই ৫ টি খাবারেই আপনি পেতে পারেন ভিটামিন ই’র গুণ:

১. বাদাম: ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বিকল্প খাবারের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি খাবার হলো বাদাম। বাদামে ভিটামিন ই-র সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। তাই ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বিকল্প খাবার হিসেবে বেছে নিতে পারেন বাদাম। বিশেষ করে কাজু, আমন্ড, আখরোট ভিটামিন ই সমৃদ্ধ।

Eat-these-5-foods-instead-of-vitamin-E-capsules-2newsasia24

২. ব্রকলি: শীতের এ মৌসুমে বাজারে সাদা ফুলকপির সঙ্গে দেখা মিলছে সবুজ ব্রকলিরও। ফুলকপির মতো দেখতে সবুজ ব্রকলিতেই লুকিয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর ভিটামিন ই। এছাড়া ব্রকলিতে থাকা জিঙ্ক আর কপারের মতো উপাদান ত্বকের সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে প্রিবায়োটিক ফাইবার ও ভিটামিন সি-ও ব্রকলিতে।

৩. অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েল ভিটামিন ই-তে ভরপুর। রান্নায়, সালাদে ভাল মানের অলিভ অয়েল হতে পারে আপনার ভিটামিন ই যোগানদাতা।

আরও পড়ুুুুুন:

৪.হুইট জার্ম অয়েল: গমের শাঁস থেকে তৈরি করা হয় এই তেল। এতে রয়েছে ভিটামিন ই ও লিনোলেইক অ্যাসিড। আর এই দুই উপাদানের কারনে অন্যান্য সব তেল কে পিছনে ফেলে চুলের জন্য এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই হুইট জার্ম অয়েল। এই তেলে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন থাকায় চুল ও ত্বকের যত্নে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বিকল্প এটি।

৫. অ্যাভোকাডো: ত্বকে বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে অ্যাভোকাডো। ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বিকল্প এ ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ভুলেও শীতে মোজা পরে ঘুমাবেন না

লিমা পারভীন: সারা দেশে শীত পড়ছে। কোথাও তীব্র, কোথাও একটু কম। সোয়েটার-জ্যাকেট আলমারি থেকে আগেইনামানো হয়েছে। মোজা পড়তে শুরু করেছেন কেউ কেউ। আবার শীতের রাতে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে অনেকেই পায়ে মোজা পরে ঘুমান। বেশ আরামও লাগে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে মোজা পরে শোয়ার অভ্যাস আরামদায়ক হলেও স্বাস্থ্যকর নয়। এতে ঘুমের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। তারতম্য হতে পারে হৃদস্পন্দনের। এ অভ্যাসের ফলে আরও কিছু সমস্যা হয়। শরীরে রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এর ফলে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। রক্ত জমাট বাঁধা শরীরের পক্ষে ভালো নয়।

আরও পড়ুন:

ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয় এমন কাপড়ে তৈরি মোজা দীর্ঘক্ষণ পরে থাকলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। সেক্ষেত্রে সুতির মোজা ব্যবহার করা যায়। আবার মোজা খুব আঁটসাঁট হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ঘুমের সময় অস্বস্তি হতে পারে। তাই ঘুমোনোর আগে মোজা খুলে রাখাই ভালো।

google-news-channel-newsasia24

Follow

মরিচ বেশি খেলে আয়ু বাড়ে

লিমা পারভীন: গত কয়েক বছরে স্পাইসি ফুড বা ঝালজাতীয় খাবার নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা যায়, ঝাল খাবার বা মরিচ যারা বেশি খেয়েছেন তারা বেশি দিন বেঁচেছেন।

প্রায় ৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে, যারা ঝাল খাবার খান না তাদের তুলনায় যারা ঝাল খাবার খান তাদের মৃত্যুঝুঁকি কমেছে প্রায় সাত বছর পর্যন্ত।

Eating-more-pepper-increases-life-expectancy-newsasia24

এখানে একটি বিষয় গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, ঝাল খাবারে উপকারিতা আসে মূলত ক্যাপসেইসিন নামক উপাদান থেকে। এটি একটি সক্রিয় জৈব উপাদান যা মরিচে পাওয়া যায়। এছাড়াও ক্যাপসেইসিন চর্বি কমায়, সংক্রামক ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করে। অপরদিকে কিডনি, ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে এ উপাদানটি।

ঝাল খাবারের প্রতিরক্ষামূলক উপাদান কাপসেইসিনের ভূমিকার প্রমাণ সাপেক্ষে ক্লিনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন জার্নালে একটি গবেষণা প্রক‍াশিত হয়েছিল। যেখানে গবেষকরা দেখিয়েছেন, মরিচের মধ্যকার রাসায়নিক এ উপাদানটি পাকস্থলীর কোষকে বিভিন্ন উদ্দীপকে সাড়া দিতে সক্রিয় করে তোলে। ফলে টিউমার বেড়ে উঠতে পারে না।

আরও পড়ুন:

লস এঞ্জেলসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফল হিউম্যান নিউট্রিশনের এক গবেষণায় বলছে, ঝালজাতীয় খাবার শরীরের বাড়তি ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করে। এক চা চামচেরও কম লাল মরিচ ক্ষুধা কমায়।

গবেষণায় আরও বলেছে, যারা সপ্তাহে ছয় দিন কাঁচামরিচ ও ঝালজাতীয় খাবার খান তাদের ক্যানসার ও মৃত্যুঝুঁকি ১১ শতাংশ পর্যন্ত কমে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

ভাল ঘুমের জন্য শয়নকক্ষে রাখতে পারেন এই ৪ গাছ

লিমা পারভীন: বর্তমানে রাত জাগার বদঅভ্যাস ধরেছে অনেকের। কারনে অকারণে রাত জেগে জেগে ভয়াবহ পরিণাম ডেকে আনছে এই বদঅভ্যাস।

স্মার্টফোনে রিলস দেখা, স্ক্রল করার অভ্যাসে পালিয়ে গেছে ঘুম। ফলাফল সারাদিন এক আজব অবসাদে ভোগা। তবে নিদ্রা ফেরত আনতে ভুলেও ঘুমের ওষুধ, স্নায়ু শান্ত করার ওষুধ খাবেন না।

প্রাকৃতিক উপায়ে শোবার ঘরকে ঘুমের উপযোগী করতে পারেন। এই পদ্ধতি কাজে আসতে পারে। শোবার ঘরটা ঘুম সহায়কা বানাতে ঘরে রাখতে পারেন ৪টি উপকারি গাছ। এজন্য খুব একটা জায়গাও লাগবে না।

১. অ্যালোভেরা গাছ: টেবিলের কর্নারে ছোট্ট একটা টবে রাখুন অ্যালোভেরা গাছ। এই গাছের উপকারিতা অনেক। ঘরের হাওয়া শুদ্ধ করতে এই গাছ দারুণ কাজ করে। শুধু তাই নয়, এই গাছের হালকা একটা গন্ধ আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করবে।

You-can-keep- these-4-plants-in-the-bedroom-for-good-sleep2-newsasia24

২. কামিনি ফুলের গাছ: বেডরুমে জানালার পাশে যদি ব্যালকনি থাকে সেখানে রাখুন কামিনি ফুলের গাছ। ঘরের ভেতরে রাখতে চাইলে বনসাই কামিনি গাছ ব্যবহার করুন। কামিনি ফুলের গন্ধে ঘুম আসতে কাজে দেয়। তবে অবশ্যই খাট থেকে দূরে রাখুন এই গাছের টব।

 

৩. চামেলি ফুলের গাছ: ছোট্ট একটা টবে রাখুন চামেলি ফুলের গাছ। চামেলি ফুলের গন্ধ স্ট্রেস দূর করতে দারুণ কাজ করবে, স্নায়ু রাখবে শান্ত। আর এর ফলে ঘুম হবে দারুণ।

You-can-keep- these-4-plants-in-the-bedroom-for-good-sleep3-newsasia24

৪. বাঁশগাছ: ঘরের এক কোণায় বড় একটা টবে রাখুন ঘর সাজানোর ছোট আকৃতির বাঁশগাছ। দেখবেন, গোটা ঘরে আবহওয়াই বদলে যাবে। বাঁশগাছ ঘরের হাওয়াকে শুদ্ধ করতে দারুণ কাজ করে। বেশ একটা ঠাণ্ডা প্রশান্তির পরশ এনে দেয় শয়নকক্ষে।

আরও পড়ুন:

তবে শুধু গাছ নয়, বদলে ফেলুন কিছু অভ্যাসও। রাতে শোয়ার আগে চা বা কফি পান করবেন না। ঘুমাতে যাওয়ার ২ ঘণ্টা বা তার আগে একটি কলা খেতে পারেন। আর চেষ্টা করুন কোনও একটি বইয়ের ১০ পাতা পড়তে। দেখবেন মারাত্মক নিদ্রাহীনতায় না ভুগলে ঘুম আসবেই।

google-news-channel-newsasia24

Follow

শীতকালে বিয়ে করার সুবিধা

লিমা পারভীন: শীত হলো বিয়ের মৌসুম। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতেই বেশিরভাগ মানুষেরা বিয়ে করেন। বিয়ের মতো এই বিপুল আয়োজন করতে লোকবলও লাগে প্রচুর। ফলে শীতের সময়ে বিয়ে করার অনেক সুবিধা আছে। বছরের এ সময়টাতে সবার ছুটি থাকে।

এ কারণে বিভিন্ন উৎসব ও আয়েজনে পরিবার, বন্ধুবান্ধবসহ সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া যায়। বিয়ের মেকআপ থেকে শুরু করে বিরেয় বাড়ির খাওয়া-দাওয়া শীতকালে সবটাই ভীষণ স্বস্তিদায়ক।

Advantages-of-getting-married-in-winter-newsasia24

বিয়েতে কনের সাজগোজ আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। কনে কী বেনারসী পরেছেন, কেমন রূপটান করেছেন, সবটাই অত্যন্ত কৌতূহলের একটি বিষয়। অনেক সময় বিয়ের লগ্ন অনেক রাতে থাকে। ফলে কনের সাজগোজ ঠিক থাকা জরুরি। গরমের তুলনা শীতে রূপটান দীর্ঘস্থায়ী হয়।

বিয়ে মানেই জমিয়ে খাওয়া দাওয়া। বিয়ে বাড়ির খাবার হয় তেল-ঝাল ও মসলাযুক্ত। গরমকালে এসব খাবার শরীরে বেশি প্রভাব ফেলে। তাই শীতকালে বিয়ে করলে এ ধরনের খাবার খাওয়া যায় নিশ্চিন্তে।

শীতকালে বিয়ে করলে বিদ্যুতের খরচে খানিকটা হলেও কমানো যায়। কারণ শীতকালে ফ্যান বা এসির ঝামেলা থাকে না। তাছাড়া অতিরিক্ত খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা কমে। অন্যদিকে শীতে গাঁদা, ডালিয়া ও গোলাপসহ বাহারি ফুলের দেখা মেলে। এ কারণে সহজলভ্যেই মেলে এসব ফুল। তাই বিয়ের ডেকোরেশনে ফুলের খরচও একটু কমে।

আরও পড়ুন:

বিয়েবাড়িতে সাজগোজ মানেই জমকালো হবে। ভেলভেট বা সিল্কের পোশাক পরলে বিয়েবাড়িতে তা বেশ মানানসই হয়। তবে গরমকালে এ ধরনের কাপড় পরা যায় না। তবে শীতকালে ভেলভেটের শাড়ি বা গাউন পরা যায়।

google-news-channel-newsasia24

Follow

সুস্বাদু ফুলকপির পায়েস রেসেপি

লিমা পারভীন: শীতকালে বাজারে ফুলকপি ভরপুর। দামে সস্তা হলেও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী হলো ফুলকপি। তরকারি থেকে শুরু করে পাকোড়াসহ নানা ধরনের পদ তৈরি করা যায়।

আপনি চাইলে ফুলকপির মিষ্টান্ন পদও খেতে পারবেন। ফুলকপি দিয়ে সহজেই তৈরি করে নিতে পারেন পায়েস।

Delicious-Cauliflower-Pies-Recipe2-newsasia24

জেনে নিন ফুলকপির পায়েস তৈরির সহজ রেসিপি-

উপকরণ:
১. ফুলকপি ১টি ২. দুধ ২ লিটার ৩. ভাঙা বাসমতি চাল অর্ধেক কাপ ৪. কনডেন্সড মিল্ক আধা কাপ ৫. খেজুরের গুড় আধা কাপ ৬. এলাচ ৭. দারুচিনি গুঁড়া ৮. কাজু ৯. কিশমিশ ও ১০. বাদাম।

যে পদ্ধতিতে তৈরি করবেন,

প্রথমে ছোট ছোট করে কেটে নিন ফুলকপি। এবার গরম করা দুধে চাল দিয়ে সেদ্ধ করতে বসিয়ে দিন। সেদ্ধ হয়ে এলে আধা লিটার দুধ ও কেটে রাখা ফুলকপি মিশিয়ে আবারও জ্বাল দিন। সেদ্ধ হয়ে এলে চালের সঙ্গে গুড়, আধা লিটার দুধ, দারুচিনি ও এলাচের গুঁড়া মিশিয়ে দিন। ভালো করে নাড়তে থাকুন। দুধ ঘন হয়ে এলে মিশিয়ে দিন কনডেন্সড মিল্ক। এবার নাড়তে নাড়তে মিশিয়ে দিন পেস্তা বাদাম কুচি ও কিশমিশ। চাল ও ফুলকপি ভালো করে সেদ্ধ হয়ে গেলে কাজুবাদাম সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুন:

Follow

শীতে খাবেন না যে ৭ খাবার

লিমা পারভীন: শীতে চলে বিভিন্ন রকমের পিকনিক, পার্টি, গেটটুগেদার। যেখানে প্রচুর আনন্দ, সেই সঙ্গে প্রচুর খাওয়া-দাওয়া হয়।

তবে শীতে খাবারের বেলায় একটু সতর্ক থাকুন। কারণ এসময় অনেক খাবার আছে যেগুলো আপনার পেটের সমস্যা বাড়িতে দিতে পারে। দেখা দিতে পারে অ্যাসিডিটির মত সমস্যা, বদহজম, ডায়রিয়া।

7 foods-that-should-not-be-eaten-in-winte2r-newsasia24

শীতে যে সকল খাবার খাবেন না,

১. ফাইবার সমৃদ্ধ সব খাবার বেশি পরিমাণে খেলে দেহে ফাইবার ওভারলোড হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর সেই কারণেই শরীরে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো ছোটখাট সমস্যা। তাই এই সময় একদিনে অনেকবেশি শাক ও সবজির পদ না খাওয়াই ভালো।

২. বাইরের ভাজাপোড়া খাবার খেতে পছন্দ করেন কমবেশি সবাই। তবে শীতে এই খাবার আপনার বদহজমের কারণ হতে পারে। এমনকি এসব খাবারে থাকা অত্যধিক মশলা এবং লবণ হৃৎপিণ্ডের গুরুতর ক্ষতি করতে পারে।

আরও পড়ুন>>শীতকালে সুস্থ থাকতে যে খাবারগুলি খাবেন

৩. শীত বাজারে হরেক রকমের লেবু বা কমলালেবু পাওয়া যায়। একদিনে একাধিক লেবু বা কমলালেবু খেয়ে ফেলা যাবে না। এতে অ্যাসিডিটি বেড়ে যেতে পারে। দিনে ২টির বেশি খাওয়া চলবে না।

৪. পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কথায়, বিনস হলো একটি অত্যন্ত উপকারী খাবার। এতে রয়েছে প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিনের ভাণ্ডার। তাই তো শরীরের খেয়াল রাখতে নিয়মিত বিনস খেতেই হবে। কিন্তু তাই বলে আবার শীতের দিনে এক সঙ্গে অনেক বেশি বিনসের তরকারি খাবেন না। এতে পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এবং গ্যাস-অ্যাসিডিটির মতো জটিল অসুখে ভোগার আশঙ্কা বাড়বে।

আরও পড়ুন>>নারীদের সুস্থ থাকার ১১টি কৌশল

৫. শীতে প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন- মিষ্টান্ন, পানীয়, চকলেট, বেকারি আইটেম যেমন ময়দা-ভিত্তিক পাউরুটি, কেক, মাফিন কম খাওয়ার পরামর্স দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট থাকে যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে এবং এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৬. বুকে কফ জমলে, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি হলে শীতের সময় চিকিৎসকরা দুগ্ধ জাতীয় খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এসব খাবার খেলে বুকে কফ জমার প্রবণতা আরও বেড়ে যায়।

আরও পড়ুুন>> সবজি দিয়ে ‘ভেজিটেবল প্যানকেক’ তৈরির রেসিপি

৭. শীতে অসুস্থতা এড়াতে হিস্টামিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এ ধরনের খাবারের মধ্যে ডিম, মাশরুম, টমেটো, শুকনো ফল, দই উল্লেখযোগ্য। এসব খাবার শীতের দিনে অতিরিক্ত কফ তৈরি করে।

google-news-channel-newsasia24

Follow