নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ত্বকের মাধ্যমে নানা রোগের বহির্প্রকাশ ঘটে। ফলে লক্ষণ দেখেই বোঝা যায় শরীরের মধ্যে কোন রোগ বাসা বেঁধেছে। তাই ত্বকের যতই যত্ন নিন না কেন, শরীরে ভেতরের কোনো সমস্যা থাকলে তার প্রভাব চেহারায় পড়ে।
মুখে ব্রণ, দাগছোপ, শুষ্ক ত্বক— এসব কিন্তু শরীরের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা চিহ্নিত করে। চোখের ফোলা, চোখের নিচে কালি— এসবও শারীরিক সমস্যার লক্ষণ। তাই শত রূপচর্চা করলেও কমবে না এসব সমস্যা বরং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
সূস্থ থাকতে হলে ত্বকের নানা সমস্যার পেছনে শারীরিক সমস্যা আছে কিনা? সবার এ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা উচিত।
ব্রণের সমস্যায় পুরুষ ও নারী নির্বিশেষে প্রায় সবাই ভোগেন। বিশেষত তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ি, ব্রেকআউট লেগেই থাকে।
কারণ তৈলাক্ত ত্বকের ছিদ্র বা পোর্স বন্ধ হয়ে যায়। আর এর ফলেই বাড়তে থাকে ব্রণের সংখ্যা। এ ছাড়া বয়ঃসন্ধি, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, মেনোপজ, পিরিয়ডের সমস্যা এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে ব্রণ হতে পারে।
অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে ত্বকে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন ক্ষরণ হয়। ফলে তৈলাক্ত ত্বক আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। যে কারণে ব্রণ আরও বেশি হয়।
একজিমা এমন একটি চর্মরোগ, যা ত্বককে লাল করে তোলে। একজিমার ফলে ত্বক শুষ্ক, জ্বালা এবং চুলকানি হয়। অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে একজিমা হতে পারে। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। একবার একজিমা হলে তা সহজে নির্মূল হতে চায় না।
সোরিয়াসিস ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। সাদা আঁশের মতো খসখসে শুকনো অংশ হয়। এতে ত্বক লালচে হয়ে ফুলে ওঠে। তার ওপর থেকে আঁশের মতো ছাল উঠতে থাকে। অটো ইমিউন ডিজঅর্ডার থেকে এ ধরনের ত্বকের সমস্যা হয়।
গোলাপি বা লালচে শরীরের যে কোনো জায়গায় দেখা দিতে পারে। তবে সাধারণত পেট, উরু ও স্তনে বেশি দেখা যায়। মূলত শরীরের অতিরিক্ত ওজন এবং গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে এ সমস্যা হয়।
আর্দ্র রাখার ক্রিম লাগানোর পরও যদি ত্বক শুষ্ক থাকে এবং চুলকানি হয় তা হলে তা এটোপিক ডার্মাটাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। এ অবস্থার কারণে ত্বকে ফাটা ও চুলকানি হতে পারে। এর সঙ্গে হাঁপানি, হে ফিভার ও অন্যান্য অ্যালার্জিও দেখা দিতে পারে।
মানসিক চাপের প্রভাবে সোরিয়াসিস বা একজিমা আরও খারাপ পর্যায়ে যেতে পারে। এর ফলে ক্রমাগত ব্রণ, ভঙুর নখ, চুল পড়া, আমবাত এবং ঘাম হওয়া বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: জীবনকে উন্নতি করার কার্যকরী ৫ টিপস
ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে হবে। প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করতে হবে, সকালে এবং রাতে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে।
প্রতিদিন ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে। এসব নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চলতে পারলেই ত্বক থাকবে স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল।