নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওয়াসফিয়া। তৈরি করতেন সম্পর্ক। তারপর ফাদে ফেলে সবকিছু হাতিয়ে নিতেন তিনি। বাসায় ডেকে আপত্তিকর ছবিতুলে ব্ল্যাকমেইল করায় পারদর্শী।
তার আছে একটি চক্র। তাদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ১ জন পুরুষ। অবশেষে পুলিশের কাছে আটক হোন তারা।
নারীদের মধ্যে ছিলেন, খাদিজা (২৭), মুনমুন (৩০) ও ওয়াসফিয়া খানম (২৬) এবং পুরুষ ব্যাক্তিটি হলেন হাদিউল ইসলাম বাবু (৩৪),
বুধবার (১১ অক্টোবর) মিরপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।
তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার মিরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে বাবু ব্যবসায়ী, খাদিজা ও মুনমুন গৃহিণী এবং ওয়াসফিয়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ শিক্ষার্থী।
এ চক্রের মাস্টারমাইন্ড ওয়াসফিয়া । তিনিই মূলত পরিকল্পনা সাজান। প্রথমে একজনকে টার্গেট করা হয়। টার্গেট করে তার সাথে তৈরি হয় বন্ধুত্ব।
আরও পড়ুন:
অফলাইনে তাদের যেকোনো একজন মেয়ে আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
এরপর সেই নম্বরে নিয়মিত যোগাযোগ করে তৈরি করা হয়।প্রেমের সম্পর্ক। সম্পর্ক গভীর হলে টার্গেটকে বাসায় ডাকা হয়। বাসায় আসলেই চক্রের বাকি সদস্যরা মারধর করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে ফেলে।
এ সময় মেয়ে সদস্যরা প্রথমেই ওই ছেলের সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে। তারপর শুরু হয় ব্লাকমেইল। সেই ছবি স্ত্রী কিংবা পরিবারের কাছে পাঠিয়ে বড় অংকের টাকা দাবি করত তারা।
টাকা না দিলে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না দেখে এবং সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে তারাও টাকা দিত তারা।
এইভাবে এক এনজিও কর্মকর্তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন খাদিজা। বাবার অসুস্থতার কথা বলে খাদিজা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে নেন ২০০ টাকা।
এ টাকা নেওয়ার মাধ্যমেই পরিচিত হন তিনি। এরপর বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে সম্পর্ক আরও গভীর করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার তাকে বাসায় ডাকেন খাদিজা। বাসায় আগে থেকেই ছিলেন বাবু, মুনমুন ও ওয়াসফিয়া।
তিনি বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাকে বেঁধে মারধর করে মোবাইল ও ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় তারা। এরপর তার স্ত্রীকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ঐ চক্র।
শেষে ১০ হাজার ২০০ টাকায় রফা করেন। টাকা নিয়ে রাতে তাকে ছেড়ে দিতে আসলে তিনি চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশপাশের লোক এসে তাদের আটক করেন।
পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে তাদের আটক করে এবং মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করে।