শিরোনাম

শিরোনাম

শৈলকুপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপার সাধুখালী গ্রামে বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আব্দুল খালেক (২৫) নামের এক লাইনম্যানের মৃত্যু হয়েছে।

আজ রবিবার (২৩ জুন) দুপুর ১২টার দিকে শৈলকুপার উপজেলার সাধুখালী গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃত আবুল খালেক কুষ্টিয়া জেলার বাসিন্দা । তিনি ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুত অফিসে লাইন ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল খালেক তার সহকর্মীদের নিয়ে ওই গ্রামে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করছিলেন। এ সময় বিদ্যুৎ আহিত হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জিএম ওমর আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন জানান, আহত যুবককে শৈলকুপা হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি মর্মান্তিক।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ; ট্রাকে ফিরছে ঘরমুখো মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সুযোগ বুঝে পরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। এছাড়া টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক মহাসড়কেও সিএনজি ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে।

আজ শুক্রবার (১৪ জুন) বিকেলে মহাসড়কের রাবনা বাইপাস এলেঙ্গা বাস স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

এদিকে, বাড়তি ভাড়ার চাপ এবং যানবাহন স্বল্পতার কারণে অনেক যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ভ্যান, খোলা ছাদের ট্রাক ও বাসের ছাদে করে বাড়ি যাচ্ছেন। মহাসড়কের নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।

আশেকপুর বাইপাস এলাকায় বাসের অপেক্ষায় ছিলেন সিরাজগঞ্জের ইমরুল হাসান মিয়া। তিনি বলেন, ১০০ টাকার ভাড়া ১৮০-২০০ নিচ্ছে। দেখার কেউ নেই। যাত্রীর চাপ থাকায় পরিবহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। পরিবারের সাথে ঈদ করতে বাড়ি ফেরা, তাই নিরুপায় হয়ে সবার বেশি ভাড়া দিয়েই যাচ্ছে।’

পাবনাগামী শুভ আহমেদ বলেন, ‘অফিস ছুটি হয়েছে। ১০দিনের ছুটি পেয়েছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। যাত্রীর অনেক চাপ, অনেকেই ট্রাকে যাচ্ছেন। বাসের চেয়ে ট্রাকের ভাড়া একটু কম। আগের থেকে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বাড়ি যেতে হচ্ছে।’

উত্তরবঙ্গগামী পিক-আপ চালক কাদের মোল্লা বলেন, ‘চন্দ্রা থেকে যাত্রী নিয়ে বগুড়া পর্যন্ত যাব। বাস ভাড়া দ্বিগুণ নিচ্ছে। সেজন্য ঘরমুখো মানুষের কথা চিন্তা করে কম টাকায় তাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি।’

 

google-news-channel-newsasia24

গ্যাস বাবুর ভাষ্যে ফাঁসছেন অনেকে

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে আটক জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুর দেওয়া তথ্যে অনেকে ফেঁসে যাচ্ছেন।

পুলিশের একটি সূত্র দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানিয়েছে। ঘটনার অন্যতম নায়ক আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়ার আত্মীয় গ্যাস বাবু। তিনি জানিয়েছেন, ঢাকায় কামরুজ্জামানের গুলশানের বাসায় কয়েক দফা বৈঠক হয়েছিল।

যতই দিন যাচ্ছে ততই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলো নিশ্চিত হয়েছে, চোরাচালান এবং রাজনৈতিক কারণে আনারকে হত্যা করা হয়েছে।

কারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সে ব্যাপারেও অনেকটা নিশ্চিত পুলিশ। ঝিনাইদহ ও যশোরের ছয়জন ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তি গোয়েন্দাদের নজরে আছেন। তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

আনারকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বিস্তৃত বিবরণ দিয়েছে কসাই সিয়াম। তার ভাষ্য শুনে কলকাতা পুলিশ হতবাক। কলকাতা পুলিশও নিশ্চিত হয়েছে, স্যুয়ারেজ লাইন থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসখন্ড মানুষেরই। দুয়েক দিনের মধ্যে আনারের মেয়ে ডরিনের ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

আরও পড়ুন>>ঠিকানাবিহীন ১৮ হাজারের বেশি পরিবারের আজ ঈদের দিন

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ১২ মে আনার কলকাতায় যাওয়ার পরের দিনই তাকে ব্যবসার কথা বলে নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় হত্যা-পরিকল্পনাকারীরা।

তিনি কলকাতায় যাওয়ার সপ্তাহখানেক আগে থেকেই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আনারের বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহীন কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। চিহ্নিত ফ্ল্যাটে প্রবেশের ৩০ মিনিটের মাথায় তাকে হত্যা করা হয়।

এর আগে মিনিট দশেক চোরাচালানসহ নানা বিষয়ে হত্যাকারীদের সঙ্গে আনারের তর্কাতর্কি হয়, অশালীন বাক্য বিনিময়ও হয়।

নাম প্রকাশ না করে ঢাকা মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, “চোরাচালান ও স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে আনারকে হত্যা করা হয়েছে। এক বছর ধরে আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা, ঝিনাইদহ ও যশোরে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। কারা হত্যা করবে তার তালিকাও তৈরি করে পরিকল্পনাকারীরা। ওইসব বৈঠকে আখতারুজ্জামানসহ ছয়জন ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন>>নেত্রকোণায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযান, প্রশিক্ষণের আলামত

তাদের নাম জানা গেছে। আওয়ামী লীগ নেতা বাবুর মোবাইলে ফোনে সব তথ্য পাওয়া গেছে। বাবু জিজ্ঞাসাবাদেও তথ্য দিয়ে চলেছেন। তারা মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেছেন। ‘রাজনৈতিক কাঁটা’ দূর হবে এ আশায় এমপিকে হত্যা করা হয়।”

ওই কর্মকর্তা জানান, ওইসব প্রভাবশালীকে আমাদের জালে আনা হয়েছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেনসের ফ্ল্যাটে আনারকে হত্যা এবং লাশ গুমের পর ১৫ মে বাংলাদেশে ফেরেন শিমুল ভূঁইয়া।

আখতারুজ্জামান শাহীন শিমুলকে জানান, বাবুর কাছ থেকে টাকা নাও। ১৬ মে বাবুর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন শিমুল। ১৭ মে তারা ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে গাড়ির ভেতরে সাক্ষাৎ করেন।

বাবু বলেন, ২৩ মে টাকা দেবেন। কিন্তু তার আগেই হত্যার কথা চাউর হয়ে গেলে তারা আত্মগোপনে চলে যান।

পুলিশ সূত্র জানায়, যশোরের শার্শা, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, কালীগঞ্জ, শৈলকুপার সীমান্ত এলাকার চোরাচালানসহ সব কারবারের একক নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিলেন যশোরের আলোচিত এক প্রভাবশালী ব্যক্তি।

google-news-channel-newsasia24

তার আধিপত্য বিস্তারে বাধা হয়ে দাঁড়ান এমপি আনার। ফলে তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকার একজন হীরা ব্যবসায়ী ও একজন ডেভেলপারও হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার নামও জানা গেছে। গ্যাস বাবু বেশ কয়েকজনের নাম বলেছেন। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে তিনি তার দুটি আইফোন ভেঙে ফেলেন।

পরে মোবাইলগুলো হারিয়ে গেছে বলে ঝিনাইদহ সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সন্দেহ দেখা দিলে সদর থানা-পুলিশ ঢাকার ডিবি পুলিশকে জানায়।

আনার হত্যার ঘটনার তদন্ত শেষে অনেকেই গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সত্যের কাছাকাছি এসে গেছি।

মরদেহের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই আমরা আপনাদের কাছে অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারব। যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের জবানবন্দি শুনেছি। মাংসখন্ডগুলো কোথায় তারা রেখেছে তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

আমাদের গোয়েন্দারা ভারতে গিয়েছিল। তারা যে খন্ড গুলো পেয়েছেন, সেগুলো উদ্ধার করেছেন। ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাবে না এগুলো আনারের মরদেহের অংশ কি না।’

রক্তের হিমোগ্লোবিন কমে যায় কেন, এক্ষেত্রে কী করবেন?

লিমা পারভীন: রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ক্রমশ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে হিমোগ্লোবিন আসলে কী?

রক্তের মাধ্যমে পুরো দেহে অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান পরিবাহিত হয়। রক্তের তিনটি কণিকার মধ্যে লোহিত কণিকায় থাকে বিশেষ ধরনের আয়রন, যাকে বলা হয় হিমোগ্লোবিন। এর প্রধান কাজ হলো ধমনী থেকে দেহের সব স্থানে অক্সিজেন সরবরাহ করা।

হিমোগ্লোবিনের অভাব শরীরের একটি সাধারণ সমস্যা। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। ক্রমশ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে।

হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কেন হয়?
শরীরের চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন ও খনিজের অভাব হলেই দেখা দেয় হিমোগ্লোবিন স্বল্পতা। ছোট-বড় সবার শরীরেই হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

এর লক্ষণ কী কী?
রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যায়। মূলত আয়রনের অভাবে এমনটি ঘটে। রক্তস্বল্পতার কারণে অনেক সময় অবসাদ গ্রাস করে। অনেকের আবার হৃদস্পন্দনের গতিও বেড়ে যায়।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেক নারীই রক্তস্বল্পতার সমস্যায় ভোগেন। তবে পুষ্টির অভাবে যে কারও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, খাদ্যাভ্যাসে সামান্য বদল করলে এই রোগের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে কী খেতে হবে?

শাক-সবজি: রক্তে আয়রনের ঘাটতি পূরণে রোজের খাদ্যতালিকায় পালং শাক, ব্রোকলি, বিটরুট, পনির, ডিম, আপেল, তরমুজ, বেদানা, কুমড়ার বীজ, কাঠবাদাম, অ্যাপ্রিকট ও কিশমিশ রাখতে পারেন।

ভিটামিন সি: ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শুষে নিতে সাহায্য করে। এজন্য ভিটামিন সি আছে এমন খাবার ডায়েটে বেশি করে রাখতে হবে। কমলালেবু, স্ট্রবেরি, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, আঙুর ও টমেটোতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।

ফলিক অ্যাসিড: ফলিক অ্যাসিড এক ধরনের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, যা রক্তে লোহিত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর মাত্রায় ফলিক অ্যাসিড থাকে। তাই বেশি শাক-সবজি ডায়েটে রাখুন।

ঠিকানাবিহীন ১৮ হাজারের বেশি পরিবারের আজ ঈদের দিন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: এক সময় যাদের থাকার মতো জায়গা বলতে ছিলো অস্থায়ী জোড়াতালির ঘর, আজ তাদের নিজের ভূমি, নিজের ঘর, নিজের একটি ঠিকানা হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টিতে যাদের অজানা আতঙ্কে দিন কাটতো, তারা এখন নিশ্চিন্তে আশ্রয়ণের বাড়িতে সমৃদ্ধ আগামীর স্বপ্ন দেখে।

এমন একজন মিনজু বেগম। বয়স ১৮। দেশব‌্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আওয়ামী লীগ সরকার ঘর দেওয়ার যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, সেখানে তিনিও ভোলার চরফ‌্যাশন এলাকার চর কচ্ছপিয়াতে একটি ঘর পেয়েছেন। সেখানে স্বামী, শাশুড়ি আর সন্তানদের নিয়ে বসবাস শুরু করেছেন তিনি।

নিকট অতীতের কষ্টের দিনের কথা বলতে গিয়ে অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন মিনজু। জানান, ভাঙা একটি ঘরে পরিবারের অনেক মানুষ নিয়ে বাস করতেন। ছোট্ট ঘরে ঠিকমতো থাকা যেতো না। তার ওপর পুরোনো টিন আর পলিথিনের জোড়াতালির ঘর ঝড়-বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়তেন।

সেই তুলনায় এখন অনেক ভালো আছেন জানিয়ে এজন‌্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন‌্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। নিমজু বলেন, এটা তাদের কাছে শুধু আশ্রয় নয়, একটি ঠিকানা নয়, এটা সুন্দর ভবিষ‌্যতের জন‌্য একটি উপহার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে সরকারের আবাসন কর্মসূচি আশ্রয়ণ-২ পরিকল্পনার আওতায় মঙ্গলবার (১১ জুন) সারাদেশে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর করবেন।

আরও পড়ুন>>নেত্রকোণায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযান, প্রশিক্ষণের আলামত

সকাল ১১টায় নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পঞ্চম পর্বের দ্বিতীয় ধাপে ১৮ হাজার ৫৬৬টি গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি তিনি ২৬ জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মানুষ মুক্ত ঘোষণা করবেন।

চরফ‌্যাশন উপজেলার কচ্ছপিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেকজন সুবিধাভোগী রাজিয়া বেগম। চার সন্তান আর স্বামী নিয়ে যে কষ্টের যাত্রা এতদিন অতিবাহিত করে এসেছেন, তার পরিসমাপ্তি ঘটেছে আশ্রয়ণে ঘর পাওয়ার মাধ‌্যমে।

তিনি বলেন, আগে যেখানে থাকতাম সেটি নিজের ছিলো না। কোনো রকমে একটি ঘর তুলে সেখানে দিন কাটিয়েছি। খুব খারাপ পরিবেশ ছিলো। এখন ভালো পরিবেশে স্বপ্ন দেখি সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করার।

আরও পড়ুন>>খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সমর্থককে হত্যা

ভোলা জেলা প্রশাসক ( ডিসি) আরিফুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ঘর প্রদান করবেন। ইতিমধ্যে ভোলা সদর উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নিঃস্ব, অসহায় মানুষকে যাতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে পুর্নবাসন করা যায়, একই সাথে আশ্রয়ণ প্রকল্পের যে মূল উদ্দেশ্য, আমাদের সামাজিক সুরক্ষার যে মূল উদ্দেশ্য, সেগুলো কিন্তু এই প্রকল্পের যারা উপকার ভোগে রয়েছেন, তাদেরকে সরকার নিশ্চিত করছে।

বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্পটি যেখানে করা হয়েছে, সেখানে কিন্তু একটি সুন্দর মানসম্পন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাদের যে সন্তান রয়েছে, সেসব সন্তান যাতে আগামীর উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য উপযোগী হয়ে উঠতে পারে, সেজন্য যাতে যথাযথভাবে শিক্ষা পায় সেই বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার লালমনিরহাটে ১ হাজার ২৮২টি, কক্সবাজারে ২৬১টি এবং ভোলা জেলায় ১ হাজার ২৩৪টি বাড়ি হস্তান্তর করবেন। নতুন ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত জেলা ও উপজেলা নিয়ে সারাদেশে জেলার মোট সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৮টি এবং উপজেলা হবে ৪৬৪টি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি এবং চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করেন।

আরও পড়ুন>>পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

প্রকল্পের আওতায় ভূমি ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে দুই দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিকানা দিয়ে একটি আধা-পাকা বাড়ি দেওয়া হচ্ছে, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই হবে। প্রতিটি বাড়িতে দুটি বেডরুম, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং বারান্দা রয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জেলায় এর আগে গৃহ ও ভূমিহীনদের মধ্যে মোট ৪ হাজার ৬৬৬টি বাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার আরও ২৬১টি বাড়ি হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই ২৬১টি বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারকে গৃহ ও ভূমিহীনমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন।

শাহিন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প জেলার গৃহ ও ভূমিহীন মানুষকে শুধু আশ্রয়ই দেয় না, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে তাদের স্বাবলম্বী করে তোলে।

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম পর্যায়ের প্রথম ধাপে মোট ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। মঙ্গলবার আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেছিলেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পুনর্বাসিত মানুষের সংখ্যা ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন (একটি পরিবারে ৫ জন ব্যক্তি হিসাবে)।

প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত সারাদেশে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের প্রায় ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে আশ্রয়ণ এবং অন্যান্য কর্মসূচির আওতায় পুনর্বাসন করা হয়েছে। শুধুমাত্র আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

নেত্রকোণায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ পুলিশের অভিযান, প্রশিক্ষণের আলামত

নেত্রকোণা প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় জঙ্গি সন্দেহে ঘেরাও করা বাড়িটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সোয়াট টিম। রবিবার সকালে সদর উপজেলার ভাসাপাড়া পৌঁছে তারা অভিযান চালায়। তবে প্রশিক্ষণ সরঞ্জাম ছাড়াও আরও কি কি পাওয়া গেছে তা অভিযান শেষ হলে জানা যাবে বলে জানিয়েছেন।

রবিবার সকাল থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ১৫ সদস্যের দল এসে অভিযান চালায়।

নেত্রকোণা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, তারা গতকাল থেকেই ঘিরে রেখেছিলেন ডুয়েটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের বাড়িটি। সেটিতে অভিযান চলমান। ঢাকা থেকে বাড়ির মালিককে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন জানান, বিস্ফোরক দ্রব্যসহ অনেক কিছুর সন্ধান পাওয়া গেছে। এই আস্তানায় প্রশিক্ষণ দেয়া হতো বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কি পাওয়া গেছে তা অভিযান শেষে বলা যাবে।

এদিকে এ ঘটনায় জেলা শহরের আরও বেশ কিছু এলাকায় অভিযান চলছে বলেও জানা গেছে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ সমর্থককে হত্যা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে বরুণ বিকাশ চাকমা (৫৫) নামে এক ইউপিডিএফ সমর্থক নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত ৯টায় উপজেলার দুদকছড়ার দুর্গম সীমানাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত বরুন বিকাশ চাকমা পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের কমল কৃষ্ণ কার্বারি পাড়ার সুধীর কুমার চাকমার ছেলে।

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, রাতে নিজের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন বরুণ। এ সময় সন্ত্রাসী এসে তাকে গুলি করে। ঘরের ভেতরেই তার মৃত্যু হয়। তিনি আমাদের পার্টির একজন সমর্থক।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানছড়ি থানার ওসি শফিউল আজম।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

পুলিশের গুলিতে পুলিশ নিহত

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাউসারের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্য মনিরুল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও।

কাউসার নামের পুলিশ কনস্টেবলকে হেফাজতে নিয়েছে গুলশান থানা-পুলিশ।

কাউসার কী কারণে মনিরুলকে হত্যা করেছেন তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

শনিবার (৮ জুন) দিনগত ২টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি একথা বলেন। এসময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আইজিপি বলেন, ‘শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন।

এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে তিন রাউন্ড গুলি লেগেছে জানিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ কি জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘ঘটনার কারণ জানতে কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও পড়ুন:

আমরা এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছি। আক্রমণকারীকে আমরা ইতিমধ্যে আটক করেছি, ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।’

দূতাবাস এলাকা খুবই সুরক্ষিত এলাকা- এই ধরনের ঘটনা আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতা প্রকাশ পায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমাদের লোক ছিল, ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কি কারণে ঘটেছে, সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি।’

google-news-channel-newsasia24

ঈদুল আজহা ১৭ জুন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের আকাশে শুক্রবার সন্ধ্যায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ১৭ জুন (সোমবার) দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় চাঁদ দেখা যাওয়া এবং ১৭ জুন ঈদুল আজহা পালনের সিদ্ধান্ত হয়। রাত সোয়া ৯টায় সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

হিজরি জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

সভায় ধর্মমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৫ সনের জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

শনিবার (৮ জুন) থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১৭ জুন (১০ জিলহজ) সোমবার দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

আরও পড়ুন: 

| দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ

| ঈদযাত্রার ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

| ক্রেতার অভাবে গুদামে পড়ে আছে ৩০ টন পেঁয়াজ

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আগামী ১৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। হজ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জুন।

ঈদুল ফিতরের পর ঈদুল আজহা মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এ উৎসবে মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাদের প্রিয় বস্তু অর্থাৎ পশু কোরবানি করে থাকেন।

ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়ও লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবের পবিত্র ভূমিতে হজ পালনরত অবস্থায় থাকেন। হাজিরা ঈদের দিন সকালে কোরবানি দেন।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন (রবি, সোম ও মঙ্গলবার) সরকারি ছুটি থাকবে। তবে ঈদের ছুটির আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি। সেই হিসাবে এবার ঈদে টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

google-news-channel-newsasia24

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট পেশ আজ

নিজস্ব প্রতিনিধি: পৌনে পাঁচ লাখ কোটি টাকার বেশি কর আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঘোষণা করা হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব। আজ বিকেলে জাতীয় সংসদে এ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট। বিকেল ৩টায় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হবে।

এবার বাজেটের আকার হতে পারে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা হবে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব।

প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য করছাড় সুবিধা পেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র।

বাজেটে রাজস্ব আয়সহ মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে যা ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা। রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮ শতাংশ। বেশিরভাগ আয় করার দায়িত্বটি দেওয়া থাকবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)।

বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাজেটে মোট ঘাটতি থাকার আশঙ্কা আছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এই পূরণে কয়েকটি খাতকে উৎস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ব্যাংকিং খাত।

আগামী অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়।

অবশ্য বিশ্বব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে বড়জোর ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রায় কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি প্রক্ষেপণ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

আরও পড়ুন:

অন্যদিকে বাজেট উপস্থাপনের পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিকেল ৩টায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের বাজেট বক্তব্যের শিরোনাম- ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’। সাধারণত বাজেট অধিবেশন দীর্ঘ হয়। আগামী ৩০ জুন বাজেট পাস হওয়ার কথা রয়েছে।

নতুন এ বাজেটে সরকার আগের অর্থবছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকার মতো ব্যয় বাড়াতে চায়। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা।

google-news-channel-newsasia24