শিরোনাম

আইন-আদালত

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেফতার

ঢাকা (উত্তর) প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হত্যাচেষ্টা মামলায় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, উত্তরা থানায় ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে একজন ছাত্র হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে। ছাত্রটি গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। সে এখনো চিকিৎসাধীন। উত্তরা পশ্চিম থানা ছাড়াও নিলফামারীতে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

আরও পড়ুন: 

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর। অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী মোহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে দেখা করার অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল থেকে অপসারণ করা হয়েছিল।

তুরিন আফরোজ ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা: যুবকের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রদিবেতক: ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোছাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপীর আদালত এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন সবুজ বলেন, “রফিকুল ইসলাম কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার আগে তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।”

জানা গেছে, প্রায় ৮ বছর আগে সাত বছরের শিশু জারিয়া আক্তার ২০১৭ সালের ১ অক্টোবর ভোর ৬টার দিকে বাথরুমে যায়। সাড়ে ৬টা পর্যন্তও ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকেন। তখন তাকে খুঁজে পায় না। বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে জারিয়ার বাবা জাকির হোসেনকে অপরিচিত নম্বর থেকে ফোনে জানায়, জারিয়া কোথায় আছে সে জানে। পরে কল কেটে দেন।

আরও পড়ুন: 

জারিয়ার পরিবার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় রফিকুলের রুম থেকে জারিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন পুলিশ রফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে সে জানায়, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে।

জারিয়ার বাবা জাকির হোসেন পরদিন যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এরপর চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হয়। বিচারিক কার্যক্রম শেষ করে আদালত আজ রায় ঘোষণা করলেন।

google-news-channel-newsasia24

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ; ৬ মাসের মধ্যেই বিচার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী শিশু নির্যাতন ও দমন ট্রাইব্যুনালকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পরদিন ওই শিশুকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। শুক্রবার (৭ মার্চ) তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: 

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

google-news-channel-newsasia24

‘শিশুবক্তা’ খ্যাত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে খালাস

নিজস্ব প্রতিনিধি: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের চার মামলায় ‘শিশুবক্তা’ খ্যাত মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম এ রায় দেন।

মামলাগুলো রাজধানীর মতিঝিল, তেজগাঁও, পল্টন ও গাজীপুরের গাছা থানায় হয়েছিল বলে জানান ওই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রফিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: 

তিনি আরও জানান, বিভিন্ন সময়ে ওয়াজ মাহফিলে সরকারবিরোধী এবং ধর্মীয় অবমাননাকর বক্তব্য প্রদানের পরিপ্রেক্ষিতে এসব মামলা হয়েছিল। এ মামলায় যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা রফিকুল মাদানীর সম্পর্কে কিছু বলেননি৷ তাই আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়েই তাকে খালাস দেন।

মামলায় ২০২১ সালের শেষের দিকে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০২২ সালে বিচার শুরুর দুই বছর পর তাকে খালাস দেওয়া হলো। এসব মামলায় আড়াই বছর কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর তিনি কারামুক্ত হন।

google-news-channel-newsasia24

দুই উপদেষ্টাসহ ৭ জনকে লিগ্যাল নোটিস

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টাসহ সাতজনকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাদিম মাহমুদ এ লিগ্যাল নোটিস পাঠান।

যাদের লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন: বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন মিয়া, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাইফুল আলম ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলীম আখতার খান।

নোটিসে ১০ দিনের মধ্যে কৃষক পর্যায়ে থেকে সরাসরি পাইকারির বাজারে অবাধে পণ্য প্রবেশের পরিবেশ তৈরি করা, ফরিয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও তাদের আইনের আওতায় আনা, প্রতিটি বাজারে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, পাইকারি বাজারে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আওতায় পর্যাপ্ত অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, অসাধু মজুতদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পর্যাপ্ত অভিযান পরিচালনা করা, নোটিস গ্রহীতাদের আওতাধীন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য সকল ছুটি বাতিল ঘোষণা করে অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনাবাহিনীর সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

নোটিসে বলা হয়েছে, শুধু কাগজ-কলমে টাস্কফোর্স ও ভোক্তা অধিদপ্তরের নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করা হলেও বাস্তবিক অর্থে দ্রব্যমূল্য কমেনি, বরং দিন দিন তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে। ব্যবসায়ীরা বন্যা ও বৃষ্টির অজুহাতে দাম বৃদ্ধির কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রচুর মুনাফা করে অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি নামে-বেনামে চাঁদাবাজির কারণেও দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমানসহ ৫ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

তার আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল-আমিন বলেন, মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আজ আমরা আপিল করেছি। আদালত আপিল আবেদন গ্রহণ করেন। এরপর আমরা মাহমুদুর রহমানের জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ ক্ষেত্রে তার কারামুক্ত হতে আর কোনো আইনগত বাধা থাকলো না।

মাহমুদুর রহমান গত রবিবার এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন মামলাটিতে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

জানা যায়, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন— জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।

আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন:

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মাহমুদুর রহমান কারাগারে যাওয়ার পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে এ মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আত্মসমর্পণ করেন শফিক রেহমান। শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা স্থগিত করেন।

 

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় হাজতখানা থেকে আসামির পলায়ন

শেরপুর প্রতিনিধি: মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া এক আসামি শেরপুর আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা জজ আদালত ভবনের নিচে অবস্থিত হাজতখানা থেকে তিনি পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার।

পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম রাজু আহমেদ (২৫)। তিনি জেলার নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী উপজেলার ফুলহাড়ি ও বাকাকুড়া এলাকায় জাল টাকা কেনাবেচা করার সময় পুলিশের কাছে ধরা পড়েন রাজু আহমেদসহ তিন জন। পরে ঝিনাইগাতী থানায় জাল টাকা হেফাজতে রাখা ও কারবারের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা হয়।

সেই মামলায় আজ বিকেলে ঝিনাইগাতী জিআর আমলী আদালতে আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে প্রত্যেক আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভপর্ণা চন্দ।

123
পরের খবর আগে
Slide 1 |

১৮ বছর পর তিতাস গ্যাস ঠিকাদার মালিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠন

123
পরের খবর আগে

বিকেল ৪টার দিকে তিন আসামিকে আদালত থেকে কোর্ট হাজতখানায় নিয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা। এর কিছুক্ষণ পরই রাজু ও শাহিন কৌশলে পালানোর চেষ্টা করেন। আদালত প্রাঙ্গণেই আটক হন শাহিন। এসময় রাজু পালিয়ে যান।

শেরপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘রিমান্ড শুনানির পর তিন জনকেই হাজত খানায় আনা হয়। এসময় বয়স্ক আসামি বাবু অসুস্থতার কথা জানান।

হাজতখানার দরজার তালা খুলে তার সঙ্গে হাজত ইনচার্জ এসআই আব্দুল বারী কথা বলতে যান। এসময় রাজু আহমেদ ও শাহিন নামে দুজন হাজতখানা থেকে দৌঁড়ে পালান। রাজুর বিরুদ্ধে আলাদা একটা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবল। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে যাওয়া আসামি রাজু আহমেদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

google-news-channel-newsasia24

অবৈধ কাজের দায়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিপুল পরিমাণ জাল সনদ তৈরির অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রবিবার রাজধানীর আগারগাঁও নিজ বাসা থেকে শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন: 

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করার অনুমোদন দিল হাইকোর্ট

দক্ষিণ আফ্রিকায় খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫

কক্সবাজারে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

সূত্র জানায়, আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁও এবং পীরেরবাগে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল সনদ, সনদ তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।

google-news-channel-newsasia24

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করার অনুমোদন দিল হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করার অনুমোদন দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ।

এর আগে আজ সোমবার বুয়েট শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

আরও পড়ুন:

হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে : নজরুল ইসলাম খান

মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না: হাইকোর্ট

শাশুড়ি-স্ত্রী হত্যার জন্য যুবকের মৃত্যুদণ্ড

বুয়েটে উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার হাইকোর্টের এই নির্দেশনার পর সাংবাদিকদের বলেন, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

২০১৯ সালে তৎকালীন উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করেন। তখন তিনি জানান, নীতিমালা অনুযায়ী বুয়েটে শিক্ষক রাজনীতিরও সুযোগ নেই।

google-news-channel-newsasia24

মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি: মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবেনা বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে কঠোরভাবে এ নির্দেশ মানার কথা বলা হয়েছে।

আজ রবিবার( ২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তীর্থ সলিল রায়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

গত ২৯ জানুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না মর্মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।

এই নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ল্যাবরেটরি কোনো লেখা বা চিহ্ন বা অন্য কোনো উপায়ে শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করতে পারবে না।

পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নীতিমালা দাখিল করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বিষয়ে আজ রায় দেন হাইকোর্ট্।

আরও পড়ুন:

রুল জারির পর রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেছিলেন, ভারতে আইন করে গর্ভজাত সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গর্ভের শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা হলে প্রসূতি মায়ের মানসিক চাপ তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক চাপে গর্ভপাত করার ঘটনাও ঘটে।

২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি গর্ভের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

google-news-channel-newsasia24

Follow