শিরোনাম

আইন-আদালত

দুই উপদেষ্টাসহ ৭ জনকে লিগ্যাল নোটিস

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টাসহ সাতজনকে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাদিম মাহমুদ এ লিগ্যাল নোটিস পাঠান।

যাদের লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন: বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উদ্দিন মিয়া, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছাইফুল আলম ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলীম আখতার খান।

নোটিসে ১০ দিনের মধ্যে কৃষক পর্যায়ে থেকে সরাসরি পাইকারির বাজারে অবাধে পণ্য প্রবেশের পরিবেশ তৈরি করা, ফরিয়া ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া ও তাদের আইনের আওতায় আনা, প্রতিটি বাজারে ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, পাইকারি বাজারে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে তাদের আইনের আওতায় আনা, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আওতায় পর্যাপ্ত অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, অসাধু মজুতদারদের আইনের আওতায় আনার জন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত পর্যাপ্ত অভিযান পরিচালনা করা, নোটিস গ্রহীতাদের আওতাধীন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য সকল ছুটি বাতিল ঘোষণা করে অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনাবাহিনীর সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

নোটিসে বলা হয়েছে, শুধু কাগজ-কলমে টাস্কফোর্স ও ভোক্তা অধিদপ্তরের নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করা হলেও বাস্তবিক অর্থে দ্রব্যমূল্য কমেনি, বরং দিন দিন তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে চলে গেছে। ব্যবসায়ীরা বন্যা ও বৃষ্টির অজুহাতে দাম বৃদ্ধির কথা বললেও প্রকৃতপক্ষে বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রচুর মুনাফা করে অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে। পাশাপাশি নামে-বেনামে চাঁদাবাজির কারণেও দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমানসহ ৫ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

তার আইনজীবী তানভীর আহমেদ আল-আমিন বলেন, মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে আজ আমরা আপিল করেছি। আদালত আপিল আবেদন গ্রহণ করেন। এরপর আমরা মাহমুদুর রহমানের জামিন চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এ ক্ষেত্রে তার কারামুক্ত হতে আর কোনো আইনগত বাধা থাকলো না।

মাহমুদুর রহমান গত রবিবার এ মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওইদিন মামলাটিতে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

জানা যায়, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ এবং হত্যাচেষ্টার মামলায় গত বছরের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত আমার দেশ পত্রিকার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ ৫ জনের পৃথক দুই ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন— জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, রিজভী আহমেদ সিজার ও মিজানুর রহমান ভুইয়া।

আসামিদের দণ্ডবিধির ৩৬৫ ধারায় (অপহরণ) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। জরিমানার টাকা অনাদায়ে তাদের আরও একমাসের কারাভোগের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া একই আইনে ১২০-খ ধারায় (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন:

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মাহমুদুর রহমান কারাগারে যাওয়ার পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে এ মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আত্মসমর্পণ করেন শফিক রেহমান। শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন। একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা স্থগিত করেন।

 

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় হাজতখানা থেকে আসামির পলায়ন

শেরপুর প্রতিনিধি: মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া এক আসামি শেরপুর আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা জজ আদালত ভবনের নিচে অবস্থিত হাজতখানা থেকে তিনি পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেরপুরের পুলিশ সুপার।

পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম রাজু আহমেদ (২৫)। তিনি জেলার নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঝিনাইগাতী উপজেলার ফুলহাড়ি ও বাকাকুড়া এলাকায় জাল টাকা কেনাবেচা করার সময় পুলিশের কাছে ধরা পড়েন রাজু আহমেদসহ তিন জন। পরে ঝিনাইগাতী থানায় জাল টাকা হেফাজতে রাখা ও কারবারের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা হয়।

সেই মামলায় আজ বিকেলে ঝিনাইগাতী জিআর আমলী আদালতে আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে প্রত্যেক আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভপর্ণা চন্দ।

পরের খবর আগে
Slide 1 |

১৮ বছর পর তিতাস গ্যাস ঠিকাদার মালিক সমিতির ক‌মি‌টি গঠন

Slide 2 |

টিকটক ভিডিও কেড়ে নিল শিশুর প্রাণ

Slide 3 |

শত শত ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণে নিহত ৯, আহত প্রায় ৩০০

পরের খবর আগে

বিকেল ৪টার দিকে তিন আসামিকে আদালত থেকে কোর্ট হাজতখানায় নিয়ে যান কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা। এর কিছুক্ষণ পরই রাজু ও শাহিন কৌশলে পালানোর চেষ্টা করেন। আদালত প্রাঙ্গণেই আটক হন শাহিন। এসময় রাজু পালিয়ে যান।

শেরপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘রিমান্ড শুনানির পর তিন জনকেই হাজত খানায় আনা হয়। এসময় বয়স্ক আসামি বাবু অসুস্থতার কথা জানান।

হাজতখানার দরজার তালা খুলে তার সঙ্গে হাজত ইনচার্জ এসআই আব্দুল বারী কথা বলতে যান। এসময় রাজু আহমেদ ও শাহিন নামে দুজন হাজতখানা থেকে দৌঁড়ে পালান। রাজুর বিরুদ্ধে আলাদা একটা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে একজন উপ-পরিদর্শক, একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবল। ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে যাওয়া আসামি রাজু আহমেদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

google-news-channel-newsasia24

অবৈধ কাজের দায়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিপুল পরিমাণ জাল সনদ তৈরির অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

রবিবার রাজধানীর আগারগাঁও নিজ বাসা থেকে শামসুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন: 

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করার অনুমোদন দিল হাইকোর্ট

দক্ষিণ আফ্রিকায় খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫

কক্সবাজারে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

সূত্র জানায়, আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁও এবং পীরেরবাগে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল সনদ, সনদ তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।

google-news-channel-newsasia24

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করার অনুমোদন দিল হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করার অনুমোদন দিয়েছে হাইকোর্ট।

সোমবার (১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ।

এর আগে আজ সোমবার বুয়েট শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ রাব্বি ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

আরও পড়ুন:

হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে : নজরুল ইসলাম খান

মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না: হাইকোর্ট

শাশুড়ি-স্ত্রী হত্যার জন্য যুবকের মৃত্যুদণ্ড

বুয়েটে উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার হাইকোর্টের এই নির্দেশনার পর সাংবাদিকদের বলেন, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

২০১৯ সালে তৎকালীন উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করেন। তখন তিনি জানান, নীতিমালা অনুযায়ী বুয়েটে শিক্ষক রাজনীতিরও সুযোগ নেই।

google-news-channel-newsasia24

মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিনিধি: মাতৃগর্ভে থাকা শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করা যাবেনা বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোকে কঠোরভাবে এ নির্দেশ মানার কথা বলা হয়েছে।

আজ রবিবার( ২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তীর্থ সলিল রায়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

গত ২৯ জানুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করা যাবে না মর্মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠিত কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।

এই নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ল্যাবরেটরি কোনো লেখা বা চিহ্ন বা অন্য কোনো উপায়ে শিশুর লিঙ্গ প্রকাশ করতে পারবে না।

পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নীতিমালা দাখিল করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বিষয়ে আজ রায় দেন হাইকোর্ট্।

আরও পড়ুন:

রুল জারির পর রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেছিলেন, ভারতে আইন করে গর্ভজাত সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গর্ভের শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা হলে প্রসূতি মায়ের মানসিক চাপ তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক চাপে গর্ভপাত করার ঘটনাও ঘটে।

২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি গর্ভের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

google-news-channel-newsasia24

Follow

এমপিওভুক্ত ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীকে অবসর সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি: এমপিওভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি ৫ লাখ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের ছয় মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং বিচারপতি কাজি জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ লাখ শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতনের ১০ শতাংশ কাটার বিপরীতে নির্দিষ্ট সময়ে অবসর সুবিধা দিতে আদেশ দেন।

হাইকোর্ট বলেছেন, এটা চিরন্তন সত্য যে শিক্ষকদের রিটায়ারমেন্ট বেনিফিট পেতে বছরের পর বছর ঘুরতে হয়। এই হয়রানি থেকে তারা কোনোভাবেই পার পান না। একজন প্রাথমিকের শিক্ষক কত টাকা বেতন পান, সেটাও বিবেচনায় নিতে হবে।

এজন্য তাদের অবসর ভাতা ৬ মাসের মধ্যে দিতে হবে। এই অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য শিক্ষকরা বছরের পর বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে পারে না।

আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আদালতে রিটকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করবেন।

১৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে রুলের শুনানি শেষ হয়। পরদিন রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের ৬ শতাংশের বীপরিতে ১০ শতাংশ কর্তনের বাড়তি আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে না কেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুুন:

একই সঙ্গে, শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা কেন এক বছর অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।

হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে রিটকারীদের সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ রুল জারি করেন।

google-news-channel-newsasia24

Follow

কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

শাহীন আলম লিটন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুরের শাকদহ এলাকার আলামিন(৪২) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আলামিনের স্ত্রী শিউলী খাতুনকে (২৮) হত্যার দায়ে তার স্বামী আলামিনকে এ সাজা দেয়া হয়।

আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারী) কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলামিন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শাকদহচর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এ মামলার অপর আসামি ও আলামিনের প্রথম স্ত্রী জানেরা খাতুনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর পূর্বে শিউলি খাতুনকে বিয়ে করেন আসামি আলামিন। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে মিরপুর উপজেলার হালসা গ্রামের হালসা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের (বর্তমান হালসা বাজার জয় চিকিৎসালয়) দ্বিতীয় তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন।

পারিবারিক কলহের জেরে ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর রাতে স্ত্রী শিউলি খাতুনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আলামিন। পরে আশপাশের লোকজন টের পায়।

খোঁজ পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের বাবা আসাদুল বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে আসামি আলামিনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

সাক্ষীদের সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, স্ত্রীকে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী আলামিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্বাচন চেয়ে রিট খারিজ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পুনরায় তফসিল চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিচারপতি ইকবাল কবীর ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান।

অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুল আলম, এম এম জি সারোয়ার পায়েল ও তাহমিনা পলি।

আরও পড়ুন:

আইনজীবীরা বলেন, নির্বাচন কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়নি। সরাসরি রিট দায়ের করার জন্য হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।

উল্রেখ্য, ১০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে এবং সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় তফসিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ নামে একটি রাজনৈতিক দল।

google-news-channel-newsasia24

শাশুড়ি-স্ত্রী হত্যার জন্য যুবকের মৃত্যুদণ্ড

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: শাশুড়ি ও স্ত্রী হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আদালত চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়া এলাকার স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতু (২০) ও শাশুড়ি পারভীন বেগমকে (৪৫) হত্যার দায়ে মো. আল মামুন মোহনকে (৩২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত এবং তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

WIFE-MOTHER-IN-LAW-KILLED-DAGHTER-IN-LAW-NEWSASIA24

আজ রবিবার (২৬নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) শাহেদুল করিম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মামুন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের বাসিন্দা।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার প্রবাসী মো. সেলিম খানের মেয়ে ও স্ত্রী হত্যার শিকার ।মেয়ে তানজিনা আক্তার রিতু ও স্ত্রী পারভীন বেগম।

আরও পড়ুন:

২০২০ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়ায় এলাকায় সেলিম খানের তিনতলা ভবনের নিচতলায় ইফতারের সময় স্ত্রী ও শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন মামুন। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন।

ছুরিকাঘাত করার পর ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মৃত্যু বরণ করেন।

google news newsasia24