শিরোনাম

সারাদেশ

৩মিনিটের ঝরে ভেঙে গেছে ১৫টি বতসঘর

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ফরিদপুরের সালথায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত এনেছে।

মাত্র তিন মিনিটের ঝড়েই ভেঙ্গে গেছে ১৫টি ঘরবাড়িসহ অসংখ্য গাছপালা। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে ওই এলাকায়।

বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতুন্দী গ্রামে।

এলাকার হাফেজ মো. সগির মুন্সির (মসজিদের ইমাম) বসতবাড়ির দুটো বসতঘর ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।

বিধবা লিপি বেগমের একমাত্র আধপাকা ঘরটির ওপর বিশাল গাছ ভেঙে পড়ে মূহুর্তের মধ্যে ঘরটি গুড়িয়ে যায়। তিনি কোনো রকমে বাথরুমে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।

এছাড়াও এলাকার লিটু মুন্সি, ফারুক মুন্সি, মুরাদ মুন্সি, দবির মুন্সি, কাইউম মুন্সি, কামাল ঠাকুর, জামাল ঠাকুর, জমিলা বেগম, নিরু বেগম, ছানো কাজী, আতি কাজীর বসতঘরসহ অসংখ্য রান্না ঘর এবং অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়েছে।

বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এবং গাছ পড়ে সোনাতুন্দীর উত্তর পাড়ার একমাত্র ইটের সলিং এর রাস্তাটি বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়াও পুরো এলাকা বিদ্যুতবিহীনের ফলে অন্ধাকারাচ্ছন্ন রয়েছে।

আরও পড়ুন: 

আমিন কলোনিতে আগুন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: চট্টগ্রামের আমিন কলোনিতে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৬ টি ইউনিট।

আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আমিন কলোনিতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে ।

আরও পড়ুন:সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হলে রেহাই নেই: শেখ হাসিনা

 

ভোর সাড়ে ৬টার দিকে আগুনের সুত্রপাত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আবদুল হালিম বলেন, ৬টা ৩৫ মিনিটে আগুনের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি স্টেশনের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

সম্পত্তির লোভে বাবাকে খুন করলো পুত্রবধুসহ দুই ছেলে

জানালা দিয়ে দেখতে পাই আমার স্বামীও ভাশুর শ্বশুরকে একটা বস্তায় ভরছে

 

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগরের আলোচিত মো. হাসান (৬১) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ভুক্তভোগীর পুত্রবধূ আনারকলি।

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে এ জবানবন্দি দেন তিনি। এর আগে, একই আদালতে ভুক্তভোগী হাসানের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

আদালতে জবানবন্দিতে আনারকলি বলেন, আমার বাড়ি মহেশখালী। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে শফিকুর রহমান ওরফে জাহাঙ্গীরকে বিয়ে করি। তার ভাইয়ের নাম মোস্তাফিজুর রহমান।

১৯ সেপ্টেম্বর আমার শ্বশুর হাসান আলী আমার বাসায় আসেন। সেদিন তিনি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

পরদিন সকালে আমাদের ঘরের পাশের একটা খালি ঘরে আমার শ্বশুর, স্বামী ও ভাশুর মোস্তাফিজ যায়। ওই ঘরের ভিতর তারা কী করেছে আমি সব দেখিনি।

আমি একবার লুকিয়ে দেখতে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পাই আমার স্বামী শফিক ও ভাশুর মোস্তাফিজ শ্বশুরকে একটা বস্তায় ভরছে। পরে বিকেলে জানতে পারে ওরা আমার শ্বশুরকে মেরে ফেলেছে।

তিনি বলেন, বিকেলে আমার স্বামী ও আমি লাশটা আমার ঘরে নিয়ে যায়। ওরা লাশটা টুকরো করে লাগেজ, স্কুল ব্যাগ ও বস্তায় ভরে। আমার স্বামী পলিথিন ও কসটেপ আমাকে দেয়। আমি সেগুলো ভাসুরকে দেই। রাতে একটা লোককে দিয়ে ওরা বস্তা ফেলে দেয়।

কোথায় ফেলে দেয় তা জানি না। পরদিন ভোরে আমি, শফিক ও মোস্তাফিজ লাগেজ ১২ নম্বর ঘাটের দিকে ফেলি। স্কুল ব্যাগে মাথা ছিল। সেটি আমি ও শফিক মিলে বিচে নিয়ে যাই। শফিক মাথাটা পুলিশ বক্সের একদম নিচের দিকে পাথরের ভেতর ফেলে দেয়।

সেসময় সে আমাকে ব্যাগটিও ফেলে দিতে বলে। কিন্তু আমি ফেলিনি। আমি স্কুলে প্রথম হওয়ায় ব্যাগটি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলাম। ক্লাস ওয়ান থেকে এইট পর্যন্ত আমার রোল নম্বর ১ ছিল। আমি পঞ্চম শ্রেণিতে পিএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাই।

আমি খুনের বিষয়টি জানতাম না। পরে জেনেও চুপ ছিলাম। ভাবলাম সংসার ভেঙে যাবে কী না। অভাবের কারণে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় পরিবার আমাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। আমি পুলিশকে ঝুড়ি ও ব্যাগ উদ্ধারে সহায়তা করি।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে আনারকলিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন (শনিবার) তাকে আদালতে হাজির করে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

প্রথমে তাকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে ভুক্তভোগী হাসানের কাটা মাথা উদ্ধারে অভিযানে যাই। কিন্তু মাথাটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। রিমান্ড শেষে আজ (মঙ্গলবার) অভিযুক্ত আনারকলিকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম পতেঙ্গা থানার ১২ নম্বর ঘাট এলাকায় সড়কের পাশে পড়ে থাকা একটি লাগেজ থেকে মানুষের শরীরের আটটি খণ্ড উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল দুইটি হাত, দুইটি পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত অংশ। প্রত্যেকটি অংশ টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল।

তবে ওই লাগেজে ভুক্তভোগীর মাথা না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বা ব্যক্তিদেরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, খণ্ড-বিখণ্ড এই মরদেহ পরিচয় শনাক্ত ও রহস্য উন্মোচনে মাঠে নামেন পিবিআই কর্মকর্তারা। তারা প্রথমে ফিঙ্গারপ্রিন্টের সহায়তায় নিহত ব্যক্তি মো. হাসান বলে শনাক্ত করেন।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী হাসান বাঁশখালীর উপজেলার কাথারিয়া এলাকার সাহেব মিয়ার ছেলে। তার বর্তমান ঠিকানা লেখা আছে সিলেট সদরের সাধুর বাজার সংলগ্ন রেলওয়ে কলোনির এলাকায়।

পিবিআই জানায়, অন্তত ২৮ বছর ধরে ভুক্তভোগী হাসানের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ ছিল না। এসময়ে তিনি কোথায় ছিলেন তাও জানতেন না পরিবারের সদস্যরা। বছরখানেক আগে হঠাৎ তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন।

আরও পড়ুন: চাঁদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

বাড়িতে হাসানের নামে কিছু পৈতৃক সম্পত্তি ছিল। যেটি বিক্রি করতে চেয়েছিলেন ভুক্তভোগী হাসান। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২০ সেপ্টেম্বর নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকার জমির ভিলা ভবনের একটি বাসায় স্ত্রী-সন্তানরা মিলে হাসানকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে ফেলেন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম (৫০) ও তাদের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে (৩২) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

আরও পড়ুন: ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

 

কাউনিয়ায় স্বামীর ঘরে স্ত্রীর লাশ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: রংপুরের কাউনিয়ায় স্বামীর ঘরে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর নাম সনিয়া বেগম (২০)।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গোপিডাঙ্গা গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সনিয়া বেগম গোপিডাঙ্গা গ্রামের রিপন মিয়ার স্ত্রী এবং পাবনা সদরের চর বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের মেয়ে।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে সনিয়া বেগমের স্বামী রিপন মিয়া তাদের শিশুসন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে যান।

স্বামী বাজারে যাওয়ার পর নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন সনিয়া। পরে প্রতিবেশীরা তাকে ডাকাডাকি করে সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন।

তারা দেখতে পান ঘরের ভেতরে বিছানার চাদরে ও বালিশে আগুনের ধোয়া উঠছে এবং বিদ্যুতের ছেড়া তারের পাশে খাটের ওপরে সনিয়া অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন।

এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজ মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর ) সকালে সনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আরও পড়ুন: ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষিকা গ্রেপ্তার

আরও জানা গেছে, তিন বছর আগে রিপন মিয়ার সঙ্গে সনিয়া বেগমের বিয়ে হয়। নিহতের স্বজনদের দাবি নিজ ঘরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা গেছেন।

এ ঘটনায় আজ ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।

গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের ৬ দফা কর্মসূচি

দেশব্যাপী গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

এ সময় তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হচ্ছে— ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; সর্বজনীন, বৈষম্যহীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং একই ধারার শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১ বাতিল করতে হবে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমাতে হবে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিতে হবে; সাইবার নিরাপত্তা আইন ও অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল- ২০২৩ বাতিল করতে হবে।

ছাত্রজোটের নেতারা আরও জানান, আগামী ১৩ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ৪ নভেম্বর রংপুর, ৫ নভেম্বর বগুড়া, ৬ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১১ নভেম্বর বরিশাল, ১৭ নভেম্বর সিলেট, ১৮ নভেম্বর ময়মনসিংহ ও ২৪ নভেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আরও পড়ুন:ধর্ষক পীর কারাগারে

ছাত্রজোটের সমন্বয়ক সাদেকুল ইসলাম সোহেল বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের জনগণ হিসেবে আমরা দুঃসহ সময় পার করছি। আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে দেশ। রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতির মধ্য দিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতায় আসা একটি ভয়ঙ্কর ফ্যাসিবাদী সরকার দীর্ঘদিন ধরে জনগণের কাঁধে চেপে আছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রজোটের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রণি, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক এহতেসাম ইমন, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া, বৃহত্তর পাবর্ত্য পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা প্রমুখ।

আরও পড়ুন:মানিকছড়িতে ভারতীয় ঔষুধ ও প্রাইভেট কারসহ গ্রেফতার-১

খোকসায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত

ধর্ষক পীর কারাগারে

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: হবিগঞ্জে এক কথিত পীরকে করাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি ধোকা দিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং ৭০ লাখ টাকা আত্নসাৎ করেন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কথিত পীরের নামআব্দুল কাইয়ুম (৪৫)। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে তিনি।

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর (৪০) মামলায় কাইয়ুমকে কারাগারে পাঠানো হয় ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান সজল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ওই নারীর সঙ্গে কাইয়ুমের পরিচিত হয় ফটিক ছড়ির একটি মাজারে । পরে ওই নারীর সাথে পীর- ভাই সম্পর্ক করে কাইয়ুম। পরে ভাই সেজে তিন তলা বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকেন।

এরপর ২০২১ সালে কাইয়ুম ভুক্তভোগী ওই নারীকে জানান, ওই বাড়িটিতে থাকলে তাদের বড় বিপদ হবে ফলে দ্রুত বাড়িটি বিক্রি করা প্রয়োজন।
পরে বাড়ি আরও জায়গা বিক্রি করে বিক্রির ৭০ লাখ টাকা নিয়ে হবিগঞ্জে চলে যান ভন্ড পীর কাইয়ুম।

এর কয়েকদিন পর হবিগঞ্জের ভাদৈ এলাকায় ৮ শতক জায়গা ক্রয় করে সন্তানদের দিয়ে তিনি বাস করতে থাকেন কাইয়ুম। সেই সুযোগে কাইয়ুম ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

শুরুতে নির্যাতন সহ্য করলেও একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ৫ জুন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারী।

আরও পড়ুন: বিমানে যৌনকর্ম করায় গ্রেফতার নারী-পুরুষ

এ মামলায় কাইয়ুম গত ৮ আগস্ট উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ তা না-মঞ্জুর করে কাইয়ুমকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪

আগামী বছর বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের

মানিকছড়িতে ভারতীয় ঔষুধ ও প্রাইভেট কারসহ গ্রেফতার-১

মো: এনামুল হক: খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ভারতীয় ঔষুধ  সহ মো: নুর নবী (২৮)  না‌মে চোরাচালান চক্রের এক সদস‌্যকে গ্রেফতার ক‌রে‌ছে মা‌নিকছ‌ড়ি থানা পু‌লিশ। একই সা‌থে তা‌কে বহন কা‌রি প্রাইভেট কার (চট্ট (মেট্র-গ-১৩-৯৭৬৯) জব্দ করা হ‌য়ে‌ছে।

নুর নবী রামগড় ন‌জির টিলার এশহাক মিয়ার ছে‌লে।

শুক্রবার ( ৮‌সে‌প্টেম্বর)  সকা‌লের দি‌কে বিশেষ অভিযান প‌রিচালনা ক‌রে মানিকছড়ির তিনটহরী হ‌তে তা‌কে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূ‌ত্রে জ‌ানা যায়, গোপন ত‌থ্যের ভি‌ত্তি‌তে সরকা‌রি কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতীয় ঔষধ নি‌য়ে চট্টগ্রাম যাওয়ার প‌থে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর দিক-নির্দেশনায় মা‌নিকছ‌ড়ি‌তে খাগড়াছড়ি -চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কে চেকপোষ্ট স্থাপ‌নের মাধ‌্যমে প্রাইভেট কার তল্লাশী করে ১৪৮ প্যাকেট ভারতীয় ঔষধ সহ তা‌কে গ্রেফতার করা হয়। যার বাজার মুল্য অনুমান  উনষাট হাজর দুইশত টাকা।

ঘটনার সত‌্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ফৌজদারি অপরাধ যেমন চুরি, ছিনতাই, মাদক চোরাচালান, নারী নির্যাতন সহ শান্তিনবিনষ্ট যেকোন সামাজিক অপরাধ, দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতি আঘাত করে এমন যে কোন অপরাধের সাথে যেই জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনতে বদ্ধ পরিকর খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ ।

খোকসায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত

নাজমুল হাসান:’ পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতা প্রসার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় কুষ্টিয়ার খোকসায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র‍্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: বাবুল আক্তার।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাজমুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমানসহ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা।

আরও পড়ুন: আগামী বছর বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের

খোকসাতে বাড়ছে রোগী, হাসপাতালের বারান্দায় চলছে চিকিৎসা

নাজমুল হাসানঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। শয্যা সংকটের কারণে অধিকাংশের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দায় ও মেঝেতে।

হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে দেখা যায়, রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। গাদাগাদি করে বারান্দা ও মেঝেতে চিকিৎসা চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। ফলে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

অন্যদিকে, ওষুধ থাকলেও নানা অযুহাত দেখিয়ে রোগীর হাতে স্লিপ ধরিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বলছেন হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সরা। ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন স্বজনরা।

রোগীর স্বজনরা বলেন, আমরা এই হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখানে চিকিৎসা সেবা পেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

khoksa-hospital-newsasia24-1

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বেড়ে গেছে। তাপদাহ আর আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডেঙ্গু জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে। ধারণ-ক্ষমতার বেশি রোগী থাকায় নার্সরাও চিকিৎসা দিতে হিম- শিম খাচ্ছেন।

এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগেও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছেন। বেশিরভাগ শিশুই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।

এ ব্যাপারে সিনিয়র নার্স ঝুমুর বিশ্বাস নিউজ এশিয়া২৪ কে বলেন, হঠাৎ করে এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা, নিউমোনিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। এত রোগীকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তবুও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ভালোভাবে সেবা দেওয়ার জন্য।

khoksa-hospital-newsasia24-3

খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা: সাহিনা খানম বলেন, গত সপ্তাহ থেকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, গরম-ঠান্ডাসহ নানা কারণে শিশুরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক, নার্স ও শয্যা সংকট থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১১ জনের

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে অস্ত্র ও মাদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে অপহরণ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। ছাত্রীর নাম দিপীতা চাকমা । রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে সাজেকের রুইলুইপাড়া পর্যটনকেন্দ্রের অদূরে জিরো মাইল নামক স্থান থেকে দুর্বৃত্তরা ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দিপীতা চাকমা খাগড়াছড়ি সদরের বাসিন্দা। তিনি ঢাবির লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী।

জানা গেছে, দিপীতা চাকমা তার বন্ধুদের নিয়ে সাজেকে বেড়াতে যায়। এ সময় জিরো মাইল এলাকা থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে অপহরণ করে। পরে তার বন্ধুরা সাজেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি অবগত করলে তাকে উদ্ধারে কাজ শুরু করেন সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অতুলাল চাকমা বলেন, এক পর্যটক অপহরণ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানিয়েছেন, দুপুর ১টার কিছু আগে ওই ছাত্রীকে শিজকছড়া এলাকায় কয়েকজন দুষ্কৃতকারী গাড়ির গতিরোধ করে অপহরণ করে। আমাদের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। আমরা আশা করছি ওই ছাত্রীকে শিগগিরই উদ্ধার করতে পারব।

আরও পড়ুন:  চাঁদকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণার দাবি

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার বলেন, ছাত্রী অপহরণের বিষয়টি আমরা সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। আমরা বাঘাইহাট জোনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। ইতোমধ্যে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। আমরা আশা করছি খুব শিগগিরই তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হবে।