শিরোনাম
shisu bondok

গাজীপুরে শিশু বন্ধক

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: শিশুকে বন্ধক রেখে ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করলেন মা।

গাজীপুরের শ্রীপুরে ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করার জন্য শিশুকে একটি পরিবারের কাছে বন্ধক রাখেন মা।

১৫ দিন পর ওই পরিবারকে ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বাদশার সহায়তায় টাকা পরিশোধ করলে শিশুটি মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়।

shisu bondokআজ শনিবার দুপুরে শ্রীপুর উপজেলার ফরিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।

শিশু সন্তানকে কোলে পেয়ে মায়ের বাঁধ ভাঙা আনন্দে সবার মুখে শান্তি দেখা যায়।

পিতৃহীন শিশুটির সংসার চালানোর জন্য শিশুর নানাকে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উপহার দিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী।

গত ১৯ অক্টোবার ময়মনসিংহের চরপাড়া এলাকার স্বাধীন নার্সিংহোমে সিজারের মাধ্যমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন শিরিন আক্তার।

পরে সিজারের বিল পরিশোধ না করতে পেরে একটি পরিবারে শিশুকে বন্ধক দিয়ে ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করেন।

পরে বন্ধকের টাকা ফেরত দিয়ে শিশুকে ফেরত চাইলে বন্ধক নেওয়া পরিবার শিশুকে ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করেন।

পরে শিশুর পরিবার বিভিন্ন মানুষের কাছে সহায়তা চায় শিশুকে ফিরে পেতে।

পরে ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বাদশা এগিয়ে আসেন শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে।

আজ দুপুরে ফরিদপুর গ্রামে নবজাতককে দেখতে যান ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বাদশা।

তিনি তার পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং তাদের আরও সহায়তার আশ্বাস দেন এ ব্যবসায়ী।

শিশুটির মা জানান ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের মনিকুরা গ্রামে তার স্বামীর বাড়ি।

স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হলে সে মা-বাবার সাথে শ্রীপুরের ফরিদপুর গ্রামে ভাড়া থাকেন।

শিরিন আক্তারের দেড় বছর বয়সী আরও একজন পুত্র সন্তান আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

সন্তানকে ফিরে পেয়ে শিরিন আক্তার ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বাদশা ও উপজেলা প্রশাসনের কছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন:

গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসমাইল হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বাদশার সহযোগিতায় শিশুটি তার মায়ে কোলে ফিরেছেন এটা খুবই আনন্দের।

আকরাম হোসেন বলেন, নবজাতককে দত্তক দিয়ে ক্লিনেকে বিল পরিশোধ করা এটা খুবই দুঃখের।বিষয়টি আমাকে কাঁদিয়েছে।

পরে আমি ও আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ অনেকের সহযোগিতায় শিশুকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *