একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৫ নবজাতকই মারা গেছে

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একে একে মারা গেলো একসঙ্গে জন্ম দেয়া মনসুরা আক্তার ও মামুন দম্পতির ৫ নবজাতকের ৫ জনই।

এনআইসিইউ’তে চিকিৎসারত একমাত্র মেয়ে শিশুটিকে বাঁচাতে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও সেই সেই শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকালে গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বান্ধারদিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে অন্য ভাইবোনদের কবরের পাশে দাফন করা হয় শিশুটিকে।

dhaka shishu hospita

শিশুটির বাবা আমির উদ্দিন মামুন জানান, এই মেয়ে শিশুটির ওজনও খুবই কম ছিল।

শ্বাসকষ্টও ছিল। চিকিৎসকরাও অনেক চেষ্টা করেছে। তবে বাঁচাতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এনআইসিইউ’তে মারা গেছে।

শিশুটির বাবা আরও জানান, ৫টি বাচ্চাকেই নিজের বাড়িতে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে।

এর আগে, গত ১২ অক্টোবর সকালে ঢাকা মেডিকেলে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে ৫ সন্তানের জন্ম দেন মনসুরা আক্তার।

যাদের একটি ছেলে ও ৪টি মেয়ে।

এর আগে ঢাকা মেডিকেলের ডা. মনীষা ব্যানার্জি জানান, জন্মের সময়ই ৫ নবজাতকের ওজন খুবই কম ছিল।

এছাড়াও ছিল নানান জটিলতা।

জন্মের পরপরই তাদেরকে এনআইসিইউ’তে রাখা হয়। জন্মের কয়েক ঘণ্টা পর একটি শিশু মারা যায়।

এরপরে একে একে আরও ৪ টি শিশু মারা যায়।

নবজাতকদের মা গৃহিণী মনসুরা আক্তার জানান, এবারই প্রথম গর্ভধারণ। ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি।

নিয়মিত চেকআপের জন্য শিবপুরের একটি ক্লিনিকে যান। সেখান থেকে তাদের বলা হয়, তার গর্ভে ৫টি নবজাতক রয়েছে।

তাদের ঢাকায় এসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলেন।

সেজন্য ১২ অক্টোবর সকালে তারা ঢাকায় আসার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা করে রাখেন।

আরও পড়ুন:

তবে ১২ অক্টোবর ভোরে মনসুরার প্রচণ্ড ব্যাথা শুরু হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়।

তার স্বামী মামুন জানান, রাস্তায় গাড়িতে অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

ওইদিন সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা ৫টি বাচ্চার নরমাল ডেলিভারি করেন।

You May Also Like

+ There are no comments

Add yours