নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: তরুণ প্রজন্মকে সাবধান করে কথাসাহিত্যিক ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, রাজাকারদের মন্ত্রী বানানোর মতো ভুল আর করা যাবে না ।
আজ মঙ্গলবার(১৪নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সম্প্রীতির বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার ঠাঁই নাই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নতুন প্রজন্মকে উল্লেখ করে জাফর ইকবাল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশে একটা সত্যিকারের রেনেসাঁ, একটা সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে উঠেছিল। আমরা ভেবেছিলাম, আগের সেই সাম্প্রদায়িকতা, হানাহানি আর ফিরে আসবে না।
কিন্তু কিছুদিন পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করলো, মুক্তিযুদ্ধে কি এত মানুষ মারা গেছে? রাজাকারদের গাড়িতে মন্ত্রীর পতাকা তুলে দেওয়া হলো। আমাদের আর এমন ভুল করা চলবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে বাংলাদেশ তৈরির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, তা বাস্তবায়নের জন্য তরুণ প্রজন্মকে সম্প্রীতির বাংলাদেশের চেতনাকে ধারণ করতে হবে।’
আলোচনায় সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘দেশে সম্প্রীতি বারবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
কখনও ধর্মের নামে কখনও রাজনীতির নামে। সামনে নির্বাচন। নির্বাচনের এলেই আমরা ভয়ে থাকি।
আইনজীবী ড. ফারজানা মাহবুব বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং নারীর অধিকার না থাকলে গণতন্ত্র টেকসই হয় না।
ধর্মনিরপেক্ষতা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদকে তৃণমূলের ছড়িয়ে দিতে না পারলে সাম্প্রদায়িকতা শেষ হবে না।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর এ দুটো জিনিস বাংলাদেশের সংবিধান থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল।
এরপর থেকেই ধর্মকে রাজনীতির জন্য ব্যবহার শুরু হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ধর্মনিরপেক্ষতার অপব্যাখ্যা দিয়ে যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে।’
সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে একাত্তরকে আমরা রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে প্রমিথিউসের মতো দাঁড় করাতে পারিনি বলে আজকের এই সংকট।
আরও পড়ুন:
- পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি ডিএমপি’র ১০টি নির্দেশনা
- সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের পরীক্ষা আগামী ১ ডিসেম্বর
- আমি জানি, আমার কোনো সমস্যা নেই
- রণক্ষেত্র গাজীপুর, ৫ পুলিশ সদস্য আহত
আমারা সম্প্রীতির বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে বলতে চাই, এখানে সাম্প্রদায়িকতার কোনও ঠাঁই নাই।
এ অবস্থায় আমরা যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সাংস্কৃতিক জাগরণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি তাহলে আমাদের গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে।’
গোলটেবিল সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।
+ There are no comments
Add yours