প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

লিমা: এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজন এক যুবক।

হোসেনপুর উপজেলার বাসুর চর গ্রামের এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

soudi probashi

আটক করা হয়েছে সন্দেহভাজন এক যুবককে। যুবককের পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ।

আজ (১৪নভেম্বর) মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশের ধারণা কোনো ঘটনাকে আড়াল করার জন্য তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

নিহতরা হলেন- সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা (৪২), মেয়ে মোহনা (১১) ও বন্যা (৭)।

জানা গেছে, একসঙ্গে স্কুলে যেতে ফারজানা নামে মোহনার এক সহপাঠী সকাল ৯টার দিকে তার বাড়িতে যায়।

ঘরের দরজা খোলা দেখে সে ঢুকে মোহনা ও তার মা-বোনকে আলাদা খাটে শুয়ে থাকতে দেখে।

এমন অবস্থায় তাদের ঘুম থেকে জাগাতে হাত ধরে টানাটানি করে ফারজানা। কিন্তু তাদের কোনো সাড়া মেলেনি।

তখন ফারজানা ভয় পেয়ে যায়। সে ঘর থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে এমন পরিস্থিতি দেখে পুলিশে খবর দেয়।

একই গ্রামের অধিবাসী সাহেদল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ২০১৭ সালের দিকে মঞ্জিল মিয়া সংসারের অভাব-অনটন ঘোচাতে কাজের সন্ধানে সৌদি আরবে পাড়ি জমান।

তাদের পরিবারের সঙ্গে কারো কোনো বিরোধের দৃশ্যমান ঘটনা নেই। এমন নিষ্ঠুর ঘটনায় এলাকাবাসী হতবাক ও স্তম্ভিত।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, খবর পেয়ে মা ও দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বামী একজন সৌদি প্রবাসী বলে জানা গেছে।

তবে তাদের মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক।তিনি আরও জানান, অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের ফরেনসিক বিভাগ ও সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:

একই সঙ্গে এর রহস্য উন্মোচনের জন্য পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগ কাজ শুরু করেছে।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সৌদি প্রবাসী মঞ্জিল মিয়ার বাড়িতে যাতায়াতকারী একই গ্রামের ৩৫ বছর বয়সি এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

প্রয়োজনে তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

You May Also Like

+ There are no comments

Add yours