নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: গত কয়েক বছর ধরে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া যথারীতি একটি রেওয়াজ হয়ে গেছে। কিন্তু বর্তমানে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এবারও যথাসময়ে নতুন বই তুলে দিতে পারবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, মোট নতুন বইয়ের সংখ্যা ৩১ কোটি। তারমধ্যে প্রাথমিক স্তুরের সব বই ছাপা প্রায় শেষ। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বই ছাপা নিয়ে চিন্তিত এনসিটিবি। ষষ্ঠ-সপ্তমের দুটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি এখনো ছাপাখানায় দেওয়া হয়নি। মাত্র শুরু হয়েছে অষ্টমের বই ছাপা। নবম শ্রেণির কোনো বইয়ের পাণ্ডুলিপি এখনো ছাপাখানায় পাঠানোই সম্ভব হয়নি।
পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে জানা গেছে, ছাপাখানার মালিকদের টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারন, বই ছাপার কাজের চুক্তির জন্য অর্থছাড় মিলছে না। ছাপাখানা কর্তৃপক্ষ কাগজ কিনতে পারছে না। সবমিলিয়ে টাকার অভাবেই থমকে আছে নবম শ্রেণির বই ছাপা।
আরও পড়ুন:
-
মুঠোফোনে শেখ হাসিনার সাফল্য বার্তা
-
দ্বিতীয়বারের মতো পেছানো হলো প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা
-
নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল জাতীয় পার্টি
ছাপাখানার মালিক ও কর্মীরা জানান, বই ছাপার ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী—৫০ দিন সময় বেঁধে দিয়ে চুক্তি করে এনসিটিবি। অথচ এ বছরের (২০২৩ সাল) বাকি আছে মাত্র ৩৭ দিন। এ সময়ের মধ্যে কোনো ছাপাখানা প্রতিষ্ঠানই এত বই ছাপিয়ে শেষ করতে পারবে না। টেন্ডার, কাজের চুক্তি, বিল পরিশোধ যথাসময়ে না করায় বই ছাপা নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থায় পড়েছে এনসিটিবি।
যথাসময়ে বই ছাপা নিয়ে যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য বোর্ড চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের অযোগ্যতাকে দায়ী করছেন মুদ্রণশিল্প সমিতির নেতারা। তাদের অভিযোগ, পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে অনিয়ম-দুর্নীতি বেড়েছে। টেন্ডার শিডিউলের নিয়ম ভেঙে নানান কাজ করছেন বোর্ড চেয়ারম্যানসহ অন্য কর্মকর্তারা। বই ছাপার কাজের চুক্তি ও প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ে তারা নিজেদের পছন্দ গুরুত্ব দিচ্ছেন। নিজেদের অনিয়ম ও অযোগ্যতা ঢাকতে এখন অর্থছাড় না হওয়া এবং কাগজ সংকটের মতো ‘অজুহাত’ দেখাচ্ছেন।