শীতে সুস্থ থাকতে এই ৮ টি খাবার অব্যশই খাবেন! জেনে নিন বিস্তারিত..

লিমা পারভীন: শীতকালে সুস্থ থাকতে হলে বাড়তি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।

শীতকাল যেন সর্দি, কাশি আর গলাব্যথায় না কেটে যায়, তার জন্য নিয়ম করে খেতে হবে কয়েকটি খাবার।

১. পাতিলেবু, মোসম্বি ও কমলা যেমন জোগান দিতে পারে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর, তেমনই মেটাতে পারে ফাইবারের ঘাটতি। শরীরে ভিটামিন ‘সি’ এর চাহিদা পূরণ করতে ‘সাইট্রাস’ জাতীয় ফলের জুড়ি মেলা ভার।

২. পেয়ারাতেও থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।

WINTER-SAFE-HEALTH-8-TIPS-NEWSASIA24

৩. অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর ও ক্যানসার প্রতিরোধী গুণে সমৃদ্ধ পালং শাক কিন্তু শীতকালে সত্যিই হয়ে উঠতে পারে ‘সুপার ফুড’। ভিটামিন ও মিনারেলস তো রয়েছেই, তার সঙ্গে বাড়তি ওজন কমাতেও অত্যন্ত কার্যকর সবুজ পালং শাক।

৪. শীতে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে ও তাজা রাখতে সিদ্ধ ডিমের ভূমিকা অনন্য। ডিম পুরো বিশ্বে সবচেয়ে পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি খাবার। এটিতে রয়েছে অনেক বিস্ময়কর উপাদান, যা শরীরের জন্য অনেক উপকারি এইজন্যই এটি খুব জনপ্রিয়। ডিমের মধ্যে রয়েছে ৯টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড। ডিমে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, যেমন—বি২, বি১২, এ ও ই; রয়েছে জিংক, ফসফরাস এবং প্রয়োজনীয় মিনারেল।

আরও পড়ুন>>বাবা-মায়ের ‘অসচেতনতায়’ ভয়াবহ রুপ নিচ্ছে মৃগী রোগ

৫. শীতকালে বাজারে প্রচুর পরিমাণে সবজি দেখা যায়। শীতকালীন সবজির মধ্যে গাজর অন্যতম। যদিও এখন সারাবছরই প্রায় গাজর চোখে পড়ে। গাজরকে বলা হয় সুপার ফুড। গাজরে রয়েছে শক্তি, শর্করা, চিনি, খাদ্যে ফাইবার, প্রোটিন। এইজন্যই এটির একটি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবারের মধ্যে অন্যতম।

৬. শাক-সবজিকে এককথায় শীতের খাবার বলে থাকে। শীতকালে লালশাক, পালং শাক, পুঁই শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটোসহ অনেক ধরনের শাক-সবজি পাওয়া যায়। শীতের সময় এইগুলো বেশি পরিমাণে খাওয়া প্রয়োজন। কারণ এই শাক-সবজিতে রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম সহ আরও কার্যকরী উপাদান। যা শরীর সুস্থ রাখতে, শক্তি বৃদ্ধি করতে, শরীরের গঠন বাড়াতে ও মন সতেজ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

আরও পড়ুন:

৭. মধুর উপকারিতা সবারই জানা। শীতের সময় দেহ সুস্থ রাখতে মধুর ভূমিকা অনন্য। এটি অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এবং এর প্রয়োজনীয়তা দেখে প্রায় সব ডাক্তাররাই বলেছেন নিয়মিত মধু খাওয়ার জন্য। ঠান্ডা প্রতিরোধে মধু খুবই উপকারি। মধুতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে। ঘুমানোর আগে বা সকালের নাশতার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

৮. সবুজ চায়ে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। শীতের দিনে দুই থেকে তিন কাপ সবুজ চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

google news newsasia24

You May Also Like

+ There are no comments

Add yours