নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ইউনেসকোর স্বীকৃতি পেল ঢাকা শহরের ‘রিকশা ও রিকশাচিত্র’।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর বিমূর্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘রিকশা ও রিকশাচিত্র’।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতির কথা জানিয়েছে ইউনেসকো।
এরই মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বাউলগান (২০০৮), জামদানি বুননশিল্প (২০১৩), মঙ্গল শোভাযাত্রা (২০১৬) ও শীতলপাটি বুননশিল্পের (২০১৭) পর পঞ্চম বিমূর্ত ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেসকোর ‘ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ তালিকায় স্থান পেল রিকশা ও রিকশাচিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় ইউনেস্কোর স্পর্শাতীত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যবিষয়ক আন্তরাষ্ট্রীয় কমিটির (ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিটি অন ইনট্যানজিবল হেরিটেজ) ১৮তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন>>ভারতে বিমান বিধ্বস্ত : নিহত২
ফ্রান্সের এ সভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা এবং ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনীতি) মো. ওয়ালিদ বিন কাশেম উপস্থিত ছিলেন।
এ অধিবেশন সরাসরি ইউনেসকোর ফেসবুক পাতায় সম্প্রচার করা হয়। বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় শুরু হয় আজকের অধিবেশন।
যেখানে বাংলাদেশের রিকশা ও রিকশাশিল্প নিয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয়, ঢাকা শহরের তিন চাকার এই বাহনে থাকে নানা রঙের বৈচিত্র্য। বাহন হিসেবে শহরের মানুষের প্রথম পছন্দের তালিকায় রয়েছে রিকশা।
আরও পড়ুন:
-
আজ ঢাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে
-
দেশের সব ইউএনওদের বদলির নির্দেশ
-
আজ থেকে ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চলাচল শুরু
-
তোষামোদির রাজনীতি বঙ্গবন্ধুর কন্যা করে না
একই সঙ্গে উল্লেখ করা হয়, রিকশাচিত্র শুধু একটি শিল্প নয়, এটি মানুষের সমকালীন জীবনের গল্প বলার চলমান ক্যানভাস। রিকশাচিত্রের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃতি থেকে শুরু করে নানা বিষয়ের মধ্যে চলচ্চিত্রের অভিনেতাদের মুখচ্ছবিও উঠে আসে।