নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: মানুষের শরীরে প্রধান রোগ সৃষ্টিকারি জীবাণুগুলোর বিরুদ্ধে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের বেশিরভাগ অ্যান্টিবায়োটিক প্রায় ৮০-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়ে গেছে— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গবেষণায় উঠে এসেছে এমন একটি তথ্য।
গবেষণায় বলা হয়েছে, এর প্রধান কারণ অ্যান্টিবায়োটিকের অযাচিত ব্যবহার। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে তা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ‘সংক্রামক ব্যাধি চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও কার্যকারিতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই গবেষণার ফল প্রকাশ করা হয় বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিল্টন হলে।
আরও পড়ুন>>খুলনায় তথ্য মিলবে ভারতের আমরি হাসপাতালের
গত জানুয়ারি ২০২২-জুন ২০২৩ পর্যন্ত রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিতে আসা ৭২ হাজার ৬৭০ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে এই গবেষণা করে মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগ।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে না। অযাচিত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে মানুষ এখন প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুুন>>কিভাবে বাসন মাজলে মানসিক চাপ কমে!
দেশে প্রতিবছর এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ মারা যায় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে। এই অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ২০৫০ সালে গিয়ে দেখা যাবে করোনার থেকেও বেশি রোগী মারা যাবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে।
হাসপাতালে দর্শনার্থীরা রোগীদের দ্বারা সংক্রমিত হয় জানিয়ে উপাচার্য বলেন, অনেক সময় দেখা যায় রোগীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়ে সাধারণ মানুষও রোগী হয়ে যায়। এটি ক্রস ইনফেকশন। এজন্য হাসপাতালে রোগী দেখতে গেলে একটু দূরে থেকে দেখতে হবে ও দ্রুত হাসপাতাল থেকে চলে যেতে হবে।
আরও পড়ুন>>শীতে সুস্থ থাকতে এই ৮ টি খাবার অব্যশই খাবেন! জেনে নিন বিস্তারিত..
গবেষণায় আরও বলা হয়, দেশে অন্তত ৭৫ শতাংশ সংক্রমণ হয় টাইফয়েড, ই-কোলাই, স্ট্যাফাউরিয়াস, ক্লিবসিয়েলা ও সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে। এসব ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যাকসেস ও ওয়াচ গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অকেজো হয়ে গেছে।
এ ছাড়া নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) রোগীদের যে অ্যান্টিবায়োটিকে চিকিৎসা চলত— তা এখন ওয়ার্ডের রোগীদেরও দিতে হচ্ছে। এতেই বোঝা যায় পরিস্থিতি কত খারাপের দিকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন>>একসঙ্গে জন্ম নেওয়া ৫ নবজাতকই মারা গেছে
গবেষণায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য কয়েকটি ব্যাকটেরিয়াকে ভবিষ্যতে আশঙ্কা কারণ হিসাবে দেখানো হয়। এগুলো হলো— এমডিআর টিবি, কুইনোলোন এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী টাইফয়েড, ইএসবিএল, ই-কোলাই ও ক্লেবসিয়েলা সংক্রমণ এবং কার্বাপেনাম প্রতিরোধী এন্টিরোকোসি সংক্রমণ।
[button color=”green” size=”medium” link=”https://news.google.com/publications/CAAqBwgKMKTlpAwwtt2zBA?ceid=US:en&oc=3″ icon=”” target=”true”]Follow[/button]
+ There are no comments
Add yours