লিমা পারভীন: শীতকালে শরীর সুস্থ রাখা বেশ কঠিন কাজ। এ সময় প্রকৃতিগত পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন রোগবালাই যেন লেগেই থাকে । কিছু শীতের খাবার রয়েছে, যেগুলো খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
শীতকালে সুস্থ থাকতে যে খাবারগুলি খাবেন:
১. শীতের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ঠান্ডা-কাশির মত রোগবালাই দূর করতে শীতের খাবার হিসেবে খাদ্যতালিকায় গমের তৈরি রুটি, ননীবিহীন দুধ, চর্বিহীন প্রোটিন ইত্যাদি রাখা উচিত। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম, ব্যায়াম, কম মানসিক চাপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত রাখতে সহায়তা করে।
২. কমলা একটি সাইট্রাস জাতীয় ফল। শীতের খাবার হিসেবে কমলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শীতকালে বিভিন্ন রোগব্যাধি থেকে শরীরকে রক্ষা করবে।
আরও পড়ুন>>নারীদের সুস্থ থাকার ১১টি কৌশল
৩. শীতের খাবার হিসেবে গাজরও বেশ ভালো। গাজর বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমিয়ে ফুসফুসকে সুরক্ষা দেয়।
৪. ডিমের মধ্যে রয়েছে নয়টি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও আয়রন। বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধে ডিম কার্যকর। ডিমে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, যেমন—বি২, বি১২, এ ও ই; রয়েছে জিংক, ফসফরাস এবং প্রয়োজনীয় মিনারেল। শীতের খাবার হিসেবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তাই ডিম রাখতে পারেন।
আরও পড়ুন>>সবজি দিয়ে ‘ভেজিটেবল প্যানকেক’ তৈরির রেসিপি
৫. শীতকালে আদার চা বেশি করে খাবেন। এতে ঠান্ডা কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬. মাশরুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শীতে ঠান্ডা ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে মাশরুম খুব উপকারী। তাই শীতের খাবার হিসেবে আপনার খাদ্যতালিকায় অবশ্যই মাশরুম রাখুন!
৭. জ্বর ও ঠান্ডার জাতীয় রোগব্যাধির জন্য রসুন খাওয়া ভালো। রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে কাঁচা রসুন সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
আরও পড়ুন>>জলপাইয়ের সুস্বাদু ঝুরি আচারের রেসিপি
৮. জ্বর ও ঠান্ডা প্রতিরোধে মধু সবচেয়ে নিরাপদ খাবার। শীতের খাবার হিসেবে তো মধুর কোন জুড়িই নেই। মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
৯. শীতকাল মানেই হরেক রকম সবজি। শীতের খাবার হিসেবে প্রতিদিন সবুজ পাতার সবজি রাখুন। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ‘কে’ থাকে।
১০. গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। শীতের দিনে দুই থেকে তিন কাপ গ্রিন টি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
Follow