স্পোর্টস ডেস্ক: তৃতীয় ওয়ানডেতে নিউ জিল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারাল নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দল। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটাই বাংলাদেশের প্রথম ঐতিহাসিক ওয়ানডে জয়।
সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে আগেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার। তবে বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি ছিল অনেকদিক দিয়ে গুরুত্ববহ। শুধু হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোই নয়, ইতিহাস গড়ার হাতছানিও যে ছিল।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতলেও এর আগে কখনই সীমিত ওভারে (ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি) জয় দেখেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই জয় ধরা দিলো ওয়ানডে ফরম্যাটে।
অধিনায়ক শান্ত জয়সূচক রান নেওয়ার পাশাপাশি ফিফটিও পূরণ করেন। ৪২ বলে ৮ চারের সাহায্যে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১ রানে অপরাজিত ছিলেন লিটন দাস।
আরও পড়ুন>> সৌম্যর রেকর্ড ১৬৯
সাফল্য পেতে বেশি সময় লাগেনি। কিউই ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে তিনি সাজঘরে ফেরান রাচিন রাবিন্দ্রকে। ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করে তানজিম সাকিব বিভ্রান্ত করেন নিউজিল্যান্ড ওপেনারকে।
সাকিবের মিডলে পিচ করা বলে ব্যাট ছুঁইয়ে রাচিন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন ১২ বলে ৮ করে। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
তৃতীয় উইকেটে বিপদ কাটানোর চেষ্টা করেন টম ল্যাথাম আর উইল ইয়ং। তবে ৫৫ বলে তাদের ৩৬ রানের জুটিটি ১৭তম ওভারে এসে ভেঙে দেন শরিফুল ইসলাম। সেট হওয়া কিউই অধিনায়ক টম লাথাম ডিফেন্ড করতে গিয়েও স্টাম্প বাঁচাতে পারেননি। বোল্ড হয়ে ফেরেন ৩৪ বলে ২১ করে।
নিজের পরের দুই ওভারে আরও দুই উইকেট তুলে নেন শরিফুল। ১৯তম ওভারে আরেক সেট ব্যাটার ইয়ংকে ফেরান বাঁহাতি এই পেসার।গালিতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন ইয়ং। ৪৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান।
আরও পড়ুন>> সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিল বাংলাদেশ
২১তম ওভারে শরিফুলের শিকার মার্ক চ্যাপম্যান। ২ রান করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন কিউই ব্যাটার। ২৩তম ওভারে আবার তানজিম সাকিবকে আক্রমণে ফেরান শান্ত। এবার প্রথম বলেই উইকেট। টম ব্লান্ডেল (১৭ বলে ৪) ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন মিরাজের হাতে। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
স্বীকৃত ব্যাটারের মধ্যে ছিলেন কেবল জর্জ ক্লার্কসন। তবে উইকেট ধরে রাখতে চেয়েও পারেননি তিনি। পার্টটাইমার সৌম্য সরকারের বলে ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড হন এই ব্যাটার, ২৩ বলে তিনি করেন ১৬ রান।
আরও পড়ুন:
-
গানের আসরে চেয়ারে বসা নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
-
রাজশাহী থেকে দুটি ট্রেন বন্ধ ঘোষনা
-
শীতকালে সুস্থ থাকতে যে খাবারগুলি খাবেন
-
ফিলিস্তিন নিয়ে পরামর্শমূলক সম্মেলনে যোগ দেবেন এফ এম মুত্তাকি
ক্লার্কসনকে তুলে নেওয়ার পর কিউইদের লেজটা ছেঁটে দিয়েছেন সৌম্যই। শেষ উইকেটের তিনটিই নেন এই অলরাউন্ডার। মোস্তাফিজুর নেন শেষ উইকেটটি।
শরিফুল ৭ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। সমান ওভারে ১৪ রানে ৩ উইকেট তানজিম হাসান সাকিবের। সৌম্য সরকার ৬ ওভারে ১৮ রান খরচায় নেন ৩টি।