শিরোনাম
What-are-the-reasons-for-children-to-speak-late-newsasia24

শিশুদের দেরীতে কথা বলার কারন কী ?

লিমা পারভীন: শিশুর মুখে আধো আধো বুলি শুনতে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু শিশুটি যদি স্বাভাবিক সময় কথা না বলে, তা এক বিরাট দুশ্চিন্তার বিষয়। শিশুদের দেরীতে কথা বলার বিভিন্ন কারন রয়েছে ।

বর্তমানে শিশুদের দেরিতে কথা বলা বাবা-মায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাকি সবকিছুই হয়ত ঠিকঠাক, কিন্তু একদমই কথা বলতে অনাগ্রহী ছোট্ট সন্তান।

শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ:

১. শহরের একক পরিবার: গ্রামের তুলনায় শহরের শিশুরা দেরিতে কথা বলে। গ্রামের শিশুরা মানুষের সাথে, অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে মেশে, মোবাইল ফোন বেশি হাতে পায় না। কিন্তু শহরে বেশিরভাগই ছোট পরিবার, অন্যদের সাথে মেশার সুযোগ কম তাই শিশু কথা বলে দেরীতে। এছাড়া বাবা-মা চাকরিজীবী হলে শিশুর সঙ্গে বাবা-মায়ের কম কথা বলাও শিশুর দেরিতে কথা বলার কারণ।

What-are-the-reasons-for-children-to-speak-late2-newsasia24

২. মোবাইল ফোন: বর্তমান সময়ে বেশীরভাগ শিশুর দেরিতে কথা বলা বা কথা কম বলার পেছনে দায়ী মোবাইল ফোন। এক বছর বয়সে অনেক শিশু কথা বলা শিখতে শুরু করার পর দেখা গেছে দুই বছর বয়সে এসে তা কমে যাচ্ছে। এর কারণ শিশুর ওপর মোবাইল ফোনের প্রভাব।

৩. ডাউন সিনড্রোম: ডাউন সিনড্রোমে শিশুর শরীর তুলতুলে নরম ও মুখমণ্ডলের ধরন আলাদা থাকে। এই শিশুদের বুদ্ধি হয় না, হাঁটা, বসা, চলাফেরা করতে পারে না এবং তারা কথাও দেরিতে বলে।

৪. সেরিব্রাল পালসি: জন্মের সময় কান্না করতে দেরি হওয়ার কারণে মস্তিষ্কে অক্সিজেন কমে যায়, মস্তিষ্ক কাজ করে না। যার ফলে হাঁটা ও বসার মতো কথা বলাও দেরিতে হয়, এ ধরনের শিশুর বুদ্ধি কমে যায়।

আরও পড়ুন:

৫. অটিজম: অটিজম শিশুদের আচরণগত অসুবিধা দেখা যায়। শিশু এক জায়গায় বসে থাকে না, নিজের মতো চলে। অন্য শিশুদের সঙ্গে মেশে না, কথা বলে না, কিছু আচরণ করে যা অন্য বাচ্চারা করে না। এক্ষেত্রে এ ধরনের শিশুদের কথা বলতেও দেরি হয়।

৬. জন্মগত সমস্যা: এছাড়া শিশুর জন্মগতভাবে ঠোঁট কাটা, তালু কাটা থাকলে কিংবা শিশু কানে কম শুনে, এমন শিশুদের কথা বলতে দেরি হয়।

google-news-channel-newsasia24

Follow

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *