শিরোনাম
Body of NGO worker recovered in Kurigram-newsasia24

কুড়িগ্রামে এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুড়িগ্রাম পৌর শহরের খলিলগঞ্জ বাজারে এক নারী এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শোবার ঘর থেকে গলায় দড়ি পেঁচানো অবস্থায় শেফালী বেগমের (৩২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তার বাড়ী জেলার উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর মন্ডলপাড়া গ্রামে। তিনি খলিলগঞ্জ বাজারের পাশে স্বামীসহ ভাড়া থাকতেন।

শেফালী বেগম শহরের ত্রিমোহণী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ‘দারিদ্র বিমোচন জনকল্যাণ প্রকল্পে’ থানা অডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী রঞ্জু সরকার একই অফিসে প্রকল্প পরিচলেকের দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।

নিহতের সহকর্মী সাথী বলেন, আমি অসুস্থতা জনিত কারণে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। দুপুর ১১টা ৫৬ মিনিটে শেফালী আপার সঙ্গে আমার মোবাইলে কথা হয়।

দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্বামী প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক রঞ্জু সরকার আমাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। তিনি আমাকে বাড়িতে গিয়ে থাকতে বলার পর তার সাথে আমার আর কোন যোগাযোগ হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আমি সন্ধ্যায় শেফালী আপার বাড়ী এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। পরে বাড়ীর লোকজন পুলিশে খবর দিলে তারা দরজা খুলে তাকে আধ-বসা অবস্থায় গলায় ও জানালার গ্রিলের সঙ্গে দড়ি পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর আসেনি। আমরা ফোন করলে প্রথমে রিসিভ করে আসতে চাইলেও এখন ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন:

বাড়ীর মালিক কাজলের ছোট ভাই বাদল জানান, এই পরিবারটি গত ১৫ ডিসেম্বর বাড়ী ভাড়া নেয়। তারা দুজনে এনজিওতে চাকরি করেন। তাদের ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান নানা বাড়ীতে থাকে।

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। মরদেহের সুরৎহাল শেষে থানায় নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের পর তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *