সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকশত বসতঘর-দোকানপাট লণ্ডভণ্ড

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি” সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকশত বসতঘর-দোকানপাট ভেঙে গেছে। আশ্রয় হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ। আর সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার গ্রাহক।

রবিবার(৩১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় ঝড়ের তাণ্ডবে সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় কাঁচা ও টিনের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঝড়ের কবলে পড়ে নিহতের খবর না পাওয়া গেলেও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।

রবিবার রাতের তাণ্ডবে শান্তিগঞ্জ উপজেলার সদরপুর, আস্তমা, চন্দ্রপুর, রায়পুর, ইনাতনগর, তালুকগাঁও, পাগলাসহ বেশ কিছু গ্রামে কয়েক শত বাড়িঘর ও দোকান লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।

এ সময় শত শত গাছ-পালা ভেঙে পড়েছে। মানুষেরা ঘর থেকে প্রাণ নিয়ে বের হয়ে মসজিদ ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে পরিবার আর সন্তানদের নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে হতদরিদ্রের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

ঝড়ের পরে রাত থেকে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন। যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের অনেকে সেহরি খেতে পারেনি। ঝড়ের কবলে পড়ে আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ফার্মেসিতে ভিড় করছেন। তবে এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার আস্তমা গ্রামের বাসিন্দা রায়হান চৌধুরী বলেন, ‘এত শিলাবৃষ্টি আর তুফানে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, কীভাবে সামাল দেবো বুঝে উঠতে পারছি না। তাও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া ঝড়ের সময় ঘর থেকে বের হয়ে চাচার বিল্ডিংয়ে উঠে প্রাণে বেঁচে গেছি।’

আরও পড়ুন: 

অবৈধ কাজের দায়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করার অনুমোদন দিল হাইকোর্ট

দক্ষিণ আফ্রিকায় খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫

আরেক বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, ঝড় যেদিকে গেছে, সেদিকের সব গাছপালা, বাড়ি-ঘরের টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শত শত মানুষ অসহায় হয়েছে গেছে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ মোট্টিক টন চাল ও ঢেউ টিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনবার্সনে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

You May Also Like

+ There are no comments

Add yours