কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: ভাগের পুকুরের মাছের টাকা চাওয়া কেন্দ্র করে ভাগ্নের ইটের আঘাতে আহত মামা জহুরুল হক ডাবলু (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনায় অপর আহত ভাগ্নে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের ভাই ভাবিসহ ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওপার বেতবাড়িয়া গ্রামে শুক্রবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকাল ৫টার পর আহত জহুরুল হক ডাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত ডাবলু এ গ্রামের পচু বিশ্বাসের ছেলে। এক পুত্র সন্তানের পিতা। এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানা পুলিশ নিহতের বড় ভাই ফজলুল হক টুকু, ভাবি রুকসানা ও অপর এক নারীকে হেফাজতে নিয়েছে।
শনিবার রাতে পুত্রবধূ মিতা হক তার শ্বশুর জহুরুল হকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যার পর তার শ্বশুরের সাথে চাচা শ্বশুর ফজলুল হক টুকুর বিরোধ হয়। দুই পক্ষের হামলায় তার শ্বশুর জহুরুল হক ডাবলু ও লিংকন নামে তার এক ফুপু শ্বাশুরীর ছেলে আহত হয়। ইটের আঘাতে আহত জহুরুলকে রাতেই ঢাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার সকাল ১০টার তার মাথায় অপারেশন করা হয়। বিকাল ৫টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার স্বামী নিহতের ছেলে সোহেল হক শ্বশুরের লাশের পাশেই রয়েছে।
নিহতের নিকট বড় ভাই তোফাজ্জেল হক জানান, সবার বড় ভাই ফজলুল হক কুটুর কাছে পুকুরের মাছ বিক্রি টাকা দাবি করে জহুরুল হক ডাবলু। টাকা না পেয়ে বড় ভাইয়ের উপর দুই দফা হামলা করে। সন্ধার পর দ্বিতীয় দফা হামলার সময় ভাগিনা লিংকন পিতা মুরাদ বিশ্বাস আহত হয়। এ সময় ইটের গাদার উপর পরে জহুরুল আহত হয়। রাতেই আহত জহুরুল ও ভাগ্নে লিংকনকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
তিনি আরও দাবি করেন, নিহত ছোটভাই জহুরুলের কাছে পরিবারের সবাই প্রতিনিয়ত নিগৃহীত হয়ে আসছে। এ দিনও সেই বড় ভাইয়ের উপর দুই দফা হামলা করে। ঠেকাতে গিয়ে ভাগ্নে হামলার শিকার হয়। এক পর্যায়ে জহুরুলও আহত হয়। এ মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা। নিহত লাশ নিয়ে ছেলে ফেরার পর মামলার বিষয়ে ভাবা যাবে।
থানা পুলিশের এক এএসআই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিহতের বড়ভাই এক ভাবিসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসার জন্য থানা নেওয়া হচ্ছে।
শনিবার রাত পৌনে ১১টায় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনুনর যায়েদ বলেন, এ হ্যাকান্ডের ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। দুই একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আনা হয়েছে। তবে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours