শিরোনাম
dinajpurnewsasia24

চাঁদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

নিউজ এশিয়া ডেস্ক: মাকে হত্যার দিয়ে ছেলের যাবজ্জীবন ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে।

জানা গেছে, ছালেহা খাতুন (৮০) নামে এক নারীকে হত্যা করে তার ছেলে আবুল কালাম বাহার (৫০)।

আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন।

হত্যার শিকার ছালেহা খাতুন জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ধানুয়া গ্রামের মিজিবাড়ীর মৃত আব্দুল খালেক মিজির স্ত্রী এবং কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম বাহার তার ছেলে।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, আসামি বাহার এক সময় প্রবাসে ছিলেন। দেশে ফিরে এলোমেলো কথাবার্তা বলার কারনে তার স্ত্রী চলে যান। এরপরে বিভিন্ন সময়ে বাহার তার মাকে মারধর করতেন। ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাহার তার মায়ের ঘরে ঢুকে।মারধর করেন।

বাহার তার মাকে ধাক্কা দিলে ঘরের দরজার আংটা মায়ের চোখে ঢুকে যায় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। ঘরের অন্য সদস্যরা ছালেহা খাতুনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

এ ঘটনায় ছালেহা খাতুনের মেয়ের জামাতা মো. রুহুল আমিন মিজি ঘটনার পরদিন ২৪ জুলাই ফরিদগঞ্জ থানায় আবুল কালাম বাহারকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন:

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আরও ধৈর্যধারণ করা উচিত: আইনমন্ত্রী

মামলাটি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী মো. জাকারিয়াকে। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছর ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আসামির অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আবুল কালাম বাহার উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *