নাজমুল হাসানঃ কুষ্টিয়ার খোকসায় ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। শয্যা সংকটের কারণে অধিকাংশের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দায় ও মেঝেতে।
হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতে দেখা যায়, রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। গাদাগাদি করে বারান্দা ও মেঝেতে চিকিৎসা চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। ফলে অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
অন্যদিকে, ওষুধ থাকলেও নানা অযুহাত দেখিয়ে রোগীর হাতে স্লিপ ধরিয়ে বাইরে থেকে কিনতে বলছেন হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সরা। ঠিকমতো চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন স্বজনরা।
রোগীর স্বজনরা বলেন, আমরা এই হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখানে চিকিৎসা সেবা পেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বেড়ে গেছে। তাপদাহ আর আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, ডেঙ্গু জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে। ধারণ-ক্ষমতার বেশি রোগী থাকায় নার্সরাও চিকিৎসা দিতে হিম- শিম খাচ্ছেন।
এদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগেও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছেন। বেশিরভাগ শিশুই ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
এ ব্যাপারে সিনিয়র নার্স ঝুমুর বিশ্বাস নিউজ এশিয়া২৪ কে বলেন, হঠাৎ করে এক সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা, নিউমোনিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। এত রোগীকে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। তবুও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ভালোভাবে সেবা দেওয়ার জন্য।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা: সাহিনা খানম বলেন, গত সপ্তাহ থেকে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, গরম-ঠান্ডাসহ নানা কারণে শিশুরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে চাপ বাড়ছে হাসপাতালে। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক, নার্স ও শয্যা সংকট থাকায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।