নিউজ এশিয়া ২৪ ডেস্ক: কেরালায় নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশি ধরনের উপস্থিতি দাবি করছে ভারত সরকার। কেরালা রাজ্যের কোঝিকোড জেলায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দু জন মারা যান।
তারা এই ভাইরাসের বাংলাদেশি ধরনে আক্রান্ত ছিলেন। এই ধরনটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ বলেছেন, নিপাহ ভাইরাসের বাংলাদেশি এই ধরনটিতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। তবে আক্রান্তের হার বেশি নয়।
জর্জ নিশ্চিত করেছেন দুই ব্যক্তির যে মৃত্যু হয়েছে, তা নিপাহ ভাইরাসের কারণে হয়েছে।
পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কেরালায় নিপাহ ভাইরাসে প্রথম মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে গত ৩০ আগস্ট। আর দ্বিতীয় রোগী মারা গেছেন ১১ সেপ্টেম্বর।
প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাস মোকাবিলায় কেরালা সরকার কোঝিকোডে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে। একই সঙ্গে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে জেলার বাসিন্দাদের মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেন, এটি নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। কারণ যারা আক্রান্তদের সাথে ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে ছিলেন তারা চিকিৎসাধীন আছেন।
কেরালায় এই নিয়ে চারবার নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ২০১৮ সালে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় এই রাজ্যে প্রথম নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
ওই সময় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ২৩ জন এবং মারা যান ২১ জন। পরবার্তিতে পুনরায় ২০১৯ ও ২০২১ সালেআরও দুজনের প্রাণ যায় এই ভাইরাসে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ হলেও এখন পর্যন্ত এর ভ্যাকসিন আবিস্কার হয়নি। এটি বাদুড়, শূকর বা অন্যান্য প্রাণীর সংস্পর্শের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে।
১৯৯৯ সালে মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে শূকরের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা খামারিরা এবং অন্যান্যদের শরীরে প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
আরও পড়ুন: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে জোটভুক্ত হল আফ্রিকান ইউনিয়ন
নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের তীব্র শ্বাসকষ্ট, এনসেফালাইটিস, জ্বর, মাথা ধরা, পেশির যন্ত্রণা, বমি ভাব হতে পারে।
এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ।
এর আগে বাংলাদেশেও খেজুরের রস পানে বাদুড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছিল।
সাংবাদিককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মিয়ানমার
ইরাকে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত
+ There are no comments
Add yours