ধর্ষক পীর কারাগারে

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: হবিগঞ্জে এক কথিত পীরকে করাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি ধোকা দিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং ৭০ লাখ টাকা আত্নসাৎ করেন।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ ওই ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কথিত পীরের নামআব্দুল কাইয়ুম (৪৫)। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে তিনি।

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর (৪০) মামলায় কাইয়ুমকে কারাগারে পাঠানো হয় ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আজিজুর রহমান সজল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ওই নারীর সঙ্গে কাইয়ুমের পরিচিত হয় ফটিক ছড়ির একটি মাজারে । পরে ওই নারীর সাথে পীর- ভাই সম্পর্ক করে কাইয়ুম। পরে ভাই সেজে তিন তলা বাড়িতে আসা-যাওয়া করতে থাকেন।

এরপর ২০২১ সালে কাইয়ুম ভুক্তভোগী ওই নারীকে জানান, ওই বাড়িটিতে থাকলে তাদের বড় বিপদ হবে ফলে দ্রুত বাড়িটি বিক্রি করা প্রয়োজন।
পরে বাড়ি আরও জায়গা বিক্রি করে বিক্রির ৭০ লাখ টাকা নিয়ে হবিগঞ্জে চলে যান ভন্ড পীর কাইয়ুম।

এর কয়েকদিন পর হবিগঞ্জের ভাদৈ এলাকায় ৮ শতক জায়গা ক্রয় করে সন্তানদের দিয়ে তিনি বাস করতে থাকেন কাইয়ুম। সেই সুযোগে কাইয়ুম ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

শুরুতে নির্যাতন সহ্য করলেও একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ৫ জুন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ওই নারী।

আরও পড়ুন: বিমানে যৌনকর্ম করায় গ্রেফতার নারী-পুরুষ

এ মামলায় কাইয়ুম গত ৮ আগস্ট উচ্চ আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ তা না-মঞ্জুর করে কাইয়ুমকে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। সূত্রঃ বাংলানিউজ২৪

আগামী বছর বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের

You May Also Like

+ There are no comments

Add yours