নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: খেলাপি ঋণের সঙ্গে বেড়েছে প্রভিশন ঘাটতি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুন শেষে ব্যাংক খাতে সার্বিক প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হাল নাগাদ প্রতিবেদনে প্রভিশন ঘাটতির এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য বলছে, আট ব্যাংকের মোট প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৬ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। কয়েকটি ব্যাংক বেশি প্রভিশন সংরক্ষণ করার কারণে ব্যাংক খাতের মোট প্রভিশন ঘাটতি কিছুটা কমেছে।
তিন ধরনের খেলাপি ঋণ রয়েছে। ১) সাব স্ট্যান্ডার্ড (এসএস) বা মন্দ মানের খেলাপি ঋণ; ২) ডাউট ফুল (ডিএফ) বা সন্দেহজনক মানের ঋণ এবং ৩) ব্যাড অ্যান্ড লস (বিএল) বা কু ঋণ। তিন ধরনের খেলাপি ঋণের বিপরীতে যথাক্রমে ২০ শতাংশ, ৫০ শতাংশ এবং ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোকে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়।
এছাড়া অশ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে পরিচালন মুনাফার শুন্য দশমিক পাঁচ থেকে পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। প্রভিশন ঘাটতি থাকলে শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করা যায় না।
এছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের চার হাজার ৪৬৫ কোটি, বেসিক ব্যাংকের চার হাজার ৩১০ কোটি, রূপালী ব্যাংকের চার হাজার ৯৭ কোটি, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ৫১৬ কোটি, ঢাকা ব্যাংকের ৪৩৯ কোটি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ২০৪ কোটি ও এনসিসি ব্যাংকের ৪১৯ কোটি টাকার প্রভিশন ঘাটতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার সোনার দাম কমলো
প্রভিশন ঘাটতি থেকে বের হয়ে গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। আর নতুন করে প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে বেসরকারি এনসিসি ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক খাতে সর্বোচ্চ প্রভিশন ঘটতি রয়েছে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকে। ব্যাংকটির ঘাটতির পরিমাণ ১১ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা।
+ There are no comments
Add yours