[t4b-ticker]
শিরোনাম

অপরাধ

যশোরে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরের ঝিকরগাছায় দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় পিয়াল হাসান (২৮) নামে এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঝিকরগাছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত পিয়াল ও অভিযুক্তরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এই ঘটনা পূর্ব বিরোধের জের হয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান।

পিয়াল মোবারকপুর বিশ্বাসপাড়া এলাকার কিতাব আলীর ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুনের অনুসারী বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, রাজনীতির পাশাপাশি পিয়াল ঝিকরগাছা বাজারে মুরগির ব্যবসা করতেন। গত ৫ আগস্ট বাজারে আধিপত্যে বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুজ্জামান বাবুর অনুসারী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শামীম রেজার সঙ্গে তার বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে সেদিন কাউন্সিলর বাবু, পৌর ছাত্রদল নেতা শামীম রেজাসহ কয়েকজন পিয়ালের দোকান ভাঙচুর করে।

এর পেক্ষিতে পিয়ালও শামীম রেজার বাবা কামরুলকে পিটিয়ে আহত করেন। ওই ঘটনায় মামলা হয়। পরে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। গত বৃহস্পতিবার পিয়াল জামিনে মুক্ত পান। আজ শনিবার পিয়ালের দোকানে আসেন কাউন্সিলর বাবু ও শামীমসহ কয়েকজন। সেখানে নিজ অপরাধের অনুতপ্ত হয়ে শামীম রেজার কাছে ক্ষমা চান পিয়াল। পিয়ালকে ক্ষমা না করে কুপিয়ে আহত করেন শামীম ও তার সহযোগিরা।

আরও পড়ুন:

প্রাণ বাঁচাতে পিয়াল বাজার থেকে পালিয়ে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেন। সেখানে একটি বারান্দায় পিয়ালকে কুপিয়ে পালিয়ে যান কাউন্সিলর বাবু ও শামীমরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিয়ালের মরদেহ উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এরপর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।

নিহতের ছোট ভাই সুমন হাসান বলেন, ‘মুরগি বাজারে গত ৫ আগস্ট পিয়ালের সঙ্গে কাউন্সিলর বাবু ও ছাত্রদল নেতা শামীমদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। সেই ঘটনায় মামলা হলে সম্প্রতি কারাভোগ করে তার ভাই জামিনে মুক্ত হন। এরপর শামীমরা আমার ভাইকে হত্যার হুমকি দেয়। আমার ভাইও কয়েক দফা তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েও মাফ পেল না। আজ আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে বন্ধ স্কুলে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পাইনি।’

যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানিয়েছেন, নিহত পিয়ালের নামে ১০টি মামলা রয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের পুলিশ চিহ্নিত করতে পেরেছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে।’

google-news-channel-newsasia24

ভাবির সাথে দেবরের অবৈধ সম্পর্ক; দেখে ফেলায় ভাইকে খুন!

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ভাবির সাথে পরকীয়ার সম্পর্কের বলি হয়েছে প্রবাস ফেরত স্বামী মোঃ উজ্জল মিয়া (৩০)। আর এ হত্যা মামলায় ছোট ভাই ও নিহতের স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত উজ্জল মিয়া (৩০) উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা গ্রামের মোঃ রোকমান মোল্লার ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মো.বশির আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।

এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিংগাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে সিংগাইর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের উত্তর কাংশা গ্রামের রোকমান মোল্লার ছেলে ও নিহতের আপন ছোট ভাই ঝন্টু মিয়া (২৪) ও নিহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ কাঞ্চন আক্তার মনিরা (২৩) এবং প্রতিবেশি পাশা বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ মিয়া (২২)।

পুলিশ জানান, আসামী ছোট ভাই ঝন্টু ও নিহত বড় ভাই উজ্জল মিয়া উভয়েই সিংগাপুর প্রবাসে থাকাকালে আসামী ঝন্টু মোবাইল ফোনে তার ভাবী কাঞ্চন ওরফে মনিরার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে ঝন্টু তার ভাইকে সিংগাপুরে রেখে বাড়ীতে এসে ভাবী সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত থাকে।

ঘটনার ৯ দিন পূর্বে উজ্জল বাড়ীতে আসলে ঝন্টু ও মনিরার অবৈধ সম্পর্কে বিঘ্ন ঘটে। এরপর আসামিরা পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে স্ত্রী মনিরা স্বামী উজ্জলকে কফির সাথে ঘুমের ওষধ খাওয়ায়ে অচেতন করে। এরপর গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্ত্রী মনিরার সহযোগীতায় ছোট ভাই ঝন্টু মিয়া ও প্রতিবেশি ছেলে মাসুদ মিয়া উজ্জল মিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

আরও পড়ুন:

এরপর মরদেহ গুমের জন্য বাড়ির অদূরে ধলেশ্বরী নদীতে নিয়ে যায় এবং প্লাস্টিকের ড্রামের সাথে বেঁধে নদীর পানিতে ডুবিয়ে দেয়। এর ১৮দিন পর ৩০ অক্টোবর ধলেশ্বরী নদী থেকে উজ্জলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। পরে এঘটনায় নিহতের বাবা রোকমান মোল্লা বাদি হয়ে সিংগাইর থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ সুপার মো.বশির আহমেদ নিউজ এশিয়া২৪কে জানান, দেবর-ভাবির পরকীয়ার সম্পর্কে স্বামী উজ্জল মিয়া বাঁধা হয়ে দাড়ায়। তাদের পরকীয়ার সম্পর্ক ধরে রাখতে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

বিয়ে করাই খোকসার এই ইঞ্জিনিয়ারের নেশা

খোকসা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরনের নেশা থাকে। তবে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও নেশা বিয়ে করা। টার্গেট করেন ধনী পরিবারের মেয়েদের। বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে, মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেন তিনি। কিছুদিন মিথ্যা সংসার করে পালিয়ে আসেন কথিত সেই ইঞ্জিনিয়ার। । মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে ফেলেন যাতে পূর্বের স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ না থাকে। এছাড়াও স্যোসাল মিডিয়া থেকে ব্লক করে রাখেন পুরাতন স্ত্রীকে।

কুষ্টিয়ার খোকসার চাদট গ্রামের বাসিন্দা মৃত জহির উদ্দিন মোল্লার ছোট ছেলে হাসানুজ্জামান শাপরু মোল্লার এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনা সুত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে খোকসা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর মেয়ের সাথে বিয়ে হয় শাপরু মোল্লার। এই সংসারে তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

ব্যবসায়ী নিউজ এশিয়া২৪কে জানান, শাপরু মোল্লা ঢাকায় চাকরি করলেও আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় প্রচুর অর্থ দাবি করেন। আমি তাকে কখনও ২ লাখ আবার কখনো ৫ লাখ টাকা দিয়েছি। যখন যেভাবে চেয়েছে আমি তাকে সেই পরিমান টাকাই দিয়েছি। মেয়ের সুখের জন্য জামাইকে মাথায় করে রেখেছিলাম। সেই জামাই এমন জঘন্য কাজ কিভাবে করতে পারলো?

অনুসন্ধানে জানা গেছে, শাপরু মোল্লা শশুরের অর্থ নিয়ে বিভিন্ন ক্লাবে আমোদ ফুর্তি করে বেড়াতেন। এসময় বিভিন্ন ধনী মেয়েদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতেন তিনি। একটা সময় তাদের ভোগ করার জন্য বিয়ের নাটক সাজান। কিছুদিন সংসারের অভিনয় করে ছেড়ে দেন স্ত্রীকে। নতুন করে বাধেন নতুন সংসার।

গত আগষ্টের ৯ তারিখে ঢাকার মিরপুর ১২ নম্বরের ৭ নম্বর রোডে রৌজানা (ছদ্দ নাম) নামে এক ধনী মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখি বিয়ে করেন শাপরু মোল্লা। বিয়ের ১ মাসের মাথায় স্ত্রী রৌজানার কাছে স্বামী শাপরুর সব কীর্তি ফাস হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্ত্রী রৌজানাকেও ফেলে পালিয়ে যায় শাপরু মোল্লা।

স্ত্রী রৌজানা জানান, বিয়ের কিছুদিন পরেই জানতে পারি তার আগে বিয়ে হয়েছিল এবং দুটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। আমি জিজ্ঞাসা করলে সবকিছু এড়িয়ে যেত। এর কিছুদিন পর আরও জানতে পারলাম, সে আরও কয়েকটি বিয়ে করেছে। আমাকে বিয়ে করে এখন পালিয়ে গেছে। আমার নাম্বার ব্লক করে রেখেছে। ফেসবুকেও ব্লক করে রেখেছে। আমি অনেক যায়গায় খোজ নিয়েও তাকে খুঁজে পাচ্ছি না।

শাপরু গ্রামের বাড়ি চাদটে খোজ নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। শাপরুর মৃত বড় ভাইও বিয়ে করেছিলেন ৪টি।

শাপরুর এক আত্মীয় জানান, শাপরুর বড় ভায়ের মত শাপরুও বিভিন্ন যায়গায় বিয়ে করে বেড়ায়। আমাদের সাথে তার যোগাযোগ নেই। অনেক দিন গ্রামেও আসে না। কোথায় থাকে, কি করে কেও সঠিকভাবে বলতে পারে না।

এ ব্যাপারে আদালতে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান শাপরুর স্ত্রী রৌজানা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করা যুবক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দু’হাতে দুই পিস্তল নিয়ে হামলা ও গুলি চালানো সেই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তার নাম জহিরুল ইসলাম রুবেল (২৬)।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

আরও পড়ুন:

র‍্যাব জানায়, গত ৫ আগস্ট রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলি চালান জহিরুল ইসলাম রুবেল। তার দুই হাতে দুটি অস্ত্র নিয়ে গুলি চালানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

google-news-channel-newsasia24

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা সাগরকে কুপিয়েছে কালা মাসুদ বাহিনী

বরিশাল প্রতিনিধি: সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সাগর মৃধাকে (২৩) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরিশাল নগরীর কলেজ এভিনিউ পুকুর পাড়ে তার ওপর আক্রমণ করা হয়।

আহত সাগর মৃধাকে বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ হামলার জন্য হত্যা, ডাকাতিসহ বহু মামলার আসামি কালা মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা নিউজ এশিয়া২৪কে জানান, সাগর মৃধা ও তার দুই বন্ধু বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা কালা মাসুদসহ ২০-২৫ জন সাগরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেস। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে কালা মাসুদ বাহিনী পালিয়ে যায়।

থানা সূত্রে জানা যায়, কালা মাসুদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়ে আছে। কিন্তু পুলিশ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না।

আরও পড়ুন:

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিএম কলেজের সমন্বয়ক শাহাবুদ্দিন বলেন, কী কারণে সাগরকে কোপানো হয়েছে, তা তিনি জানেন না। তবে সন্ত্রাসী কালা মাসুদের নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ ২১টি মামলা রয়েছে। তারপরও এরকম সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি কালা মাসুদকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোপানোর ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

কালা মাসুদকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

google-news-channel-newsasia24

জিয়ারখীতে অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী সোহেলের ষড়যন্ত্রে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের মঠপাড়া গ্রামে প্রতারক শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী মাদক সেবনকারী মূল হতা সোহেল মন্ডলের ষড়যন্ত্রের শিকার এলাকাবাসী।

সে মঠপাড়া গ্রামের আকছেদ মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী সোহেল সিঙ্গাপুর প্রবাসী হওয়ায় মাঝেমধ্যে এলাকায় ছুটিতে আসে। এসে বিভিন্ন মানুষকে অস্ত্র দিয়ে মামলা দেয়া এবং এলাকায় তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়ে আবার সু কৌশলে সে প্রবাসে চলে যায়।

বিষয়টি নিয়ে একই গ্রামের আমিরুলের ছেলে নাসির ইকবাল পাঞ্জু জানান, কিছুদিন আগে সোহেল ছুটিতে এসে সদর উপজেলার চর কমলাপুর গ্রামের হাবিল শেখের ছেলে বিপুল কে দিয়ে অস্ত্র বেচাকেনা করতে গিয়ে কুষ্টিয়ার র‍্যাব বারো এর জালে ধরা পড়ে।

র‍্যাব গোপন সূত্রে জানতে পারে, সেনের চাতাল পাগলা পুকুর এলাকায় অস্ত্র কেনা বেচা হচ্ছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি অস্ত্র সহ বিপুল সেখ কে গ্রেপ্তার করে।

অপর ব্যক্তি মটপাড়া এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনেীর মুল হোতা সোহেল মন্ডল দৌড়ে পালিয়ে যায় ।

সোহেলের মূল আশ্রয়দাতা ৬ নং জিয়ারাখি ইউনিয়নের রকিব, জালাল মন্ডল, রাজুসহ আরো অনেকে রয়েছে বলে একটি সুত্র দাবী করে। সোহেল মন্ডল এর মূল অস্ত্র ব্যবসায়ী র্যাব হাতে ধরা পড়ে বিপুল শেখ নিজেই স্বীকার করেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মূল্য ৩০ হাজার টাকা । যা সোহেল কে বিক্রয় করতে দিয়েছিল।

আরও পড়ুন:

ওই টাকা থেকে বিপুল শেখকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।

বিপুল শেখ জানিয়েছেন, সোহেল মন্ডল ষড়যন্ত্র করে অস্ত্রসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে দিয়ে ধরিয়ে দেয়।

ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন পাঞ্জু জানান, প্রতারক সোহেল তার কাছে ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি জমি বিক্রয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। জমি দিতে অস্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেক আইডি দিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র করে লেখালেখি করছে। এ বিষয়ে মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে যার নং ৮৬১তারিখ ২১/৮/২৪।

এদিকে ষড়যন্ত্রের শিকার চর কমলাপুর গ্রামের বিপুল সেখ জানান, সোহেল তার কাছে একটা ব্যাগ দিয়ে বলে সেটা ভাদালিয়ায় পৌঁছে দিলে ত্রিশ হাজার টাকা দেবে।

৫হাজার টাকা তুমি নেবে বাকিটা সোহেলকে দিতে হবে। পরে সেখানে যাওয়ার আগেই রাস্তার মধ্যেই গোপন সূত্রে র‍্যাব ১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের চৌকোস অভিযানীর দল অস্ত্র বেচাকেনার খবর পেয়ে তাকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে সোহেলের দেয়া ব্যাগের মধ্যে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে।

এদিকে সোহেলে মন্ডল এর বিরুদ্ধে অস্ত্র দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা, স্থানীয় ডাকাত বাহিনীর সাথে সক্রিয় ভূমিকা রাখা ও নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজল হক চৌধুরী জানান, জিডি হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এলাকাবাসীর দাবি, রকিব, জালাল মন্ডল ও নাজমুল মেম্বারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সোহেলের মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

অস্ত্র ব্যবসায়ী মাদক সেবনকারী সোহেলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।

google-news-channel-newsasia24

কান্না করায় ১১ মাসের সন্তানকে হত্যা করলো পাষন্ড পিতা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সাদিয়া আক্তার নামে ১১ মাসের এক শিশু কন্যাকে হত্যা করেছে পিতা ইমরান হোসেন। ইমরান পানছ‌ড়ি উপজেলার লোগাং ইউপির শান্তিনগরের হান্নানের ছেলে।

khagrachori sadia akter murder newsasia24 imran baba
ঘাতক পাষন্ড পিতা ইমরান হোসেন

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (২৭মে ) রাত সাড়ে দশটার দিকে শিশু কন্যা সাদিয়া কান্না করলে পিতা ইমরান কোলে তোলে জোরে আছাড় মারে। এতে শিশুটি আহত হয়।

আহত শিশুটিকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে রেখে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। প‌রে শিশুটির শারিরীক অবস্থার অবনতি হ‌লে মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভ‌র্তি করা করা হয়। শে‌ষে রাত আনুমানিক নয়টার দিকে চি‌কিৎসারত অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

আরও পড়ুন:

পানছ‌ড়ি থানা অ‌ফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শফিউল আজম ঘটনার সত্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে ব‌লেন, খবর পেয়ে পানছড়ি থানা পুলিশ ইমরান হোসেনকে আটক করে‌ছে। এ ব্যাপারে পানছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দা‌য়ের করা হয়েছে বলে জানান তি‌নি।

google-news-channel-newsasia24

স্বামীর প্রেমে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী সালমা আক্তারকে (৪০) হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বামী রুপচানকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের বড় ভাই রিপন খান নিজে বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আজ শুক্রবার (২৪ মে ২০২৪ ) ভোরে সোনারগাঁ পৌরসভার ভট্টপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত সালমা পৌরসভার ভট্টপুর এলাকার মো. রুপচাঁনের স্ত্রী। সে দুই সন্তানের জননী।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের পরিবার জানায়, অভিযুক্ত স্বামী রুপচাঁন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করার সূত্রে তার সহকর্মী এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে সালমা এর প্রতিবাদ করে। এতে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভট্টপুর গ্রামের রুপচানের সঙ্গে পৌর এলাকার তাজপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের মেয়ে সালমা আক্তারের ১৯ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি আট বছর বয়সী মেয়ে ও ১৮ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে।

নিহতের ছেলে আব্দুল্লাহ আরবান জানান, আমার বাবা দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়ার করত। এই নিয়ে মায়ের সাথে বাবার প্রায়ই ঝগড়া হতো। কিছুদিন আগেও মাকে অনেক মেরেছে বাবা। পরে আমি আমার নানির বাড়ির আত্মীয়দের জানিয়েছি। উনারা বলেছিল ঈদের পর বসবে কিন্তু আজ আমার মাকে মেরেই ফেলল বাবা।

নিহত সালমার বড় ভাই রিপন জানান, দুই বছর ধরে তার বোনের স্বামী পরকীয়ায় জড়িত। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিশও হয়েছে। কিছুদিন আগেও তার বোনকে অনেক মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।

আরও পড়ুন:

এই নিয়ে তাদের সাথে তার কথাকাটাকাটিও হয়। এক পর্যায়ে তার বোনকে নিয়ে আসতে চাইলে তার বোন দুই বাচ্চার মুখের দিকে চেয়ে তার স্বামীর বাড়িতেই থেকে যায়। কিন্তু আজ ভোরে বোনের মরদেহ বাড়ি থেকে দূরে এক পুকুরে পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, তার বোন কখনো পুকুরে যায় না। সে সব সময় বাড়ির টিউবওয়েলেই গোসল করে। পুকুর তার বাসা থেকে অনেক দূরে। তার স্বামীই তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে পুকুরে ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা যাবে।

google-news-channel-newsasia24

গোয়ান্দা পরিচয়ে তরুণীকে ধর্ষণ; যুবক গ্রেপ্তার

বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালে গোয়েন্দা পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৮ এর একটি দল।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাবের এএসপি হাসান জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ধর্ষক রেফাউল ইসলাম লিটন (২৩) নগরীর পূর্ব বগুড়া রোডের বাসিন্দা আব্দুল ছাত্তার মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৪ মে ) র‌্যাবের এএসপি হাসান জানান, গত ১২ মে নগরীর আমির কুটির এলাকার বাসায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে বাসায় একা রেখে মা কাজে যান।

বেলা পৌনে একটার দিকে লিটন ওই বাসায় আসে। লিটন নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। পরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করে।

তরুণীর মা ঘরে এসে লিটনকে দেখতে পেয়ে পরিচয় জানতে চায়। তখন লিটন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তরুণীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন :

এএসপি জানান, চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত এ ঘটনায় করা মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে লিটনের অবস্থান বাকেরগঞ্জ এলাকায় শনাক্ত করে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে লিটনকে গ্রেপ্তার করে।

ধর্ষককে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে এএসপি জানান।

google-news-channel-newsasia24

খোকসাতে সয়লাব মাদক ব্যবসা; পর্ব-১

ফাহিম শাওন:  কুষ্টিয়ার খোকসা ক্রমেই ছেয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়। ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে মাদক ব্যবসা। ভালো মানুষ সেজে লোক চক্ষুর আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। হাতের নাগালে সহজে মাদক পেয়ে এলাকায় দিনদিন মাদক সেবীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, মাদক সেবীরা নেশার টাকা জোগাড় করতে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

সূত্রে জানা গেছে, খোকসার বাসষ্ট্যান্ড এলাকা, বিলজানি, শোমসপুর, একতারপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি স্পটে গড়ে উঠেছে মাদকের ব্যবসা। প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে দিদারসে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদকের ব্যবসা।

গোপন সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ীরা উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের টার্গেট করে কৌশলে চালাচ্ছেন মাদকের ব্যবসা। প্রথমাবস্থায়, এলাকার কয়েকজন যুবকদের কাছে বিনামূল্যে বা অল্পদামে বিক্রি করা হয় গাজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ দেশীবিদেশী মদ। একবার আসক্ত হয়ে গেলে তাদেরকে টাকার লোভ দেখিয়ে বিক্রি করিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক। পরবর্তীতে এই সমস্ত যুবকেরা ক্রমে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদক ব্যবসায়ী বলেন, আমি এক সময় গাজা বিক্রি করতাম। এখন বয়স হয়ে গেছে এবং মান সম্মানের ভয়ে এই অবৈধ ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু এলাকার নতুন করে অনেকেই এই ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের বেশিরভার বয়স ২০ বছর থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। অল্প সময়ে প্রচুর টাকা ইনকামের লোভে জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।

আরও পড়ুন: 

খোকসাতে গোপন অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি মাদক ব্যবসায়ীদের নাম পাওয়া গেছে। যারা প্রশাসনের চোঁখকে ফাকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। গড়ে তুলেছেন মাদকের সম্রাজ্য। ……চলবে…..

google-news-channel-newsasia24