শিরোনাম

অপরাধ

জিয়ারখীতে অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী সোহেলের ষড়যন্ত্রে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের মঠপাড়া গ্রামে প্রতারক শীর্ষ অস্ত্র ব্যবসায়ী মাদক সেবনকারী মূল হতা সোহেল মন্ডলের ষড়যন্ত্রের শিকার এলাকাবাসী।

সে মঠপাড়া গ্রামের আকছেদ মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী সোহেল সিঙ্গাপুর প্রবাসী হওয়ায় মাঝেমধ্যে এলাকায় ছুটিতে আসে। এসে বিভিন্ন মানুষকে অস্ত্র দিয়ে মামলা দেয়া এবং এলাকায় তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা দিয়ে আবার সু কৌশলে সে প্রবাসে চলে যায়।

বিষয়টি নিয়ে একই গ্রামের আমিরুলের ছেলে নাসির ইকবাল পাঞ্জু জানান, কিছুদিন আগে সোহেল ছুটিতে এসে সদর উপজেলার চর কমলাপুর গ্রামের হাবিল শেখের ছেলে বিপুল কে দিয়ে অস্ত্র বেচাকেনা করতে গিয়ে কুষ্টিয়ার র‍্যাব বারো এর জালে ধরা পড়ে।

র‍্যাব গোপন সূত্রে জানতে পারে, সেনের চাতাল পাগলা পুকুর এলাকায় অস্ত্র কেনা বেচা হচ্ছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে একটি অস্ত্র সহ বিপুল সেখ কে গ্রেপ্তার করে।

অপর ব্যক্তি মটপাড়া এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী অস্ত্র ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনেীর মুল হোতা সোহেল মন্ডল দৌড়ে পালিয়ে যায় ।

সোহেলের মূল আশ্রয়দাতা ৬ নং জিয়ারাখি ইউনিয়নের রকিব, জালাল মন্ডল, রাজুসহ আরো অনেকে রয়েছে বলে একটি সুত্র দাবী করে। সোহেল মন্ডল এর মূল অস্ত্র ব্যবসায়ী র্যাব হাতে ধরা পড়ে বিপুল শেখ নিজেই স্বীকার করেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মূল্য ৩০ হাজার টাকা । যা সোহেল কে বিক্রয় করতে দিয়েছিল।

আরও পড়ুন:

ওই টাকা থেকে বিপুল শেখকে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল।

বিপুল শেখ জানিয়েছেন, সোহেল মন্ডল ষড়যন্ত্র করে অস্ত্রসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কে দিয়ে ধরিয়ে দেয়।

ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন পাঞ্জু জানান, প্রতারক সোহেল তার কাছে ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি জমি বিক্রয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। জমি দিতে অস্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফেক আইডি দিয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র করে লেখালেখি করছে। এ বিষয়ে মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে যার নং ৮৬১তারিখ ২১/৮/২৪।

এদিকে ষড়যন্ত্রের শিকার চর কমলাপুর গ্রামের বিপুল সেখ জানান, সোহেল তার কাছে একটা ব্যাগ দিয়ে বলে সেটা ভাদালিয়ায় পৌঁছে দিলে ত্রিশ হাজার টাকা দেবে।

৫হাজার টাকা তুমি নেবে বাকিটা সোহেলকে দিতে হবে। পরে সেখানে যাওয়ার আগেই রাস্তার মধ্যেই গোপন সূত্রে র‍্যাব ১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের চৌকোস অভিযানীর দল অস্ত্র বেচাকেনার খবর পেয়ে তাকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে সোহেলের দেয়া ব্যাগের মধ্যে একটি অস্ত্র উদ্ধার করে।

এদিকে সোহেলে মন্ডল এর বিরুদ্ধে অস্ত্র দিয়ে মানুষকে হয়রানি করা, স্থানীয় ডাকাত বাহিনীর সাথে সক্রিয় ভূমিকা রাখা ও নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজল হক চৌধুরী জানান, জিডি হয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এলাকাবাসীর দাবি, রকিব, জালাল মন্ডল ও নাজমুল মেম্বারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সোহেলের মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।

অস্ত্র ব্যবসায়ী মাদক সেবনকারী সোহেলের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।

google-news-channel-newsasia24

কান্না করায় ১১ মাসের সন্তানকে হত্যা করলো পাষন্ড পিতা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সাদিয়া আক্তার নামে ১১ মাসের এক শিশু কন্যাকে হত্যা করেছে পিতা ইমরান হোসেন। ইমরান পানছ‌ড়ি উপজেলার লোগাং ইউপির শান্তিনগরের হান্নানের ছেলে।

khagrachori sadia akter murder newsasia24 imran baba
ঘাতক পাষন্ড পিতা ইমরান হোসেন

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার (২৭মে ) রাত সাড়ে দশটার দিকে শিশু কন্যা সাদিয়া কান্না করলে পিতা ইমরান কোলে তোলে জোরে আছাড় মারে। এতে শিশুটি আহত হয়।

আহত শিশুটিকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে রেখে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দিলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। প‌রে শিশুটির শারিরীক অবস্থার অবনতি হ‌লে মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে ভ‌র্তি করা করা হয়। শে‌ষে রাত আনুমানিক নয়টার দিকে চি‌কিৎসারত অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।

আরও পড়ুন:

পানছ‌ড়ি থানা অ‌ফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শফিউল আজম ঘটনার সত্যতা নি‌শ্চিত ক‌রে ব‌লেন, খবর পেয়ে পানছড়ি থানা পুলিশ ইমরান হোসেনকে আটক করে‌ছে। এ ব্যাপারে পানছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দা‌য়ের করা হয়েছে বলে জানান তি‌নি।

google-news-channel-newsasia24

স্বামীর প্রেমে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী সালমা আক্তারকে (৪০) হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বামী রুপচানকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের বড় ভাই রিপন খান নিজে বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আজ শুক্রবার (২৪ মে ২০২৪ ) ভোরে সোনারগাঁ পৌরসভার ভট্টপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত সালমা পৌরসভার ভট্টপুর এলাকার মো. রুপচাঁনের স্ত্রী। সে দুই সন্তানের জননী।

স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের পরিবার জানায়, অভিযুক্ত স্বামী রুপচাঁন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করার সূত্রে তার সহকর্মী এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে সালমা এর প্রতিবাদ করে। এতে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়।

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভট্টপুর গ্রামের রুপচানের সঙ্গে পৌর এলাকার তাজপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের মেয়ে সালমা আক্তারের ১৯ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি আট বছর বয়সী মেয়ে ও ১৮ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে।

নিহতের ছেলে আব্দুল্লাহ আরবান জানান, আমার বাবা দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়ার করত। এই নিয়ে মায়ের সাথে বাবার প্রায়ই ঝগড়া হতো। কিছুদিন আগেও মাকে অনেক মেরেছে বাবা। পরে আমি আমার নানির বাড়ির আত্মীয়দের জানিয়েছি। উনারা বলেছিল ঈদের পর বসবে কিন্তু আজ আমার মাকে মেরেই ফেলল বাবা।

নিহত সালমার বড় ভাই রিপন জানান, দুই বছর ধরে তার বোনের স্বামী পরকীয়ায় জড়িত। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিশও হয়েছে। কিছুদিন আগেও তার বোনকে অনেক মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।

আরও পড়ুন:

এই নিয়ে তাদের সাথে তার কথাকাটাকাটিও হয়। এক পর্যায়ে তার বোনকে নিয়ে আসতে চাইলে তার বোন দুই বাচ্চার মুখের দিকে চেয়ে তার স্বামীর বাড়িতেই থেকে যায়। কিন্তু আজ ভোরে বোনের মরদেহ বাড়ি থেকে দূরে এক পুকুরে পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, তার বোন কখনো পুকুরে যায় না। সে সব সময় বাড়ির টিউবওয়েলেই গোসল করে। পুকুর তার বাসা থেকে অনেক দূরে। তার স্বামীই তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে পুকুরে ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা যাবে।

google-news-channel-newsasia24

গোয়ান্দা পরিচয়ে তরুণীকে ধর্ষণ; যুবক গ্রেপ্তার

বরিশাল প্রতিনিধি: বরিশালে গোয়েন্দা পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৮ এর একটি দল।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাবের এএসপি হাসান জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার হওয়া ধর্ষক রেফাউল ইসলাম লিটন (২৩) নগরীর পূর্ব বগুড়া রোডের বাসিন্দা আব্দুল ছাত্তার মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার (২৪ মে ) র‌্যাবের এএসপি হাসান জানান, গত ১২ মে নগরীর আমির কুটির এলাকার বাসায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে বাসায় একা রেখে মা কাজে যান।

বেলা পৌনে একটার দিকে লিটন ওই বাসায় আসে। লিটন নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। পরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করে।

তরুণীর মা ঘরে এসে লিটনকে দেখতে পেয়ে পরিচয় জানতে চায়। তখন লিটন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তরুণীর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।

আরও পড়ুন :

এএসপি জানান, চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত এ ঘটনায় করা মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে লিটনের অবস্থান বাকেরগঞ্জ এলাকায় শনাক্ত করে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে লিটনকে গ্রেপ্তার করে।

ধর্ষককে কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে এএসপি জানান।

google-news-channel-newsasia24

খোকসাতে সয়লাব মাদক ব্যবসা; পর্ব-১

ফাহিম শাওন:  কুষ্টিয়ার খোকসা ক্রমেই ছেয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়। ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে মাদক ব্যবসা। ভালো মানুষ সেজে লোক চক্ষুর আড়ালে চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। হাতের নাগালে সহজে মাদক পেয়ে এলাকায় দিনদিন মাদক সেবীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, মাদক সেবীরা নেশার টাকা জোগাড় করতে নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে।

সূত্রে জানা গেছে, খোকসার বাসষ্ট্যান্ড এলাকা, বিলজানি, শোমসপুর, একতারপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি স্পটে গড়ে উঠেছে মাদকের ব্যবসা। প্রশাসনের চোঁখ ফাকি দিয়ে দিদারসে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদকের ব্যবসা।

গোপন সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ীরা উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের টার্গেট করে কৌশলে চালাচ্ছেন মাদকের ব্যবসা। প্রথমাবস্থায়, এলাকার কয়েকজন যুবকদের কাছে বিনামূল্যে বা অল্পদামে বিক্রি করা হয় গাজা, ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ দেশীবিদেশী মদ। একবার আসক্ত হয়ে গেলে তাদেরকে টাকার লোভ দেখিয়ে বিক্রি করিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার মাদক। পরবর্তীতে এই সমস্ত যুবকেরা ক্রমে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদক ব্যবসায়ী বলেন, আমি এক সময় গাজা বিক্রি করতাম। এখন বয়স হয়ে গেছে এবং মান সম্মানের ভয়ে এই অবৈধ ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু এলাকার নতুন করে অনেকেই এই ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের বেশিরভার বয়স ২০ বছর থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। অল্প সময়ে প্রচুর টাকা ইনকামের লোভে জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।

আরও পড়ুন: 

খোকসাতে গোপন অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি মাদক ব্যবসায়ীদের নাম পাওয়া গেছে। যারা প্রশাসনের চোঁখকে ফাকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসা। গড়ে তুলেছেন মাদকের সম্রাজ্য। ……চলবে…..

google-news-channel-newsasia24

খোকসায় ভাগ্নের ইটের আঘাতে নিহত মামা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: ভাগের পুকুরের মাছের টাকা চাওয়া কেন্দ্র করে ভাগ্নের ইটের আঘাতে আহত মামা জহুরুল হক ডাবলু (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনায় অপর আহত ভাগ্নে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতের ভাই ভাবিসহ ৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওপার বেতবাড়িয়া গ্রামে শুক্রবার রাতে হামলার ঘটনা ঘটে। শনিবার বিকাল ৫টার পর আহত জহুরুল হক ডাবলু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত ডাবলু এ গ্রামের পচু বিশ্বাসের ছেলে। এক পুত্র সন্তানের পিতা। এ ঘটনায় শনিবার রাতে থানা পুলিশ নিহতের বড় ভাই ফজলুল হক টুকু, ভাবি রুকসানা ও অপর এক নারীকে হেফাজতে নিয়েছে।

শনিবার রাতে পুত্রবধূ মিতা হক তার শ্বশুর জহুরুল হকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যার পর তার শ্বশুরের সাথে চাচা শ্বশুর ফজলুল হক টুকুর বিরোধ হয়। দুই পক্ষের হামলায় তার শ্বশুর জহুরুল হক ডাবলু ও লিংকন নামে তার এক ফুপু শ্বাশুরীর ছেলে আহত হয়। ইটের আঘাতে আহত জহুরুলকে রাতেই ঢাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার সকাল ১০টার তার মাথায় অপারেশন করা হয়। বিকাল ৫টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার স্বামী নিহতের ছেলে সোহেল হক শ্বশুরের লাশের পাশেই রয়েছে।

নিহতের নিকট বড় ভাই তোফাজ্জেল হক জানান, সবার বড় ভাই ফজলুল হক কুটুর কাছে পুকুরের মাছ বিক্রি টাকা দাবি করে জহুরুল হক ডাবলু। টাকা না পেয়ে বড় ভাইয়ের উপর দুই দফা হামলা করে। সন্ধার পর দ্বিতীয় দফা হামলার সময় ভাগিনা লিংকন পিতা মুরাদ বিশ্বাস আহত হয়। এ সময় ইটের গাদার উপর পরে জহুরুল আহত হয়। রাতেই আহত জহুরুল ও ভাগ্নে লিংকনকে ঢাকায় নেওয়া হয়।

তিনি আরও দাবি করেন, নিহত ছোটভাই জহুরুলের কাছে পরিবারের সবাই প্রতিনিয়ত নিগৃহীত হয়ে আসছে। এ দিনও সেই বড় ভাইয়ের উপর দুই দফা হামলা করে। ঠেকাতে গিয়ে ভাগ্নে হামলার শিকার হয়। এক পর্যায়ে জহুরুলও আহত হয়। এ মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা। নিহত লাশ নিয়ে ছেলে ফেরার পর মামলার বিষয়ে ভাবা যাবে।

থানা পুলিশের এক এএসআই নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নিহতের বড়ভাই এক ভাবিসহ দুইজনকে জিজ্ঞাসার জন্য থানা নেওয়া হচ্ছে।

শনিবার রাত পৌনে ১১টায় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনুনর যায়েদ বলেন, এ হ্যাকান্ডের ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। দুই একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আনা হয়েছে। তবে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

google-news-channel-newsasia24

নরসিংদীতে ইউপি সদস্যকে প্রথমে গুলি, পরে গলা কেটে হত্যা

নরসিংদী প্রতিনিধি: জজ কোর্ট থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে গুলি চালিয়ে এবং গলা কেটে নরসিংদী সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রুবেল আহমেদকে (৩৪) হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়নের পাকুরিয়া এলাকার সড়কে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত রুবেল আহমেদ একই এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ইউপি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো আমদিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন রুবেল। প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন করতে আজও বাড়ি থেকে বের হন তিনি। দুপুরে মোটরসাইকেলে নরসিংদী জজ কোর্ট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।

পাকুরিয়া নামক স্থানে সন্ত্রাসী শফিক (ডাকাত), আপন মিয়া, ইমরুল হক, রুহুল আমিন, রাজিব, ইয়াকুবসহ অন্য দুর্বৃত্তরা রুবেলকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। এসময় রুবেল এবং তার সহযোগী ইসমাইল মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। পরবর্তীতে দুর্বৃত্তরা রুবেলকে কুপিয়ে এবং গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: 

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ; মা মেয়ের মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০

নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইউপি মেম্বার নিহতের ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগগুলো আমলে নেওয়া হচ্ছে।

google-news-channel-newsasia24

কক্সবাজারে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

কক্সবাজার প্রতিনিধি: রিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নিহত রিনা আক্তারের ছেলে মো. ফয়সাল ওসমানী বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার সদরে রিনা আক্তার (৪০) নামে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পৌরসভার দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রিনা আক্তার ওই এলাকার আবু নাছেরের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু নাছের ও দারোয়ানসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:

কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিল্টন শাহ বলেন, নিহতের বড় ছেলে ফয়সাল বাদী হয়ে আসামি অজ্ঞাত রেখে এজাহার দিলে মামলা রজু হয়। এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

google-news-channel-newsasia24

পেঁয়াজ ক্ষেতে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ

ফরিদপুর প্রতিনিধি: পেঁয়াজ ক্ষেতে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের সালথার সোনাপুর ইউনিয়নে। ধর্ষণের অভিযোগে মো. আবু বক্কার (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার ময়েনদিয়া এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া আবু বক্কার ওরফে লাল মিয়া পার্শ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার ময়না গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। ধর্ষণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা সোমবার রাতে সালথা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর সঙ্গে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে আবু বক্কার ওরফে লাল মিয়া নামের ওই যুবক।

আরও পড়ুন:

পরে সোমবার রাতে বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে পাশের একটি পেঁয়াজ ক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই যুবক। মেয়েটির চিৎকার শুনে উদ্ধার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কবিরুল হক বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা এ ঘটনায় সালথা থানায় একটি এজাহার দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে সালথার ময়েনদিয়া এলাকা থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

Follow

চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে মামলা দেন এজে আর কুরিয়ারের রিয়াদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০৫০ সালে বাংলাদেশের সকল জেলার বেকারদের দিবেন তিনি কর্মসংস্থান,করবেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন । দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে কীভাবে এই দেশকে জাগিয়ে রাখা যায় সেই গবেষণা থেকেই একটি থিউরি আবিষ্কার করেন এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রতারক সামসু উদ্দিন আহমেদ রিয়াদ(৪৫)।

নিজ থিউরি অনুযায়ী প্রতারক রিয়াদ বিভিন্ন জেলার কমশিক্ষিত বেকাদের চাকুরী দেওয়ার কথা বলে নিয়ে আসেন ঢাকায় । চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে প্রতারক রিয়াদ নেন ব্ল্যাঙ্ক চেক ও ৩/৪ টা করে ফাঁকা স্ট্যাম্প। চাকুরীতে কিছুদিন যেতে না যেতে বিভিন্ন অজুহাতে রিয়াদ তাদের করেন চাকুরীচ্যুত।

পরবর্তিতে রিয়াদ ফিরেন তার পূর্ণরূপে, ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে মোটা অংকের টাকা বসিয়ে রিয়াদ দেন চেক ডিজনার মামলা। চেক মামলায় রায় হয়ে যাবে ভয় দেখিয়ে রিয়াদ আদায় করেন টাকা। কুরিয়ার সার্ভিস নয় যেনো মামলার হাট বসিয়েছেন রিয়াদ। যে-হাটে একবার ক্রেতা হয়ে ঢুকলে আপনাকে মামলা নিয়ে বাড়ি যেতে হবে। মামলা ছাড়া আপনাকে বাড়ি ফিরতে দিবে না রিয়াদ।

সাম্প্রতিক সময়ে মাসুদ হোসাইনসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী ডিএমপির পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ করলে উঠে আসে এমনই এক চঞ্চল্যকর তথ্য।

এই বিষয়ে এজে আর কুরিয়ার সার্ভিস এর সাবেক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে একটা চুরির মামলা দিয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা চুরির মামলায় ১ মাস জেল খেটে জামিনে বের হলে পূনরায় আমায় দেয় আরেকটি চেকের মামলা উক্ত চেক মামলায় দেখানো হয় ১৩ লক্ষ টাকা, চুরির মামলা কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি বলে মামলাটি আদালত থেকে খালাস হয়ে যায় ।

Courier service is not a court of law! newsasia24

আরও পড়ুন: 

পরবর্তিতে আমাকে উক্ত চেকের মামলা রায় হয়ে যাবে বলে ভয় দেখি এক পর্যায়ে আমি ৪ লক্ষ টাকা রফাদফা করি, ৪ লক্ষ টাকা আমি গ্রামে বাড়ি থেকে দার দেনা লোন করে এনে দিলে ও এখনও আমায় দেয় নি কোনো লিখিত কাগজ,কাগজ চাইলে ও বলে পরে আসেন ।

আরেকজন ভুক্তভোগী এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের সাবেক কর্মকর্তা রুবেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি নিউজ এশিয়া২৪কে বলেন,আমাকে প্রথমে ৮ লক্ষ টাকার একটি চুরির মামলা দেয় রংপুরে আমি ৪৪ দিন কারাগারে ছিলাম,জামিনে বের হওয়ার পর ঐ যে আমার চাকুরী তে যোগদানের সময় একটি ব্ল্যাংঙ্ক চেক ছিলো সেই চেকে আমাকে আবার ১৬ লক্ষ টাকার আরেকটি মামলা দেয় ঢাকার আদালতে ।মামলা তুলার জন্য বারবার অফিসে গেলে আমার কাছ ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে।

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের আরেক ভুক্তভোগি সাবেক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন(২৫) সুপারভাইজ তিনি বলেন এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের মামলাবাজ এমডি আমাকে মোট ৫ টা মামলা দিয়েছে একটা চুরির মামলা,একটা হাফ মার্ডার মামলা,একটা অপহরন মামলা,২ টা চেক এর মামলা ।সুধু দর্শন মামলা দেওয়া বাদ ছিলো বলে জানান তিনি ।

আরেক ভুক্তভোগী মাসুদ হোসাইন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ২০১১ সাল থেকে এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মরত ছিলাম,চাকুরী তে নিয়োগের সময় কোম্পানিটি আমার একটি ব্লাঙ্ক চেক রাখে ফেরতযোগ্য বলে।কোম্পানীটির বিভিন্ন অনিয়ম দূর্নীতি দেখে চাকুরী থেকে অব্যহতি দেই ।

অব্যহতির ২ বছর পর কোম্পানীটি তে থাকা আমার ঐ ব্লাঙ্ক চেকে আমাকে ২৯ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০০ টাকার একটি মামলা দেয় ।কাগজে কলমে উল্টো কোম্পানীটির কাছে আমি ৫ মাসের বেতন পাই সেটা না দিয়ে উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে প্রতিনিয়ত।তাই আমি কোম্পানীর মামলাবাজ মালিক রিয়াদের যথাযত শাস্তি দাবী করছি।

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার(জিএম) মাহবুবুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি কোম্পানীটি তে শুরু থেকে কাজ করে আসছি জিএম হিসেবে,কোম্পানীতে নিয়োগের সময় আমরা প্রতিটি স্টাফদের কাছ থেকে ২ বা ৩ টি ব্লাঙ্ক চেক ও ফাঁকা ৩/৪ করে স্ট্যাম্প নিয়ে থাকি,যারে করে ঐ স্টাফ গুলো চাকুরী ছেড়ে চলে যেতে চাইলে বা চলে গেলে আমরা ঐ চেকে তাদের নামে মোটা অংক বসিয়ে মামলা দিয়ে দেয় মালিক রিয়াদ সাহেবের পরামর্শে।স্টাফদের চেক ও স্ট্যাম্প রিয়াদ তার কাষ্টোরিতে রাখে বলে ও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: 

ভ্যাট ট্রেক্স কিভাবে দেয় সেটা জানতে চাইলে তিনি বলে কি আর বলবো ভাই মানুষের ভিতরে একটা মনুষ্যত্ববোধ থাকে না তার ভিতরে মনুষ্যত্ববোধ ও নাই ।রিয়াদ সাহেব সরকার’কে কি পরিমান ভ্যাট ফাঁকি দেয় তা আপনাদের বলে বুজাতে পারবো না।মাসে তার ইনকাম ১২ কোটি টাকা সরকার কে ভ্যাট দেয় রিয়াদ ১ লক্ষ টাকা।

স্থাপনার ভ্যাট না দেওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশে প্রতিটি অফিসের ডিড দুই নাম্বার করছে সরকার কে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া জন্য ।বরিশাল সহ বেশ কয়েক জেলায় এরই মধ্য ভ্যাটের লোক হানা দিয়ে তার আসল রহস্য উদঘাটন করে পেলেছে কুড়িগ্রামে এরই মধ্যে দুই নাম্বার ডিট দেওয়ার জন্য বড় অংকের জরিমানা ও দিয়েছে রিয়াদ সাহেব। হাজারীবাগ অফিসের ভাড়া দেখায় ৬ হাজার টাকা হাজারীবাগ অফিসের ভাড়া দেয় ৬ লক্ষ টাকা ।মালিটোলা অফিসের সেল আছে ৩০ লক্ষ টাকা ঐখানে সেল দেখায় ১৫ হাজার টাকা।

আরেকটা গুরুত্বপূন্য তথ্য হলো এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে তার ফিটনেস বিহীন কাবার ভ্যান এর সংখ্যা একশত(১০০) এর অধিক ।ফিটনেস না থাকা সত্তেও এই কাভারভ্যান গুলো সারা বাংলাদেশে তার মাসিক হারে চলে যেটাকে আমরা মান্তলী বলি।রাস্তায় সার্জেট পুলিশ ধরলে তাদের একটি মান্তলী কাগজ দেখায় যেই কাগজ প্রতিটি গাড়িতে থাকে ।মাস শেষে প্রতিটি সার্জেন্ট টিআইদের বিকাশ নাম্বার টাকা পাঠিয়ে দেন রিয়াদ সাহেব।

যে পরিমান অনিয়ম রিয়াদ সাহেব করেন তা আপনাদের বলে বুজানো যাবে না তবে এইভাবে একটা কোম্পানী চলতে পারে না।

সরজমিনে খবর নিয়ে জানা যায়, প্রতারনার মাধ্যমে রিয়াদ আয় করেছেন কোটি কোটি টাকা ।আয়ের মূল উৎস হলো সারাদেশে বিভিন্ন জেলা থেকে মাদক আনা-নেওয়া ডেলিভারী করা,মেয়াদ উত্তীর্ন ওষুধ,মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার,ট্রেক্স ফাঁকি দেওয়া সিগারেটসহ সকল ধরনের অবৈধ মালামাল রিয়াদ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌছে দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে । বেশ কয়েকবার রিয়াদের বিভিন্ন শাখা অফিস থেকে বিপুল পরিমান মাদক,মেয়াদ উত্তীন ভেজাল ওসুধ মাদকসহ নানা অবৈধ মালামাল জব্দ করেছে র‍্যাব,পুলিশ,মহানগর ডিবিসহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

প্রতারনার টাকায় রিয়াদ ঢাকাসহ নিজ এলাকা নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলায় ও নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড় ও ক্রয় করেছেন বিঘায় বিঘায় জমি ।আত্মসাৎ ও প্রতারনার টাকায় রিয়াদ চড়েন কালো রংয়ের ল্যান্ড ক্রুজার প্যারাডো গাড়িতে ।

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া প্রতারক রিয়াদ এর এমন উত্থান দেখে হতবাগ তার নিজ এলাকার লোকজন,অনেকে বলছেন আলাউদ্দিন এর আর্চর্য চেরাগ পেয়েছেন রিয়াদ । তা নাহলে এতো তাড়াতাড়ি রিয়াদ কিভাবে হয় এতো সম্পদ এর মালিক ? নতুন হাতিয়ার হিসেবে রিয়াদ নেমেছেন এখন রাজনীতির মাঠে দুই হাতে টাকা উড়াচ্ছেন রাজনীতির মাঠে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা ।

সেনবাগ উপজেলার বেশ কয়েকজন নবীন ও প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, রিয়াদের সাংগঠনিক কোনো পদ-পদবী নেই অবৈধ উপায়ে কিছু টাকা ইনকাম করছে তা দিয়ে নিজেকে নেতা বানানোর মিথ্যা চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।মেম্বার হওয়ার যার ক্ষমতা নেই তিনি কিভাবে হবে উপজেলার চেয়ারম্যান ?এটা তো ভাবায় যায় না।এমন লোক কে আমরা সবাই বয়কট করলাম ।

আরও পড়ুন:

প্রতারক রিয়াদের বিরুদ্ধে রয়েছে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করার অভিযোগ,গত ৭/২/২০১৮ সালের কাস্টমস,এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট,ঢাকা কর ফাঁকির দায়ে রিয়াদ কে (৫,৩২,৬২,৬২৫,৬৪) পাঁচ কোটি বত্রিশ লক্ষ বাষট্টি হাজার ছয় শত পঁচিশ টাকার ভ্যাটের মামলা ।যা না দিয়ে রিয়াদ করেছে ব্যবসা।

রিয়াদের বিরুদ্ধে রয়েছে ২ অক্টোবর-২০২০ সালের ৪২০/৪৬৮/৪৭৩/৫০৬/১০৯ পেনাল কোর্ড যোগসাজসে সরকারী সিল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়,ডিএমপি কমিশনার,ঢাকা রেন্জ ডিআইজির সীল-স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলা ।এতো অভিযোগের পর ও প্রতারক রিয়াদ আছেন বহাল তবিয়তে ?

প্রতারক রিয়াদ গড়ে তুলেছেন অপরাধ চক্র ।তার চক্রের অন্যতম মূলহোতা গিয়াস উদ্দিন শেখ,যার বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা মামলাসহ প্রতারনার মামলায় বেশ কয়েকদিন গিয়াস উদ্দিন শেখ ও আল-মামুন জেল খেটেছেন।কিন্তু জেল খাটে নি প্রতারক রিয়াদ ,হাইকোর্ট থেকে জামিন নিলে ও উক্ত মামলার সার্জসিট ভুক্ত আসামী রয়ে গেছেন প্রতারক সামসু উদ্দিন রিয়াদ ।উক্ত চক্রের সদস্য আল মামুন,শিমুল,রাকিব নুরে আলমসহ রয়েছেন বেশ কয়েকজন।

চেক মামলার রায় করতে পারলে টাকার গুলো ভাগ-ভাটোয়ারা হয় সবার মধ্য এমনই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মহানগর পুলিশ ।

আরও পড়ুন:

এজে আর কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতারক রিয়াদের বিষয়ে জানতে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃআশরাফ বলেন,এমই এক অভিযোগ আমরা ডিএমপি কমিশনার স্যারের অফিস থেকে পেয়ে আমরা তদন্ত করছি সত্যতা পেলে নিয়মিত মামলা নিবো।

এই বিষয়ে রিয়াদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদউত্তর দিতে পারেননি।