শিরোনাম

অর্থনীতি

পাট নিয়ে দুঃচিন্তায় খোকসার পাট চাষীরা

ফাহিম শাওনঃ পরিশ্রমের ফসল ঘরে তোলা সব চাষীদেরই স্বপ্ন। যদি সেই ফসল নষ্ট বা আশানুরুপ না হয় তাহলে তাদর কষ্টের মাত্রা যেন আরও বেড়ে যায়। আর ঠিক এমনিভাবে পরিশ্রমে ও নানা আশায় বোনা সেই ফসল নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছেন খোকসার পাট চাষীরা। আশানুরুপ পাট না হওয়ায় হতাশায় তারা। উৎপাদিত পাট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তাদের।

খোকসা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি আবাদ মৌসুমে প্রায় ৪০১০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদে লক্ষমাত্রা ধরা হয়। কিন্ত প্রতি বছরের মত এবারও লক্ষা মাত্রা ছাড়িয়ে ৪০৩৫ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করে কৃষকরা। কৃষি বিভাগ প্রায় ২২৫০ জন কৃষকের মধ্যে সারবীজ সরবরাহ করা হয়। উপজেলায় প্রায় ৫৮,৯০০ বেল পাট উৎপাদনের টার্গেট করা হয়।

এ মৌসূমে বৃষ্টির অভাবে প্রতিটি পাটের জমিতে ৩ থেকে ৪ বার সেচ দিতে হয়েছে। অপর দিকে, প্রচন্ড তাপদাহে পাট আবাদও ভালো হয়নি। ইতোমধ্যে পাট কাটার সময় পার হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে খাল বিলে পানি না থাকায় এখনো ৮০ শতাংশ জমিতে পাট রয়ে গেছে।

jutenews khoksa 11

অনেকের জমিতেই পাটের পাতা ঝড়ে যাচ্ছে। কোথাও আবার পোকার অক্রমন হয়েছে। বেশরি ভাগ জমিতে পাটের মাঝখান থেকে শুকিয়ে লাল হয়ে যাচ্ছে। পাট জাগের (পচানোর) পানির সংকট মোকাবিলায় কৃষি বিভাগের উদ্ভাবিত রিবন রেটিং পদ্ধতির সাথে অধিকাংশ কৃষকের পরিচয় নেই।

খোকসার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে. মাঠের ৮০ শতাংশ পাট এখনও কাটা হয়নি। জনবল ও পানির অভাবে পাট কাটায় ধীর গতি তৈরি হয়েছে।

চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবারের পাট ভালো হওয়ার প্রধান কারন প্রচন্ড খরা। পানির অভাবে পাটের ফলন ভালো হয়নি। ফলে সেচ দিলেও আশানুরুপ ফল পাননি তারা।

jutenews khoksa 4

এছাড়াও কয়েকদিনের বৈরি আবহওয়া ও প্রচন্ড বাতাসে পাট গাছের গোড়া নড়ে যায়। ফলে মাঠের অধিকাংশ পাটেই গোড়া-পচন ধরে। ফলে ভালোমত বেড়ে উঠতে পারেনি পাট গাছগুলো।

এছাড়াও পাট ভালো ফলনের জন্য সার বা কীটনাশক ব্যবহার সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় ফসল ভালো করতে পারেনি পাট চাষীরা।

আরও পড়তে পারেন

অপরদিকে, পাটের ফলন নিয়ে দুচিন্তার সাথে যোগ হয়েছে পর্যাপ্ত পানির অভাব। যে পাটগুলো কাটা হয়েছে সেগুলো জাগ (পঁচন) দেয়ার জন্য পানির অভাব দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া এছাড়া পুকুর পর্যাপ্ত পুকুর না থাকার কারনে আরও বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।

jutenews khoksa 2

বিলে এবার পানি তেমন না থাকায় হিমশিম থেকে হচ্ছে পাটচাষীদের। বেশীরভাগ চষীদের নিজস্ব পুকুর না থাকায় অন্যের পুকুর ভাড়া নিয়ে অথবা পাটের বিনিময়ে পুকুরে পাটের জাগ দিতে হচ্ছে।

বেতবাড়ীয়ার পাটচাষী আবু জাফর বলেন, আমাদের গ্রামে যে পরিমান জলাশয় রয়েছে তাতে মাঠের পুরো পাট জাগ দেয়া সম্ভব নয়। অনেকেই বিলের পানিতে পাট জাগ দিচ্ছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত পানি না থাকায় এবারের জাগটা ভালা হবে না বলে জানান তিনি।

jutenews khoksa 5

তবে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা বলেন ভিন্ন কথা। তিনি জানান, এবারের পাটের আবাদ ভালো হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ জমি থেকে পাট কাটা হয়েছে। পানি সংকট মোকাবিলায় তাদের উদ্ভাবিত রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পঁচালে খরচ অনেক কম হবে। প্রতিবিঘা জমিতে ৯ থেকে ১০ মন হারে ফলন হচ্ছে।

google-news-channel-newsasia24

ঈদে বেতন-বোনাস-বকেয়া দিতে গার্মেন্টস মালিকদের ধার-দেনা

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশই আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বলা যায় এ খাতের হাত ধরেই ঘুরছে দেশের অর্থনীতির চাকা। সম্প্রতি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে খাতটি।

বিশেষ করে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও অর্ডার কমে যাওয়া বাড়তি চাপে ফেলেছে মালিকদের। এছাড়া চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি- এ আট মাসে তৈরি পোশাক খাতের বড় রপ্তানির দেশগুলো থেকে কমেছে আয়। সব মিলিয়ে সংকটে রয়েছেন বলে দাবি মালিকদের।

এরই মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদ। সাধারণত ঈদের সময় আগের বকেয়া, বেতন ও বোনাস পরিশোধ করতে হয় মালিকদের। তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরে মালিকদের জন্য বেতন-বোনাস পরিশোধ করা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করছেন শিল্প উদ্যোক্তারা।

আরও পড়ুন>>গাউছিয়া কাঁচাবাজারে আগুন

তারা বলছেন, ব্যাংক লোন না পাওয়ায় অনেক কারখানা মালিক ধার-দেনা করছেন বেতন পরিশোধের জন্য। এমন অবস্থায় যেভাবেই হোক ঈদের আগে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন তারা।

অন্যদিকে শ্রমিক নেতারা বলছেন, ২০ রোজার মধ্যেই শ্রমিকদের সব পাওনা পরিশোধ করতে হবে। ঈদের আগ মুহূর্তে বেতন-বোনাস পরিশোধের আশ্বাস দিলেও অনেক কারখানাই শতভাগ পরিশোধ করে না।

ছুটি হয়ে যাওয়ায় শ্রমিদের দাবি-দাওয়া নিয়েও কোনো সুরাহা করা যায় না। তাই ঈদের আগ মুহূর্তে নয়, অন্তত ১০ দিন আগে দিলে তারা কাজের ফাঁকে সুবিধা মতো কেনাকাটা করতে পারবেন।

আরও পড়ুন>>হালাল উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে : নজরুল ইসলাম খান

এ বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ২০ রোজার মধ্যে পোশাক কারখানায় পূর্ণাঙ্গ বোনাস দিতে হবে। একই সঙ্গে এপ্রিল মাসের অর্ধেক বেতনসহ সব বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।

এর মাধ্যমে শ্রমিক ভাই-বোনেরা নিজ পরিবারের সঙ্গে ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে। আর কোনো সমস্যা যদি থেকেই যায়, তাহলে তার সমাধানও আগে থেকেই করতে হবে। কোনো শ্রমিক যেন হয়রানির শিকার না হয়।

কথা হয় মমসন সার্ভিসেস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুশরাত বারী আশার সঙ্গে। বিজিএমইএ’র এ পরিচালক বলেন, বর্তমানে পোশাক খাত কঠিন চ্যালেঞ্জে রয়েছে।

আরও পড়ুুন>>সেহরিতে কী খেতে বলেন পুষ্টিবিদরা?

কারখানায় ইউটিলিট খরচ বেড়েছে, বেতন বেড়েছে। ব্যাংক লোনের সুদহারও বেড়েছে। এরপরও মালিক চায় তার শ্রমিক সুখে থাক। কারণ শ্রমিককে নিয়েই কারখানা।

তিনি বলেন, কোনো কারখানা ধ্বংস হোক এটা মালিক চায় না। এখন আমাদের সমস্যা হলো চতুর্মুখী। জাতীয় নির্বাচনের পর এখন অর্ডার মাত্র আসা শুরু হয়েছে।

কারখানা মালিকরা জানুয়ারির অর্ডার নিতে পারেননি। এখনকার অর্ডারের অর্থ আসবে জুনে। কিন্তু সুদহার ও ইউটিলিটি খরচ বৃদ্ধি পরিস্থিতি কঠিন করে দিয়েছে উদ্যোক্তাদের।

আরও পড়ুন>>সেহেরি এবং ইফতারের সময় সূচি-২০২৪

শ্রমিকের কারখানার প্রতি মায়া থাকতে হবে। তবে পরিস্থিতি আরও কঠিন সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করা ব্যবসায়ীদের। তারা তৃতীয় পক্ষের কাজ করেন, অর্থ আনেন তারপর শ্রমিক পান। অনেক সময় পেমেন্ট পেতেও দেরি হয়ে যায় তাদের।

তবে এসব সমীকরণ বাদ দিয়ে ঈদের আগে ছোট-বড় বা সাব-কন্ট্রাকট, সব কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি করেছেন শ্রমিক নেতারা।

শ্রমিক নেতা মঞ্জুর মঈন বলেন, সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়ে যে কাজ করেন তিনি তো কোনো না কোনো বড় কারখানার কাজই করেন। তাদের রপ্তানিতে সারা বছর সাপোর্ট করে থাকেন। তাহলে সেই কারখানা বা তাদের সংগঠন কেন ঈদের বোনাস-বেতনের দায়ভার নেবে না্

এ নিয়ে আলফি ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল, যিনি সাব-কনট্রাক্টে কাজ করেন, তিনি বলেন, আমরা বড় বড় কারখানার কাজ নিয়ে সেগুলো উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি।

আরও পড়ুুুন>>গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ

এক্ষেত্রে ছুটির দিনে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয় বা বেতন আগে, বোনাস পরে দেওয়া হয়। কারণ অনেক সময় পেমেন্ট পেতে হলে সেটাতো কিছুটা দেরি হয়ই। আমরা শ্রমিকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই এটার সমাধান করে থাকি। এবার সমস্যা হবে না আশা করছি।

পোশাক শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, শ্রম মন্ত্রণালয় পোশাক খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় যা গত ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে। কিন্তু ক্রেতারা এ নিয়ে সেভাবে এগিয়ে আসেনি, পোশাকের দাম বাড়ায়নি।

পণ্যের দাম বাড়েনি, উল্টো উৎপাদন খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক লোনের জটিলতাও রয়েছে। আবার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) এ খাতের বড় গন্তব্যের দেশগুলোতে আয় কমেছে।

এ বিষয়ে তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি, বিজিএমইএ’র সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, এখন খুবই খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ব্যাংক লোনের সুবিধা নেই, সুদহার বেড়েছে, পণ্য উৎপাদন খরচ বেড়েছে।

এখন কারখানা মালিকরা ধার-দেনা করছেন ঈদ বোনাস-বেতন-বকেয়া পরিশোধ করার জন্য। ব্যাংক সুবিধা না থাকায় যে যার মতো করে ধার করছেন শ্রমিকদের ভালো রাখতে। আমরাও মনিটর করছি সদস্য কারখানাগুলোকে। আশা করছি শতভাগ কারখানায় সময় মতো বেতন-বোনাস হবে।

google-news-channel-newsasia24

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে চিনি

নিজস্ব প্রতিনিধি: রমজানের আগেই কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে প্রতিকেজি চিনির সর্বোচ্চ খুচরা দাম ১৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

আজ বৃহম্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিএসএফআইসি এ তথ্য জানান।

Sugar-at-the-highest-price2-in-the-history-of-Bangladesh-newsasia24

এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে রোজা উপলক্ষে চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

এ ছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাজারে সরকারি চিনির নামে মোড়কে চড়া দামে বিক্রি করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সবশেষ ১৪০ টাকা কেজি প্যাকেট চিনির কেজি নির্ধারণ করে সংস্থাটি।

google-news-channel-newsasia24

Follow

‘আলাদিনের চেরাগ’ পেয়েছে খান ব্রাদার্স

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর গত সপ্তাহে এক প্রকার ধস হয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। এক সপ্তাহেই দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা নেই হয়ে গেছে। এমন ধসের বাজারে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের দাপট দেখিয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে বেড়ে গেছে ৭১০ কোটি টাকার ওপরে।

Khan Brothers got 'Aladdin's Cherag'-newsasia24

অবশ্য শুধু গত সপ্তাহ নয়, প্রায় ৯ মাস ধরে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে। এজন্য ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে কয়েক দফায় সতর্ক বার্তাও প্রকাশ করা হয়েছে। এমনকি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদনও তৈরি করেছ ডিএসই।

সেই তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কাজ করছে বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগ। এ পরিস্থিতিতেও খান ব্রাদার্সের শেয়ারের দাম বাড়ার পাগলা ঘোড়া থামছে না। যেন রূপকথার ‘আলাদিনের চেরাগ’- কেও হার মানাচ্ছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ার। নয় মাসের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় দুই হাজার শতাংশ।

আরও পড়ুন>>শেয়ারবাজারে ফের দরপতন; হারিয়েছে কোটি টাকা মূলধন

প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এমন দাম বাড়াকে অস্বাভাবিক বলছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের আর্থিক ভিত্তি খুবই দুর্বল। লোকসানের কারণে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে পারছে না। এমন একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রায় দুই হাজার শতংশ বেড়ে যাওয়া কিছুতেই স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না। কোনো বিশেষ চক্র পরিকল্পিতভাবে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, খান ব্রদার্সের দাম বাড়ার চিত্র দেখলে খুব সহজেই বোঝা যায় কোনো বিশেষ গোষ্ঠী এই দাম বাড়ানোর পেছনে রয়েছে। এই গোষ্ঠী নিজেরা নিজেরাই লেনদেন করে শেয়ারের দাম বাড়াতে পারে। এ বিষয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকা উচিত।

আরও পড়ুুন>>দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজতে জরুরি সভায় বসেছেন মন্ত্রীরা

নানান পক্ষের কঠোর সমালোচনার মধ্যে প্রায় দেড় বছর পর গত ১৮ জানুয়ারি শেয়ারবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। এতে সপ্তাহজুড়ে ৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ৩০৮টির।

এমন পতনের বাজারেও গত সপ্তাহে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭২ টাকা ৪০ পয়সা। এতে এক সপ্তাহে সম্মিলিতভাবে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৭১০ কোটি ৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২১৮ টাকা ৩০ পয়সা। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে যা ছিল ১৪৫ টাকা ৯০ পয়সা।

আরও পড়ুন>>ফেসবুকে সুন্দরীর ফাঁদে সর্বস্বান্ত যুবক

শুধু গত সপ্তাহ নয়, গত বছরের ৩০ এপ্রিলের পর থেকেই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। গত বছরের ৩০ এপ্রিল কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা। সেখান থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে এখন প্রতিটি শেয়ারের দাম ২১৮ টাকা ৩০ পয়সায় উঠেছে। অর্থাৎ নয় মাসের ব্যবধানে প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়েছে ২০৭ টাকা ৯০ পয়সা বা এক হাজার ৯৯৯ শতাংশ।

যদি কোনো বিনিয়োগকারী গত ৪ এপ্রিল খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের ১০ লাখ টাকার শেয়ার কেনেন, তাহলে এখন তার বাজারমূল্য ২ কোটি ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৭৭ টাকা। এ হিসাবে ১০ লাখ টাকা খাটিয়ে নয় মাসেই মুনাফা পাওয়া গেছে ২ কোটি টাকার বেশি।

আরও পড়ুন>>যে কারনে সারা বাংলাদেশে লোডশেডিং

শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটি ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০২১ সালে কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি। তবে ২০২০ ও ২০১৮ সালে ২ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। আর সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরেও কোম্পানিটি বিনিয়োগকারেীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ দেয়নি। এমনকি সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে শেয়ারপ্রতি এক পয়সা লোকসান করেছে।

২০১৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ৮০ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭৭টি। এর মধ্যে ৩০ দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৬৪ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।

আরও পড়ুন>>করোনার নতুন ধরন, টিকা নেওয়ার নির্দেশ

কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার জন্য চলতি বছরের ১৩, ১৬ ও ২৪ জানুয়ারি ডিএসই থেকে নোটিশ পাঠানো হয়।

খান ব্রাদার্সের শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসি কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘খান ব্রদার্সের শেয়ারের দাম বাড়ার বিষয়টি তদন্ত করতে ডিএসইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এটি নিয়ে এখন কাজ করছে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ।’

যোগাযোগ করা হলে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের কোম্পানি সচিব তপন কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসই যতগুলো নোটিশ দিয়েছে আমরা সবগুলোর জবাব দিয়েছি। সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারির নোটিশেরও জবাব দিয়েছি। আমরা প্রতিবারই জানিয়েছি কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই।’

আরও পড়ুুুুুুুন>>৫ ধাপেই করে ফেলুন সর্বজনীন পেনশনের আবেদন

আপনাদের কোম্পানির শেয়ারের দাম কি স্বাভাবিকভাবে বাড়ছে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে বাড়ছে না। কিন্তু এখানে আমাদের বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। যদি কোনো বিনিয়োগকারী আমার ১০ টাকার শেয়ার দুইশ টাকার ওপরে কেনে সেখানে আমার কী করার আছে? আমার কিছু করার নেই। কাউকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে যদি কেউ কিনিয়ে থাকে, এটার জন্য আমরা দায়ী না। আমাদের কোনো নতুন প্রজেক্ট আছে বা এ ধরনের কোনো কিছু আমরা কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রচার করিনি। এমনকি সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনেও আমরা লোকসানের তথ্য তুলে ধরেছি। সেখানেও ভালো কিছু নেই।’

google-news-channel-newsasia24

Follow

সময় টিভি ও সিটি গ্রুপ চেয়ারম্যানের মৃত্যু

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিশিষ্ট শিল্পপতি সময় টিভি ও সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মারা গেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

Death-of-Time-TV-and-City-Group-Chairman-newsaia24

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সময় টিভি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোমবার বাদ আসর গেণ্ডারিয়া ধুপখোলা মাঠে মরহুমের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

 

১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সরিষার তেল উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয় সিটি গ্রুপের । প্রথম উদ্যোগ সফল হওয়ার পর সিটি গ্রুপ উৎপাদন, শিল্পোদ্যোগ ও ট্রেডিংসহ নানা খাতে বিনিয়োগ করতে শুরু করে ফজলুর রহমান।

আরও পড়ুন:

নব্বই দশকের শুরুর দিকে আরও প্রকল্প এবং উদ্যোগ হাতে নেয় সিটি গ্রুপ। বর্তমানে শিল্পগোষ্ঠীটির অধীনে রয়েছে ৪০টির বেশি প্রতিষ্ঠান।

google-news-channel-newsasia24

Follow

শেয়ারবাজারে ফের দরপতন; হারিয়েছে কোটি টাকা মূলধন

শেয়ার বাজার ডেস্ক: বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ফের দরপতন হয়েছে। গত সপ্তাহে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে তার প্রায় তিনগুণের দাম কমেছে। এতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রায় হাজার কোটি টাকা কমে গেছে।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে। অন্যদিকে, ১৩৩টির দাম কমেছে। অপরদিকে, ২০৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপরিবর্তিত কোম্পানিগুলোর ক্রেতা না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। গত সপ্তাহেও এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট ক্রেতা সংকটের মধ্যে ছিল।

আরও পড়ুন>> দাম বেড়েছে ডিম ও মুরগির

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা। যা গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৮৭২ কোটি টাকা বাজার মূলধন কমেছে ।

আগের দুই সপ্তাহে বাজার মূলধন বাড়ে ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। অবশ্য তার আগে টানা চার সপ্তাহের পতনে বাজার মূলধন কমে ১২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা।

এদিকে, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৭ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা দশমিক ২৮ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৪ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ২৩ শতাংশ। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ১২ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৬০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৮ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৮ শতাংশ।

আরও পড়ুন>>সোনার নতুন দাম!

তবে ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে এ সূচকটি বেড়েছে দশমিক ৭৮ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা দশমিক ২৯ শতাংশ।

প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৮৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৯৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

আর সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯২৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ৯৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৫৩ কোটি ৯১ লাখ টাকা বা ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।

আরও পড়ুন: 

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৫৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ১৩০ কোটি টাকা লেনাদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যাসেফিক ডেনিমস।

google-news-channel-newsasia24

ফলো করুন

দাম বেড়েছে ডিম ও মুরগির

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: বিভিন্ন কাঁচাবাজারে প্রতিটি দোকানেই সাজানো রয়েছে নানান রকমের শীতের সবজি। সরবরাহ বাড়ায় দামও নাগালের মধ্যে রয়েছে। বেশিরভাগ সবজি ৫০ টাকা বা তার কাছাকাছি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে আবারও আলুর দাম নিয়ে অস্বস্তি। বিশেষ করে নতুন আলুর দাম বাড়তি। দুদিন আগেও যে আলু ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল তা এখন বেড়ে (আকারভেদে) ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজ ও মাছের বাজার। কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে মুরগির দাম। বাড়তি রয়েছে ডিমের বাজারও।

আরও পড়ুন>>পেঁয়াজের বাজারে আগুন!

বিক্রেতারা বলছেন, বাজার সরবরাহের ওপরে নির্ভর করে দরদাম। আর ক্রেতার অভিযোগ, ভরা মৌসুমেও ৫০ টাকায় শীতের সবজি কেনা মানে সাধারণকে জিম্মি করে বিক্রি করা।

আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর মগবাজার বনলতা মার্কেট, মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন>>আবার বাড়ল এলপিজির দাম

বাজারগুলোতে শালগম, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, পেঁপে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গ্রীষ্মের সবজি ঝিঙা, চিচিঙা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

বাজারে পুরোনো আলু ৫০ টাকায় পাওয়া গেলেও নতুন আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। এখন এসব বাজারে আকারভেদে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।

poteto-pp-high-newsasia24এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা-রসুন। দেশি রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা, যা সপ্তাহ খানেক আগে ছিল ২০০ থেকে ২২০ টাকা।

আরও পড়ুন>>সোনার নতুন দাম!

চায়না রসুনের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায়। এ মানের রসুনের কেজিতে সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।

বনলতা বাজারের সবজি বিক্রেতা আলী বলেন, এখন শীতের সবজির দাম তুলনামূলক কম রয়েছে। কিন্তু গ্রীষ্মের অনেক সবজি পাওয়া যাচ্ছে যেগুলোর দাম বেশি। পেঁয়াজ-রসুনের দামও গত দুই-তিন দিন একই ধরনের রয়েছে।

আরও পড়ুন>>কিছু সুবিধাভোগী লোকের জন্য বাজারে অস্থিরতা: ডিএমপি কমিশনার

শান্তিনগর বাজারে আসা একজন ক্রেতা বলেন, শীতের সবজি বাজারে আসা মানেই ৩০ টাকার মধ্যেই সবকিছু বেচা-বিক্রি হওয়া। এর ওপর দর নেওয়া মানেই কোনো এক সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে এটাই ধরতে হবে।

google news newsasia24

Follow

পেঁয়াজের বাজারে আগুন!

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর পরই দেশের বাজারে দাম বাড়ছে পেঁয়াজের। একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১২০ টাকা।

রাজধানীর খুচরা বাজারে এখন পেঁয়াজের কেজি ২৪০ টাকা। আর কেজিতে ৯০ টাকা বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা।

onion-price-high-newsasia24শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা কাঁচাবাজার, উত্তর বাড্ডা, মধ্য বাড্ডা, গোদারাঘাট, উলন বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এ বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে সবই ভারতীয় পেঁয়াজ। কোথাও দেশি পেঁয়াজের দেখা যায়নি।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, প্রতি ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এজন্য পাইকারিরা দেশি পেঁয়াজ ছাড়ছেই না।

কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজারেও ভোরে যে দাম ছিল, সকাল ৯টায় তা মণপ্রতি ১০০০ টাকা বেড়ে গেছে। বিকেল নাগাদ বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন>>কিছু সুবিধাভোগী লোকের জন্য বাজারে অস্থিরতা: ডিএমপি কমিশনার

মধ্যবাড্ডা বাজারের ব্যবসায়ী সিরাজ উদ্দিন বলেন, ভোরে শ্যামবাজার থেকে বহু কষ্টে এলসির (ভারতীয়) দুই মণ পেঁয়াজ এনেছি। আমি পাইকারিতে কিনেছি ৭ হাজার ৪০০ টাকা মণ দরে। আনতে খরচ পড়ছে ৪০০-৪৫০ টাকা। এখন ২০০ টাকা কেজি না বিক্রি করলে তো লস।

সংবাদকর্মী পরিচয়ে পেঁয়াজের বাজার দর জানতে চাইলে রামপুরা কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা রোকন আলী বলেন, ‘ভাই, খবর লিখা লাভ নাই। পারলে দুই কেজি পেঁয়াজ লইয়া যান। দুপুর গড়ালেই কিন্তু দাম আরও ৫০ টাকা বাইড়া যাইবো।’

আরও পড়ুন>>সোনার নতুন দাম!

তিনি জানান, সকালে কারওয়ান বাজারের পাইকার সুবাসের আড়ত থেকে তিন মণ পেঁয়াজ এনে খুচরা বিক্রি করছেন। কারওয়ান বাজারে পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজের মণ এখন ৮ হাজার ৮০০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজের মণ ৭ হাজার ৬০০ টাকা। আড়তদাররা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। সবাই ভারতীয় পেঁয়াজ এনে বিক্রি করছেন।

রাতারাতি পেঁয়াজের এমন দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। বাজারে এসে অনেকে পেঁয়াজ না কিনে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে গলাকাটা দামে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন>>আবার বাড়ল এলপিজির দাম

জানা গেছে, ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে রপ্তানি বন্ধের পদক্ষেপ নেয় দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)। তবে পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য যদি কোনো দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুরোধ জানায়, তাহলে তা বিবেচনা করবে সংস্থাটি।

google news newsasia24

Follow

আবার বাড়ল এলপিজির দাম

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বেড়েছে। ১২ কেজি সিলিন্ডারের বর্তমান দাম ২৩ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৪০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রবিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) ডিসেম্বর মাসের নতুন এ দাম ঘোষণা করে, যা একইদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।

lpg-gash-rate-high-newsasia24

বিইআরসি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন বলেন, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৭ টাকা ২ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:বাংলাদেশে আঘাত করবে না “মিগজাউম”, ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

সে অনুযায়ী রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজি বোতলজাত এলপিজির মুসকসহ মূল্য এক হাজার ৪০৪ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সাড়ে পাঁচ কেজির সিলিন্ডার ৬৪৪ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার এক হাজার ৪৬৩ টাকা, ১৫ কেজির সিলিন্ডার এক হাজার ৭৫৫ টাকা, ১৬ কেজির সিলিন্ডার এক হাজার ৮৭২ টাকা, ১৮ কেজির সিলিন্ডার দুই হাজার ১০৭ টাকা, ২০ কেজির সিলিন্ডার দুই হাজার ৩৪০ টাকা, ২২ কেজির সিলিন্ডার দুই হাজার ৫৭৫ টাকা, ২৫ কেজির সিলিন্ডার দুই হাজার ৯২৬ টাকা, ৩০ কেজির সিলিন্ডার তিন হাজার ৫১১ টাকা, ৩৩ কেজির সিলিন্ডার তিন হাজার ৮৬২ টাকা, ৩৫ কেজির সিলিন্ডার চার হাজার ৯৬ টাকা ও ৪৫ কেজির সিলিন্ডার পাঁচ হাজার ২৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

google news newsasia24

বিইআরসি চেয়ারম্যান জানান, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ২০ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে। এ ছাড়া ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৬৪ টাকা ৪৩ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

সোনার নতুন দাম!

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: সারা বিশ্বে সোনার দামের রেকর্ড করল বাংলাদেশ।প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৬৩৭৬ টাকা।

golden,newsasia24

আবার দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে।সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

এতে এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে সোনার এত দাম হয়নি।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
আগামীকাল রবিবার (১৯নভেম্বর) থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
google-news-follow-us-newsasia24
গুগোল নিউজ ফলো করতে ক্লিক করুন