শিরোনাম

জাতীয়

মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যু; আসামিদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হওয়া সেই শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

ঢাকা সিএমএইচের পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ জানিয়েছেন, আজ সকালে দুই দফায় শিশুটির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সিপিআর দেওয়ার পর তার হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। বেলা ১২টায় আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এই দফায় সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন আর ফিরে আসেনি। বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এ মামলার আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

উপদেষ্টা বৃহস্প‌তিবার এক শোকবার্তায় শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

google-news-channel-newsasia24

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ; ৬ মাসের মধ্যেই বিচার

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণের বিচার ১৮০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নারী শিশু নির্যাতন ও দমন ট্রাইব্যুনালকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে রোববার (৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে ধর্ষণের শিকার শিশুটির সব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর রোববার হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পরদিন ওই শিশুকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। শুক্রবার (৭ মার্চ) তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: 

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়েছে। তারা আগে থেকেই পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। মামলার এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ের স্বামীর সহায়তায় তার বাবা (শ্বশুর) শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি মেয়ের শাশুড়ি ও ভাশুর জানতেন। তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিশুটিকে হত্যাচেষ্টা চালান।

google-news-channel-newsasia24

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজের নিশ্চয়তা, মজুরী বৈষম্য ও সামাজিক মর্যাদা নিয়ে আলোচনা সভা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: নাগরিক উদ্যোগ ও বাংলাদেশ স্যানিটেশন ওয়ার্কার্স ফোরাম আয়োজিত ‘পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজের নিশ্চয়তা, মজুরী বৈষম্য ও সামাজিক মর্যাদা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৩ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১ টায় ঢাকার তোপখানা রোডস্থ সিরডাপ (শামসুল হক মিলনায়তন) এ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্রম সংস্কার কমিশন এর প্রধান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিল্স) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়া আরও আলোচনা করেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর (কাপ) এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এর পরিচালক (লিগ্যাল) মোঃ বরকত আলী, সেফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি কৃষ্ণা লাল, ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এর প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর (ইউনিভার্সাল অ্যাক্সেস) মোঃ মামুন চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।

Sanitation workers newsasia24 2

পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য বাংলাদেশ স্যানিটেশন ওয়ার্কার্স ফোরামের সমন্বয়কারী গগণ লাল, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) এর সাধারণ সম্পাদক শিপন কুমার রবিদাস, লালমনিরহাটের ঘুগলু বাবু বাঁশফোর, খুলনার কার্তিক রাম রাউত, ভোলার স্বপন কুমার দে, মৌলভীবাজারের ধ্রুব বাঁশফোর, ঢাকার পঙ্কজ বাঁশফোর।

নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন এর সঞ্চালনায় সম্প্রতি প্রয়াত বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে ০১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভার শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ 

এরপর লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার, খুলনা এবং ভোলা জেলায় পরিচালিত গবেষণাকর্মের উপর উপস্থাপন করেন তরুণ গবেষক ফারহান হোসেন জয়।

গবেষণাকর্মটিতে মোট ১৬৬ জন (পুরুষ- ৯১, নারী- ৭৫) স্যানিটেশন কর্মীর কাছ থেকে সংগৃহীত তথ্য মতে জেলাভিত্তিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মজুরী, জীবনমান, কর্মপরিস্থিতি, কাজের ধরণ এবং চুক্তির কাঠামো, সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম, মজুরী ও জাতীয় গড় আয়ের তুলনা, স্বাস্থ্যসেবা, উৎসব ও অবসরকালীন ভাতা, বাসস্থান, জীবনযাত্রার খরচ, আয় বৈষম্য, স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়গুলো উঠে আসে। উপস্থাপক সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ, বেতন ও মর্যাদা বৃদ্ধি, দলিত কলোনীতে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন, স্বাস্থ্যবীমা চালু, আউটসোর্সিং বন্ধ, বর্জ্য অপসারণে আধুনিকায়নের বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরেন।

সেফটি এন্ড রাইটস সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সেকেন্দার আলী মিনা বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রবল। তাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি শোভন কর্মপরিবেশ, মর্যাদা ও সম্মানজনক মজুরী নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অধিকতর দায়িত্বশীল হতে হবে।

ব্লাস্ট এর পরিচালক (লিগ্যাল) মোঃ বরকত আলী বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সামাজিক স্বীকৃতি নেই। পূনর্বাসন ছাড়া তাদের উচ্ছেদ করা যাবে না। চলতি বেতন স্কেলের ২০তম গ্রেডে ৮,২৫০/- মূল বেতন, আনুসাঙ্গিক মিলে প্রায় ২০,০০০/- পান একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। অথচ পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা যে নামমাত্র মজুরী বা বেতন পান, তার সাথে এটির আকাশ-পাতাল তফাৎ। সরকারী আইনগত সহায়তা সংস্থার মাধ্যমে তাদের আইনী সুরক্ষা নিশ্চিত করা যেতে পারে।

বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন বলেন, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অধিকার আন্দোলনে হরিজননেতা নির্মল চন্দ্র দাস ও স্ক্যাভেঞ্জার ইউনিয়ন নেতা কমরেড নাসিম আলী’র অবদান অনস্বীকার্য। আউটসোর্সিং হলে সর্বস্তরে হতে হবে, কেবলমাত্র গরীব শ্রমিকদের বেলায় কেন? ক্লিনিক্যাল বর্জ্য ব্যবস্থানায় যুক্তদের বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে সামনে আনা জরুরী। এপর্যন্ত শতকরা ০৫ ভাগ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে, এই কি স্বাধীন বাংলাদেশের অর্জন?

কাপ এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত বলেন, নগর দরিদ্রদের বড় অংশই হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মী, পাদুকাশ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার দলিত জনগোষ্ঠী। মহানগরগুলোতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি, ফলে তাদের সম্মানজনক মজুরী নিশ্চিতকরণ জরুরী। তারা একজন কর্মী বা শ্রমিক হিসেবে ন্যায্য প্রাপ্য পাচ্ছে না। ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক তাদের জন্য রেশন, স্বাস্থ্যসেবা কার্ড, সুপেয় পানীয় ও স্বাস্থ্যসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদ এর সভাপতি কৃষ্ণা লাল বলেন, আমরা এখনও অনেকটা দাস হিসেবে আছি। পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিযুক্ত করলেও আমাদের দিয়ে কুলির কাজও করানো হয়। কর্তপক্ষের আদেশে/ চাপেই আমাদের বিগত সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যুক্ত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গেজেট হলেও তার বাস্তবায়ন নেই। সিটি কর্পোরেশন ভেদে নিয়োগ, মজুরী ও সুবিধাদিতে বৈষম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে; এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন।

ওয়াটার এইড বাংলাদেশ এর প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর (ইউনিভার্সাল অ্যাক্সেস) মোঃ মামুন চৌধুরী বলেন, নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিয়েও আমরা কাজ করছি, যেটি আরও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত। তাদের সর্বস্তরে অভিগম্যতা নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের বঞ্চনা ও অবহেলা প্রত্যক্ষ করেছি। অদূর ভবিষ্যতে চলমান সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে। প্রথমত ‘ক্লিনার’, পরে ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মী’ হিসেবে উল্লেখ করে তাদের মর্যাদা নিশ্চিতের চেষ্টা করা হয়েছে।

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট এর সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, যখন এদেশে দলিত-পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আনা হয় তখন সেটা আলাদা কোনও দেশ ছিলো না। জন্মসূত্রে আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, ফলে আমরা বাইরে থেকে আসিনি। শ্রম আইনে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা অনুপস্থিত; স্বীকৃতিহীন। দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের মাতৃত্বকালীন সুরক্ষা ও প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়টিও আলোচনায় আনতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম সংস্কার কমিশন এর প্রধান ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিল্স) এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের সবাইকে উপনিবেশিক ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। শ্রম সংস্কার কমিশন তার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও আন্তরিকতার সাথে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সংশ্লিষ্ট দাবী ও সুপারিশ বিবেচনা করবে। একইসাথে তাদের জায়গা থেকে যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবী আদায়ে মাঠের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আশা করছি পরিচ্ছন্নতাকর্মী তথা দলিত-হরিজনদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য ও বঞ্চনার অবসান হবে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

google-news-channel-newsasia24

‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সংবিধান সংস্কারে কমিশন। এতে ক্ষমতা কাঠামো, সংসদের ধরনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মূলনীতি, দেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনের মতো সুপারিশ রয়েছে।

আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ওই প্রতিবেদন জমা দেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তাদের সুপারিশগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান আদর্শ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের যে জনআকাঙ্ক্ষা, তার প্রতিফলন হিসেবে আমরা রাষ্ট্রের পাঁচটি মূলনীতি সুপারিশ করছি। সেগুলো হচ্ছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং গণতন্ত্র।

বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ সুপারিশ প্রতিবেদন করার কথা তুলে ধরেন সংস্কার কমিশনের প্রধান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যেভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ বলা হয়, তার মধ্যে আসলে যে প্রজাতন্ত্রের কথা হয়, সেটায় আমরা দ্বিমত পোষণ করেছি। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের পরিচিত হওয়া উচিত ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রস্তুত করতে গিয়ে প্রায় এক লাখ মানুষের মতামত নেওয়ার কথা জানান আলী রীয়াজ। কমিশনের সদস্যদের পাশাপাশি ৩২ জন গবেষক এতে কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন:

আ.লীগ নেতাকে হাতুড়িপেটা যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাদেরআ.লীগ নেতাকে হাতুড়িপেটা যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাদের সুপারিশগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যের আশা করে তিনি বলেন, একটা ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় আজকে আসলে কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা এই প্রস্তাবগুলো, সুপারিশগুলো রাখছি। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এক ধরনের ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে।

google-news-channel-newsasia24

বাগেরহাটে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’র গাড়িবহরে হামলা

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’র গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে।

আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা মহানগর থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ২৫টি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বাগেরহাটের মোল্লাহাট মাদ্রাসাঘাট এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গাড়ি থামিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে।

পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে মূহুর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোল্লাহাট অতিক্রম করার সময় আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়রাও তাদের সহযোগিতা করে।

থানার সামনে ঘটনা হওয়া সত্ত্বেও এ সময় পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিলো বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের খুলনার সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর বলেন, “খুলনা থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের বহর ঢাকায় যাচ্ছিলো। পথে আমাদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা এই আক্রমণ করেছে।”

আরও পড়ুনঃ 

আরেক সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ বলেন, “পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। তবে কোনো বাঁধা আমাদের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারবে না। আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরেছে। এর বিচার অতিদ্রুত করতে হবে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যদি সেটা না করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করবে।”

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। শিক্ষার্থীরা গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছে।”

google-news-channel-newsasia24

বঞ্চিত জনগোষ্ঠীদের অধিকার আদায়ে নাগরিক উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘প্রান্তিক সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন ও মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক বিশেষ সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২২ ডিসেম্বর) নাগরিক উদ্যোগের এই আয়োজন ঢাকার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও বিলস্ এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।

সম্মেলনের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন, নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মুশতাক হোসেন, এবং দলিত নারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনি রানী দাস।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছে, তার বাস্তব কোন উদ্যোগ বিগত চারমাসেও অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গ্রহণ করেনি।

তিনি বলেন, বৈষম্য কোথায় এবং কিভাবে চর্চা হচ্ছে তার একটি সার্বিক চিত্র এই সরকারের অনুসন্ধানের বিষয় হওয়া উচিত। এজন্যে তিনি একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই বিশেষ সম্মেলনে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথাই আলোচনা করা হবে।

nagorik uddyog sommelon 2024 newsasia24 2

আরও্র পড়ুন:

ভাবির সাথে দেবরের অবৈধ সম্পর্ক; দেখে ফেলায় ভাইকে খুন!

ঈদে বেতন-বোনাস-বকেয়া দিতে গার্মেন্টস মালিকদের ধার-দেনা

আলাদিনের চেরাগ’ পেয়েছে খান ব্রাদার্স

মনি রানী দাস বলেন, দলিত জনগোষ্ঠী তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের অধিকার আজও অর্জিত হয়নি। দলিত ও বঞ্চিতদের অধিকার সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বৈষম্য বিরোধী আইন অবিলম্বে পাশ করার আহব্বান জানান।

ড. মুশতাক হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন। কাঠামোগত পরিবর্তন না হলে ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে জুলাই-আগস্ট এ নিহত হওয়া শহীদদের রক্ত বৃথা হয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও ব্যাপক নীতিগত পরিবর্তন, ও প্রতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার মধ্য দিয়েই দেশের আপাময় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।

এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের মানুষের করের টাকায় যে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় সে সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতনতা নেই বললেই চলে। মানুষের মাঝে নাগরিক অধিকারবোধ তৈরী এবং দেশ পরিচালনায় জনগণের কি ভ‚মিকা হবে সে বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনা করতে হবে এবং যে কোন বিরোধ নিস্পত্তির জন্য ঐক্যমত গড়ে তুলতে হবে।

সংস্কারের একটি পূর্ণ ধারণা এবং বাস্তবায়নের একটি রোডম্যাপ ছাড়া শুধু নির্বাচন গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে পারবে না। গণতন্ত্র সুরক্ষিত না হলে বৈষম্য দূর করে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক অধিকারসমূহ অর্জন করা সম্ভব নয়।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে আমরা কাজ করছি। দেশের যেকোন আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষের বড় ধরনের আত্মত্যাগ থাকলেও তা একসময় হারিয়ে যায়। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে শ্রম সংস্কার কমিশন আপনাদের সহযোগীতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে শ্রম সংস্কার কমিশন একটি সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরী করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে। এই প্রস্তাবনা বৈষম্য নিরোধে কোন ভ‚মিকা রাখতে পারবে না, যদি না পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর, প্রতিষ্ঠানিক ও অসংগঠিত শ্রমজীবী মানুষ তাদের আন্দোলন অব্যাহত না রাখে।

অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী ‘দলিত, হরিজন ও চা-জনগোষ্ঠীর সমস্যা ও বৈষম্য নিরসন এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’, ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীদের বৈষম্য বঞ্চনা উত্তরণের উপায়’, ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সমস্যা ও বৈষম্য নিরসন এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’ এবং ‘ভূমিহীন, ক্ষেতমজুর ও ক্ষুদ্র উৎপাদকদের সমস্যা নিরসনে করণীয়’ বিষয়গুলোর উপরে আলোচনা করা হয়। এই আলোচনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, আন্দোলনের কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) এর সভাপতি উত্তম কুমার ভক্ত, মৌলভীবাজার চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী ফ্রন্ট এর সভাপতি পরিমল সিং বাড়াইক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস এন্ড জাস্টিস এর উপ-নির্বাহী পরিচালক শাহরিয়ার সাদাত, কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর (কাপ) এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত, নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, বাংলাদেশ শ্রম অধিকার ফোরাম এর আহবায়ক শ্রমিকনেতা আবুল হোসাইন, সিপিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, অধুনা বাংলাদেশ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেদী ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ডনাইপ্রু নেলী, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট প্রভাত টুডু, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি’র সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কে, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক ড. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি’র সভাপতি এ্যাডভোকেট এস.এম.এ সবুর, কৃষিবিদ মো: শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম, রিসার্চ এনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিইব) এর পরিচালক সুরাইয়া বেগম, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামিউল আলম রাসু।

google-news-channel-newsasia24

ভারতে আর থাকবেন না শেখ হাসিনা

নিউজএশিয়া২৪ ডেস্ক:

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। সেইদিনেই সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারত পালাতে বাধ্য হন তিনি। এরপর থেকে ভারতেই অবস্থান করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

সর্বশেষ খবরে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে, শেখ হাসিনা কীভাবে, কোন ব্যবস্থায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন?

জবাবে ভারত নাকি বলেছে, খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কোনো একটি দেশে তিনি চলে যাবেন। এই খবর ঢাকার সরকারি মহলকেও জানানো হয়েছে বলে মানবজমিনের প্রতিবেদনে জানা গেছে।

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে তিনি দিল্লির কাছে গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। এরপর থেকে তিনি কোথায় আছেন তা আর প্রকাশ পায়নি।

আরও পড়ুন:

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকা কূটনৈতিক পাসপোর্টও (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করে দিয়েছে সরকার। এ ধরনের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ভারতে ৪৫ দিন বৈধভাবে থাকতে পারেন।

ইতোমধ্যে ভারতে শেখ হাসিনা প্রায় ২ মাস ধরে অবস্থান করছেন। কূটনৈতিক পাসপোর্টে তার বৈধভাবে অবস্থানের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। এখন তিনি কোন স্ট্যাটাসে দেশটিতে অবস্থান করছেন তা পরিষ্কার নয়। ভারতের পক্ষ থেকেও বিষয়টি খোলাসা করা হয়নি।

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে: উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক‌‌: আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমাদের অবশ্যই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা উচিত। সেদিকেই আমরা যাব।

তবে, এই মুহূর্তে পুরো আইন বাতিল করা হবে, নাকি কেবল স্পিচ অফেন্স বাতিল করা হবে, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। কিন্তু, আলটিমেটলি এটা বাতিল হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ সংশোধন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগের বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, পরবর্তীকালে যখন নতুন আইন করা হবে, তখন তার মৌলিক একটি অনুচ্ছেদে নাগরিকদের সাইবার সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।

সেখানে অবশ্যই নারী ও শিশুদের স্পর্শকাতরতা বিবেচনা করে তাদের বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। সেজন্য এরকম সেমিনার অব্যাহত রাখা হবে।

সভার শুরুতে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ সময়োপযোগী করার লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনী উপস্থাপন করা হয়। এর পর এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় অনেকেই সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করে নতুন আইন করার পরামর্শ দেন।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ইতোমধ্যেই সাইবার নিরাপত্তা আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলাগুলো প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নাগরিক পরিসরে একটি ধারণা আছে, আইন মন্ত্রণালয় বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চাইলেই সব মামলা প্রত্যাহার করে দিতে পারে। এটা সত্যি না। একটি মামলা বিভিন্ন পর্যায় বা স্তরে থাকে। সব মামলা ইচ্ছে করলেই প্রত্যাহার করা যায় না। মামলা প্রত্যাহার করার ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যে মামলার কনভিকশন হয়ে যায়, সেখানে যিনি কনভিকটেড (দোষী সাব্যস্ত) হয়েছেন, ওনার আবেদন ছাড়া মামলা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই।

‘অনেকেই বলে থাকেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের মামলাগুলো কেন প্রত্যাহার করা হচ্ছে না? মূলত, মামলায় যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়ে যায়, যত ভুয়া মামলাই হোক, চাইলেই তা প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়। এজন্য একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়,’ যোগ ক‌রেন উপ‌দেষ্টা।

তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল ধরনের কালাকানুন থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা হবে। বৈষম্যহীন, শোষণহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে আজকে যে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে, আমাদের আইন সংস্কারের মধ্যে দিয়ে তার প্রতিফলন জনগণ দেখতে পাবেন, ইনশাল্লাহ।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি (যা পরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে পরিণত করা হয়েছে) মূলত অপপ্রয়োগের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এটি একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ফলে, এর প্রতি মানুষের একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। তাই, এই আইনকে আমরা যতভাবেই সংশোধন করি না কেন, এর প্রতি মানুষের অনাস্থা থেকে যাবে। তাই, আলোচনা সভার যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাবনাগুলোকে আমলে নিয়ে এবং আরও যেসব বিষয় সংযোজন-বিয়োজন করা প্রয়োজন, তা বিচেনায় নিয়ে নতুনভাবেই আইনটি করা উচিত।

সভায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী, বিশিষ্ট আলোকচিত্রশিল্পী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূঁইয়া, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ ইকতেদার আহমেদ, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিশির মনির, ইংরেজি দৈনিক দ্য ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অন্যতম ভিকটিম খাদিজাতুল কোবরা প্রমুখ অংশ নেন।

সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটি আগামী দুই মাসের জন্য

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে মেট্রোপলিটন এলাকায় এ দায়িত্ব প্রযোজ্য নয় বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী এই ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

proggapon army newsasia24

নিয়োগের শর্তে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৭ (১) ধারা মোতাবেক ক্ষমতাপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করবেন।

জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

google-news-channel-newsasia24

১ অক্টোবর থেকে বন্ধ হচ্ছে পলিব্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো পলিথিন শপিং ব্যাগ ও পলিপ্রোপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না এবং ক্রেতাদের দেওয়া যাবে না।

বিকল্প হিসেবে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ক্রেতাদের কেনার জন্য রাখা হবে।

আজ সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এক সপ্তাহের মধ্যে সব সুপারশপের সঙ্গে সভা করে পাটের শপিং ব্যাগ সরবরাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ১ অক্টোবরে শপিং ব্যাগে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার হবে। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ইএসডিওর সঙ্গে মিলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিকল্প পরিবেশবান্ধব উপাদানে তৈরি/পাট/বস্ত্রের ব্যাগের উৎপাদনকারীদের নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করবে। মেলায় সুপার শপের কর্তৃপক্ষ এবং উৎপাদনকারীরা নিজেদের চাহিদা এবং সরবরাহার বিষয়ে আলোচনা করতে পারবেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সুপার শপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24