[t4b-ticker]
শিরোনাম

শিরোনাম

‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সংবিধান সংস্কারে কমিশন। এতে ক্ষমতা কাঠামো, সংসদের ধরনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মূলনীতি, দেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনের মতো সুপারিশ রয়েছে।

আজ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ওই প্রতিবেদন জমা দেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তাদের সুপারিশগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আলী রীয়াজ বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান আদর্শ এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের যে জনআকাঙ্ক্ষা, তার প্রতিফলন হিসেবে আমরা রাষ্ট্রের পাঁচটি মূলনীতি সুপারিশ করছি। সেগুলো হচ্ছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং গণতন্ত্র।

বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ সুপারিশ প্রতিবেদন করার কথা তুলে ধরেন সংস্কার কমিশনের প্রধান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যেভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ বলা হয়, তার মধ্যে আসলে যে প্রজাতন্ত্রের কথা হয়, সেটায় আমরা দ্বিমত পোষণ করেছি। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের পরিচিত হওয়া উচিত ‘জনগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ’।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রস্তুত করতে গিয়ে প্রায় এক লাখ মানুষের মতামত নেওয়ার কথা জানান আলী রীয়াজ। কমিশনের সদস্যদের পাশাপাশি ৩২ জন গবেষক এতে কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন:

আ.লীগ নেতাকে হাতুড়িপেটা যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাদেরআ.লীগ নেতাকে হাতুড়িপেটা যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাদের সুপারিশগুলোর বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যের আশা করে তিনি বলেন, একটা ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্নের ধারাবাহিকতায় আজকে আসলে কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা এই প্রস্তাবগুলো, সুপারিশগুলো রাখছি। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো এক ধরনের ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে।

google-news-channel-newsasia24

তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রিতে আসার সম্ভাবনা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: সারা দেশে তীব্র শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার কারণে ঠান্ডা আরো বাড়বে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে। আরো এক সপ্তাহ দেশজুড়ে শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানার দেওয়া পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকত পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনে ঠান্ডার অনুভূতি বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, আজ ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জায়গাতেই ঘন কুয়াশা পড়েছে। ঢাকায় কুয়াশার ঘনত্ব গতকালের তুলনায় অনেক বেশি। দিনভর এমন অবস্থা বজায় থাকবে। দুপুরের পর স্বল্প সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিলতে পারে। তবে, সেটি ঠান্ডার অনুভূতি কমাতে তেমন সহায়ক হবে না।

অধিদপ্তর থেকে বুধবার সকাল ৭টায় প্রকাশিত পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও জানানো হয়েছে যে, দিনে ঠান্ডার অনুভূতি বজায় থাকবে।

আরও পড়ুন:

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দেশের কোথাও কোথাও শীতের অনুভূতি বিরাজ করতে পারে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এছাড়া, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

google-news-channel-newsasia24

ভারতে ‍‘দুর্নীতি’র খবর ফাঁস; সাংবাদিকের লাশ মিললো সেপটিক ট্যাঙ্কে

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ‘সাহসী’ সাংবাদিকতার জন্য অনেকের নজর কেড়েছিলেন ভারতের ছত্তিসগড়ের ফ্রি ল্যান্সার সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকর। আবার অনেকের চক্ষুশূলও হয়ে উঠেছিলেন।

আর সে কারণেই হয়তো ‘নৃশংসভাবে’ হত্যার শিকার হতে হয়েছে তাকে। সম্প্রতি ১২০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পে ‘দুর্নীতি’র খবর ফাঁস করেছিলেন মুকেশ। প্রশ্ন উঠেছে, এই তথ্য সামনে আনার জন্যই কি খুন হতে হলো তাকে?

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ছত্তিসগড়ের বিজাপুর জেলার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মুকেশের মরদেহ উদ্ধার হয়। তার মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা ছত্তিসগড়ে। এরই মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই অভিযুক্তদের মধ্যে মুকেশের এক তুতো ভাইও আছেন।

মুকেশের পরিচিত ও ঘনিষ্ঠরা বলছেন, ভয়ডর ছিল না তার। বেশ কয়েক বার তার ওপর হামলাও হয়। কিন্তু তার পরেও সত্য উদ্ঘাটনের খোঁজে ছুটে গেছেন বার বার। বিজাপুর, বস্তার জেলার অনেক দুর্নীতি ও অপরাধের পর্দা ফাঁস করেছেন। আর এই নির্ভীক সাংবাদিকতার জন্য বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছিলেন মুকেশ।

সাংবাদিকতায় আসার পর মুকেশ বলেছিলেন, বস্তারের এমন অনেক ঘটনা রয়েছে, যেগুলো সংবাদমাধ্যমগুলোতে কাটছাঁট করে দেখানো হয়। তাই এলাকার বিভিন্ন পরিস্থিতির ‘আনকাট’ ছবি তুলে ধরতে নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেলও খোলেন মুকেশ। নাম দেন ‘বস্তার জংশন’।

দেড় লাখ সাবস্ক্রাইবার ছিল সেই চ্যানেলের। মুকেশের এক পরিচিতের দাবি, তার ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা যখন হু হু করে বাড়ছিল, সেসময় তিনি তার দাদা যুকেশ চন্দ্রকরকে বলেছিলেন, মা যদি বেঁচে থাকতো, তাহলে এই দিন দেখে খুব খুশি হতো। অনেক কষ্টের মধ্যে পড়াশোনা করে আজ এই জায়গায় পৌঁছেছি।

জানা গেছে, মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না মুকেশদের। ২০০৫ সালে বিজাপুরে বাসাগুড়া গ্রামে চলে আসেন তারা। সেখানে তখন দশম শ্রেণি পাশ করাই অনেক বড় বিষয় ছিল। অল্প বয়সেই মাকে হারান মুকেশ। মায়ের মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরেন দুই ভাই।

মুকেশের এক পরিচিত জানান, সংসার টানতে গ্যারাজেও কাজ করতে হয়েছে তাকে। খবু কাছ থেকে এলাকার সমস্যাগুলো দেখার পর, ঘটনাগুলো প্রকাশ্যে আনতে সাংবাদিকতার পথ বেছে নেন। মুকেশের দাদা যুকেশও পেশায় সাংবাদিক।

স্থানীয় সূত্রের খবর, কোনো নতুন খবর করলেই মুকেশ এলাকার লোকজনদের ডেকে জিজ্ঞাসা করতেন, ঠিক হয়েছে কি না। বিজাপুর ও বস্তার চিনতেন হাতের তালুর মতো। বছর দুই-তিনেক আগে রাওঘাট প্রকল্প নিয়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হন মুকেশ।

google-news-channel-newsasia24

বস্তার জেলার মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে খবর করেছিলেন মুকেশ। গঙ্গালুর থেকে হিরোলি পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছিল ৫০ কোটি টাকার। কিন্তু, পরে সেই নির্মাণ খরচ ১২০ কোটি টাকায় পৌঁছে যায়। রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদার সুরেশ চন্দ্রকরের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার।

শনিবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে তিন জনকে। এর মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত রীতেশ চন্দ্রকর মুকেশের তুতোভাই। এছাড়া দীনেশ চন্দ্রকর নামে আরও এক আত্মীয় ও মহেন্দ্র রামতেক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ছত্তিসগড় পুলিশ।

আরও পড়ুন: 

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিন চন্দ্রকর তার ভাই রীতেশ ও মহেন্দ্র রামটেকের সঙ্গে সুরেশ চন্দ্রকরের বাড়িতে নৈশভোজ করেছিলেন। সেই সময়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। রীতেশ ও মহেন্দ্র লোহার রড দিয়ে আক্রমণ করে মুকেশকে। হত্যার পরে সাংবাদিকে দেহ একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রেখে সিমেন্ট দিয়ে ট্যাঙ্কের মুখ জমিয়ে দেওয়া হয়।

এদিকে, মুকেশের এই হত্যাকাণ্ডে দেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে এডিটরস গিল্ড অব ইন্ডিয়া। একটি বিবৃতিতে সব সাংবাদিক, বিশেষ করে- ছোট শহর ও গ্রামীণ এলাকায় কাজ করা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে ভারতের সরকারকে মুকেশ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।

সূত্র: আল জাজিরা

বাগেরহাটে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’র গাড়িবহরে হামলা

বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’র গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে।

আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে খুলনা মহানগর থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকারী ২৫টি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। বাগেরহাটের মোল্লাহাট মাদ্রাসাঘাট এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং গাড়ি থামিয়ে কয়েকজনকে মারধর করে।

পরে শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ গড়ে তুললে মূহুর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোটা এলাকা। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোল্লাহাট অতিক্রম করার সময় আগে থেকে প্রস্তুত হয়ে থাকা সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়রাও তাদের সহযোগিতা করে।

থানার সামনে ঘটনা হওয়া সত্ত্বেও এ সময় পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিলো বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের খুলনার সমন্বয়ক জহুরুল তানভীর বলেন, “খুলনা থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের বহর ঢাকায় যাচ্ছিলো। পথে আমাদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসররা এই আক্রমণ করেছে।”

আরও পড়ুনঃ 

আরেক সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ বলেন, “পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করা হয়েছে। তবে কোনো বাঁধা আমাদের লক্ষ্য থেকে সরাতে পারবে না। আমাদের ভাইদের রক্ত ঝরেছে। এর বিচার অতিদ্রুত করতে হবে। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যদি সেটা না করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে জড়িতদের খুঁজে বের করবে।”

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। শিক্ষার্থীরা গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছে।”

google-news-channel-newsasia24

বিদেশের জুয়েলারির চাকরি খুইয়ে এখন দেশের কারাগারে সামিয়া

 চট্টগ্রাম প্র্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক নারী বিমান যাত্রীর আসনের নিচ থেকে ২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের এই স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনায় নারী যাত্রীকে আটকের পাশাপাশি জব্দ দেখানো হয়েছে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমানটিকেও।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট থেকে এই স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দুবাই থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে (বিজি ১৮৪) অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে আতিয়া সামিয়া নামের এক নারী যাত্রীর আসনের নিচে কৌশলে লুকিয়ে রাখা ২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৩৩০ গ্রাম।

আরও পড়ুন: 

এই ঘটনায় ওই নারী যাত্রীকে আটক করার পাশাপাশি জব্দ দেখানো হয়েছে বিমানটিকেও।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, “সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘ওশেন গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড জুয়েলারি’ নামের একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন এই নারী।

দেশেও তিনি অনলাইনে সোনা বিক্রি করেন। তার বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মূল্য ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।”

google-news-channel-newsasia24

বঞ্চিত জনগোষ্ঠীদের অধিকার আদায়ে নাগরিক উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘প্রান্তিক সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য নিরসন ও মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক বিশেষ সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২২ ডিসেম্বর) নাগরিক উদ্যোগের এই আয়োজন ঢাকার কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও বিলস্ এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ।

সম্মেলনের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন, নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মুশতাক হোসেন, এবং দলিত নারী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনি রানী দাস।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জাকির হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে একটি বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার আকাঙ্খা ব্যক্ত করেছে, তার বাস্তব কোন উদ্যোগ বিগত চারমাসেও অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গ্রহণ করেনি।

তিনি বলেন, বৈষম্য কোথায় এবং কিভাবে চর্চা হচ্ছে তার একটি সার্বিক চিত্র এই সরকারের অনুসন্ধানের বিষয় হওয়া উচিত। এজন্যে তিনি একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই বিশেষ সম্মেলনে বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথাই আলোচনা করা হবে।

nagorik uddyog sommelon 2024 newsasia24 2

আরও্র পড়ুন:

ভাবির সাথে দেবরের অবৈধ সম্পর্ক; দেখে ফেলায় ভাইকে খুন!

ঈদে বেতন-বোনাস-বকেয়া দিতে গার্মেন্টস মালিকদের ধার-দেনা

আলাদিনের চেরাগ’ পেয়েছে খান ব্রাদার্স

মনি রানী দাস বলেন, দলিত জনগোষ্ঠী তাদের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের অধিকার আজও অর্জিত হয়নি। দলিত ও বঞ্চিতদের অধিকার সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বৈষম্য বিরোধী আইন অবিলম্বে পাশ করার আহব্বান জানান।

ড. মুশতাক হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য একটি কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন। কাঠামোগত পরিবর্তন না হলে ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে জুলাই-আগস্ট এ নিহত হওয়া শহীদদের রক্ত বৃথা হয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সংস্কার ও ব্যাপক নীতিগত পরিবর্তন, ও প্রতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার মধ্য দিয়েই দেশের আপাময় জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠন করতে হবে।

এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম তাঁর বক্তব্যে বলেন, দেশের মানুষের করের টাকায় যে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয় সে সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতনতা নেই বললেই চলে। মানুষের মাঝে নাগরিক অধিকারবোধ তৈরী এবং দেশ পরিচালনায় জনগণের কি ভ‚মিকা হবে সে বিষয়ে তাদের সাথে আলোচনা করতে হবে এবং যে কোন বিরোধ নিস্পত্তির জন্য ঐক্যমত গড়ে তুলতে হবে।

সংস্কারের একটি পূর্ণ ধারণা এবং বাস্তবায়নের একটি রোডম্যাপ ছাড়া শুধু নির্বাচন গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে পারবে না। গণতন্ত্র সুরক্ষিত না হলে বৈষম্য দূর করে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক অধিকারসমূহ অর্জন করা সম্ভব নয়।

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেতে আমরা কাজ করছি। দেশের যেকোন আন্দোলনে শ্রমজীবী মানুষের বড় ধরনের আত্মত্যাগ থাকলেও তা একসময় হারিয়ে যায়। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে শ্রম সংস্কার কমিশন আপনাদের সহযোগীতা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে শ্রম সংস্কার কমিশন একটি সুনির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরী করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে। এই প্রস্তাবনা বৈষম্য নিরোধে কোন ভ‚মিকা রাখতে পারবে না, যদি না পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর, প্রতিষ্ঠানিক ও অসংগঠিত শ্রমজীবী মানুষ তাদের আন্দোলন অব্যাহত না রাখে।

অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী ‘দলিত, হরিজন ও চা-জনগোষ্ঠীর সমস্যা ও বৈষম্য নিরসন এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’, ‘অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীদের বৈষম্য বঞ্চনা উত্তরণের উপায়’, ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সমস্যা ও বৈষম্য নিরসন এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’ এবং ‘ভূমিহীন, ক্ষেতমজুর ও ক্ষুদ্র উৎপাদকদের সমস্যা নিরসনে করণীয়’ বিষয়গুলোর উপরে আলোচনা করা হয়। এই আলোচনায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, আন্দোলনের কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) এর সভাপতি উত্তম কুমার ভক্ত, মৌলভীবাজার চা জনগোষ্ঠী আদিবাসী ফ্রন্ট এর সভাপতি পরিমল সিং বাড়াইক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস এন্ড জাস্টিস এর উপ-নির্বাহী পরিচালক শাহরিয়ার সাদাত, কোয়ালিশন ফর আরবান পুওর (কাপ) এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত, নাগরিক উদ্যোগ এর প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, বাংলাদেশ শ্রম অধিকার ফোরাম এর আহবায়ক শ্রমিকনেতা আবুল হোসাইন, সিপিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, অধুনা বাংলাদেশ লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেদী ইমাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, অনন্যা কল্যাণ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক ডনাইপ্রু নেলী, উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট প্রভাত টুডু, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি’র সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কে, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক ড. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো, বাংলাদেশ কৃষক সমিতি’র সভাপতি এ্যাডভোকেট এস.এম.এ সবুর, কৃষিবিদ মো: শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম, রিসার্চ এনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিইব) এর পরিচালক সুরাইয়া বেগম, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামিউল আলম রাসু।

google-news-channel-newsasia24

সিলেটের জৈন্তাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুরে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো একজন।

আজ শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের বাঘেরসড়কের দামড়ি ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিদের প্রাইভেটকারে ছাতক উপজেলার ৯ নম্বর ওয়ার্ড পৌর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কর্মীসভার ব্যানার পাওয়া গেছে।

ঘটনাস্থলে নিহত দুই জন হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার তাতীকোনা গ্রামের জুনেদ মিয়ার ছেলে সৈয়দ মোখলেছ মোহন (২০) ও একই উপজেলার রাধানগর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল আজিজ সায়েম (২১)। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাফিজুর রহমান (২০) নামে অপর একজন মারা যান। আহত একজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

সিলেট-তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে দুই জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত দুই জনকে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় উদ্ধার হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান চলছে।

আরও পড়ুন:

যশোরে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

ভাবির সাথে দেবরের অবৈধ সম্পর্ক; দেখে ফেলায় ভাইকে খুন!

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি; শমী কায়সার গ্রেপ্তার

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, “সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেট্রো—গ ১৩৩৮৫৪ নাম্বারের একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকার জৈন্তাপুর উপজেলার বাঘেরসড়ক দামড়ি ব্রিজ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পার্শ্ববর্তী একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।”

google-news-channel-newsasia24

মানুষ হত্যা করে ক্ষমতার টিকে থাকা যায় না

মা‌টিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতি‌নি‌ধি: জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্যাহ বলেছেন, গায়ের জোরে ক্ষমতার টিকে থাকা যায় না।

দেশের এমন কোন জনপদ নাই যেখানে জামায়াত কে নির্যাতন করা হয় নাই। অন্যায়ভাবে মানুষ কে হত্যা করে কখনো ক্ষমতার টিকে থাকা যায় না।

জামায়াত কে যারা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল তারাই আজ দেশ ছে‌ড়ে পালা‌তে হ‌য়ে‌ছে। জামা‌তে ইসলাম ঠিকই বাংলা দে‌শে র‌য়ে‌ছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় চৌধুরী কমিউনিটি সেন্টারে অনু‌ষ্ঠিত প্রথম বারের মতো জামায়াত ইসলামীর কর্মী ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

আওয়ামী দু:শাস‌নের কথা উ‌ল্লেখ ক‌রে তি‌নি ব‌লেন, মিথ্যা ট্রাইবুনাল গঠন করে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিং করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা। বজলুল হুদাকে নিজের হাতে জবাই করেছে হত্যা করেছে খুনি হাসিনা। তাই তার গড়া ট্রাইবুনালে বাংলার মাটিতেই তার বিচার করতে হবে।

এসময় বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতের পতাকাতলে শামিল হবার আহবান জানান তি‌নি।
পার্বত্য চট্টগ্রা‌মের বৈষ‌ম্যের কথা উল্লেখ ক‌রে প্রধান অ‌তি‌থি ব‌লেন,পার্বত্য তিন‌টি জেলা কে যে ভা‌বে আ‌লেদা ক‌রে রাখা হ‌য়ে‌ছে,তা চরম বৈষম্য। পাহা‌ড়ে বসবাসরত বাঙ্গালী‌দের তা‌দের ন্যায্য হিশ্যার দা‌বি জানা তিনি।

মাটিরাঙ্গা জামায়াতে ইসলামের সভাপতি মো. সামছুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান এবং খাগড়াছড়ি জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন:

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে, বাংলাদেশ সপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আবুল হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা জামায়াতের সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ, মাটিরাঙ্গা জামায়াতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাও: আবদুল জলিল, খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. মাইন উদ্দিন, সাবেক সভাপতি আবু আহাম্মদ,গোমতী ইউনিয়নে জামাআতের সভাপতি মো. সালেহ আহাম্মেদ, বেলছড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি, উপজেলা জামায়াতের সাবেক সভাপতি আমান উল্লাহ, মাটিরাঙ্গা জামায়াতের টিম সদস্য জামাল হোসেন, প্রমুখ বক্তব্য দেন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলার নায়েবে আমির শেখ আহাম্মদ, কুমিল্লা মহানগর শিবিরের সা‌বেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যডভোকেট ইব্রাহিম মনির,অসংখ্য কর্মী সমর্থক সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

যশোরে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরের ঝিকরগাছায় দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় পিয়াল হাসান (২৮) নামে এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে ঝিকরগাছা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে তাকে হত্যা করা হয়।

নিহত পিয়াল ও অভিযুক্তরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এই ঘটনা পূর্ব বিরোধের জের হয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান।

পিয়াল মোবারকপুর বিশ্বাসপাড়া এলাকার কিতাব আলীর ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমরান সামাদ নিপুনের অনুসারী বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, রাজনীতির পাশাপাশি পিয়াল ঝিকরগাছা বাজারে মুরগির ব্যবসা করতেন। গত ৫ আগস্ট বাজারে আধিপত্যে বিস্তার নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর নুরুজ্জামান বাবুর অনুসারী পৌর ছাত্রদলের সভাপতি শামীম রেজার সঙ্গে তার বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে সেদিন কাউন্সিলর বাবু, পৌর ছাত্রদল নেতা শামীম রেজাসহ কয়েকজন পিয়ালের দোকান ভাঙচুর করে।

এর পেক্ষিতে পিয়ালও শামীম রেজার বাবা কামরুলকে পিটিয়ে আহত করেন। ওই ঘটনায় মামলা হয়। পরে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। গত বৃহস্পতিবার পিয়াল জামিনে মুক্ত পান। আজ শনিবার পিয়ালের দোকানে আসেন কাউন্সিলর বাবু ও শামীমসহ কয়েকজন। সেখানে নিজ অপরাধের অনুতপ্ত হয়ে শামীম রেজার কাছে ক্ষমা চান পিয়াল। পিয়ালকে ক্ষমা না করে কুপিয়ে আহত করেন শামীম ও তার সহযোগিরা।

আরও পড়ুন:

প্রাণ বাঁচাতে পিয়াল বাজার থেকে পালিয়ে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেন। সেখানে একটি বারান্দায় পিয়ালকে কুপিয়ে পালিয়ে যান কাউন্সিলর বাবু ও শামীমরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পিয়ালের মরদেহ উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এরপর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।

নিহতের ছোট ভাই সুমন হাসান বলেন, ‘মুরগি বাজারে গত ৫ আগস্ট পিয়ালের সঙ্গে কাউন্সিলর বাবু ও ছাত্রদল নেতা শামীমদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। সেই ঘটনায় মামলা হলে সম্প্রতি কারাভোগ করে তার ভাই জামিনে মুক্ত হন। এরপর শামীমরা আমার ভাইকে হত্যার হুমকি দেয়। আমার ভাইও কয়েক দফা তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েও মাফ পেল না। আজ আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সে বন্ধ স্কুলে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পাইনি।’

যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানিয়েছেন, নিহত পিয়ালের নামে ১০টি মামলা রয়েছে। এই হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের পুলিশ চিহ্নিত করতে পেরেছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে।’

google-news-channel-newsasia24

মা‌টিরাঙ্গার প্রথম বাঙ্গালী নারী সদস্য মনজিলা

মা‌টিরাঙ্গার (খাগড়াছ‌ড়ি) প্রতি‌নি‌ধিঃ খাগড়াছ‌ড়ি জেলা প‌রিষ‌দে মা‌টিরাঙ্গার প্রথম বাঙ্গালী নারী সদস্য এডভোকেট মনজিলা সুলতানা। তি‌নি মাটিরাঙ্গা ৯নং পৌর ওয়ার্ড মুস‌লিমপাড়া এলাকার আব্দুল মতিনের মেয়ে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এতে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব তাসলীমা বেগম।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন, ১৯৮৯ ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ এর ১৬ক। (৪) উপধারা এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৪ এর ২(২) উপধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার ১৫ সদস্য বিশিষ্ট খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। এ‌তে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদে প্রথমবারের মত নারী চেয়ারম্যান হয়ে‌ছেন জিরুনা ত্রিপুরা।

পুনর্গঠিত ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- খাগড়াছড়ি জেলা সদরের, বঙ্গমিত্র চাকমা, অনিময় চাকমা, নিটোল মনি চাকমা, মাহবুবুল আলম, শেফালিকা ত্রিপুরা, নিটোল মনি চাকমা, ধনেশ্বর ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা উপজেলার প্রশান্ত কুমার ত্রিপুরা, মো: শহিদুল ইসলাম (সুমন), জয়া ত্রিপুরা, মহালছড়ি উপজেলার কংজপু মারমা, মানিকছড়ি উপজেলার কুমার সুইচিংপ্রু সাইন, সাথোয়াই প্রু চৌধুরী, পানছড়ি উপজেলা থেকে প্রফেসর আবদুল লতিফ।

monjila-sultana-matiranga-newsasia24
এডভোকেট মনজিলা সুলতানা, ছবি: নিউজ এশিয়া২৪

পাঁচ মে‌য়ের ম‌ধ্যে বাবা মা‌য়ের তৃতীয় সন্তান এডভোকেট মনজিলা সুলতানা মাটিরাঙা পাইলট হাই স্কুল থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি এবং খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ থেকে ২০১০ সালে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকার স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে এলএলবি এবং এলএলএম ডিগ্রী অর্জন করেন।

২০১৮ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হ‌য়ে ২০২৩ সালে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা থেকে প্রথম নারী হিসেবে হাইকোর্টে আইনজীবী হওয়ার গৌরব অর্জন ক‌রেন।

আরও পড়ুুন:

২০২০ সালে তিনি ফেসবুক-ভিত্তিক বিনামূল্যে প্রাথমিক আইনি সহায়তা প্রদানকারী গ্রুপ ‘Know Your Rights – অধিকার জানো’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর মাধ্যমে জনসাধারণকে আইনি পরামর্শ প্রদান করছেন।

শিক্ষাজীবনে তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।

গেল জুলাই মা‌সে ফ্যাসিস্টি হা‌সিনা সরকার বি‌রো‌ধি আ‌ন্দোল‌নে আহত ও শহীদ ছাত্রদের পরিবারকে আইনগত সহযোগিতা প্রদান করেন।

ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রামের অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত ক‌রে মনজিলা ব‌লেন,পাহা‌ড়ে চলমান প্রেক্ষাপ‌টে বিরাজমান প‌রি‌স্থি‌তি‌ ও বৈষম্য কমানো এবং জীবনমান উন্নয়নে কাজ কর‌বেন ব‌লে জানান তি‌নি।

google-news-channel-newsasia24