শিরোনাম

দুর্ঘটনা

রাজশাহীতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। শনিবার রাত ১১টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে উপজেলার কামারপড়া-অভয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজনের নাম রতন। অন্যজনের নাম জানা যায়নি। আহতদের গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মদিনা ট্রাভেলস নামের একটি যাত্রীবাহী বাস রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিল। আর ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাচ্ছিল হানিফ পরিবহনের একটি বাস। মদিনা ট্রাভেলসের বাসটি ট্রাককে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা হানিফ পরিবহনের বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

এই দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। এছাড়া নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলের দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটিকে মহাসড়ক থেকে সরানোর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ওসি জানান, নাম না জানা নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। আইনগত প্রক্রিয়ার শেষে মরদেহ দুটি সজলের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুুুুন:

google-news-channel-newsasia24

বটগাছের নিচে চাপা পড়ে প্রাণ গেলো দুজনের

রাজশাহী প্রতিনিধি: ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি, হালকা বাতাস। এতেই উপড়ে পড়ে একটি বটগাছ। এর নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এ ঘটনায় আরও ৯ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকবাজার রাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চকবাজার এলাকার মৃত মুরাদ হোসেনের ছেলে জামাল উদ্দিন (৪০) ও একই এলাকার মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে জাকিরুল ইসলাম (৪২)।

মো. এহসারুল্লাহ নামের স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাতে বৃষ্টির সাথে হালকা বাতাসও বইছিল। এ সময় হঠাৎ গ্রামের পুরনো বটগাছটি উপরে পড়ে। এতে গাছের পাশে চায়ের দোকানে বসে থাকা বেশ কয়েকজন ওই বটগাছের নিচে চাপা পড়েন। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা গিয়ে উদ্ধার কাজ চালায়। উদ্ধার কাজ শেষে দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।

ওসি জানান, এ ঘটনায় আরও নয়জন আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের বাঘা ও পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

google-news-channel-newsasia24

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৪ ইউনিট।

আজ শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের অফিসার লিমা খানম।

তিনি জানান, ধোলাইখালে চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে সূত্রাপুর ও সিদ্দিকবাজার থেকে চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায় নি বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

খোকসায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, আগুনে পুড়লো ৭টি বাড়ি

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:  কুষ্টিয়ার খোকসায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৭টি বাড়ি পুড়ে গেছে। জানা গেছে, রান্নায় ব্যবহার করা লাকড়ি (খড়ি) থেকে জ্বলে ওঠা আগুনে বয়বৃদ্ধ হতদরিদ্র মুজাম আলীর দু’টি ঘরই পুড়ে যায়। তার বাড়ির আগুনে পাশে বসতকারী ৭ ভূমিহীন পরিবারের সব ভস্মে পরিণত হয়ে গেছে।

আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার খোকসা পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধপাড়ায় হালিমা মসজিদ সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে বসবাসকারী ভূমিহীনদের বসত বাড়িতে আগুন লাগে।

মুহুত্যের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পরে ভূমিহীন মিলন, রাসেল, আরিফ, আব্দুল হক, সিরাজল ইসলাম, আজব আলীর বাড়িতে। এসময় একাধিক বাড়ির রান্না ঘরে গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরিত হয়। তাপপ্রবাহ ও গ্যাসের কারণে আগুনের তেজস্বক্রীয়া বেড়ে যায়।

গড়াই নদী থেকে ১০০ মিটার দূরের এ ভূমিহীনদের বাড়িসহ আসে পাশে পানি না থাকায় স্থানীয় নারী পুরুষরা মাটি ও বালি দিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। তাদের সাথে যোগ দেয় খোকসা ও কুমারখালীর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।

khoksa fire 7 house newsasia24 2

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্ত ভোগীদের সূত্রে জানা যায়, ভূমিহীন হতদরিদ্র মুজাম আলীর রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ইতোমধ্যে খোকসা ফায়ার সাভির্সের একটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনা স্থলে পৌছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

প্রায় আধাঘন্টা পর কুমারখালী ফায়ার ষ্টেশনের আর একটি ইউনিট আগুন নেভাতে যোগ দেয়। স্থানীয় জনতা ও ফায়র সার্ভিসের কর্র্মীরা প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। ততক্ষনে ভুমিহীনদের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ঘরবাড়ি, আসবারপত্র, টিভি ও ফ্রিজ ভস্ম হয়ে যায়।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ মুজাম জানান, সকালে তার স্ত্রী একমুঠো ভত্তা ভাত রান্না করে রেখে অন্য বাড়িতে কাজে যায়। তিনি ঘুমিয়ে ছিলে। তার বাড়ির রান্নার লাকড়ি থেকে মিনমিন করে লাগা আগুনে তার সব পুড়ে গেছে। এখন মাথা গোজার জায়গাও রইল না। তিনি কোথায় রাত কাটাবেন এই নিয়ে তার চিন্তার অন্ত নাই।

আরও পড়ুন:

ঘটনা স্থলে দাঁড়িয়ে বিলাপ করছিল রাফিজা আক্তার। তার বাবা কাকা ও দাদার সব পুড়ে গেছে। কিছুই বাঁচাতে পারেনি। তার বাবা – কাকারা ঢাকায় কাজ করেন। সেখানেই পরিবার পরিজন নিয়ে বাস করেন। কিন্তু বাড়িতে সবই রেখে গিয়েছিল।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননুর যায়েদ জানান, আগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হওয়ার পরপর পুলিশ উপস্থিত হয়। ৭ পরিবারের সব পুড়ে গেছে। অল্পের জন্য আরো ৫টি বাড়ি রক্ষা পেয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপণের জন্য পুলিশের একটি কমিটি কাজ করছে।

খোকসা ফায়ার সাভির্সের স্টেশন অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, অগ্নিকান্ডের সূত্রপাতের খবর পেয়ে তারা ঘটনা স্থলে পৌচ্ছায়। পরে কুমারখালী ফায়ার সাভিসের আরও একটি ইউনিটকে ডাকা হয়। দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা গেছে। অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।

google-news-channel-newsasia24

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ; মা মেয়ের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর পশ্চিম ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে সূর্য বানু (৪০) নামে আরও এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে এ ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো।

আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান। এর আগে শনিবার সকালে সূর্য বানুর মা দগ্ধ মেহেরুন্নেছার (৬৫) মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় দগ্ধ অন্য চারজন বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন সূর্য বানুর স্বামী মো. লিটন (৫২) এবং তাদের তিন সন্তান লিজা (১৮), সুজন (৮) ও লামিয়া (৭)।

গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ভাসানটেকের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন: 

এলাকাবাসী জানান, মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এতে ওই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন।

google-news-channel-newsasia24

ঘটনার দিন দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, দগ্ধদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে সূর্য বানুর শরীরের ৮২ শতাংশ, লিটনের ৬৭ শতাংশ, লামিয়ায় ৫৫ শতাংশ, মেহরুন্নেচ্ছার ৪৭ শতাংশ, সুজনের ৪৩ শতাংশ ও লিজার ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকশত বসতঘর-দোকানপাট লণ্ডভণ্ড

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি” সুনামগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে কয়েকশত বসতঘর-দোকানপাট ভেঙে গেছে। আশ্রয় হারিয়ে বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ। আর সড়কে গাছপালা ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক হাজার গ্রাহক।

রবিবার(৩১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় ঝড়ের তাণ্ডবে সুনামগঞ্জ সদর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় কাঁচা ও টিনের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঝড়ের কবলে পড়ে নিহতের খবর না পাওয়া গেলেও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।

রবিবার রাতের তাণ্ডবে শান্তিগঞ্জ উপজেলার সদরপুর, আস্তমা, চন্দ্রপুর, রায়পুর, ইনাতনগর, তালুকগাঁও, পাগলাসহ বেশ কিছু গ্রামে কয়েক শত বাড়িঘর ও দোকান লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।

এ সময় শত শত গাছ-পালা ভেঙে পড়েছে। মানুষেরা ঘর থেকে প্রাণ নিয়ে বের হয়ে মসজিদ ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে পরিবার আর সন্তানদের নিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে হতদরিদ্রের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

ঝড়ের পরে রাত থেকে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন। যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের অনেকে সেহরি খেতে পারেনি। ঝড়ের কবলে পড়ে আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হাসপাতাল ও বিভিন্ন ফার্মেসিতে ভিড় করছেন। তবে এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার আস্তমা গ্রামের বাসিন্দা রায়হান চৌধুরী বলেন, ‘এত শিলাবৃষ্টি আর তুফানে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, কীভাবে সামাল দেবো বুঝে উঠতে পারছি না। তাও আল্লাহর কাছে শুকরিয়া ঝড়ের সময় ঘর থেকে বের হয়ে চাচার বিল্ডিংয়ে উঠে প্রাণে বেঁচে গেছি।’

আরও পড়ুন: 

অবৈধ কাজের দায়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রধান কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি করার অনুমোদন দিল হাইকোর্ট

দক্ষিণ আফ্রিকায় খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫

আরেক বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন বলেন, ঝড় যেদিকে গেছে, সেদিকের সব গাছপালা, বাড়ি-ঘরের টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে। শত শত মানুষ অসহায় হয়েছে গেছে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১০ মোট্টিক টন চাল ও ঢেউ টিন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনবার্সনে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

গাউছিয়া কাঁচাবাজারে আগুন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া কাঁচাবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

আজ রবিবার (২৪ মার্চ) রাত ৩টার দিকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিক আগুন লাগার কারণ ও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে কাঞ্চন, আড়াইহাজার, ডেমরা ও পূর্বাচলের মোট ৪টি ষ্টেশনের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় পৌনে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

Follow

গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: গাজীপুরে একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায়।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তেলিরচালা এলাকায় শফিক খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে ৩০ জন গুরুতর আহত হওয়য় তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়েছে ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শফিক খান তার বাসার জন্য একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। পরে গ্যাস সিলিন্ডারটি চুলার সঙ্গে লাগানোর সময় গ্যাস বের হতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি সিলিন্ডারটি বাইরে রাস্তায় ফেলে দেন।

35 people burnt in gas cylinder explosion in Gazipu newsasia24 2

এসময় সেখানে একটি মাটির চুলার আগুন থেকে গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে রাস্তায় থাকা প্রায় ৩০-৩৫ জন দগ্ধ হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:

পরের খবর আগে
  |

রমজানে খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  |

তিন দিনেও নেভেনি আগুন, বর্জ্যে মরছে কর্ণফুলীর মাছ

  |

চাকুরীর দেওয়ার কথা বলে মামলা দেন এজে আর কুরিয়ারের রিয়াদ

পরের খবর আগে

অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন মোহাম্মদ মাইদুল ইসলাম, মোহাম্মদ কুটি, মোহাম্মদ আরিফুল, মোহাম্মদ ইয়াসিন, মোহাম্মদ সোলেমান, মোহাম্মদ আকাশ, মোহাম্মদ নূর নবী, মোহাম্মদ নিরব, মোছাম্মৎ শিল্পী, মোহাম্মদ নাঈম মাহবুব মশিউর, মোতালেব।

google-news-channel-newsasia24

কালিয়াকৈর মৌচাক ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।

তিন দিনেও নেভেনি আগুন, বর্জ্যে মরছে কর্ণফুলীর মাছ

নিজস্ব প্রতিনিধি: গত সোমবার বিকেল পৌণে ৪টায় কর্ণফুলীর একটি রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের গুদামে লাগা আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। ভেতরে এখনও আগুন জ্বলছে। বাহিরে ধোয়ার বের হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

বুধবার (৬ মার্চ) ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে আরও দুই-একদিন সময় লাগবে।

এদিকে আগুন লাগার পর চিনিকলের গুদামের অপরিশোধিত চিনির গলিত পানি সরাসরি কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে। এতে দূষিত হয়েছে নদীর পানি। গতকাল মঙ্গলবার থেকে নদীতে মাছ মরে ভেসে উঠছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ১ নম্বর গুদামটির পোড়া চিনির গলিত পানি দুটি নালা হয়ে সরাসরি গিয়ে পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধও ছড়িয়ে পড়েছে। পানিতে পোড়া তেল ও ফেনার মতো ভাসছে চিনির বর্জ্য।

আরও পড়ুন>>চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

এতে নদীর পানি দূষিত হয়ে মারছে মাছ। স্থানীয়রা নদী থেকে হাত দিয়েই মাছ ধরছে। আবার কেউ কেউ জাল ফেলেও মাছ ধরছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকেই নদীতে মাছ মরে ভেসে উঠছে। এতে হাত দিয়েই নদীতে মাছ ধরা যাচ্ছে। এভাবে দূষণ হতে থাকলে নদীর মাছ প্রায় হারিয়ে যাবে।

গতকাল মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কারখানার ড্রেন ও নদী থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>>অগ্নিকান্ডে নিহত বৃষ্টির পরিবারের আহাজারি থামছেই না

তিনি বলেন, নমুনা পানি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পানির বিভিন্ন উপাদানের কী ক্ষতি হয়েছে তা বলতে পারবো।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। চিনির আগুনে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে আগুন নেভাতে সময় লাগছে।

এস আলম গ্রুপের ব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ) মো. হোসেন রানা বলেন, একই স্থানে মোট ছয়টি গুদাম আছে। সোমবার এক নম্বর গুদামে আগুন লাগে।

এ গুদামে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। সবই পুড়ে গেছে। যার মূল্য হাজার কোটি টাকা।

আরও পড়ুন>>ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করলেন মেডিকেল শিক্ষক!

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, চিনিকলের আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা বাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী, কোস্টগার্ড, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিপুলসংখ্যক সদস্য সহযোগিতা করেছেন।

google-news-channel-newsasia24

Follow
পরের খবর আগে
আরও পড়তে পারেন |

ক্লাস করতে না চাওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গুলি করলেন মেডিকেল শিক্ষক!

আরও পড়তে পারেন |

অগ্নিকান্ডে নিহত বৃষ্টির পরিবারের আহাজারি থামছেই না

আরও পড়তে পারেন |

চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

পরের খবর আগে

চট্টগ্রামে চিনিকলে আগুন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: কর্ণফুলী এলাকায় একটি চিনিকলে আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট।

আজ সোমবার (৪ মার্চ ২০২৪) বিকেল ৪টার দিকে এস আলম সুগার মিলে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কর্ণফুলী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা শোয়েব হোসাইন মুন্সী বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে আমাদের ৬ টি ইউনিট কাজ শুরু করে।

আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে গেলে আরও ৬টি ইউনিট যুক্ত হয়।

তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তাও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন:

google-news-channel-newsasia24

Follow