শিরোনাম

জানা-অজানা

৫ ধাপেই করে ফেলুন সর্বজনীন পেনশনের আবেদন

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক  সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আপাতত চার ধরনের স্কিম চালু করা হয়েছে।

এর মধ্যে প্রবাসীদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য প্রগতি স্কিম, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম, আর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য থাকছে সমতা স্কিম।

এ কর্মসূচির আওতায় থাকছেন না সরকারি চাকরিজীবীরা।

এর বাইরে ১৮ বছরের বেশি বয়সি যে কেউ চাঁদা দিয়ে এ পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারবেন।

পেনশন স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হতে হলে প্রথমেই পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করতে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘ইউপেনশন’ নামক ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.upension.gov.bd। এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আজ থেকেই যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।

যেভাবে আবেদন করবেন

প্রথম ধাপ: নিবন্ধন প্রক্রিয়ার প্রথমেই ‘ইউপেনশন’ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর একটি পাতা আসবে, সেখানে লেখা থাকবে, ‘প্রত্যয়ন করছি যে আমি সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নই।

সর্বজনীন পেনশন স্কিমবহির্ভূত কোনো ধরনের সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণ করি না। আমি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোনো ধরনের ভাতা গ্রহণ করি না।’

এরপর ‘আমি সম্মত আছি’ অংশে ক্লিক করলে দ্বিতীয় পাতায় গিয়ে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। এখানে আবেদনকারীকে প্রবাস, সমতা, সুরক্ষা ও প্রগতি – এই চার স্কিমের মধ্য থেকে প্রযোজ্য স্কিম বাছাই করতে হবে।

একই সঙ্গে ১০, ১৩ বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, ইমেইল আইডি লিখে দিতে হবে। এরপর পাতার নিচের দিকে থাকা ক্যাপচা লিখে পরের পাতায় যেতে হবে।

উল্লেখ্য, ক্যাপচা দেয়ার পরে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ও ই-মেইলে একটি ওটিপি বা গোপন নম্বর আসবে, যা ফরমে পূরণ করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপ: নিবন্ধন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে ব্যক্তিগত তথ্যের পাতা আসবে।

সেখানে ব্যক্তির এনআইডি অনুযায়ী এনআইডি নম্বর, ছবি, আবেদনকারীর বাংলা ও ইংরেজি নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে (যেহেতু আগের পাতায় এ তথ্যগুলো দেয়া আছে)।

তবে এখানে আবেদনকারীর বার্ষিক আয় লেখার পাশাপাশি পেশা, নিজ বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম নির্বাচন করতে হবে। পেশা বাছাইয়ের ঘরে বেসরকারি চাকরিজীবী, ছোট ব্যবসায়ী, ব্যবসা, শিক্ষক, আইনজীবী, দিনমজুর, সাংবাদিক ইত্যাদি পেশার উল্লেখ রয়েছে।

সেখান থেকে নিজের পেশা নির্বাচন করতে হবে। সব লেখা সম্পন্ন হলে পরের পাতায় (‘স্কিম তথ্য’) যেতে হবে।

তৃতীয় ধাপ: স্কিম তথ্যের পাতায় মাসিক চাঁদার পরিমাণ ও চাঁদা পরিশোধের ধরন বাছাই করতে হবে।

চাঁদা পরিশোধের ধরনের মধ্যে মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক তিনটি অপশন রয়েছে। ধরন বাছাই শেষে ব্যাংক তথ্যের ধাপে যেতে হবে।

চতুর্থ ধাপ: ব্যাংক তথ্যের পাতায় আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবের নাম ও নম্বর, হিসাবের ধরন (সঞ্চয়ী অথবা চলতি), রাউটিং নম্বর, ব্যাংকের নাম ও ব্যাংকের শাখার নাম লিখতে হবে।

এরপর পরবর্তী নমিনি তথ্যের পাতায় নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নমিনিকে যুক্ত করতে হবে।

এ সময় নমিনির মোবাইল নম্বর, নমিনির সঙ্গে সম্পর্ক, নমিনির প্রাপ্যতার হারের (একাধিক নমিনি হলে) তথ্য দিয়ে ‘সম্পূর্ণ ফরম’ ধাপে যেতে হবে।

পঞ্চম ধাপ: ‘সম্পূর্ণ ফরম’ নিবন্ধনের শেষ ধাপ। এ ধাপে আগে পূরণ করা ব্যক্তিগত তথ্য, স্কিম তথ্য, ব্যাংক তথ্য ও নমিনি তথ্য দেখা যাবে। সেখানে কোনো তথ্য ভুল থাকলে আবার শুরু থেকে গিয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে।

তবে সব তথ্য ঠিক থাকলে সম্মতি দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এ সময় সম্পূর্ণ আবেদনটি ডাউনলোডও করা যাবে।

আরও পড়ুন:

মিশরের নাম ইজিপ্ট কেন ? জেনে নিন…

কিবোর্ডে বাংলা টাইপ করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি!

কম্পিউটার কিবোর্ডে বাংলা টাইপ কতে আমদের সবারই সমস্যা হয়। তাই নিউজ এশিয়া২৪ পাঠকদের জন্য কি বোর্ডে বাংলা টাইপ করার কিছু সহজ পদ্ধতি তুলে ধরা হলঃ

সাধারণত সকল কিবোর্ডের বাটনেই ইংরেজী অক্ষরগুলো দেয়া থাকে। অর্থাৎ কোন বাটনে চাপ দিলে কোন অক্ষরগুলো আসবে সেগুলো দেয়া থাকে। কিবোর্ডে বাংলা অক্ষর দেয়া থাকুক আর না থাকুক আমরা ইচ্ছে করলেই যেকোন কিবোর্ড দিয়ে বাংলা লিখতে পারি।

বাংলা লিখতে হলে আমাকে প্রথমে কম্পিউটারকে একটি নির্দেশনা দিয়ে ইংরেজী থেকে বাংলায় রুপান্তর করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে- F12 অথবা Ctrl+Alt+V অথবা Ctrl+Alt+B বাটনে একবার চাপতে হবে। উপরের নির্দেশনাটি একবার দিলে বাংলায় হবে আরেকবার দিলে ইংরেজী হবে।

যেভাবে ওয়ার্ডগুলো লিখবেনঃ

ক থেকে ঃ পর্যন্তঃ
ক = J, প = R, খ = shift + j ,ফ = shift + R, গ = O, ব = H, ঘ = shift + O, ভ = shift + H, ঙ = Q, ম = M, চ = Y, য = W
ছ = shift + Y, র = V, জ = U, ল = shift + V, ঝ = shift + U, শ = shift + M, ঞ = shift + I, ষ = shift + N, ট = T, স = N

ঠ = shift + T, হ = I, ড = E, ড় = P, ঢ = shift + E, ঢ় = shift + P, ণ = shift + B, ক্ষ = J + G + shift + N, ত = K য় = shift + W, থ = shift +K, ৎ = shift + \, দ = L, ং = Shift + Q, ধ = shift +L, ঃ = \, ন = B

অ থেকে ঔ পর্যন্তঃ
অ = Shift + F
আ = G + F
ই = G + D
ঈ = G + Shift + D
উ = G + S
ঊ = G + Shift + S
ঋ = G + A
এ = G + C
ঐ = G + Shift + C
ও = G + X
ঔ = G + Shift + X

া , ি কার কিভাবে লিখবেনঃ
া = F কোন ওয়ার্ড শেষে F চাপ দিলে া-কার হবে ।
ি = D কোন ওয়ার্ড শেষে D চাপ দিলে ি-কার হবে ।
ী = Shift + D কোন ওয়ার্ড শেষে Shift + D চাপ দিলে ী-কার হবে
ু = S কোন ওয়ার্ড শেষে S চাপ দিলে ি-কার হবে ।
ূ = Shift + S কোন ওয়ার্ড শেষে Shift + S চাপ দিলে ূ -কার হবে
ে = C কোন ওয়ার্ড শেষে C চাপ দিলে ে-কার হবে ।
ৈ = Shift + C কোন ওয়ার্ড শেষে Shift + C ৈ-কার হবে ।
ৃ = A কোন ওয়ার্ড শেষে A চাপ দিলে ৃ-কার হবে ।
। = Shift + G চাপ দিলে দাড়ি হবে ।

নিচের যুক্তবর্ণের তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে ল লিখতে সহায়ক হতে পারে। এখানে বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোন যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়।

১. ক্ষ = ক+ষ ২. ষ্ণ = ষ+ণ ৩. জ্ঞ = জ+ঞ ৪. ঞ্জ = ঞ+জ ৫. হ্ম = হ+ম ৬. ঞ্চ = ঞ+চ ৭. ঙ্গ = ঙ+গ
৮. ঙ্ক = ঙ+ক ৯. ট্ট = ট + ট ১০. ক্ষ্ম = ক্ষ + ম = ক + ষ + ম ১১. হ্ন = হ + ন ১২. হ্ণ = হ + ণ
১৩. ব্ধ = ব + ধ ১৪. ক্র = ক + ্র (র-ফলা) ১৫. গ্ধ = গ + ধ ১৬. ত্র = ত + ্র (র-ফলা) ১৭. ক্ত = ক + ত
১৮. ক্স = ক + স ১৯. ত্থ = ত + থ (উদাহরন: উত্থান, উত্থাপন) ২০. ত্ত = ত + ত (উদাহরন: উত্তম, উত্তর,
সত্তর) ২১. ত্ম = ত + ম (উদাহরন: মাহাত্ম্য)

ক্ক = ক + ক; যেমন- আক্কেল, টেক্কা,ক্ট = ক + ট; যেমন- ডক্টর (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/
বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ক্ট্র = ক + ট + র; যেমন- অক্ট্রয়, ক্ত = ক + ত; যেমন- রক্ত, ক্ত্র = ক + ত + র; যেমন- বক্ত্র, ক্ব = ক + ব; যেমন- পক্ব, ক্বণ, ক্ম = ক + ম; যেমন- রুক্মিণী, ক্য = ক + য; যেমন- বাক্য, ক্র = ক + র; যেমন- চক্র, ক্ল = ক + ল; যেমন- ক্লান্তি, ক্ষ = ক + ষ; যেমন- পক্ষ, ক্ষ্ণ = ক + ষ + ণ; যেমন- তীক্ষ্ণ, ক্ষ্ব = ক + ষ + ব; যেমন- ইক্ষ্বাকু, ক্ষ্ম = ক + ষ + ম; যেমন- লক্ষ্মী, ক্ষ্ম্য = ক + ষ + ম + য; যেমন- সৌক্ষ্ম্য, ক্ষ্য = ক + ষ + য; যেমন- লক্ষ্য, ক্স = ক + স; যেমন- বাক্স, খ্য = খ + য; যেমন- সখ্য, খ্র = খ+ র

যেমন- খ্রিস্টান, গ্ণ = গ + ণ; যেমন – রুগ্ণ, গ্ধ = গ + ধ; যেমন- মুগ্ধ, গ্ধ্য = গ + ধ + য; যেমন- বৈদগ্ধ্য, গ্ধ্র = গ + ধ + র; যেমন- দোগ্ধ্রী, গ্ন = গ + ন; যেমন- ভগ্ন, গ্ন্য = গ + ন + য; যেমন- অগ্ন্যাস্ত্র, অগ্ন্যুৎপাত, অগ্ন্যাশয়, গ্ব = গ + ব; যেমন- দিগ্বিজয়ী, গ্ম = গ + ম; যেমন- যুগ্ম, গ্য = গ + য; যেমন- ভাগ্য, গ্র = গ + র; যেমন- গ্রাম, গ্র্য = গ + র + য; যেমন- ঐকাগ্র্য, সামগ্র্য,
গ্র্যাজুয়েট, গ্ল = গ + ল; যেমন- গ্লানি, ঘ্ন = ঘ + ন; যেমন- কৃতঘ্ন, ঘ্য = ঘ + য; যেমন- অশ্লাঘ্য, ঘ্র = ঘ + র; যেমন- ঘ্রাণ,

ঙ্ক = ঙ + ক; যেমন- অঙ্ক, ঙ্ক্ত = ঙ + ক + ত; যেমন- পঙ্ক্তি, ঙ্ক্য = ঙ + ক + য; যেমন- অঙ্ক্য, ঙ্ক্ষ = ঙ + ক + ষ; যেমন- আকাঙ্ক্ষা, ঙ্খ = ঙ + খ; যেমন- শঙ্খ, ঙ্গ = ঙ + গ; যেমন- অঙ্গ, ঙ্গ্য = ঙ + গ + য; যেমন- ব্যঙ্গ্যার্থ, ব্যঙ্গ্যোক্তি, ঙ্ঘ = ঙ + ঘ; যেমন- সঙ্ঘ, ঙ্ঘ্য = ঙ + ঘ + য; যেমন- দুর্লঙ্ঘ্য, ঙ্ঘ্র = ঙ + ঘ + র; যেমন- অঙ্ঘ্রি, ঙ্ম = ঙ + ম; যেমন- বাঙ্ময়, চ্চ = চ + চ; যেমন- বাচ্চা, চ্ছ = চ + ছ; যেমন- ইচ্ছা, চ্ছ্ব = চ + ছ + ব; যেমন- জলোচ্ছ্বাস, চ্ছ্র = চ + ছ + র; যেমন- উচ্ছ্রায়, চ্ঞ = চ + ঞ; যেমন- যাচ্ঞা, চ্ব = চ + ব; যেমন- চ্বী, চ্য = চ + য; যেমন- প্রাচ্য, জ্জ = জ + জ; যেমন- বিপজ্জনক, জ্জ্ব = জ + জ + ব; যেমন- উজ্জ্বল, জ্ঝ = জ + ঝ; যেমন- কুজ্ঝটিকা, জ্ঞ = জ + ঞ; যেমন- জ্ঞান, জ্ব = জ + ব; যেমন- জ্বর, জ্য = জ + য; যেমন- রাজ্য, জ্র = জ + র; যেমন- বজ্র, ঞ্চ = ঞ + চ; যেমন- অঞ্চল, ঞ্ছ = ঞ + ছ; যেমন- লাঞ্ছনা, ঞ্জ = ঞ + জ; যেমন- কুঞ্জ, ঞ্ঝ = ঞ + ঝ; যেমন- ঝঞ্ঝা, ট্ট = ট + ট; যেমন- চট্টগ্রাম, ট্ব = ট + ব; যেমন- খট্বা, ট্ম = ট + ম; যেমন- কুট্মল, ট্য = ট + য; যেমন- নাট্য

ট্র = ট + র; যেমন- ট্রেন (মন্তব্য: এই, যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/ বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
ড্ড = ড + ড; যেমন- আড্ডা, ড্ব = ড + ব; যেমন- অন্ড্বান, ড্য = ড + য; যেমন- জাড্য, ড্র = ড + র; যেমন- ড্রাইভার, ড্রাম, (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/ বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত), ড়্গ = ড় + গ; যেমন- খড়্গ, ঢ্য = ঢ + য; যেমন- ধনাঢ্য, ঢ্র = ঢ + র; যেমন- মেঢ্র (ত্বক) (মন্তব্য: অত্যন্ত বিরল), ণ্ট = ণ + ট; যেমন- ঘণ্টা, ণ্ঠ = ণ + ঠ; যেমন- কণ্ঠ, ণ্ঠ্য = ণ + ঠ + য; যেমন- কণ্ঠ্য, ণ্ড = ণ + ড; যেমন- গণ্ডগোল, ণ্ড্য = ণ + ড + য; যেমন- পাণ্ড্য, ণ্ড্র = ণ + ড + র; যেমন- পুণ্ড্র, ণ্ঢ = ণ + ঢ; যেমন- ষণ্ঢ, ণ্ণ = ণ + ণ; যেমন- বিষণ্ণ, ণ্ব = ণ + ব; যেমন- স্হাণ্বীশ্বর, ণ্ম = ণ + ম; যেমন- চিণ্ময়, ণ্য = ণ + য; যেমন- পূণ্য, ৎক = ত + ক; যেমন- উৎকট, ত্ত = ত + ত; যেমন- উত্তর, ত্ত্ব = ত + ত + ব; যেমন- সত্ত্ব, ত্ত্য = ত + ত + য; যেমন- উত্ত্যক্ত, ত্থ = ত + থ; যেমন- অশ্বত্থ, ত্ন = ত + ন; যেমন- যত্ন, ত্ব = ত + ব; যেমন- রাজত্ব, ত্ম = ত + ম; যেমন- আত্মা, ত্ম্য = ত + ম + য; যেমন- দৌরাত্ম্য, ত্য = ত + য; যেমন- সত্য, ত্র = ত + র যেমন- ত্রিশ, ত্রাণ, ত্র্য = ত + র + য; যেমন- বৈচিত্র্য, ৎল = ত + ল; যেমন- কাৎলা, ৎস = ত + স; যেমন- বৎসর, উৎসব, থ্ব = থ + ব; যেমন- পৃথ্বী, থ্য = থ + য; যেমন- পথ্য
থ্র = থ + র; যেমন- থ্রি (three) (মন্তব্য: এই যুক্তাক্ষরটি মূলত ইংরেজি/ বিদেশী কৃতঋণ শব্দে ব্যবহৃত)
দ্গ = দ + গ; যেমন- উদ্গম, দ্ঘ = দ + ঘ; যেমন- উদ্ঘাটন, দ্দ = দ + দ; যেমন- উদ্দেশ্য

স্ত্রী = n g k z Shift+d, বউ = n g+s , হৃদয় = i a l Shift+w , সর্ব = n h Shift+a, পর্ব = r h Shift+A
ঋতু = g+a k s, বর্ষা = h Shift+N Shift+A f, র্যাব = v Shift+z f h, কৃষক = j a Shift+n j
চাক = y f j g, সুগন্ধা = n s o b+g Shift+L f, পর্যন্ত = r w Shift+A b g k, বন্ধু = h b g Shift+L s, কম্পিউটার = j d m g r g s t f v, পৃথিবী = r a d Shift+K h Shift+D, চন্দ্রবিন্দু = y b g l z d h b g l s, সমৃদ্ধশালী = n m a l Shift+L Shift+m f Shift+v Shift+D , জ্ঞান = u g Shift+i f b, কৃষ্ণ = j a Shift+N g Shift+B,স্বপ্ন = n g h r g b।

আরও পড়ুন:

মিশরের নাম ইজিপ্ট কেন ? জেনে নিন…

মিশরের নাম ইজিপ্ট কেন ? জেনে নিন…

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আমাদের প্রায় সবারই মনের মধ্যে একটা প্রশ্ন জাগে, মিমরের নাম ইজিপ্ট কেন? পিরামিডের কারণে বিখ্যাত প্রাচীন সভ্যতা নীলনদ বিধৌত দেশ মিশর। যেখানে হাজার হাজার বছর পুরনো সব পিরামিড রয়েছে। যেন কালের সাক্ষী দেশটির প্রতিটি স্থাপনা ।

মিশর মানেই মমি আর দাঁড়িয়ে থাকা পিরামিডের রহস্য। যার রহস্য প্রত্নতাত্ত্বিকরা এখনো উন্মচন করতে পারেননি।

মিশরের ইতিহাস বেশ প্রাচীন, সমৃদ্ধ, এবং রহস্যময়। মিশরেরও ছিল বিভিন্ন নাম। বর্তমানে এর প্রাতিষ্ঠানিক নাম জমহুরিয়া মিশর আল-আ্যারাবিয়া বা আরব প্রজাতান্ত্রিক মিশর।

মিশরীয়রা তাদের দেশকে বলে মিশর, যদিও নামটি কায়রোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতে পারে। সাধারণভাবে, কায়রোর লোকেরা মিশর বলতে সমগ্র দেশকে বুঝায়, কিন্তু কায়রোর বাইরের অধিবাসীরা মিশর বলতে কায়রোকে নির্দেশ করে।

তবে মিশর বললেও ইংরেজিতে একে বলা হয় ইজিপ্ট। মিশরীয়রাই তাদের দেশকে ‘মিশর’ বলে ডাকে।

সুপ্রাচীন কালে, মিশরে যখন হায়ারোগ্লিফ ভাষা প্রচলিত ছিল, মিশরকে বলা হত কেমেট, কালো মাটি বা কৃষ্ণ ভূমি। কারণটা হলো মিশরের পাশ ঘেঁষে চলা নীলনদের তীরের মাটি ছিল কালো।

আর এর অধিবাসীরা নিজেদেরকে বলতো, কৃষ্ণ ভূমির মানুষ। নীলনদের অববাহিকার উর্বর মৃত্তিকাকে নির্দেশ করতে কেমেত শব্দটির উৎপত্তি।

সে সময় মিশরকে দেশরেত বা লোহিত ভূমিও বলা হতো। মিশরের বিশাল অংশ জুড়ে থাকা মরু অঞ্চলকে নির্দেশ করতে এ নামটির প্রচলন। পরবর্তীতে মিশরীয়রা তাদের দেশকে বলতো, হক্ট-কা-পথ।

নামটি বর্তমান মিশরের মেমফিস এলাকা বা সমগ্র মিশরের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হত। পথ প্রাচীন মিশরীয় এক দেবতার নাম।

মিশর অভিযানের পর গ্রিকরা হক্ট-কা-পথ নামটি পরিবর্তন কর রাখে এজিইপ্টাস। গ্রিকরা তাদের সাহিত্যে এ নামটি ব্যবহার করে প্রাচীন এক কাল্পনিক রাজা, নীল নদ এবং সমগ্র দেশের নাম হিসেবে।

ধারণা করা হয় রাজাটি ছিলেন রামাসিস। হোমারের অডিসি’তে এজিইপ্টাস নামটি পাওয়া যায়। সম্ভবত শব্দের শুরু ও শেষে মিশরীয় ইংরেজি এইচ বর্ণটি সঠিক উচ্চারণ করতে না পেরে গ্রিকরা এ পরিবর্তনটি করেছিল।

এজিইপ্টাস থেকে আরো কিছু পরিবর্তনের পর ইংরেজি ভাষায় দেশটির এখনকার নাম ইজিপ্ট।

বর্তমানে মিশরীয়রা তাদের দেশকে মিশর নামে অভিহিত করে। মিশর আরবি শব্দ, যার মানে সরকার ও আইন-কানুন বিশিষ্ট রাষ্ট্র। কিছু কিছু বর্ণনায় (যদিও তা অকাট্য নয়) পাওয়া যায়, মিশর হচ্ছে পবিত্র নবী নূহের পৌত্র, যিনি নবীর সাথে মহাপ্লাবনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: চাঁদকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণার দাবি

নবী প্রার্থনা করেন, মিশর এবং তার সন্তান-সন্ততি যেন তাদের বসবাসকারী ভূমিতে নেতৃত্ব দেয় এবং সময় যেন তাদের পরাভূত করতে না পারে। মিশরের নামানুসারে সেই অভীষ্ট ভূমির নাম হয় মিশর।

কেউ কেউ বলেন, মিশরের উৎপত্তি প্রাচীন শব্দ মিজেরিয়াম থেকে। যা আবার এম- ডিআর থেকে উদ্ভূত। এম- ডিআর সেই সময় প্রাচীন মিশরকে নির্দেশ করত।

আরও পড়ুন: পর্দার বিধানে কি? আমরা কি করছি?