আল কোরআন পাঠের উপকারিতা

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: আল কোরআন পাঠের অনেক উপকারিতা রয়েছে। কোরআন পাঠ করলে মুমিনের হৃদয়ে প্রশান্তি সৃষ্টি হয়। কোরআন পাঠের মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়া যায়।

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ আদায় করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা আশা করতে পারে এমন ব্যবসায়ের, যার কোনো ক্ষয় নেই।

এজন্য যে, আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির, আয়াত ২৯-৩০)

কোরআন পাঠকারীর দৃষ্টান্ত : আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোরআন পাঠকারী মুমিনের দৃষ্টান্ত মিষ্টি কমলার মতো, যার ঘ্রাণও উত্তম, স্বাদও উত্তম।

যে মুমিন কোরআন পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত খেজুরের মতো, যার কোনো ঘ্রাণ নেই, তবে এর স্বাদ আছে।

আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে তার দৃষ্টান্ত রায়হানা ফুলের মতো, যার ঘ্রাণ আছে তবে স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কোরআন পাঠ করে না তার দৃষ্টান্ত হানজালা মাকাল ফলের মতো, যার ঘ্রাণও নেই, স্বাদও তিক্ত।’ (সহিহ বোখারি ৫৪২৭)

কোরআন পাঠকারী আল্লাহর পরিবারভুক্ত : আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কতক লোক আল্লাহর পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।

সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তারা কারা? তিনি বললেন, কোরআন পাঠকারীরাই আল্লাহর পরিবারের অন্তর্ভুক্ত এবং তার বিশেষ বান্দা।’ (ইবনে মাজাহ ২১৫)

প্রতি হরফে ১০ নেকি : আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের একটি হরফ পাঠ করবে সে একটি নেকি লাভ করবে।

আরও পড়ুন:

আর প্রতিটি নেকিকেই ১০ গুণ বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আমি বলি না যে, আলিফ, লাম, মিম মিলে একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মিম আরেকটি হরফ। (তিরমিজি ২৯১০)

সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ : হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কোরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।’ (তিরমিজি ২৯০৯)

কোরআন পাঠকারী শহীদের মর্যাদা : জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (সা.) উহুদ যুদ্ধে শহীদদের দুজনকে একই কাপড়ে একত্র করতেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেন, তাদের উভয়ের মধ্যে কে কোরআন সম্পর্কে অধিক জানত? দুজনের মধ্যে একজনের দিকে ইশারা করা হলে তাকে কবরে আগে রাখতেন এবং বলতেন, আমি কেয়ামতের দিন এদের ব্যাপারে সাক্ষী হব। তিনি রক্তমাখা অবস্থায় তাদের দাফন করার নির্দেশ দিলেন, তাদের গোসল দেওয়া হয়নি এবং তাদের (জানাজার) নামাজও আদায় করা হয়নি।’ (সহিহ বোখারি ১৩৪৩)

কেয়ামত দিবসে সম্মান : আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কেয়ামতের দিন কোরআনের পাঠককে বলা হবে, তুমি তা পাঠ করতে থাকো এবং ওপরে উঠতে থাকো। তুমি ধীরস্থিরে পাঠ করতে থাকো, যেরূপ তুমি দুনিয়াতে পাঠ করতে। কেননা তোমার সর্বশেষ বসবাসের স্থান (জান্নাত) ওটিই, যেখানে তোমার কোরআনের আয়াত শেষ হবে।’ (আবু দাউদ ১৪৬৪)

google-news-channel-newsasia24

You May Also Like

+ There are no comments

Add yours