শিরোনাম

শীর্ষ সংবাদ

১ অক্টোবর থেকে বন্ধ হচ্ছে পলিব্যাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনো পলিথিন শপিং ব্যাগ ও পলিপ্রোপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না এবং ক্রেতাদের দেওয়া যাবে না।

বিকল্প হিসেবে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ক্রেতাদের কেনার জন্য রাখা হবে।

আজ সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পলিথিন শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এক সপ্তাহের মধ্যে সব সুপারশপের সঙ্গে সভা করে পাটের শপিং ব্যাগ সরবরাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে ১ অক্টোবরে শপিং ব্যাগে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার হবে। পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর ইএসডিওর সঙ্গে মিলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিকল্প পরিবেশবান্ধব উপাদানে তৈরি/পাট/বস্ত্রের ব্যাগের উৎপাদনকারীদের নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করবে। মেলায় সুপার শপের কর্তৃপক্ষ এবং উৎপাদনকারীরা নিজেদের চাহিদা এবং সরবরাহার বিষয়ে আলোচনা করতে পারবেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবরা, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সুপার শপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

পিলখানার হত্যাকান্ডের আসল ঘটনা বললেন মঈন ইউ আহমেদ

নিউজ এশিয়া২৪ ডেস্ক: রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল দেশের ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বিডিআরের বিদ্রোহে ওই সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অনেক সাবেক সেনা কর্মকর্তা পিলখানার বিদ্রোহ নিয়ে কথা বলেছেন।

অনেকে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের নাম বলেছেন। এবার এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন সেসময়কার সেনাবাহিনী প্রধান মইন ইউ আহমেদ।

আলোচিত ‘ওয়ান-ইলেভেন’র প্রধানতম চরিত্র মঈন ইউ আহমেদ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) তার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে নিজের ভাষ্য তুলে ধরেন। ওই ঘটনায় এবারই প্রথম কথা বললেন বিদেশে অবস্থানরত মঈন।

তিনি বলেন, সেদিন (২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাড়ে ৭টায় সেনাসদরের প্রতিদিনের মত কাজ শুরু হয়। সকালে আমি সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।

আরও পড়ুন:

এমন সময় সিজিএস লেফটন্যান্ট জেনারেল সিনহা আমার কাছে এসে বলেন, আমাদের কাছে কিছু মর্টার আছে, যা সেনাবাহিনী ব্যবহার করে না। এর গুদামজাত এবং রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের জন্য কঠিন। বিডিআর এগুলো ব্যবহার করে। এগুলো তারা নিয়ে গেলে আমাদের উপকার হবে।

‘এরপর আমি বিডিআরের ডিজির জেনারেল শাকিলের সঙ্গে কথা বললে তিনি এগুলো নিতে রাজি হন। আমার বিশ্বাস তিনি তখন পর্যন্ত এই বিদ্রোহ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। এরপর আমি আর সিজিএস মিটিংয়ের জন্য যাই। ৯টায় সেই মিটিং শুরু হয়। আমরা সবাই তখন ব্যস্ত হয়ে পড়ি সেখানে।

সাড়ে ৯টায় তার দিকে আমার প্রিন্সিপল সেক্রেটারি কর্নেল ফিরোজ রুমে প্রবেশ করেন এবং আমাকে বলেন, পিলখানায় গণ্ডগোল হচ্ছে। আপনার দিক-নির্দেশনা প্রয়োজন। কিছুক্ষণ পর আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। কিন্তু তাদের ফোন ব্যস্ত পাই। ’

মইন ইউ আহমেদ বলেন, সামরিক গোয়েন্দারা তখন আমাকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানায়। পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে আমি তখন সময় বাঁচাতে কারও নির্দেশ ছাড়া সেনাবাহিনীর আরেকটি ব্রিগেডকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেই। তারা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে যার নামকরণ করা হয় ‘অপারেশন রেস্টোর অর্ডার’।

তিনি বলেন, ৯টা ৪৭ মিনিটে ডিজি বিডিআরকে (শাকিল) ফোনে পাওয়া যায়। তিনি আমাকে বলেন, ‘দরবার চলাকালীন দুইজন সশস্ত্র সৈনিক প্রবেশ করে একজন আমার পেছনে দাঁড়ায়। এরপরই বাইরে থেকে গুলির শব্দ আসে। সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে থাকা সৈনিকরা দরবার হল থেকে বের হয়ে যায়।

এগুলো সবই মনে হয় প্ল্যান করা এবং প্ল্যান অনুযায়ী সব চলছে। আমি সেক্টর কমান্ডার এবং ব্যাটালিয়ান কমান্ডারদের পাঠিয়েছি তাদের ফেরত আনার জন্য। ’ তখন আমি তাকে অপারেশনের কথা জানাই।

মইন ইউ আহমেদ আরও বলেন, ৯টা ৫৪ মিনিটে আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে সক্ষম হই। এর মধ্যেই তিনি বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে গেছিলেন।

এ সময় আমি তাকে অপারেশনের কথা জানালে তিনি জানতে চান, কতক্ষণ সময় লাগবে এই ব্রিগেডকে তৈরি করতে? আমি সময় জানিয়ে ব্রিগেডকে পিলখানায় যাওয়ার জন্য তার অনুমতি চাইলে তিনি অনুমতি দেন। এক্ষেত্রে অনেক সময় লাগলেও ৪৬ ব্রিগেড এক ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা শুরু করে।

‘এদিকে বিদ্রোহীরা বিডিআর গেটগুলোর সামনে আক্রমণ প্রতিহত করতে রকেট লাঞ্চার, মর্টারসহ অন্যান্য অস্ত্র মোতায়েন করে। বেলা ১১টায় ৪৬ ব্রিগেডের প্রথম গাড়িটি মেইন গেটের কাছাকাছি পৌঁছালে বিদ্রোহীরা একটি পিকআপ লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায়। এতে চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসের ধারণা অনুযায়ী, সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই ডিজি, ডিডিজি, কর্নেল আনিস, কর্নেল কায়সারসহ অনেক অফিসারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আমাদের টিম পৌঁছায় ১১টার পরে। ’

বিদ্রোহের সময় টিভি চ্যানেলে লাইভ কাভারেজের সমালোচনা করে তৎকালীন সেনাপ্রধান বলেন, ঘটনার সময়ে গণমাধ্যমে চলা লাইভ কাভারেজ বিডিআর বিদ্রোহ ছড়িয়ে দিতে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।

সাবেক সেনাপ্রধান জানান, ক্যাপ্টেন শফিক তার নেতৃত্বে ৩৫৫ জন র‍্যাব সদস্য নিয়ে পিলখানায় পৌঁছান ১০টার আগেই। এ সময় তিনি তার ঊর্ধতন কর্মকর্তার কাছে পিলখানায় প্রবেশের অনুমতি চাইলেও তিনি তা পাননি। তিনি অনুমতি পেলে হয়তো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সুবিধা হতো এবং এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।

মঈন বলেন, ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে পিএসও এএফডি জানায়, সরকার রাজনৈতিকভাবে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, কোনো আলোচনার আগে সেনাবাহিনীকে এই এলাকা থেকে চলে যেতে হবে। তাদের সঙ্গে সমঝোতা না হলে তখন সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে।

বেলা ১২টায় তিনি আমাকে ফোন করে জরুরিভিত্তিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যমুনায় দেখা করতে বলেন। বেলা ১টার দিকে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং হুইপ মির্জা আজম আলোচনার জন্য পিলখানায় যান।

তিনি আরও বলেন, আমি যমুনায় যাবারও ঘণ্টাখানেক পর বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধান সেখানে আসেন। অর্থাৎ তাদের আমার পরে ফোন করে আসতে বলা হয়েছে। অনেকক্ষণ পর তারা সেখানে এলে আমাদের জানানো হয়, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং হুইপ মির্জা আজম বিদ্রোহীদের একটি দল নিয়ে যমুনাতে আসছেন এবং তারা (বিদ্রোহীরা) সাধারণ ক্ষমা চায়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) বলেন, বিদ্রোহীদের কিছু বলার থাকলে আমরা যেন তাদের বলি। তখন আমি তাকে বলি, ‘অনেকে নিহত হয়েছেন। তাদের কোনো দাবি মানা যাবে না। আপনি তাদের বলবেন প্রথমত, অফিসার হত্যা এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের সবাইকে এখনই মুক্তি দিতে হবে। তৃতীয়ত, অস্ত্রসহ বিদ্রোহীদের আত্মসমপর্ণ করতে হবে এবং চতুর্থত, সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার প্রশ্নই নেই। ’

plkhana bdr murder newsasia24

আরও পড়ুন:

ঘটনার তদন্তে সরকারের সাহায্য পায়নি সেনাবাহিনী

মঈন ইউ আহমেদ বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ ঘটনায় আমি যখন তদন্তের আদেশ দেই, তখন আমাকে বলা হয়; যখন সরকার এই বিষয়ে তদন্ত করছে, তখন আমাদের এর প্রয়োজনটা কী? এই তদন্ত করতে সরকারের কাছ থেকে যে সাহায্য প্রয়োজন তা আমরা পাইনি।

সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লেফটন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা)। তিনি তার কাজ সঠিভাবে সম্পন্ন করতে পারেননি, কারণ অনেকে জেলে ছিল, অনেককে প্রশ্ন করা সম্ভব হয়নি। আমার কাছে এসে (জাহাঙ্গীর আলম) বেশ কয়েকবার তার সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

মঈন ইউ আহমেদ বলেন, আমি আশা করি, তিনি এখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হয়েছেন। তিনি এই তদন্ত কমিটি পুনর্গঠিত করে জড়িতদের বের করতে সক্ষম হবেন। আমি সরকার গঠনের পর তাকে এই বিষয়ে অনুরোধ করেছি।

নিজের ভিডিওতে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন মইন ইউ আহমেদ। এসময় বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে তার লেখা বই খুব শিগগির প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।

google-news-channel-newsasia24

এই বিদ্যালয়ের চাকরি করেন একই পরিবারের ১২ জন

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের কবিরাজের বাজারে অবস্থিত কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ে একই পরিবারের ১২ জন চাকরি করছেন। প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত সবাই একই পরিবারের।

বর্তমানে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত কর্মরত আছেন ১৮ জন। তার মধ্যে শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মের একজন শিক্ষক ছাড়া বাকিরা সকলেই সনাতন ধর্মের। এর মধ্যে ১২ জন প্রধান শিক্ষকের পরিবারের।

অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসন আমলে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এমন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছেন।

জানা গেছে, ১৯৯২ সালে প্রায় এক একর জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয়। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করা হয় ২০০২ সালে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে জমিদাতা কুলোদা মোহন রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা হয়।

kishamot bodi high school newsasia24

তৎকালীন সভাপতি কুলোদা মোহল রায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে অন্তত কুমারকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দেন।

অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার নিয়োগ পাওয়ায় পর প্রতিষ্ঠানে নিজের আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ভাই, স্ত্রী, ভাইয়ের স্ত্রীসহ পরিবারের সবাইকে নিয়োগ পাইয়ে দেন।

পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুলোদা মোহন রায়ের মৃত্যুর পর প্রধান শিক্ষক নিজের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ছেলে বিমল চন্দ্র রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে নিয়ে আসেন।

আরও পড়ুন:

দীর্ঘ ১৬ বছরে কিসামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়টিকে প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমারের পরিবারতন্ত্রে রূপান্তরিত করার একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে অসন্তোষের দানা বাঁধে।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক অনন্ত কুমার নিউ্জ এশিয়া২৪ কে জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই আমি সব করেছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফ-উজ-জামান সরকার বলেন, আমি এখানে নতুন। এ বিষয়ে কিছু জানি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক বলেন, আমি প্রধান শিক্ষককে ডেকেছিলাম। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

google-news-channel-newsasia24

আখেরি চাহার সোম্বা কি ? কিভাবে পালন করা হয়? (ভিডিও)

আজ পবিত্র আখেরি চাহার সোম্বা। মুসলিমদের জন্য এই দিনের তাৎপর্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং অত্যন্ত ব্যাপক।

….বিস্তারিত ভিডিওতে…..

খোকসায় বিএনপির মোটরসাইকেল র‌্যালি এবং সমাবেশ (ভিডিও)

ফাহিম শাওন: খোকসায় বিএনপির মোটরসাইকেল র‌্যালি এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) খোকসার চাঁদট বাজারে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে খোকসার বিএনপির নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালি শেষে বিএনপি নেতাকর্মীরা বক্তব্য প্রদান করেন।

সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীদের মাঝে খাবার বিতরন করা হয়।

 

ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে যেতে পারবেন বাংলাদেশীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কিছুদিন আগে পাকিস্তান ভিসায় নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছেন। এতে ১২৬টি দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে যেতে পারবেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমদ মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তান হাইকমিশনার।

এতে দুুই দেশের মধ্যে বন্যা পুনর্বাসন, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, ভিসা প্রাপ্তি সহজীকরণ, সরাসরি প্লেনের ফ্লাইট চালু, কৃষি গবেষণায় সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

তিনি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বন্যার বিষয়ে তাকে অবহিত করেন। হাইকমিশনার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বন্যা দুর্গতদের জন্য উপকরণ দিয়ে সহায়তার আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন:

হাইকমিশনার বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব পাকিস্তানে পড়েছে উল্লেখ করে বলেন, তখন অনেক পাকিস্তানি নাগরিক বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ-উৎসব করেছেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পাক হাইকমিশনারকে জানান, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে রাখা এই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

পাকিস্তানও একই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে মর্মে দুইজনই ঐকমত্য প্রকাশ করেন।

বিগত ১৫ বছরে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে শুষ্কতা পরিলক্ষিত হয়েছে, তার উত্তরণ ঘটিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানান পাক হাইকমিশনার। তাছাড়া, দুই পক্ষ পারস্পরিক ভিসা সহজিকরণের বিষয়ে সম্মত হন।

এ সময় হাইকমিশনার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তান নতুন ভিসা নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশসহ ১২৬টি দেশের নাগরিক ভিসা ছাড়াই পাকিস্তানে যাতায়াত করতে পারবে।

google-news-channel-newsasia24

কুষ্টিয়া মডেল থানার খোয়া যাওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ০৫ আগষ্ট উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কুষ্টিয়া মডেল থানা থেকে খোয়া যাওয়া বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রায় সহস্রাধিক বিভিন্ন মাপের গুলি উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।

বৃহষ্পতিবার (২২ আগষ্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় উদ্ধারকৃত এসব অস্ত্র ও গোলা বারুদ পুলিশে সৌপর্দ করার সময় এক প্রেস ব্রিফিংএ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন দায়িত্বরত সেনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন লামইয়ানুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আইন শৃংখলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে এধরণের বে-আইনী অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, সকলের প্রচেষ্টায় আজ আমরা অস্ত্র উদ্ধার করতে পেরেছি। কুষ্টিয়া মডেল থানা থেকে যে সব অস্ত্র খোয়া গিয়েছিল তার সব কয়টিই আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি।

আরও পড়ুন:

আরো যদি কোন অস্ত্র বাহিরে থাকে ওই সব অস্ত্র ছাত্র জনতা, পুলিশ ও সেনা বাহিনী একত্রিত ভাবে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করতে পারবো বলে আশা রাখি।

এসময় কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম জুবায়ের হোসেন, কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজুল হক চৌধুরীসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তার সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

খোকসায় বিএনপির শোক সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠিত

ফাহিম শাওন: সাম্প্রতিক ছাত্র-জনাতার অন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় কুষ্টিয়ার খোকসায় বিএনপির শোক সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানটি আজ সোমবার (১৯ অগাষ্ট) উপজেলার একতারপুর হাট প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সাবেক এম.পি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী।

এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন আগেও তিনি বলেছিন, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। আমি দেশ ছেড়ে পালাতে পারি না। পালাবো না। ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর আমরা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলাম। আমরা কিন্তু দেশ ছেড়ে পালাইনি।

bnp news khoksa newsasia24

আরও পড়ুন:

সনাতন ধর্মাবল্মীদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আমরা সবাই ভাই ভাই। আমরা এক অপরের সাথী। আপনাদের উপর কেও যদি অত্যাচার করে তাহলে তাকে বেঁধে ধোলাই দিয়ে আমাদের খবর দেবেন। আমরা ব্যবস্থা নেব।

এছাড়াও তিনি অন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনা করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে খোকসা থানা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক রবিন রায়হান জসিম, শিমুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মমিন উজ্জামান মমিন, বেতবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজ, খোকসা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক রকোনুুজ্জামান রোকন, খোকসা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলামসহ আরও নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

google-news-channel-newsasia24

আঙুল ছোঁয়ালেই চার্জ হবে স্মার্টফোন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক: সারাক্ষণ স্মার্টফোনটি ব্যবহার করছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই ফোন চার্জ করতে ভুলে যান। সঙ্গে চার্জার বা পাওয়ার ব্যাংক না থাকায় অনেকবার ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। তবে এখন আঙুল ছোঁয়ালেই স্মার্টফোন চার্জ হয়ে যাবে।

অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই, যে এটা কীভাবে সম্ভব! একেই সম্ভব করেছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল। কয়েক বছর আগে, বিজ্ঞানীরা এমন একটি ডিভাইস তৈরি করেছেন, যার মাধ্যমে আঙুল দিয়েই ফোন চার্জ করা সম্ভব। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, এটি ঘাম থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে। বর্তমানে এই ডিভাইসটি আবার জনপ্রিয় হতে শুরু করেছে।

ডেইলি মেইলের খবর অনুযায়ী, এই ডিভাইসটি তৈরি করেছে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল। তাদের মতে, ঘুমানোর সময় ডিভাইসটি পরলে ঘাম থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। স্মার্টফোন বা ঘড়ি সেই বিদ্যুৎ দিয়ে সহজেই চার্জ করা যায়। তারা বলেছেন যে, আঙুলে প্রায় ১০ ঘণ্টা পরা থাকলে এটি ২৪ ঘণ্টা ফোন চার্জ করতে সক্ষম হবে।

আরও পড়ুন>>ইলেকট্রনিক মুদ্রা গ্রহণকারীদের সুরক্ষায় নতুন আইন

এটি দিয়ে ফোন চার্জ করা এত সহজ নয়। গবেষক দল বলছে, এই স্ট্রিপটি আঙুলের সঙ্গে লাগানো যাবে। ঘুমানোর সময় আর্দ্রতা থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। একটানা ৩ সপ্তাহ পরার পর ফোনটি চার্জ করা যাবে। এই সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ এখনো চলছে।

এই ডিভাইসটি দেখতে অনেকটা ব্যান্ডেডের মতো। এটি আঙুলের উপর আটকানো হয়। এটিতে কার্বন ফোম ইলেকট্রোডের প্যাডিং রয়েছে, যা ঘাম শোষণ করে। তারপর এটি বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।

আরও পড়ুন>>ইন্টারনেটের খরচ কমেছে

ডিভাইসটি একটি পাতলা, নমনীয় ব্যান্ডেজ যা আঙুলের চারপাশে প্লাস্টারের মতো মোড়ানো যায়। কার্বন ফোম ইলেকট্রোডের প্যাডিং ঘাম শোষণ করে তা বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে। যখন হাত ঘামে ভিজে যায় বা স্ট্রিপের উপর চাপ পড়ে তখন এটি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই ডিভাইস আবিষ্কারের ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো সবার জন্য বাজারে আনা হয়নি। কবে আসতে পারে তাও জানা যায়নি।

google-news-channel-newsasia24

মাইগ্রেন নারীদের বেশি হয়

লিমা পারভীন: মাথার ভেতরের রক্ত চলাচলের তারতম্যের কারণে মাইগ্রেন হয়। রক্ত চলাচল কমে গেলে হঠাৎ করে চোখে সব অন্ধকার দেখা যায় এবং পরে রক্ত চলাচল হঠাৎ বেড়ে গিয়ে প্রচ- মাথাব্যথার অনুভূতি তৈরি হয়।

চকলেট, পনির, কফি ইত্যাদি বেশি খাওয়া, জন্মবিরতিকরণ ওষুধ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত ভ্রমণ, ব্যায়াম ইত্যাদির কারণে এ রোগ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রতি পাঁচজন মহিলার একজন এবং প্রতি পনেরোজনে একজন পুরুষের মাইগ্রেন হয়ে থাকে।

কারণ মহিলাদের হরমোনাল চেঞ্জ বেশি হয়। মাসিক, প্রেগনেন্সি ও মেনোপজÑ এগুলো মাইগ্রেন পেইনের সঙ্গে রিলেটেড। অনেক সময়ে মেনোপজের পর মাইগ্রেনের সমস্যা কমতে থাকে, আবার পিরিয়ডের আগে এটি বেশি হয়ে থাকে।

সাধারণ লক্ষণ : মাথাব্যথা, বমি ভাব এ রোগের প্রধান লক্ষণ। তবে অতিরিক্ত হাই তোলা, কোনো কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া, বিরক্তি বোধ করা ইত্যাদি উপসর্গ মাথাব্যথা শুরুর আগেও হতে পারে। মাথার যেকোনো অংশ থেকে এ ব্যথা শুরু হয়। পরে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। চোখের পেছনে ব্যথার অনুভূতি তৈরি হতে পারে। চোখের ওপর হালকা চাপ দিলে আরাম লাগে। মাথার দুই পাশে কানের ওপর চাপ দিলে এবং মাথার চুল টানলেও ভালো লাগে। তখন শব্দ ও আলো ভালো লাগে না। কখনো কখনো অতিরিক্ত শব্দ ও আলোয় মাথাব্যথা বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন>>দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারে কী কী ক্ষতি হতে পারে, জানেন কী?

করণীয় : মাইগ্রেন থাকলে প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম দরকার। যেসব খাবার খেলে ব্যথা শুরু হতে পারে, যেমন কফি, চকলেট, পনির, আইসক্রিম, মদ ইত্যাদি একদম বাদ দিতে হবে। বেশি সময় না খেয়ে থাকা যাবে না। জন্মবিরতিকরণ ওষুধ যারা খায়, তাদের সেটা সেবন না করাই শ্রেয়। প্রয়োজনে অন্য পদ্ধতি বেছে নেওয়া যেতে পারে। পরিশ্রম, মানসিক চাপ ও দীর্ঘ ভ্রমণ বর্জনের মাধ্যমে মাইগ্রেন অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়।

আরও পড়ুন>>বিয়ের পর স্ত্রীকে একঘেয়ে লাগলে কী করবেন?

চিকিৎসা : নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে পারেন মাইগ্রেন সমস্যা নিয়ে। বারবার মাইগ্রেনের আক্রমণ কমানোর জন্য ডাক্তার সাধারণত পিজোটিফেন, অ্যামিট্রিপটাইলিন, বিটাব্লকার-জাতীয় ওষুধ কার্যকর। মাথাব্যথা শুরু হলে প্যারাসিটামল, এসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক-জাতীয় ওষুধ ভালো। বমির ভাব কমানোর জন্য মেটোক্লোর প্রোমাইড, ডমপেরিডন-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব ওষুধে মাথাব্যথা না কমলে সুমাট্রিপটান, আরগোটামাইন-জাতীয় ওষুধে অনেক সময় যথেষ্ট স্বস্তি পাওয়া যায়।

google-news-channel-newsasia24