নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী সালমা আক্তারকে (৪০) হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বামী রুপচানকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের বড় ভাই রিপন খান নিজে বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আজ শুক্রবার (২৪ মে ২০২৪ ) ভোরে সোনারগাঁ পৌরসভার ভট্টপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত সালমা পৌরসভার ভট্টপুর এলাকার মো. রুপচাঁনের স্ত্রী। সে দুই সন্তানের জননী।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের পরিবার জানায়, অভিযুক্ত স্বামী রুপচাঁন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করার সূত্রে তার সহকর্মী এক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পেরে সালমা এর প্রতিবাদ করে। এতে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভট্টপুর গ্রামের রুপচানের সঙ্গে পৌর এলাকার তাজপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের মেয়ে সালমা আক্তারের ১৯ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি আট বছর বয়সী মেয়ে ও ১৮ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে।
নিহতের ছেলে আব্দুল্লাহ আরবান জানান, আমার বাবা দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়ার করত। এই নিয়ে মায়ের সাথে বাবার প্রায়ই ঝগড়া হতো। কিছুদিন আগেও মাকে অনেক মেরেছে বাবা। পরে আমি আমার নানির বাড়ির আত্মীয়দের জানিয়েছি। উনারা বলেছিল ঈদের পর বসবে কিন্তু আজ আমার মাকে মেরেই ফেলল বাবা।
নিহত সালমার বড় ভাই রিপন জানান, দুই বছর ধরে তার বোনের স্বামী পরকীয়ায় জড়িত। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিশও হয়েছে। কিছুদিন আগেও তার বোনকে অনেক মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন।
আরও পড়ুন:
-
গোয়ান্দা পরিচয়ে তরুণীকে ধর্ষণ; যুবক গ্রেপ্তার
-
উখিয়া ক্যাম্পের আগুনে পুড়লো ৫ শতাধিক স্থাপনা
-
ক্রেতার অভাবে গুদামে পড়ে আছে ৩০ টন পেঁয়াজ
এই নিয়ে তাদের সাথে তার কথাকাটাকাটিও হয়। এক পর্যায়ে তার বোনকে নিয়ে আসতে চাইলে তার বোন দুই বাচ্চার মুখের দিকে চেয়ে তার স্বামীর বাড়িতেই থেকে যায়। কিন্তু আজ ভোরে বোনের মরদেহ বাড়ি থেকে দূরে এক পুকুরে পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, তার বোন কখনো পুকুরে যায় না। সে সব সময় বাড়ির টিউবওয়েলেই গোসল করে। পুকুর তার বাসা থেকে অনেক দূরে। তার স্বামীই তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে পুকুরে ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা যাবে।