শিরোনাম
jannat-newsasia24
প্রতিকী ছবি-newsasia24

জান্নাত সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনা

কুরআন-হাদিসে জান্নাত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ও বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। নিউজ-এশিয়া২৪ পাঠকদের জন্য জান্নাত সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরা হল।

১) জান্নাতের পরিধি আকাশ-যমিনের সমান। {সূরা আল-ইমরান-১৩৩}

২) জান্নাতের ফলসূমহ চিরস্থায়ী। {সূরা র্আ-রা’দ-৩৫}

৩) জান্নাতে ক্ষুধা ও পিপাস অনুভূত হবে না। {সূরা আত-ত্ব-হা-১১৮}

৪) জান্নাতীদের জান্নাতে স্বর্ণালংকারে অলংকৃত করা হবে, তারা পারিধান করবে সূক্ষ ও স্থল রেশমের সবুজ পোষাকে সমাহীন হবে সুসজ্জিত আসনে। {সূরা কাহ্ফ-৩১}

৫) জান্নাতীদের প্রদক্ষিণ করে পরিবেশন করা হবে বিশুদ্ধ সূরা পূর্ণ পাত্র। যা শুভ্য, উজ্জ্বল সুধা হবে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। {সূরা আস-সাফপাত-৪৫-৪৬}

৬) জানানাতে থাকবে আয়তনয়না মহিলাগণ, কোন জি¦ন ও মানব ইতোপূর্বে যাদেরকে স্পর্শ করেনি। {সূরা আর রহমান-৫৬}

এবার চলুন জেনে নেয়া যাক, জান্নাত সম্পর্কে হাদীসের বর্ণনা:

১) জান্নাতে রোগ, বার্ধক্য ও মৃত্যু হবে না। {মুসলিম}

২) কোন জান্নাতী যদি তার অলংকারসূমহ একবার পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয় তাহলে সূর্যের আলো এমনভাবে ¤øান করে দেবে, যেরুপ সূর্যের আলো তারকার আলোকে ¤øান করে দেয়। {তিরমিযী}

৩) যদি জান্নাতী হুরেরা পৃথিবীর দিকে একবার উঁকি দেয় তাহলে পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যে যা কিছু রয়েছে সবকিছু আলোকিত হয়ে যাবে। আর সম্পূর্ন পৃথিবীকে সুগন্ধিময় করে দেবে। {বুখারী}

৪) জানাতের বালাখানা সূমহ সোনা-রুপার ইট দিয়ে বানানো। সিমেন্ট, বালি, মেশক আম্বরের সুগন্ধিযুক্ত। জান্নাদের পাথরসূমহ হবে মতি ও ইয়াকুতের, আর মাটি হবে যাফরানের। {তিরমিযী}

৫) আসমান ও যমিনের সকল সৃষ্টজীব জান্নাতের একটি গুচ্ছের ফল খেলেও এর পরিসমাপ্তি হবে না। {আহমদ}

৬) শত স্তর রয়েছে জান্নাতে আর প্রত্যেক স্তরের মাঝে আসমান ও যমিন সমপরিমান দূরত্ব। {তিরমিযী}

৭) জান্নাতের একটি ছায়া এতই লম্বা হবে যে এর ছায়ায় এক অশ^রোহী শত বছর পর্যন্ত চললেও এর শেষ পর্যন্ত পৌছাতে পাবে না। {বুখারী}

৮) জান্নাতে ধনুক পরিমান স্থানও সম্পূর্ণ পৃথিবীর সমস্ত নিয়ামত থেকে মূল্যবান। {বুখারী}

৯) হাউজে কাওসারে সোন-রুপার পেয়ালা থাকবে, সেগুলোর সংখ্যা হবে আকাশে তারকার ন্যায় অসংখ্য। {বুখারী}

নিউজএশিয়া ২৪ এর সম্মানীত পাঠকগন, জান্নাত একটি একটি আবাসস্থল যা যে কোন মানুষের কল্পনাতীত। তাই আমাদের সবার জীবন এমনভাবে গঠন করা উচিত যাতে জান্নাতের সেই আছ্বাদন নিতে পারি।

আল্লাহ মানুষ এবং জ¦ীন সৃষ্টি করেছেন, শুধুমাত্র তারই ইবাদত করার জন্য। কিন্তু আমরা দুনিয়ার মোহতে সব ভুলে গেছি। এমনকি তার ইবাদতের সামান্য অংশটুকুও করতে পারছি না। দুনিয়ার বিভিন্ন পাপকার্যে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছি। ক্রমেই সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে যাচ্ছি।

তাই ইসলামিক শিক্ষা গ্রহন করে ইসলামের পথে ফিরে আসা উচিত। যাতে দুনিয়ার সাতে সাথে পরকালেও আমরা সুখে শান্তিতে থাকতে পারি এবং লাভ করতে পারি সেই সুখময় জান্নাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *